আফসোস রে পাগলি আপসোস। কিসের এত আপসোস তোর জি এ ভাগছে নাকি। কিসের মধ্যে কি ঢুকাইলি বজ্জাত। কেন মানুষ তো কিছু হারালেই আফসোস করে ভুল কি বললাম। ওরে পাগলী তুই কি জানিস আমার মনের কথা। জানি তো ঈদ এসে গেল সবার জিএফ আছে শুধু তোর নেই। মজা নিচ্ছিস নে নে আমারও একদিন হবে দেখিস। হবে মানে বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু শুভ্র। কোথায় বেশি হল দেখা।
কি দেখাবে হু আমি থাকতে তোর আবার জিএফ লাগবে তুই আসলেই একটা ইয়ে। কি করব বল তুই তো আমার বউ জি এফ তো আর না। জি এফ লাগবে না দাড়া মজা দেখাচ্ছি তোকে। কি করবি তুই হুম? আমার বাসার নিচে যে মুটকি আপু আছে ওরে তোর নাম্বার দিয়ে বলব প্রেম করতে চাস তুই। আমার লক্ষী বউ মৌটুসি এমন করেনা। কেন তোর জি এফ লাগবেনা। না আমার কিছু লাগবেনা তোকে ছাড়া। ঈদটা তো মাটি হয়ে যাবে তোর বল। কেন তুই তো আছিস। ধুর আমি কি আর তোর সাথে থাকব নাকি আমার তো বিএফ আছে ওকে সময় দিতে হবে। কি বললি তুই? হি হি হি হাসবিনা একদম দাঁত ভেঙে দিব তোর। আমি তোর নাক ভেঙে দিব। তোর যে নরম হাত মারলে ব্যাথার চেয়ে আরামই বেশি পাব। এত খুশি হইও না চাদু আমি শক্তও হতে পারি। তাই বুঝি যাই হোস না কেন প্রেমিকার হাতে শহীদ হলেও লাভ আছে।
শখ কত। বলছি শোন না। কি? ঈদে কিন্তু তোকে কিছু দিতে পারব না। জানি তো তুই একটা ফইন্নি। আরে দিব কিছু তো দিব। কি দিবি? রঙিন চুড়ি দুহাতে পরবি। ধুর এখন কেউ হাত ভরে চুড়ি পরে দু টো একটা ব্যাচেই যথেষ্ট। বলিস কি তুই এত মডার্ন হলি কবে থেকে। তোর সাথে প্রেম করে হি হি হি। তাহলে নিবি না আমার চুড়ি? না রে ওটা তুই সখিনা জরিনা এদের দিস হি হি হি। এভাবে ইনসাল্ট করতে পারলি আমায়। ওলে বাবালে বাবুটা রাগ করছে রে আচ্ছা দিস। লাগবে না দিব না। আমি তো মজা করছিলাম চুড়ি আমার অনেক পছন্দ তুই জানিস না। আচ্ছা উঠি রে এখন। কোথায় যাবি মাত্র তো আসলি।বাসায় কাজ আছে। বিয়ে করেছিস নাকি নতুন বউয়ের টানে ঘরে ফিরছিস তাড়াতাড়ি। করলেই বা কি। না আমার সতীনটাকে তো দেখতে হবে কই দেখা। ধুর আমি গেলাম। এই শুভ্র শোন শোন আর পিছনে ফিরিনি।মেয়েটা দিন দিন ফাজিলের ডিব্বা হচ্ছে।
