লজ্জাবতী প্রেমিকা

লজ্জাবতী প্রেমিকা

আজ চোলে আসলাম নিজের জেলা ছেরে,, আমি জনি পুলিশের ডি আই জি অফিসার , অল্প দিনেই নাম ডাক কামিয়ে ফেলেছি,, তাই আমাকে বদলি করে ফিরোজ পুর পাঠানো হোয়েছে,,,  আজ ই আসলাম,, আমার থাকার জন্য বাসা দেওয়া হলো, সেখানেই উঠেছি, যেহেতু আসতে রাত হোয়ে গেছে তাই রাতে গুমিয়ে,, সকালে শহরটা ঘুরে দেখতে বের হলাম, ,সাথে একজন কনেস্টেবল নিয়ে নিলাম,,, সাধারন পোশাক পরে বের হয়েছি,, আসপাস সুন্দরই আছে,, কিছুক্ষন যেতেই পাস থেকে উচ্চ স্বরের হাসির শব্দ শুনতে পেলাম,, আমি ফিরে তাকাতেই দেখি চারটা মেয়ে, তাদের ভিতর একজন হাসছে, ,

মুক্তা ঝরানো হাসি,,, আমি এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকলাম,,,আমার তাকানো দেখে মেয়েটি চুপ হোয়ে গেল,,, মাথাটা নিচু করে ফেলল,,,যেন লাজুকতায় আকরে দরেছে,, এরকম লজ্জাবতি মেয়েকেই তো খুজছি,,, ওরা পাশ কাটিয়ে চোলে গেলো,,, আমিও সামনে এগুতে লাগলাম,,কিছু সামনে যেতেই বিশাল এক কলেজ দেখতে পেলাম,,,তার মানে মেয়েটি এই কলেজে পরে,, যাক মাঝেমাঝে আস্তে হবে,,। ঘুরেফিরে,, বাসায় চোলে আসলাম,, তারপরের দিন কাজে যয়েন করলাম, ,,এক সপ্তাহ আর কাজের চাপে ওই মেয়ের খোজ নিতে পারলাম না, এক সপ্তাহ পর আবার বের হলাম সাধারন পোশাকে,,, সাথে কনেষ্টেবল রহমত কে নিয়ে নিয়েছি,,, কলেজের আসপাস ঘুরছি,,, কোথায় মেয়ে তুমি কোথায়, কোথায়,, এইতো পেয়েগেছি,, মাঠের একপাশে বোসে হাসছে ,,ওর হাসি দেখলে সব ভুলে যাই,,, আজো আমাকে দেখে হাসি থামি য়ে দিল,,, কিছুক্ষন পর ও বাদে বাকি বান্ধুবি গুলি আমার দিকে আসছে,,, আমার সামনে এসে দারালো

বান্ধুবিগুলো ঃ কি সমস্যা কি পিছু নিয়েছেন কেন,,,

রহমত ঃওই আপনারা কার সাথে ক আমি রহমত কে থামিয়ে দিলাম,, চুপ থাকতে বললাম।

আমি ঃ কোনো সমস্যা নেই,, আচ্চা আপনারা কোন ইয়ারে পরেন,,,

বান্ধুবি গুলো ঃ কেন,

আমিঃ না এমনেই যান্তে মন চাইলো, ,,

বান্ধুবিগুলো ঃ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে,,,আচ্ছা আপনার মতলব টা কি,,ওই দিনও দেখলাম আমার বান্ধুবির দিকে হা করে তাকিয়ে আছেন,,আবার আজকেও তাকিয়ে আছেন,, ব্যাপারটা কি,, পুলিস ডাকবো নাকি??

আমি ঃ না মানে ওনি দেখতে সুন্দর তো তাই,, তা ওনার নাম কি,

বান্ধুবি গুলোঃ আপাকে ক্যানো বলবো,?

