রাগি বউ এর দুষ্টু বর

রাগি বউ এর দুষ্টু বর

আর একটু থাকো না বাবু. ( আমি) সকাল তো হয়ে গেছে উঠে পড়ে আমি উঠলাম. ( বৃষ্টি) আমি ওর হাত টান দিয়ে আমার বুকের উপরে নিলাম,, ছোট করে ওর কপালে চুমু দিলাম. ( আমি) ও আমাকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলে, যেতে যেতে বলছে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও আমি ফ্রেশ হয়ে দেখি ও রান্না করছে. আমি পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বৃষ্টির ঘারে চুমু দিলাম সকাল সকাল এতো রোমান্টিক হতে হবে. যাও টেবিলে আমি নাস্তা দিচ্ছি ,,. ( বৃষ্টি) না না আমি তোমাকে জরিয়ে থাকবো তুমি আর আমি এক সাথে যাবো. ( আমি) তুমি যাবে কি না বলো. ( বৃষ্টি) এতো রাগ করো কেনো আমি তো স্বামী আমি যা ইচ্ছা তাই করতে পাড়ি. ( আমি) ওমনি ঠাসসসসসস করে গালে বসে দিলো কি আর করার ভাবছিলাম বউএর সাথে রোমান্স করবো তা হলো ন. নাস্তা টেবিলে বসে আছি. ৫ মিনিট পর বৃষ্টি নাস্তা নিয়ে আসলো. আমি নাস্তা থেতে শুরু করলাম নিজের হাতে ( বৃষ্টি প্রতিদিন আমাকে খাইয়ে দিতো, আমি রাগ করে নিজে খাই) . বৃ্ষ্টি কোনো কথা বলছে আপন মনে খাচ্ছে নাস্তা শেষ করে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম কিছুহ্মণ পর বৃষ্টি আসলো।

তুমি অফিসে যাবা না, আবার শুয়ে পড়লে যে. যাও অফিসে. ( বৃষ্টি)যদি অফিসে না যাই তাহলে আমাকে শেষ করে দিবে. আমি অফিসে যেতে পাড়ি এক শর্ত একটা পাপ্পি দাও তারপর ( আমি) এসো তোমাকে পাপ্পি দেই. ( বৃষ্টি) আমি তার কাছে যাওয়া মাএ ঠাসসসসসসসসসস গাল দুইটা এক বারে টমেটোর মতো লাল রং ধারণ করলো.. আমি আর দেরি না করে অফিসে গেলাম ও আমি পরিচয় দিতে ভুলে গেছি. আমি ফিরোজ আহমেদ জিসান আর ও হলো আমার রাগি বউ বৃষ্টি প্রেম করে বিয়ে করছে. বিয়ে আগে যে রকম প্যারা দিতো এখনো তাই. আপাদতো এই টুকু জানলে চলবে আমি অফিসের কাজে মন দিলাম . বেশ কিছুহ্মণ পর দেখলাম বৃষ্টি ফোন দিয়েছে ফোন টা রিসিব করলাম তুমি দুপুরে খাইছো ( বৃষ্টি) না,খাবার কোনো ইচ্ছা নাই. আমার তুমি খেয়ে নাও. ( আমি) কি জন্য তুমি খাবে না বলো. খাবার খেয়ে আমাকে ফোন দিবে. ( বৃষ্টি,) পাড়বো না।

এখন রাখি অনেক কাজ বাকি আছে. অফিসের কাজ করছি ধীরে ধীরে সময় চলে যাচ্ছে . রাত ৮ টার দিকে বাসায় গেলাম কিছু ফুচকা নিয়ে বৃষ্টি খুব পছন্দ করে তাই. দরজায় টুকা দেওয়া মাএ দরজা খুলে দিয়ে টেবিলে গিয়ে বললো.. আমি গিয়ে তার পাশে বললাম. কি মহারাণী খাবার কি দিবেন না. নাকি না খেয়ে রাখবেন. তাড়াতাড়ি দাও. দুই জনে খাবার খেলাম, যখন বৃষ্টি উঠতে যাবে তখন আমি টান দিয়ে বসিয়ে দিলাম , তখন আমার গাল দুইটা লাল করে দিলো তোকে কত বার বলছি আমার ওই সব ভাল লাগে সব সময়, আর তুই সব সময় খালি দুষ্টামি আবার ঠাসসসস করে মেরে চলে যাচ্ছে. আমি তার সামনো গিয়ে ফুচকা টা এগিয়ে বললাম, আমি তোমাকে ফুচকা দিতাম, আর তুমি। আর কিছু না বলে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লাম. বৃষ্টি এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো. প্রতিদিন আমার বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে পড়তো. তাহলে আজ কেনো না. কি হয়েছে ওর, আগে তো এই রকম করতো না. আমি ওর কাছে ঠাসস করে চর মারে, কারণ টা বুঝতে পাড়ি না. আমি ও একটু রাগি তাই বলে নিজের স্বামী কে মারবে. জানি না কখন ঘুমি পড়ছি, সকালে উঠে দেখি বৃষ্টি আমার বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে, আর ওকে ঘুমন্ত অবস্থা দেখতে অনেক মায়াবতী লাগছে. আমি ওর ঠৌঁটের সাথে আর ঠৌঁট এক করে দিলাম . কিছুহ্মণ পর শব্দ শুরু হলো ঠাসসসসসস ঠাসসসসসসস। তুই কোন সাহসে আমাকে কিস করলি।