মৌটুসী আমার জি এফ। সুধু জি এফ না আরও বেশি কিছু বউ বলে ডাকি।নাহ শারীরিক সম্পর্ক হয় নি আসলে আদর করেই বউ ডাকি।ডাকবই বা না কেন আমার বন্ধুরা যদি ওকে ভাবী ডাকে আমি কেন তবে বউ ডাকব না।অবশ্য মৌ এতে খুশিই হয়।মৌ ভীষন চঞ্চল একটা মেয়ে।ওর সাথে প্রেম করতে কত কি যে করতে হয়েছে আল্লাহ আর আমিই জানি।প্রথমে তো পাত্তাই দিত না।ওর কোন খালাত বোন নাকি প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে ধোকা খেয়ে ফিরে এসেছে সেই থেকে ভয় প্রেমের কথা শুনলেই লাফ দেয়।কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করার মত অনন্ত জলিলও আছে আমার বন্ধুর তালিকায় ওদের শত খাটুনি দিন রাত মৌ এর পিছনে ঘুর ঘুর করে অতঃপর আসলাম ওর ওয়েটিং লিষ্টে।এর আগে যারা ওকে প্রপোজ করেছিল তারা তো জ্বলছে কতজন থ্রেট ও করেছে।প্রেম তো কোন কিছুর জন্য থেমে থাকেনা।
অতঃপর একমাস পরে মহারানী রাজি হল।তবুও শর্ত অন্যকোন মেয়ের দিকে তাকানো যাবেনা,দিনরাত ফোনে কথা বলতে পারবে না,ন্যাকামো করে বাবুও ডাকতে পারবেনা,ওর অনুমতি ছাড়া ওর সাথে যোগাযোগ করা যাবেনা আরও কত কি হাবিজাবি।আমি তো কিছুই শুনিনি কারন তখন খুশিতে আত্মহারা।যাকে জীবনের সবটুকু দিয়ে চাওয়া হয় তাকে পেয়ে গেলে কেউ আর অন্যকিছুতে মন বসাতে পারেনা।আমারও ঠিক তেমন।তো তখন যতই কঠোর নিয়ম দিক না কেন এখন আমার থেকে ওর টানই বেশি।সারাদিন ফোন করে।খোঁজ খবর নেয়।বোঝা যায় বালিকা এবার সব ছাড়িয়া প্রেমের সাগরে ডুব দিয়েছে।যাই হোক রমজানের ছুটি পড়ে গেছে তাই আর ক্যাম্পাসে যাওয়া হয় না।মৌ ফোন করে বলল এখানে আসতে তাই এসেছিলাম কিন্তু ফাজিলটার হাসি আর কথা শুনলে গা জ্বলে যায়।আমার নাকি ঘরে বউ আছে তার টানে চলে আসছি সহ্য করা যায় এটা।থাক ওখানেই বসে থাক তুই।
পরেরদিন মৌ ফোন করেছে হ্যালো শুভ্র। হুম বল মৌ। আজকে আসবি না? কোথায়? কাল যেখানে বসে ছিলাম। আসলে তো সেই আবার শুরু করবি। না রে আজকে শুধু রোমান্টিক মুডে থাকব। দরকার নেই রোমান্টিকের আমার বাসায় কাজ আছে।কি এত কাজ তোর শুনি প্রেম করার আগে তো খুব বলতিস মৌ আমি তোর জন্য জান দিয়ে দিব। তাই বলে সুবিধা অসুবিধা দেখতে হবে না। অত কিছু জানিনা তুই আসবি। আচ্ছা চেষ্টা করছি। চেষ্টা করবি মানে কি আমি কিন্তু অপেক্ষা করব তোর জন্য। আরে বোঝার চেষ্টা কর আম্মু বলছিল বিল জমা দিতে। বাহ ভাল বিল জমা দাও তুমি। হুম। হুম মানে আগে দেখা করবি তারপর বিল বুঝেছিস। আচ্ছা রাখ। হুম বাই।