আমিঃ সবাইকে ফুচকা খাওয়াব কিন্তু,,  সবাই যেন কি মোসাবেতা করলো,, তার পর,, একসাথে,, আমাদের দুই প্লেট করে খাওয়াতে হবে,,

আমিঃ আচ্ছা খাওয়াব, ,নাম বলো,,

বান্ধুবি ঃওর নাম নিলা,, অরফানা তাহাসিন নিলা, ,আমাদের সাথে পরে,,খুব রাগি,,

আমিঃও।চলবে,,,।

বান্ধুবি ঃ(চোখ বড় বড় করে) কি চলবে,,

আমিঃকিছুনা,, চলো ফুচকা খাবে না

বান্ধুবি গুলো ঃসেটাকি মিছ করা যায়,, ওদের নিয়ে ফুচকা খাওয়ালাম, ,, তার পরের দিন আবার কলেজে গেলাম,,,  নিলা আজো বোসে আছে,, তবে একলা, ,হাতে বই নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে পরছে, রহমতকে দোকানে চা খেতে পাঠালাম, , আস্তে গিয়ে ওর পাসে বসলাম, , নিলা মাথাটা বই থেকে তুলে আমাকে দেখে যেন শক খেলো,, মাথাটা আবার নিচে নামিয়ে ফেললো,,গাল মুখ কান কেমন লাল হোয়ে গেছে, লজ্জায়,,। নিলা আছতে করে বলা শুরু করলো,

নিলাঃ আপনি আমার বান্ধুবিদের কাছ থেকে আমার নাম জিগাসা করেছেন কেন,,,?

আমিঃ এমনেই?

নিলাঃ এমনেই হোতে পারে না,কোনো কারন তো আছেই।আমি বেস কিছু দিন লক্ষ করে ছি আপনি আমাকে ফলো করছেন,,,

আমি ঃ আসলে তা না, আপনার হাসিটা সুন্দর সাথে আপনিও তাই দেখতে আসি,, কথাটা বলার সাথে সাথে আমার চোখের দিকে তাকালো, ,,তার পর নিচের দিকে তাকি বললো, পরবর্তিতে আর ফলো করবেন না,,, এখন যান,,,

আমি ঃ তা যাবো,, চলুন না ফুসকা খেয়ে আসি,,,

নিলাঃ আপনার সাথে কেন যাব, ,

আমিঃ ও না এমনেই,, আচ্ছা ঠিক আছে পড়ুন,,। আমি চোলে আসলাম,, নাহ এই মেয়েকে এত সহজে কাছে আনা যাবেনা, , আমি সরে যেতেই ওর বান্ধুবিরা ওর কাছে আসলো, তখন তাদের ভিতর কথাবার্তা,,

নিলা ঃ এই তোরা এসেছিস, ওই লোকটা না এসেছিল,,

বান্ধুবি ঃ কোন লোক,,

নিলা ঃ আরে যে আমাকে ফলো করে,,,

বান্ধুবি ঃআরে ওনি,, যাই বলিস লোকটা কিন্তু ভারি হ্যানসাম দেখতে,,

নিলা ঃ রাখ তোর হ্যানসাম,!”

বান্ধুবি ঃ যানিস কালকে তোর কথা বলে আমরা দুই প্লেট করে ফুসকা খেয়েছি,,

নিলা ঃ তোরাতো আসলেই পেটুক,, তোরা আগে বললি না কেন,, তা হলেতো একসাথে দরা যেত,,বেটা বধ লোক একটা,।

