ঠাসঠাসঠাসঠাস,,, এতক্ষন যে শব্দগুলো শুনলেন এর সব গুলাই আমার গালে পড়েছে। আসলে আমার মামাতো বোনকে ভালবাসি বলতেই থাপ্পর গুলো দিল।। আমি জনি একটা কম্পানিতে চাকুরি করছি।। আর আমার মামাতো বোন ওর নাম নিলা। ওর মা মারা যাবার পর থেকে মা ওকে একানে আমাদের বাসায় নিয়ে আসে। দেখতে পুরো তামিল নায়িকাদের মত দেখতে।। আমার থেকে দুই বছরের বড়। নিলাও একটা কম্পানিতে চাকুরি করে তবে আমার থেকে বড় পোস্টে। এবার গল্পে আসা যাক,,,আমি তোমাকে ভালবাসি,,
নিলা :ঠাসঠাসঠাস,, । কতবার বলবো আমি তকে ভালবাসি না। তর লজ্জা করে না,,আজ এক বছর ধরে জালাচ্ছিস।
আমি তর বড় বোলে যাস কেন।। ছোট লোক একটা । এই বলে নিলা চলে গেল। নিলার থাপ্পরের ছোটে ঠোট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। রুম থেকে বের হতেই ঠাসঠাসঠাস চোখে অন্দকার দেখছি ভালকরে তাকিয়ে দেখি মা,,,
মা:তর লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই। তর জন্য মেয়েটা না খেয়ে চলে গেছে। এমন কুলাঙ্গার ছেলে কিভাবে আমি জন্ম দিছি,দুর হ আমার সামনে থেকে। আমি আমার অফিসের দিকে চলে গেলাম,চোখের পানি বাধ মানছে না,শেষমেষ চোখের পানি বেরিয়ে গেল।
খুব কষ্ট লাগছে মার শেষের কথা শুনে।
কুলাঙ্গার হয়ে গেলাম শেষমেষ। হ্যা এটা সত্য যে নিলার পিচনে এক বছর ধরে লেগে আচি। কিন্তু ভালবাসি আরো আগে থেকে,, আমি জানি ওর কোন বয়প্রেন্ড নাই আমাকে একসময় না একসময় ভালবাসবেই। তাই পিচু পরে আছি আমি জানতাম না ও আমাকে এত অপচন্দ করে। রোজ একসাথে বের হতাম ঘর থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য,,আমি আমার বাইক দিয়ে যেতাম,ওকে আমার সাতে যাওয়ার জন্য বলতাম ও না বলে দিত। আসার সময় ওর অফিস হয়ে আসতাম,যদিও আমার কষ্ট হত। কোনদিন আসতো আবার কোনদিন আসতো না,,। ছুটির দিনে ওকে নিয়ে ঘুরতে যেতাম,যদিও আমার সাথে যেথে রাজি হত না তারপরও জোর করে নিয়ে যেতাম। এক বছর ধরে ওকে প্রপোজ করেই যাচ্ছি ও না করে দিচ্ছে। কাল ওকে একটা ছেলের সাথে দেখে আমার হারানোর ভয় হয়। তাই ওকে খুব মিনতি করলাম আমাকে একটো ভালবাসার জন্য। কিন্তু তা না করে এত সব কান্ড করে গেল। অফিসে এসে আমার ডেক্সে বসতেই আনিকা আসলো,, আনিকা আমার কলিগ,পাশাপাশি কাজ করি।
আনিকা:আপনার মন খারাপ কেন বাসায় কি কিছু হয়েছে,,
আমি:না,কিছু না ।
আনিকা:আমার কাছে কিছু লুকাচ্ছেন ।
আমি:আসলে তেমন কিছু না।
আনিকা:না বলতে চাইলে থাক। আনিকা চলে গেল তার ডেক্সে। কোন রকম কাজ শেষ করে, রাতে বাসায় চলে আসলাম। মা এখনো রাগ করে আছে।
আমি:মা খুদা লাগছে খাবার দাও।
মা:তুই নিয়ে খা।
আমি:এখনো রেগে আছ। আমি সরি আর এমন হবে না, নিলা খেয়েছে।ওকে ডাক দাও
মা:কোন মুখে ডাক দিব তুই সরি বলে নিয়ে আয়। আমি ওর রুমে গেলাম,ও ল্যাপটপে কাজ করছে।
আমি:সরি,খেতে আসেন।নিলা কোন কথা বলল না কাজ করতে লাগলো।
আমি:সরি বললাম তো। আসেন খেতে আসেন মা ডাকছে আমার আপনি ডাক শুনে আমার দিকে তাকাল। তারপর আমার পাশ কাটিয়েখেতে চলে গেল। আমিও চলে গেলাম।।নিলা চুপচাপ খেয়ে চলে গেল। এখনো আমার উপর রাগ কমেনি। তারপর থেকে তার সামনে যেতাম না, সকালে তার আগেই বের হয়ে যেতাম। অফিসে যেতেই দেকলাম আনিকা আমাকে দেখে মুখ অন্য দিকে গুরিয়ে নিলো। মেয়েটা খুব অভীমানি।
কালকের জন্য অবিমান করছে।
আমি:আনিকা, কেমন আছ?