মেয়েটা আমাকে জ্বালিয়ে মারবে।একেতো আম্মুর কাছে ধোলাই খেতে হয় কোন কাজ কাম করিনা।তারপর অসময়ে বাসার বাইরে গেলে জবাব দিতে দিতে প্রান যায় যায়।তারপর যদি থাকে প্রান প্রিয় পিন দেওয়া বোন মন চায় ফ্রিজের ভিতর কাটা মুরগীর মত ঢুকে পড়তে।আর পারি না প্রেমের কি জ্বালা ছুটির দিনগুলোতেও বাইরে ঘুর ঘুর করতে হবে ঘুম পাচ্ছে আবার। মহারানীর আদেশে বাসা থেকে তো বেরিয়েছি কিন্তু ফেঁসে গেছি আর এক ফাঁদ।এটাকে ফাঁদ বলা যায় না অবশ্য মানুষের পাশে তো মানুষই দাড়াবে।আমাদের নিচ তলার আপু উনার স্বামী বাইরে গেছেন গত সপ্তাহে ফিরতে লেট হবে।এদিকে উনার গুনধর পুত্র রঙিন মার্বেল নিয়ে খেলতে খেলতে গিলে ফেলছে।গিলে তো ফেলছে আল্লাহর রহমতে কোন অসুবিধা হয় নি।কিন্তু একমাত্র পোলা তো যতই ফাজিল হোক নিজেরই আপু কান্নাকাটি শুরু করেছে যদি কিছু হয় কোন বিপদ হয়।
আপুর কান্নাকাটি দেখে যদিও পিচ্চিটা স্বাভাবিক ছিল এখন কান্নাকাটি দেখে ও নিজেও কাঁদতে শুরু করেছে।এদিকে কান্নাকাটি তে মা ছেলে একেবারে তুমুল কান্ড।শহরের সব গলি চেনা থাকলেও আপু আজ ভীতু একা ডাক্তারের কাছে ও যেতে পারবেনা কারন সাহস দেওয়ার মত একটা লোক চাই যেহেতু উনার জামাই দেশে নেই।যদিও বেশি কিছু না তারপরেও মায়ের মন তো।আমাকে ভাই বলে ডাকে ধরেছে আমাকে সাথে যেতে হবে।কিন্তু বলে আর সুযোগ পাইনি আব্বুর চোখের ইশারায় রিক্সায় উঠে পড়লাম।ভাবছি মৌ কে বলে দেই আজ আসা হবেনা পকেটে হাত ঢুকাতেই থ। এই যা মোবাইলটাও বাসায় ফেলে আসছি।কপালে যে কি আল্লাহই জানে।অবশেষে ডাক্তারের কাছে গিয়ে ট্রিটমেন্ট নিতে নিতে বিকেল।হবেই বা না কেণ সিরিয়াল সবখানে সিরিয়াল আমাদের মত কত রোগী বসে আছে।সিরিয়াল টানতে টানতে কতজনের শ্বাসকষ্টও শুরু হয়।যাই হোক বাসায় ফিরলাম চারটের পরে।
ফ্রেশ হয়ে মোবাইল হাতে নিতেই চোখ ছানাবড়া মৌ কলিং দুইশত আটচল্লিশ বার আর দুবার দিলে আরেকটা হাফ সেঞ্চুরি হত।যাই হোক মেসেজ ও দিয়েছে পাগলীটা। এভাবে না ঠকালেও পারতে শুভ্র।ম্যাসেজের কি স্রি আমি আবার কোথায় ঠকালাম মানছি তুমি ওয়েট করে কষ্ট পেয়েছ তাই বলে এত।কল দিলাম নাম্বার বন্ধ।ধুর কিছু ভাল লাগেনা।শুধু শুধু মেয়েটা ভুল বুঝল।কিছু যে বলব রাগে ফেনটা অফ করে রেখেছে।এত রাগ কেন মেয়েটার।নাহ কিছুই ভাল্লাগে না। পরেরদিন সকালে অনেকবার ট্রাই করার পর রিং হচ্ছে হ্যালো মৌ তোর ফোন অফ কেন? কে আপনি? দেখ মৌ তোকে আমার অনেক কিছু বলার আছে। আমি আপনাকে চিনিনা আপনার সাথে কোন কথা নেই। মৌ প্লিজ একবার শোন। স্যরি রং নাম্বার।
মৌ মৌ টুট টুট টুট ধ্যাত এই মেয়েটা একটা রাগের ডিব্বা।একটু তো বলার সুযোগ দে তা নয় আমাকেই চিনেনা এখন। বিকেলে ওর বাসার সামনে গিয়ে দেখি মুদি দোকান থেকে কিছু কিনে বাসায় ফিরছে।যাক বাবা ফোন করে তো হারানীর দেখা পাওয়া যেতনা দেখা পেয়েছি এটাই অনেক।আস্তে আস্তে গিয়ে ওর সামনে দাড়ালাম। কি কিনলি দেখি আজকে তোর বাসায় খেতে যাব। পথ ছেড়ে দাড়ান। মৌ প্লিজ আমার কথাটা তো শোন। না কোন কথাই শুনব না। দেখ এত রাগ কিন্তু ভাল না। হু মুখ ঘুরিয়ে হাঁটা দিল। তো বলে যা বাসায় কি খাচ্ছিস আজকাল এত রাগ হচ্ছে তোর। চুপ চাপ হাঁটছে।
মৌ প্লিজ চুপ থাকিস না আমার খারাপ লাগে। নিজের মত অন্যদিকে মুখ করে হাঁটছে। কি হয়েছিল সেদিন শুনবি তো ব্যাস আমি কিছু শুনতে চাইনা শুভ্র এনাফ ইজ এনাফ। না শুনতে হবে তোকে। আমি কিন্তু চিৎকার করব এবার। কর না কর প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে কেউ আসবেনা। হোয়াট ডু ইউ মিন বাই প্রেমিক প্রেমিকা শুভ্র হাউ ফানি! কেন আমরা দুজন দুজনকে ভালবাসি তাই প্রেমিক প্রেমিকা। ভালবাসব তোমাকে হা হা হা।কেন ভালবাসিস না? না বাসিনা যার কাছে আমার কোন মূল্য নেই যে আমার কষ্ট বোঝেনা তার সাথে প্রেম তো দূরের কথা কথা বলতেও ঘৃনা লাগে। সত্যিই ঘৃনা লাগে তোর? হ্যা ঘৃনা লাগে আর শোন এরপর আর আমাকে বিরক্ত করতে আসবেনা। এতে খুশি তুই। হ্যা এখন পথ ছাড়। একটু বেশি রাগ করলিনা? চুপ চাপ চলে গেল।
মেয়েটার রাগ অনেক গভীর।হয়ত ওর জায়গায় থাকলে আমিও এমন করতাম।কিন্তু আমাকে একটু সুযোগ দিতে পারত মেয়েটা।এত অভিমানী কেন হল। ও জানেনা ওকে ছাড়া আমার কষ্ট হয়। তিনদিন চলে গেল যে যার মত আছি।ও আমাকে মনে করেনা ইচ্ছে করলেও আমি কিছু করতে পারিনা।অনেক কষ্ট পেয়েছি এ দিনগুলোতে।ওকে যদি দেখাতে পারতাম।কিছুতেই মন বসেনা।এভাবে চলতে পারেনা ওকে যেভাবেই হোক বলতে হবে আমাকে চাইলে ফিরবে না হলে না। একটা টেক্সট করলাম ওর ফোনে সেই জায়গাটায় আসতে কাল আমি অপেক্ষা করব।মেসেজটা সেন্ট হয়েছে ডেলিভারি রিপোর্ট সো করেছে।জানিনা ও আসবে কিনা এছাড়া কোন উপায় ছিল না। পরেরদিন অনেকক্শন ওয়েট করেছি কখনও বসেছি দাড়িয়েছি দু এক পা হেঁটেছি অস্থিরতা কাজ করছিল মনে।অবশেষে মৌ এল। কেমন আছিস মৌ। ভাল।
একটা সুযোগ দিতিস আমাকে এভাবে দূরে না সরিয়ে। কিছু বলার থাকলে বল আমার কাজ আছে। সারাজীবন আমি কাজের অজুহাত দিয়ে গেলাম আজ তুই দিচ্ছিস। মানুষের কাজ থাকতেই পারে।হ্যা অবশ্যই শোন আমি ভাবিনি তুই আসবি এসেছিস যখন অল্প একটু সময় কয়েকটা কথা বলেই চলে যাব। হুম। সেদিন আমি সত্যিই বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম তোর কাছে আসব বলে কিন্তু একটা আপুর বাচ্চাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।যদিও মত ছিলনা তবু আব্বুর নির্দেশে যাই।কপালটা এতই খারাপ ডাক্তারের কাছ থেকে বাসায় ফিরতে বিকেল হয়ে গেল। ফোনটাও ভুলে বাসায় রেখে গেছি তোকে যে বলব কোন উপায় ছিল না।এখন তুই বল আমি কি ভুল করেছি। আমি কিছু জানিনা। সত্যিই কিছু জানিস না এখনো রেগে থাকবি। আমার কোন রাগ নেই। তাহলে আমার সাথে কথা বলিস না কেন? প্রয়োজন মনে করিনা তাই। এত সহজে সব ভুলে গেলি? হ্যা আর কিছু বলার আছে? নাহ। যাই তাহলে। মৌ শোন। বল।
এই নে (একটা বক্স এগিয়ে দিলাম) কি এটা। আছে কিছু একটা এখানে খুলিস না বাসায় গিয়ে খুলিস প্লিজ। আচ্ছা আর কিছু। নাহ। আচ্ছা আসি। মৌ শোন। বল আর কোনদিন জ্বালাব না তোকে। আর কিছু। সত্যি সত্যি চলে যাব রে। ওকে। আমার সব কথা ফুরিয়ে গেছে এখন যেতে পারিস। আচ্ছা আসি তাহলে। মেয়েটা এখনো রেগে থাকবে আমার উপর এতটাই কি দোষী ছিলাম আমি।বক্সে কিছু চুড়ি দিয়েছি।জানিনা পরবে কিনা তবুও দিলাম। রাত বারটা মৌ ফোন দিয়েছে আর কত কাঁদাবি আমাকে? ধুর পাগলী তুই কাঁদবি কেন তোর তো আজ সুখের দিন আজ থেকে তুই মুক্ত। তোকে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছে। ফেল মেরে ফেল সব জ্বালা নিভে যাক। তুই বুঝিস না আমি তোকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।একটু অভিমানও করা যাবেনা তোর সাথে। কর কে মানা করেছে। বক্সের ভিতরে কাগজে কি লিখেছিস এটা। কি লিখেছি। তুই জানিস না কেন লিখলি এটা। ঠিকই তো লিখেছি। তোর মাথা ফাটাব। এতরাতে কেমনে। জানিনা তবুও ফাটাব। পাগলী হা হা হা।
হাসবিনা শয়তান কাল ভোর পাঁচটায় যেন আমার বাসার সামনে পাই তোকে। কিন্তু না আসলে তোর ঠ্যাং ভেঙে ফেলব। আচ্ছা আসব কিন্তু কেন আসব বলবি তো। তোর হাত ধরে হাঁটব। এত সকালে কি রুচি তোর। চুপ আসতে বলেছি আসবি। আচ্ছা। আর কোনদিন যদি মরার কথা মুখে এনেছিস দেখিস আমি সত্যি সত্যি মরে যাব। এই পাগলী থাম তো আর বলব না।এখন ঘুমা। হুম মনে থাকে যেন পাঁচটায়। আচ্ছা। লাভ ইয়ু। টু। টু মানে কি ভাল করে বল শয়তান। আই লাভ ইয়ু টু মৌ বৌ। হি হি হি পাগল একটা। হুম পাগলী।
বক্সে একটা কাগজে লিখে দিয়েছিলাম শুভ্রর আজ থেকে মৃত্যু হল।জানতাম ও যে মেয়ে সহ্য করতে পারবেনা।মহারানী বলে কিনা একটু অভিমান করেছে এটা যদি একটু হয় বেশি যেদিন হবে সেদিন কি হবে আল্লাহই জানে।ঘুমাই এখন কাল নতুন রেকর্ড গড়তে হবে ভোর পাঁচটায় উঠে প্রেমিকার হাত ধরে হাটতেছি এখনই তো স্বপ্ন দেখা শুরু হয়ে গেল হা হা হা।