বান্ধুবি ঃ যাই বল লোকটাকে আমার কাছে সেই লাগে

নিলা ঃতাহলে তুই প্রেম কর,,

বান্ধুবিঃ কিভাবে করবো লোকটা তো তোকে পছন্দ করে,

নিলাঃ তোকে না মারবো একটা,,

বান্ধুবি ঃ লোকটা লোকটা করছিস ওনার নামটাই জিগাসা করলি না,,

নিলা ঃ তা করবি কেন, ,সারাদিন চিন্তা করিস কার পকেট কিভাবে যারবি,, পেটুক কোথাকার,

বান্ধুবি ঃ আবার আসলে যিগাসা করবো,,

নিলা ঃ ওনি আসবেন না, আসতে না করে দিয়েছি,

বান্ধুবি ঃ ওনি দেখবি আবার আসবে, তোকে ভালোবাসে বলে কথা,,, হাহাহা

নিলা ঃ রাখ তোদের ফাজলামো,, আবার আসলে ঠাটিয়ে দু চর মারবো, আমাকে চিনে না তো।

নিলাও আমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে,, আগে আসতাম সপ্তায় দু একদিন, আর এখন প্রতি দিন ই আসি, এর ভিতর একদিন আমার নাম ও যেনে নিল ওরা,, রোজ জাই আর ওরা আমার পকেট খালি করে, ,অবশ্য নিলা খায় না, ওর বান্ধুবিরাই খায়, ,ওর এক বান্ধুবির নাম্বার ও নিয়েছি ওর মাধ্যমেই যেনে নেই, , ও কোথায় কি করছে, আজ একটু দেরি করে আসলাম ওদের কলেজে,, ও বাহিরে ঘাসের উপর বসে আছে,, আমি কাছে যেতেই ও বলল,,

নিলাঃ আবার আপনি, ,?

আমিঃহিম আমি,,।

নিলা ঃ আপনাকে না আসতে বারন করেছি তার পরেও আসেন কেন, ,সত্যি করে বলনন তো কি চান আপনি,,?

আমিঃ সত্যি বলবো?

নিলাঃ হ্যা,

আমি ঃ তাহলে সোনো আমি তোমাকে চাই,,, তোমার মুখের ওই হাসি দেখে তোমার প্রেমে পোরেছি,, তোমার ওই লাজুকতা দেখে তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি, ,I Love You Nela,, নিলা কিছুক্ষন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলো,, তার পর ওরনা দিয়ে মুখটা ঢেকে বললো,

নিলা ঃ আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারবো না,,

আমিঃ কেন?

নিলা ঃজানি না,,

আমি ঃ নিলা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো,,,, এদিকে তাকাও,, নিলা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে,,

নিলাঃ আমি তাকাতে পারবো না যানতো আপনি,,, এই বলে নিলা সেখান থেকে দৌরে পালালো, ,

আমি যানি নিলাও আমাকে ভালোবাসে,, সুন্দরি মেয়েদের একটু ভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক আমিও এত সহজে পিছন ছারছি না,, আমিও চোলে আসলাম সেখান থেকে,,তার পরেও প্রতিদিন যেতাম ওকে দেখার জন্য,, আমার কাজ আর ওকে দেখা এভাবেই দিন গুলা চলছিল,,,হঠাৎ একদিন ওকে দেখতে গিয়ে দেখি মাঠের এক কোনে জরো সরো হোয়ে বোসে আছে ওর বান্ধুবি রা আমাকে দেখে সরে গেল,, ওর পাসে গিয়ে বসলাম।তাও ওর কোনো কর্ণপাত দেখলাম না,, ওর এক হাত ধরলাম, ওর মুখটা যেই দরে উপুরে তুলতে যাব তখনই হাতটা জটকা দিয়ে ছারিয়ে ঠাস ঠাসস করে দুটো থাপ্পর বসিয়ে দিল আমার গালে আমি হা হোয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি, নিলা রেগে বললো,,

নিলাঃ কত দিন বোলে ছি তোকে আসতে না তার পরেও কেন আসিস, কি মজা পাস আমাকে ডিস্টার্ব করে এই কথা বলেই নিল তার ব্যাগ নিয়ে চোলে গেল, , আসলাম কি জন্য হিতে বিপরীদ হোয়ে গেল,,,তবে কষ্ট লাগলো ওকে ডিস্টার্ব করি শুনে। চোলে আসলা আমি,, মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যাহ আর যাবো না,,,একটু অভিমান হলো আরকি,,, রাতে সুয়ে আছি তখন ওর বান্ধুবি আনিসা কল দিল,,