তুমি আমার বউ আমি যা খুসি করতে পাড়ি. আবার ঠাসসসসস. যদি এতো মারে তাহলে আমি তো মরে যাবো.. আমি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে টেবিলে গেলাম . বৃষ্টি নাস্তা নিয়ে আসলো. ও আজ আমাকে খাইয়ে দিবে. ( আমি)
ওই কুক্তা তোর কি হাত নাই নিজের হাতে খেতে পাড়িস না. খেলে খা না খেলে নাই. ( বৃষ্টি) আমি মন খারাপ নিয়ে অল্প একটু খাবার খেয়ে অফিসে গেলাম আর ভাবছি বৃষ্টি কেনো আমার সাথে এই রকম করছে. আগে তো এই রকম করে না. আগে আমাকে অনেক ভালবাসত. আর এখন শুধু মারে আজ ও ফোন করে বলল না এখনো. আমি নিজে ফোন দিলাম কি জন্য ফোন দিসিস বল আমি কি আমার বউ কে ফোন দিতে পাড়ি না ( আগে তুই করে বলতো এখন কেনো জানি বলে)।

আমি তোর কেউ না. তুই আর ফোন দিবি না ( বৃষ্টি) আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পাড়বে. ( আমি) তোকো ছাড়া আমি থাকতে পাড়বো. ফোন টা কেটে দে. ( বৃষ্টি) ফোন টা কেটে দিয়ে টিস্যু দিয়ে চোখের জল মুছলাম, এর আগে এই সব কথা বলে নাই । আমার খুব কষ্ট হচ্ছে. আর কিছু ভাল লাগছে না. তাই বস কে বলে বাসায় রহনা দিলাম. রাস্তায় এক বন্ধুর সাথে দেখা তার সাথে আড্ডা দিলাম, আজ অনেক দিন পর সিকারেট খাচ্ছি,, এক দিন বৃষ্টি বলেছিল সিকারেট খাবে না আমি আমার কষ্টের কথা আমার বন্ধু কে বললাম,ও বলল তুই কেনো চিন্তা করিস না, এই কথা মতো কাজ করিস দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে. ওর কাছ থেকে বিদাই নিয়ে বাসায় আসলাম, দেখি কার সাথে যেনো কথা বলছে ( আজ আবার ফুচকা নিয়ে এসেছি)।

এই আমার খুব হ্মুদা পেয়েছে খেতে দাও নিজে নিয়ে খাও য়ায কেনো তুমি দিবে না. তাড়াতাড়ি দাও এতো বেশি কথা বলিস কেন খাবার হলে খা. না খেলে নাইও যেতে চাই লে আমি টান দিয়ে আমার বুকের সাথে নিলাম কুক্তা আমাকে ছেড়ে দে. দেহ পাবি মন পাবি না বলে দিলাম. এই কথা শোনার পর আমি ওকে ছেড়ে দিলাম. আর বৃষ্টি ঠাসসস করে মেরে বলছে আমি তোকে আর সহ্য় করতে পাড়ি না. তুই থাকবি একদিকে আমি থাকবে একদিকে. ভুলে আমার কাছে আসবি না বলে দিলাম আমি বুক কষ্ট নিয়ে বিছায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম আর আমার ডাইরিতে সব কথা লিখে রাখতাম যা যা হয়েছে.. জানি কি জন্য আমাকে এতো বড় শাস্তি দিলে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি বৃষ্টি কার সাথে কথা বলছে. কত মিষ্টি করে. এই সব কথা আমি অনেক কষ্ট পেলাম. আমি ও রুমে গেলাম যাও মাএ ওর ফোন টা হাতে ফোন টা কেটে দিলাম,, আর ও আমাকে উপহার দিল ঠাসসসসসসসস,।