আনিকা:কোন কথা বলল না।
আমি:বিকালে একসাথে কফিসপে গেলে কেমন হয়।
আনিকা:সত্যি।
আমি:হ্যা,বিকালে বের হয়ে একসাতে যাবো,ও খুশি হয়ে বলল ঠিক আছে। বিকাল হতেই ও হাজির আমার ডেক্সে। চলেন
,আমি:চলেন। ওকে বাইকে করে নিয়ে কপিসপে ডুকলাম। কপিসপে বসতেই চোখ গেল অন্য কর্নারে। সেখানে নিলা বসে আছে সাথে বান্দবিরা। আমি দেখে না দেখার বান করলাম,নিলা আপু আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছে। আমরা কপি খেয়ে কপিসপ থেকে বের হয়ে আসলাম। আনিকাকে বাসায় দিয়ে আমি আমার বাসয় আসলাম। বাসায় আসতেই নিলা আপু আমার পা থেকা মাথা অবধি তাকাল আমি পাশ কেটে চলে গেলাম আমার রুমে। আমি যতাসম্বভ এরিয়ে ছলি। তারপরের দিন সকাল সকাল বেরিয়ে পরি বিকালে আনিকার সাথে আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম। তার কিচুক্কন পর নিলার রুমে ডাক পরলো। গেলাম সেখানে।
আমি: আসবো।
নিলা: হুম,,বিতরে ডুকলাম এই কাজটা করে দে (ল্যাপটপ এগিয়ে দিয়ে) আমি কিছু না বলে কাজ শুরু করে দিলাম। এত সহজ কাজ এত ওনিও পারেন।আমি কাজ করতে ছিলাম হঠাৎ তিনি বললেন, আজকাল তো খুব মজায় আছিস দেখছি।মেয়ে বাইকে নিয়ে ঘুরিস। আমি কিছু বললাম না। ওনি আবার বললেন,,বেশ ভালোতো ভাল। অফিসে এর জন্য তকে টাকা দেয়।
আমি:আপনার কাজ হয়েগেছে।
নিলা: আমি কি বলছি?