আনিসা ঃ ভাইয়া ওর হোয়ে আমি সরি,,, আসলে কিছু ছেলে আপনার আসা নিয়ে ওকে বাঝে কথা বলেছে তাইতো ও রেগে ছিল, আর সব রাগ আপনার উপর দিয়ে জারলো,, আবারো সরি ভাইয়া,,

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে,,।পরের দুদিন আর গেলাম না ,, অন্য দিকে নিলা থাপ্পর দিয়েও পাগল হোয়ে গেল,, শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলো,, কি করলো সে, পরে সরি বোলে নিবে ভেবেছে, কিন্তু দুদিন আশায় থেকেও কোনো সন্ধান পেলো না, তার মনটা হুহু করে কেদে উঠলো তবে কি ওনি আসবে না,,আমি তো ওনাকে ভালোবেসে ফেলেছি,,তার পরের দিন তাদের বান্ধুবিদের ভিতর কথা হচ্ছে,,

বান্ধুবি ঃ কিরে নিলা তুই এমন মনমরা দিয়ে আছিস কেন,, তুই ওই দিন ভাইয়াকে না মারলেও পারতি,,,

নিলাঃ কি করবো ওই দিন মাথা গড়ম ছিল,, আচ্ছা ওনি কি আর আসবে না,,

বান্ধুবি ঃ ভাইয়া আসলেই কি আর না আসলেই কি তুইতো আর ভাইয়াকে ভালোবাসিস না,, নিলা আর থাকতে না পেরে বললো, আমি ওনাকে ভালোবাসি, ভালোবাসি,, এই বলে নিলা শব্দ করে  কেদে উঠলো,,

বান্ধুবিঃতুই কাদছিস কেন,,,

নিলাঃ আমি আর থাকতে পারছি না,,খুব ভালোবেসে ফেলেছি ওনাকে,, তোরা ওানাকে এনে দে, আমি ক্ষমা চাইবো,,,(এই কথা গুলো নিলা কেদেকেদে বললো)

আনিসাঃ আচ্ছা তুই থাম কাদিস না,, আমি দেখছি ওনাকে আনতে পারি কি না,, রাতে আনিসা আমার কাছে কল দিল,,

আমিঃহ্যালো।

আনিসা ঃ ভাইয়া কেমন আছেন,

আমিঃ এইতো ভালো, তুমি?

আনিসা ঃ ভাইয়া আপনি আর আসেন না কেন,,

আমিঃ আর আসবো না,,

আনিসা ঃ এই ভাবে বলবেন না,,, কাল একটু আসেন না ভাইয়া, ,

আমি ঃ না কাল আসতে পারবো না, ,

আনিসা ঃ প্লিজ ভাইয়া আসেন না,  আমার জন্য হোলেও আসেন, প্লিজ প্লিজ,,,

আমি ঃআচ্ছা আসবো তবে কাল না পরশু আসবো,,,

আনিসা ঃ আচ্ছা ভাইয়া ধন্যবাদ,,আসবেন কিন্তু,, পরশুদিন গেলাম ওদের কলেজে,,, হ্যা যেটা ভেবেছি সেটাই নিলা শুকিয়ে আছে আগের চেয়ে অনেকটা, ,, ওরা বান্ধুবিরা মিলে বোসে আছে, , নিলা, আমার দিকে অদির আগ্রহে  তাকিয়ে আছে,, আমাকে দেখে ওর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠেছে,,, ওদের কাছে গেলাম,

আনিসাঃ ভাইয়া আপনি এসেছেন,,

আমি ঃ হ্যা! তোমরা সবাই কেমন আছো,,

বান্ধুবিরাঃ আমরা সবাই ভালো আছি শুধু নিলা ছারা,, আমি একনজর নিলার দিকে তাকালাম তারপর চোখ ফিরিয়ে নিলাম,,,হঠাৎ নিলা বললো,

নিলাঃ সরি সেই দিনের ব্যাবহারে জন্য, নিচু স্বরে কথাটা বললো নিলা

আমিঃইট,স ওকে,, ওর দিকথেকে চোখ সরিয়ে ওর বান্ধুবিদের উদ্দেশ্যে বললাম, এই তোমরা চল,, তোমরা তো আবার ফুসকা পাগলি,, চল,,

বান্ধুবি ঃ ভাইয়া পরে খাবো, নিলা আরো কিছু ইমপর্টেন্ট কথা বলবে আপনাকে,, আমরা ওই সাইডে যাই,,,।

আমিঃ কোথায়ও যাওয়া লাগবে না তোমাদের, আমার এখন ইমপর্টেন্ড কথা শুনার মুড নেই,, চল ফুসকা খাবো
তোমাদের সাথে, ( নিলাকে উদ্দ্যেশে বললাম,) ওনি যাবে কিনা জিগাসা করো,, আমার কথায় কারেন্টের মতো শক খেল নিলা,, চোখের কোনে বিন্দু বিন্দু পানি জমা হোয়েছে,, এখনই পরবে বলে,,

আমি ঃ কি ব্যাপার চলো,, ওরা চলল আমার সাথে, নিলাও আছে সাথে,, সে অবশ্য যেতে চায় নি,,  যেতে যেতে দেখলাম নিলা হাত দিয়ে কয়েক বার চোখ মুছলো,,, ওদের সাথে ফুচকা খাচ্ছি নিলা তার কান্না চুল দিয়ে ডাকছে,, মুখটাকে চুল দিয়ে আরাল করেছে,, আমি যানি ও কান্না করছে,,, আমি খেয়ে বিল দিলাম আর বোলে দিলাম আরো এক প্লেট করে দিতে,,,

আমি ঃ তা হলে আমি গেলাম তোমরা ভালো থেকো,,

আনিসা ঃভাইয়া,নিলা আপ আর কিছু বলতে না দিয়ে,আমি বললাম,,আমি ঃ আবার দেখা হবে, নিলা আমার যাওয়ার পথের দিকে তাকিয়ে চোখ মুছতে লাগলো,,,ওদের ওখান থেকে চোলে আসলাম অফিসে, বিকালে অফিসে কাজ করছি তখন আনিসা কল দিল,,

আমি ঃ হ্যা বলো,,

আনিসাঃ কি করলেন আপনি এটা, ,যানেন আপনি যাওয়ার  পর মেয়েটা আপনার জন্য কি পরিমানে কান্না করেছে,,কেন করলেন এইটা আপনি যানেন আপনাকে কি পরিমানে ভালোবাসে, আর আপনি,,

আমি ঃভালোতো আমিও কম বাসি না,,,

আনিসা ঃ তা হলে এমন করলেন কেন,,

আমিঃআমাকে কষ্ট দিয়েছে আমি একটু দিব না, ,,

আনিসা ঃ আর কত কষ্ট দিবেন,, ওতো শেষ হোয়ে যাবে,,,

আমিঃ এইতো আর এক সপ্তাহ, ওকে কষ্ট দিব,, তার পর বুকে টেনে নিব,, এই সব কিন্তু ওকে বলবা না,,,

আনিসা ঃ ঠিক আছে ভাইয়া,, তার পরের দিন বান্ধুবিরা কলেজে, ,

আনিসাঃ কিরে তোর চেহারার কি করেছিস,, রাতে গুমিয়েছিস তো,,

নিলা ঃওনি আমার সাথে এমন করলো কেন,, ওনিকি আমাকে আর ভালোবাসে না,, ওনাকেকি আমি হাড়িয়ে ফেলবো,, এই কথা গুলো বলেই কান্নায় বেঙ্গে পরলো,,

আনিসা ঃআরে দোস কাদিস কেন, ,ওনি যদি ভালোই না বাসতো তবে আসতো না,,, বুঝিস ওনিও তোকে ভালোবাসে,,