তোর কতোবড় সাহস আমার ফোন নিস, ফোন দে. আর কান খুলে শুয়ে রাখ আমি তোর বউ না আর কেনো দিন আমার সামনে আসবি না, তোর মুখ আমি দেখতে চাই না. দুর হ তো এখন আমি আমার রুমে এসে ডাইরিতে সব কথা লিখে ওর রুমের দরজার কাছে রেখে অফিসে গেলাম আমি জানি ও যখন ডাইরি চোখ যাবে তখন খুলে দেখবে. বড় অহ্মরে লেখা. ফিরোজ + বৃষ্টি তুমি কি জানো আমি তোমাকে কত টা ভালবাসি, আমি তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পাড়বো না আমি একটু আকটু দুষ্টামি করি, তাও তোমার সাথে অন্য কারো সাথে তো না আর তুমি যখন চর মাড়তে আমি অনেক খুসি হতাম. তখন আমি তোমার রাগি লুক দেখতে পাড়তাম তখন তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে. আর প্রতিরাতে তোমার জন্য ফুচকা কিনে নিয়ে যেতাম, ভাত খাবার পর দুই জনে এক সাথে খাবো, আর তুমি ঠাসস করে চর মাড়তে, তাও আমি কিছু মনে করি নাই. যে দিন তুমি ফোনে কার সাথে কথা বলতে সেই দিন আমি অনেক কষ্ট পাই. আর আজ বললে তোর মুখ দেখতে চাই না, তখন বুঝলাম এতো দিনের সব ভালবাসা সব মিথ্যা ছিলো. আগে আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পাড়তে না।

এখন কি করে আছো বলো তো. আজ থেকে তোমাকে মুক্ত করে দিলাম. আর আমি তোমার জিবন থেকে অনেক দুরে চলে গেলাম , ভাল থেকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিও তোমার জিবন, ইতি তোমার দুষ্ট ফিরোজ আমি থেকে ছুটি নিয়ে আমার বন্ধুকে ফোন দিলাম, দোস্ত তোর তুই কথা গুলা বলেছি তা কিছু করতে পাড়ি নাই তার আগে সব কিছু শেষ হয়ে গেলো রে. তা কই তুই আগে আমরা যেখানে আড্ডা দেই. ওই খানে আয় তুই একটু রাস্তার দিকে এগিয়ে আয় ওকে আয় ৩০ মিনিট পর গেলাম আমি রাস্তার এ পাড়ে আর ও রাস্তার ওই পাড়ে রাস্তার পার হবার সময় একটা বাস আমাকে ধাক্কা মেরে চলে গেয়ে. আর গিয়ে পড়লাম অনেক দুরে. আমার বন্ধু আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো কিছুহ্মণ পর বৃষ্টি চলে এসেছে. ( আমার বন্ধু ফোন করে বলছে) ওর এখন কি অবস্থা. ( বৃষ্টি) খুব খারাপ .আল্লাহ কে ডাকো. যেনো সব ঠিক হয়ে যায.( আমান) আমি ওকে ছাড়া বাচতে পাড়বো না আমি ওকে অনেক ভালবাসি আমান ( বৃষ্টি)

যদি এতো ভালবাসতে তাহলে ওকে সব কথা বলতে কেনো. ও সব সময় তোমার কথা বলে. তোমাকে জিবনের থেকে বেশি ভালবাসে. তুমি ওর সাথে ব্যবহার করছো সব আমাকে বলছে. আর সব কথা ও নিজের ডাইরিতে লিখে রাখে ( আমান) আমি ওর ডাইরি পরে সব কিছু বুঝতে পাড়ি ও আমাকে কত টা ভালবাসে. ওর কিছু হলে আমি বাচবো না. আমান, আমার ফিরোজ কে আমার কাছে ফিরে দাও ডাক্তার বললো. তেমন কিছু হয় নাই. কিছু দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে. . তবে হ্যাঁ কষ্ট যদি এমন কথা তাহলে সমস্যা হতে পাড়ে আমি কি ওর সাথে দেখা করতে পাড়ি. ডাক্তার .. হ্যাঁ যাও আমাকে দেখা মাএ মুখ ঘুরিয়ে নিলো, ফিরোজ. আমি ওর মাথায় হাত দিয়ে আছি ও কিছু বলছে, শুধু কান্না করছে, আর কান্না করে আমার দুষ্ট বর. ( বৃষ্টি) তুমি এখানে কেনো যাও তুমি ফোনে কথা বলো যাও. ( আমি) তখনি ও আমার বুকে মাথা দিয়ে কান্না শুরু করে দিলো. , আমি ওর কান্না সহ্য় করতে পাড়ি না।।

এখন ওর ভুল বুঝতে পেড়েছে। আমি ওর কাপালে পাপ্পি দিয়ে, আমার বুকের সাথে নিলাম. তুমি ফোনে কার সাথে কথা বলছিলে সেই দিন ও ছিলো আমার মামাতো ভাই. ওর সমস্যা হয়েছিল তাই, আমার সাহায়্য চেয়েছিল, কি এমন সমস্যা বলো, তার gf তাকে ছেড়ে গিয়ে তাই এই আমি তাকে খারাপ কিছু না করে তাই ফোনে বলছি আর কিছু না। আমি জরিয়ে ধরে বললাম নিজের ভাইয়ের বেলা ষোল আনা, আমার বেলায় নাই এসো তোমার সব কষ্ট দুর করে দেই. শুরু হলো মিষ্টি ভালবাসা এভাবে চলতে থাকে দুষ্ট মিষ্টির ভালবাসা আজও তোমায় অনেক ভালোবাসি।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত