আদি : আই লাভ ইউ, মায়া।
মায়া : কি?
আদি : কানে কম শুনার রোগ কোনদিন থেকে হলো তর?
মায়া : মূখ সামলে কথা বল আদি।
আদি : কেন? না বললে কি হবে?
মায়া :তকে আমি।
আদি :আমাকে কি, ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে তাই না।
মায়া :এহ ছাগল একটা।
আদি : কি, তুই তুই একটা পেত্নি।
মায়া : কি বললি আমি পেত্নি। তকে আজ আমি খেয়ে ফেলব।
আদি :আমাকে খাবি, আচ্ছা কোথা থেকে খাওয়া শুরু করবি সেটা বল। মাথা থেকে না পা থেকে।
মায়া : তুই বল। (রেগে বলল)
আদি :কোথা থেকে শুরু করবি কোথা থেকে আচ্ছা এক কাজ কর ঠোট থেকে শুরু কর।
মায়া : কি, কুত্তা, বিলাই খবিস।
আরও কয়েকটা গালি দিয়ে। মায়া আদিকে মারতে শুরু করল। আর এদিকে আদিকে পায় কে ছাড়া পেয়ে দিলো এক দৌড় এক দৌড়ে বাড়িতে। আর এদিকে মায়া হাসছে পাগল একটা বুজেনা আমি কতো ভালবাসি তাকে। এই হলো মায়া আর আদি দুজন দুজনের জানে জিগার দুস্ত। সেই স্কুল থেকে দুজনে এক সাথে পড়ে। এখন তারা অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে। আদি কলেজের সবচেয়ে স্মার্ট ও হ্যান্ডসান ছেলে, কলেজে সবাই তাকে চক্লেট বয় হিসেবে চিনে। মায়াও সেই রকমের কিউট দেকতে একদম পরির মতো। পরি বললে ও ভুল হবে। আদি মায়াকে ভালোবাসে প্রতিদিন প্রপোজ করে, কিন্তু মায়া তার উত্তর দেয় না। এমন ভাব করে যেন সে আদিকে ভালোবাসে। মায়াও আদিকে ভালোবাসে। তবে আদির মুখ থেকে আই লাভ ইউ শুনার জন্য সে আদির প্রপোজের কোনো উত্তর দেয় না। মায়া আর আদি পার্কে বসা ছিল তখনি উপরের ঘটনা ঘটল। আদি চলে যাওয়ার পর মায়া ও বাড়িতে চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর মায়া আদিকে ফোন দিলো
আদি :হ্যালো বউ।
মায়া : ঐ কি বললি।
আদি :কেনো বউ বললাম।
মায়া : ঐ আমি তোর কোন জন্মের বউ হুম। (রেগে গিয়ে বলল)
আদি :কেন এই জন্মের বউ আরকি।
মায়া :এহ ছাগল একটা
আদি :তাহলে তো তুই ছাগলের বউ ছাগী, হি হি হি।
মায়া : ঐ চুপ কর, বাড়িতে গেছিস।
আদি :হ্যা, তুই গেছিস।
মায়া :হুম।
আদি :তুই আমার এতো কেয়ার করিস একদম আমার বউএর মতো। তুই যদি আমার বউ হইতি।
মায়া :হইছে হইছে ন্যাকামি বন্ধ কর
আদি :কি আমি ন্যাকামি করছি।
মায়া :হ্যা ঠিকই তো।
আদি :দুর (বলে ফোন কেটে দিলো) আদি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো সে আর মায়াকে প্রপোজ করবে না।
আদি দুদিন ধরে কলেজে যাচ্ছে না। এদিকে মায়ার কিছুই ভালো লাগছে না। সে টিকমতো ক্লাস ও করতে পারছে না। মনে মনে ভাবলো আদির কিচু হয়নি তো। পরদিন কলেজে গিয়ে দেখলো আদি আজো কলেজে আসেনি। তাই মায়া মন খারাপ করে পার্কে বসে রইলো। হঠাৎ দেকলো আদি একটা মেয়ের হাত ধরে ঘুরছে। এটা দেখে মায়ার পৃথিবীটা কিচু সময়ের জন্য থেমে গেলো। মায়া ছাড়া আর কোনো মেয়েইতো আদি ফ্রেন্ড নেই তাহলে এটা কে।
মায়া দৌড়ে আদির কাছে গেলো।
মায়া :আদি তুই কোথায় ছিলি এই দুইদিন কলেজে আসলি না কেন?
আদি : এইতো বাড়িতে ছিলাম।
মায়া : এই মেয়েটা কএ (কাপা কাপা কন্ঠে কথাটা বলল মায়া)
আদি :আমার গার্ল্ফ্রেন্ড। মায়ার পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে গেলো সে ঠিক শুনছে তো। আদি এটা করতে পারলো। মায়া আদির শার্টের কলারে ধরে বলল
মায়া : কি বললি, তুই শুধু আমার আর কারো হতে পারিস না। আমি তকে ভালবাসি আই লাভ ইউ আদি, আই লাভ ইউ। কেদে কেদে বলল
আদি :তুই আমাকে ভালোবাসিস আগে বলসনিতো তুইতো আমার প্রপোজের উত্তর অ দিতিনা। উল্টো আমাকে মারতি।
মায়া : তুই বুজিস না আমি তোকে ভালবাসি। আমিতো তর মূখ থেকে ভালবাসি কথাটা শুনার জন্য তকে বার বার ফিরিয়ে দিতাম।
আদি :আমিও তোকে ভালবাসি (বলে জরিয়ে ধরল)
মায়া : তাহলে এটা কে?
আদি :এটাতো আমার মামাতো বোন প্রিয়া।
মায়া :মানে। (মায়া অভাক হয় বলল)
প্রিয়া :হ্যা আমমি আদি ভাইয়ার মামাতো বোন তোমার কাছ থেকে ভালবাসার কথা শুনার জন্য আমি এই এক্টিংটা করেছিলাম। মায়া আদির দিকে রাগি দৃসঠিতে থাকাল।
আদি :না না আমি কিচু করিনি ঐ প্রিয়াই সব করেছে।
মায়া :এদিকে আয়।
আদি : না।
মায়া : আয় বলছি।
আদি মার খাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মায়ার দিকে এগিয়ে এলো। কিছু বুঝে উটার আগেই মায়া আদির ঠোটে নিজের ঠোট ডুকিয়ে দিলো অতঃপর শুরু হলো আদি আর মায়ার দুস্টু মিস্টি ভালবাসার গল্প।