নিলা ঃ তাই যেন হয়,,

আনিসা ঃ কিরে তুই এভাবে হাটছিস কেন,, রাতে খাসনি তাই না,, চল কেন্টিনে যাই,,

নিলা ঃ আমার কিছু খেতে ভালো লাগেন,, আমি ক্লাশে যাব তোরা আয়,,

এই ভাবে আরো দু দিন চোলে গেল,, নিলা এই দুদিনে আরো বেঙ্গে পোরেছে,,আমি মনে মনে, না আর কষ্ট দেওয়া যাবে না, কাল নিলাকে বুকে টেনে নিব। বিকালে অফিস থেকে সিভিল পোশাকে বের হোয়েছি বাইক নিয়ে, সাথে রহমত আছে,, নিলাদের এলাকার মোর দিয়ে বাজারের পাসের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম মোরে আসতেই দেখি আবছা আলোয় কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে হাত দোরে টানাটানি করছে,, কাছে যেতেই বুকের পানি শুকিয়ে গেল,, এ আর কেউ নয় আমার নিলা,,, বাইক থেকে নেমেই ফোর্স খবর দিলাম,, তার পর হাতের কাছে বাশ ছিল,,, ওটা দিয়ে শুরু করলাম। বারি দুটো দিতেই ওরা ছিটকে পরলো দু হাত দুরে,, নিলা আমাকে দেখে দৌরে বুকে যাপিয়ে পরলো,, ওর হৃদপৃন্ডের প্রতি টা শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি, আমি যত শক্তি ছিল, সব দিয়ে নিলাকে জড়িয়ে দরলাম,,,নিলা অনেক ভয় পেয়েছে,,ওর হৃদপিন্ড যেন হাতুরি পেটা করছে,,,ভয়ে কাপছে,,,ছেলে গুল উঠে দারালো, ,হাতে চাকু নিল,, ওদের পিটানোর জন্য রহমতের হাতে বাশটা দিলাম,, রহমত একা কুলিয়ে উঠতে পারছে না

রহমত ঃআহ,, চাকু দিয়ে রহমত কে পোছ দিয়েছে,, আমি নিলাকে ছারিয়ে আরেকটা বাশ দিয়ে পিটানো শুরু করলাম। পুলিশ ও চোলে আসছে,, আমার কাছে এসে,

পুলিশঃ স্যার,,

আমি ঃওদের জেলে নিয়ে যাও,,

এসআইঃইয়েস সার, ,

আমিঃ রহমতকে হাসপাতালে নিয়ে যাও,,

এসআইঃ স্যার আপনার জন্য কি গাড়ি রেখে যাব,,

আমিঃ হ্যা রেখে যাও,, আর বাইকটা নিয়ে যাও,,আমি পিছন ঘুরতেই নিলা আবার দৌরে এসে বুককে জাপিয়ে পরলো,, খুব ভয় পেয়েছে পাগলিটা,,

নিলা ঃ আপনি আমার সাথে আর রাগ করে থাকবেন না,, আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি,,, আপনার এরিয়ে চলা আমি সয্য করতে পারি না,, আমি সত্যিই সরি,, আপনা যত ইচ্ছা আমাকে থাপ্পর দিন,,আপনার এরিয়ে চলা আমি সয্য  করতে পারি না,, খুব কষ্ট হয়,,,। (কাদতে কাদতে বললো নিলা) আমি ওর মুখটা বুক থেকে তুলে কপালে একটা চুমু দিলাম,, সাথে সাথে  আগের চাইতে আরো শক্ত করে জরিয়ে দরলো, , ওকে নিয়ে গাড়িতে বসালাম, গাড়ি আমার অফিসের দিকে চললো,, পাগলিটা এখনো আমার বুকে মুখ লুকিয়ে শক্ত করে জরিয়ে দোরে আছে,,,

আমি ঃ এই নিলা আমার দিকে তাকাও ,,আহা পাগলিটা কাদে কেন, , মুখটা উপুরে তুললাম,, হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে আবারো কপারে একটা চুমু দিলাম,,ও এবার কথা বলতে শুরু করলো, ,