আমি :এতকিছু না জানলেও চলবে। আমি রুম থেকে বেরিয়ে আসলাম,ওনি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। সকালে সসবাইএকসাথে নাস্তা করছি তখন মা বলল জনি যাওয়ার সময় নিলাকে নিয়ে যাস।
আমি:ওনি যাবে না আমার সাথে।মা:নিলাই বলছে।
আমি:আমার কাজ আছে ওনাকে বাসে করে যেতে বল। নিলা রাগ করে খাবার পেলে রেখে রুমে চলেগেল, তার অফিসের পাইল নিয়ে বেরিয়ে গেল মা পিছন পিছন ডাকলো শুনলো না।
মা:তুই ওকে নিয়ে গেলেই পারতি,মেয়েটা না খেয়ে চলে গেল। আমি ভেবেছি সে চলেগেছে। আমি বাইরে এসে দেখি আমার বাইকের কাছে দারিয়ে আছে। আমি পাশ কাটিয়ে বাইকে উটলাম,সাথে সাথে ওনিও বাইকে উটে গেলেন।আমি অবাক হলাম একসময় বাইকে চড়ানোর জন্য কত ভাব ধরতাম আর এখন। বুঝিনা এমেয়ের রাগ কোথা থেকে আসে। বাইক স্টাট দিতেই ওনি আমাকে জরিয়ে ধরলো। আমার শরীর শীরশীর কর উটলো। এমন ভাবে জরিয়ে ধরলো যেন আমার জিএফ। আমি কিছু বললাম না, তার অফিসের সামনে নামিয়ে চলে আসলাম। বাইকের গ্লাসে তাকিয়ে দেকি যতক্ষন আমাকে দেখাগেছে ততক্ষন সে তাকিয়ে ছিল। এখন বাসায় আসলেই নিলা দরজা খুলে দেয়।।আগে কখনো ঘটেনি। সকাল হলে বাইকে চেপে অফিসে যায়। এখনো আগের মতই এড়িয়ে চলি।এখন আমার দিকে কেমন মায়াবী নজরে তাকায়।আজও নিলাকে অফিসে দিয়ে আমার অফিসে চলে আসি। বিকালে আনিকাকে নিয়ে কপসপে যাই।
তারপর বাসায় চলে আসি।
মা:তোকে নিলা ডাকছে। অফিস থেকে এসেই রুমে ঘাবটি মেরে বসে আছে ।
আমি:আসবো।
নিলা: আমার রুমে আসতেই তোমার অনুমতি লাগে আর বাইকে করে মেয়ে নিয়ে ঘরতে অনুমতি লাগে না। ওর মুকে তুমি ডাক শুনে অবাক হলাম, চোখে দেখি আগুন হয়ে আছে।
আমি: কিছু হয়েছে
নিলা: মেয়েটা কে?
আমি: কোন মেয়েটা।
নিলা: বাইকে নিয়ে যাকে ঘুরলি।
আমি: এসব আপনার না জানলেও চলবে,ওটে চলে আসতে যাব তখনই আমার কলার ধরলো। কেদে কেদে বলল জানব না কেন তুই মেয়ে নিয়ে ঘুরবি আমি জানব না। তখনই মা আসলো, কি হইছে ওর কলার ধরচস কেন।মা কলার থেকে হাত ছারিয়ে দিল। আমি চলে আসলাম। নিলা চিৎকার করে বললো আবার যদি দেখি এই মেয়ের সাথে খুন করে ফেলব।
মা:আচ্ছা থাম কি হইছে আমারে বল
নিলা:কেদে কেদে ওর কত বড় সাহস ও মেয়ে নিয়ে ঘুরে।
মা:ও ঘুরলে তর কি?
নিলা:ও ঘুরবে কেন আর একবার ঘুরক খুন করে ফেলব।
মা:আমার দিকে থাকা,এইতো ঠিক ধরেছি আমার মেয়ে প্রেমে পরেছে। যাও কি কও।এইতো লজ্জা পাচ্ছে আমার ছেলের প্রেমে পরচে। নিলা মাকে জরিয়ে ধরে কান্না করছে। খুব ভালবেসে ফেলেছি তোমার ছেলেকে। ওকে বলে দিও যদি ওই মেয়ের সাতে ঘরলে খুন করে ফেলবো।
মা:আচ্ছা আমি বলে দিব এখন খেতে আয়। কিছুক্ষন পরে মা আর নিলা খেতে বসেছে । এতক্ষনে আমি ঘুমিয়ে পরেছি
নিল: কি ব্যাপার ও কোথায়।
মা: যা ওর রুম থেকে নিয়ে আয়।আমি শুয়ে আছি নিলা আমার রুমে ডকছে আমি টের পাচ্ছি। কিছু একটা আমার বুকের উপর শুয়ে কান্না করছে। আমি চোখ খুলে দেকি নিলা। আমি লাফ মেরে উটি।
আমি: আপনি এখানে।
নিলা: খেতে আয়।।
আমি:আমি খাব না
নিলা: কি তুই খাবি না, তর বাপ খাবে। এই বলে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। কিছুক্ষন পর হাতে প্লেট নিয়ে রুমে ডকলো হা কর,খব না, হা কর বলছি।ওর রাগ দেখে হা করলাম আমাকে খাইয়ে দিয়ে ওর উরনা দিয়ে মখটা মুছে দিয়ে চলে গেল। খুব অবাক হচ্ছি সবকিছুতে জোর কাটায়। এভাবেই চলতে লাগলো দিনগুলো। সকালে নিয়ে যাই বিকালে নিয়ে আসি। আজো সকালে দিয়ে আসলাম,আসতে যাব তখনই নিলা বলল দাড়া।চুলের এ অবস্তা কেন? নিলা হ্যান্ড ব্যাগ থেকে চিরনি নিয়ে আমার চুল আচরিয়ে দিল। নিলা আবার বলল, আজ দুপুরে নিতে আসবি। আমি মাথা নাড়ালাম,
নিলা: দেখেশুনে যাবি।আমি চলে আসলাম। নিলার এই শাসন ভালই লাগে ওকে ভালবেসে ফেলেছি খুব বেশি। কিন্তুু ওকে বুঝতে দেই না। কাজ করতে করতে কখন যে বিকাল হয়েগেল, নিলার কতা বুলেই গিয়েছিলাম। পরে যখন মনে পরল তখন ভাবলাম এতক্ষ নে হয়তো চলেগেছে। তাই বাসায় চলেগেলাম, গিয়ে শুনি নিলা এখনো বাসায় আসনি, সাথে সাথে বের হয়ে গেলাম,যা ভাবছি তাই অফিসের সামনে দিরিয়ে কান্না করছে। চোখ লাল হয়ে আছে। আমি কাছে গিয়ে যেই বলতে যাব আমার মনে এতটুকু বলতেই ঠাসঠাস করে মেরে দিল। আমার পাশ কাটিয়ে বাইকে গিয়ে বসল।আমি আর কিছু বললাম না বাইক চালাতে শুরু করলাম ও পেছন থেকে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না করছে তা আমি বুঝতে পারছি।বাসায় আসতেই নিলা চলে গেল,আমিও পিছন পিছন চলে গেলাম।
রুমের সামনে গিয়ে বললাম সরি। ও ধুম করে মুকের উপর দরজা বন্দ করে দিল। রাতে মা খেতে বলল নিলা বলল তোমার ছেলেকে গিলতে বল। বুঝলাম খুব অভীমান করেছে। রাতে আর জোর করে খাওয়ানো গেল না। পরের দিন শুক্রবার ছিল তাই আর বের হলনা। দশটার দিকে গেলাম ডাক দিতে, এই দরজা খুলেন না কেন কি হল কথা বলেন। এই যে নিলা আপু। আপু বলার সাতে সাতে তেলে বেগুনে জলে ওটলো। আমি খাব না।না খেয়ে মরে যাব। তুই যা তরতো ভালই হবে। ওই মেয়েকে নিয়ে ঘুর যা।আমি ব্যর্থ হয়ে পিরে আসলাম,তখন মাথায় একটা বুদ্ধি এলো দেকি কাজ হয় কি না।এইযে শুনছেন দরজাটা খুলেন কে এসেছে।কে এসছে।
আমি: আনিকা।
নিলা: আনিকা কে
আমি:ওইযে বাইকে করে যাকে নিয়ে ঘুরি।আপনার সাথে দেখা করতে চায়।
নিলা:ওই মেয়েটা ওরে বমি খাইছি আমার জিনিসে ভাগ বসায় দরজাটা খুলতেই আমি রুমে ঢুকে যাই।
নিলা: কি আমাকে ধোকা বের হ আমার রুম থেকে বের হ বলছে আর মারছে।আমি ব্যথায় চিৎকার দিচ্ছি।
আমি:এই আমি ব্যথা পাচ্ছি।আহ,ওহহ।
নিলা:মেয়ে নিয়ে ঘুরার সময় মনে থাকেনা। একপর্যায়ে আমি ওকে জরিয়ে দরি,নিলাও আমাকে জরিয়ে ধরে।নিলা কাদছে আর বলছে তকে খুব ভালবাসি।আমি শক্ত করে দরে আমিও বলতে লাগলাম আমিও তকে খুব ভালবাসি।
The End