নিলা ঃ আমাকে ভালোবাসবেন তো,,

আমি ঃ খুব ভালো বাসবো পাগলি একটা, ,আবার জরিয়ে দরলাম, ও আমার বুকের ভিতর মুখ লুকালো,,কিছুক্ষণ পর,, নিলা বুকের ভিতর থেকে জিগাসা করলো, আচ্ছা পুলিশেরা আপনাকে স্যার স্যার বললো কেন,, আমিঃ কারন,, আমি পুলিশের ডি,আই,জি অফিসার,, এ কথা বলতেই নিলা আমার বুক থেকে মাথাটা তুলে আমার দিকে বিস্মিত চোখে তাকালো আমিঃ ভয় পেয়োছ,, ও মাথা নারালো,,

আমি ঃ পাগলি একটা, কিসের ভয়,,

এই বলে নিলাকে আগের চেয়ে শক্ত করে জরিয়ে দরলাম,,নিলাও ভয়  কাটিয়ে শক্ত করে জরিয়ে দরে বুকের ভিতর মুক লুকালো,,, কিছুক্ষণ পর অফিসে চোলে আসলাম,, নিলাকে গাড়িথেকে নামালাম,, মেয়েটা যেনো কেমন মরে মরে গেছে,, বেশি কষ্ট দিয়ে ফেলেছি মেয়েটাকে,, ওকে নিয়ে আমার কেবিনে প্রবেশ করলাম,, কনেস্টেবল থেকে শুরু করে সবাই সেলুট দেওয়া শুরু করলো,, তা দেখে নিলা চোক বড় বড় করে তাকালো,, কেবিনে ডুকে ওকে আমার চেয়ারে বসিয়ে দিলাম,,,,

আমিঃ এটা হলো আমার কেবিন,,,

নিলা ঃ খুব সুন্দর তো,,

আমি ঃ তোমার চেহারা এত শুকালো কি ভাবে, ,খাওনা কত দিন,,

নিলা ঃ আপনি যেদিন আমার কথা না শুনে এরিয়ে গেলেন সেদিন থেকে।যানেন সেদিন আমি কত কষ্ট পেয়ে ছি,, আবার যদি এমন কষ্ট দেন তা হলে দেখবেন আমি কি যিনিস,,

আমি ঃ আচ্ছা আর কষ্ট দেবনা আমার লক্ষিটি, হোয়েছে,, এবার যাও  ওয়াস রুম থেকে ফেরেস হোয়ে আসো,, ও ওয়াস হোতে চোলে গেল,, এই ফাকে আমি কিছু খাবার আন্তে পাঠালাম, ও ওয়াস হোয়ে বের হলো, ,আমি তাওয়েল টা এগিয়ে দিলাম,,

আমি ঃ এবার এখানে বসো, , কিছুক্ষণ পর খাবার চোলে আসলো,, ওর সামনে সবগুলো সাজিয়ে দিলাম,, নাও এগুলো খাও,,

নিলা ঃআমি এগুলো সব খেতে পারবো না,,

আমিঃ হা করো আগে ঠান্ডা জুসটা খাও,,হ্যা এবার এই চিকেন টা খাও

নিলা ঃ আমি আর পারবো না,,

আমিঃ আর একটু এই সুপটা খেয়ে নাও,, হ্যা এইতো হোয়েছে, ,,

নিলা ঃ আপনি খাননা কেন, হা করুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি,, নিলা আমাকে এক এক করে সব খাইয়ে দিল,, মেয়েটা আসলেই জাদু যানে,, আমি হা করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে আছি,,

নিলা : কি দেখেন ওমন করে

আমি : তোমাকে, তুমি এত সুন্দর কেন,

নিলা : যান আমার লজ্জা করেনা,, এই কথা বলে নিলা আমার বুকের ভিতর মুখটা লুকিয়ে ফেললো,,  হাহাহ,লজ্জাবতী একটা,,

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত