গণিত স্যারের মেয়ে চুরি

গণিত স্যারের মেয়ে চুরি

– এমনিতেই আজকে আসতে দেড়ি হয়ে গেছে….
তাঁর উপরে আবার খাঁটাসটা কেমন আজকে আগেই ক্লাসে হাজির।
মানে আমাদের গণিত স্যার।
দড়োজার সামনে যেতেই দেখি সবাই কেমন আমার দিয়ে তাঁকাই আছে.. ????????????
স্যার ও দেখি মহা রেগে আছে,
কিন্তুু ব্যাপারটা কী বুঝতেছি না…
মনে হয় আজতে ও কারোর পড়া হয় নাই।
কিন্তুু আমি ও তো কোন আহামরি ছাত্র না…
আচ্ছা তাইলে কী আজকে গণিত পরিক্ষার রেজাল্ট দিছে…।

দূর এই সব ভাইবা কাজ নাই…।
– স্যার.. সামনে দিয়ে আসবো নাকি পিছন দিয়ে।
– ওহহহহহহ তাহলে তুই আসছিস…
প্রতিদিন তো পিছন দিয়াই আসিস,
আজকে না হয় সমনে দিয়ে আয়।
– হুমমমম…..। ????????
ঘাঁড় থেকে ব্যাগটা ব্রেঞ্চ এ রাখলাম।
এমন সময়…..।
– সাহরিয়া… সামনে আয়..
– ওকে স্যার..।
– তোরে ব্যাগ নিয়ে আসতে বলি নাই এমনি আয়।
– হুমমমমম।????????
– এবার কান ধর…।
– একি স্যার আবার কী গণিতে গেছি.. আপনার কী কোন দয়া হয় না আমার লাইগা…।
– ওই তোরে যা বলছি তাই কর।
– এদিন ওদিন দেখলাম… দূর এইটা ও সাইজ এর মাইয়া নাই..
কান ধরলে এমন আর কী ব্যায়াম হবে।
স্যার ধরছি।
– এবার সত্যি করে বল, কালকে রাতে কই ছিলি।
– কেনো ঐ যে পুকুর পাড়ে।
– বাহ্ বাহ্ ভালো।
– তো এত রাতে ওই খানে কী করছিলি।
– না মানে স্যার ঘরেই ছিলাম,

হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেছিলো তো,, আর অনেক গরম লাগছিলো
তাই পুকুর পাড়ে গেছিলাম, আপনি ও তো জানেন ওখানে অনেক বাতাস, আমার সাথে রাফি ও ছিলো স্যার????????
ওরে জিজ্ঞেস করেন।
– হুমমমমম… করছি ওই সব বলে দিছে… এবার তুই বল কালকে রাতে কী কী করছিলি।
– কই কিছু করি নাই তো।
– রাফির মতো তোরে ও দিতে হবে বুচ্ছি ।
– কী দিবেন স্যার ।
– রাফি তোরে যেইটা একটু আগে দিলাম,, সেটা সাহরিয়া রে ও দিতে হবে যা নিয়ে আয়।
– না না স্যার থাক লাগবে না বলতেছি।।

আসলে মানে স্যার কালকে বাতাস
খাচ্ছিলাম এমন সময় রাফি বললো চল ডাব পেরে আনি, বাতাস আর কতো খাবি।
আমি ওরে বললাম চুরি করা মহা পাপ…????????
সালাই কী বললো জানেন স্যার…
গাছটা নাকি হেতের কাকার.. এখন বলেন স্যার এখানে আমার দোষ কোথাই ওমন কচি ডাব কে না খেতে চায়…..
গাছটা কার স্যার…..।
– হারামজাদা… ডাব খাবি খা তোর চোখে কী শুধু আমার গাছই চোখে পড়ে হুমমমমম… সব ডালিম খাইলি, আম খাইলি, লিচু গুলারে ও রক্ষা দিস নাই, গাছের প্রথম কাঁঠালটা ও চুরি করছিস, আবার নতুন গাছের ডাব গুলো ও তোর খাইতে হবে।????????????????
এর আগে তোরে কিচ্ছু বলিনাই খাবার জিনিস খাইছিস তবে আর না আজকেই তোর বাপরে বলা লাগবে।
– আচ্ছা আমার এখানে দোষ কই বলেন, আপনি যদি এমন জায়গা ????????????
ভেদে ভেদে গাছ লাগান আমি কেমনে চিনমু ওই গুলা আপনার গাছ হুমমমমমম… এটা আপনার আগে বলা ছিলো….
– কী আবার মুখে মুখে কথা বলিস..
এর পরে উত্তম মাধ্যম শুরু…
এর পরে পাঁচ বছর কেঁটে গেছে…
আর গণিত স্যারের সাথে দেখা হয় নাই….. আর ক্যালানি ও খাই নাই..।
– রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি….।
এমন সময় একটা মেয়ে চোখে পড়লো…
ওরে খোদারে কী মেয়ে বানাইছো তুমি হে পরোয়ার দিগার…
যেমন ফিগার তো তেমন রূপ…
হাইটে তো পুরাই আমার সমান।
এই মেয়েরে না পাইলে তো আমার জিবনডা মিথ্যা হইবানে…।

জিন্দিগি তে ও তাঁরে হারানো যাবে না, আমি হারাইলে হারাই …. তবে মেয়ের লগে কথা কইতেই হইবে।
– এক্সকিউজ মি….
– জ্বী বলেন।
– নাম কী গো তোমার… বাড়িতে থাকো না বাসাই।
– মানে।
– তোমার দেখার পড় থেকে তো খালি চক্ষু দিয়া তারা দেখতেছি।
– পাগল নাকি আপনি…।
– ওহহহহহহ ওমন ভাবে পাগল বলো না গো পাগলি বুকে ঝটকানি লাগে তো।
– কী বলতে চাচ্ছেন কী।
– আই লাভ ইউ…….।
– চর মারতে লাগছিলো.. এমন সময়……
এই যে দাঁড়ান এত্ত ভাবেন কিছু নাই আপনি না সাফা কবির, না মেহজাবিন তাই আমার ঠেকা পড়ে নাই আপনারে ভালো বাসতে।

এই মেক আপ করেই যদি এমন ভাব হয়, তাইলে সত্যি সত্যি এমন রূপ হইলে কী হতো আল্লাই জানে।
এই যে হ্যালো মেকআপ গুলা না ধুয়ে ধুয়ে টপাস টপাস করে পড়ছে বুঝছেন….আর হ্যা এতো ভাব ভালো
না…
আর একটা কথা… আপনি সাফা, মেহজাবিন এর থেকে কম কিছু না হি হি হি….
বলেই দৌড়… আর হ্যা আমি সাহরিয়া।
যাক বাবা ভালোই অ্যাকটিং করছি..
মেয়ে তো এখন সারাদিন রাত আমারেই ভাববে… এটাতে আমি সিওর…
কিছু দিন পরে…
– এই যে হ্যালো হ্যালো হ্যালো…।
– আবার আপনি আসছেন।
– ওয়াও তার মানে এখন ও আমাকে মনে আছে তাই না।
– ঐ জানতো… আজাইরা কথা
আমার ভালো লাগে না।
– আচ্ছা সরি… সেদিনের জন্য ।
– দূর থাকেন আপনি…।
– ওহহহহহ মেয়ে তো না..যেনো আগুনের গোলা।
কোন কথা না বলেই চলে গেলো।????
একদিন পার্কে বসে বসে বাদাম
খাচ্ছি… হঠাৎ একটু সামনে দেখি সেই মেয়েটা…।
কাছে গেলাম।
– এই যে বাদাম খাবেন।
– না.. আপনি খান।
– আপনি বললে ও খাবো আবার না বললে ও খাবো….
এবার বলেন কার জন্য অপেক্ষা করছেন।
– ওহহহহহহহহ অসহ্য… আপনার কী আমার পিছনে লেগে থাকা ছাড়া আর কোন কাজ নাই।
– এই যে হ্যালো আমি সুপারগ্লু আঠা না যে লেগে থাকবো।

এইটা হচ্ছে কিছমত কানেশান
বুঝলেন…. এবার বলেন কতদিন চলছে।
– কী কতদিন চলছে…।
– ও মা.. প্রেম… আপনার আর ঐ পোলার।
– ঐ পোলা কে।
– যার জন্য বসে আছেন।
– আচ্ছা কারো জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কী এমনি বসে থাকা যায় না হুমমমমমমম।
– হ্যা যায় তো.. তবে বাদাম খেতে খেতে বসে থাকতে হয়।
এই নেন ধরেন খান।
– আপনি এত কথা বলেন কেনো।
– জানি না তবে… আপনার মতো একটা বউ হলে ঠিক হয়ে যাবো হি হি হি।
– এমন কেনো আপনি।
– কেমন।
– এই যে কোন কথা মুখে আটকায় না কেনো।
– সেটা তো জানি না আর সাথে আপনার নামটা ও জানি না।
– ওহহহহহ আমি নীলা।
– সত্যি…..
– হুমমমমমমম… কেনো।
– না মানে নীলা আমার সপ্নের নাইকার নাম হি হি।
– ওকে ওকে…।
– আচ্ছা তোমাকে কী তুমি করে বলতে পারি।
– হুমমমমমম ওকে…।
এভাবেই গাড়ি আগাইতেছে…
একদিন নীলাকে বললাম….।
– নীলা তোমাকে প্রথম দেখেই প্রথম দিনেই যে কথাটা বলেছিলাম না সেটা একদম সত্যি।
– ওহহহহ তার মানে আমি সুন্দরী না আমি মেকআপ করি আর সেগুলো টপ টপ করে ধুয়ে পড়ে তাই তো।
– এই কথাটাই মনে হতে হবে.. প্রথমে কী এটা বলে ছিলাম।
– তো কী বলছিলে শুনি।
– আমি তোমাকে ভালবাসি হুমমমম সত্যি…।
– ওকে…
– তার মানে তুমি ও আমাকে ভালবাসো।
– এখন না তবে একটা পরিক্ষা দিতে হবে।
– আহারে এই জিনিস টাকেই আমার বেশি ভয় লাগে। কেনো।
– কারণ আমি খালি ফেল মারি তাই।
– আচ্ছা আজকে রাতে আমাকে সিনেমা দেখাতে নিয়ে যাবে..
তারপরে ভেঁবে দেখবো… আর হ্যা চুরি করে নিয়ে যেতে হবে যাতে কেউ টের না পায়।
– ওকে এটা আবার কোন ব্যাপার হলো..
– ঠিকআছে দেখবোনি।

যেই বলা রাতে সেই কাজ শুরু.. আস্তে করে নীলার রুমে ঢুকলাম,
চোরের মতো ওকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছি.. এমন সময় কীসের সাথে যে ধাক্কা খেলাম.. একদম ধরমর করে উঠলো… আর নীলার বাবা কে কে বলে ছুঁটে আসলো।
– ঐ এই সব একটু সাইটে রাখতে পরো নাই।
– আমি জানি তুমি এমন গাধার মতো ওই সাইটে যাবে।
এম সময় সকল লাইট জ্বলে উঠলো..
– আমি তো গেছি আজকে।
– তুমি একা না আমি ও (নীলা)।????????
– আরে সাহরিয়া এই এখানে কেনো,
নিলা শয়তানটা তোর হাত ধরে আছে কেনো।
– কিন্তুু স্যার আগে আপনি বলেন আপনি এই বাসাই কেনো, সেকেন্ড বিয়ের মতলব তাই না।
– হারামজাদা এটা আমার বাড়ি, আর নীলা আমার মেয়ে।
– কীইইইইই… আপনি না গ্রামে ছিলেন।
– হুমমমমমম… তুই এখানে কেনো তোর মতলব কী সত্যি বলবি।????????
– না মানে আমি আপনার মেয়েকে চুরি করে সিনেমা দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলাম।
– কী বললি… আচ্ছা তুই কী আমার পিছন ছাড়বি না… সেই কাল থেকে আমার জিনিস চুরি করেই যাচ্ছিস।
– আমার দিকটা একবার ভাবুন…
আমি আপনার দুঃখে এখানে আসলাস আর আপনি ও..
দোষ আমার না আপনার বুঝলেন.. সব জিনিস এমন ছড়াই ছিটাই রাখেন আসি কেমনে বুঝমু কোনটা আপনার আর নীলাকে তো আমি কোনদিন দেখি নাই, আর বলেন ও নাই যে আপনার এমন সুন্দরী মেয়ে আছে।
– তোর ভয়েই ওরে এখানে রাখছিলাস, কে জানতো যে তুই পিছু ছাড়বি না।
– না স্যার আল্লাহ্ আমাদের কে এক করতে চাইছে বুঝছেন…. আমার আর নীলার বিয়ে দিয়ে দেন।
– কী বললি হারামজাদা।????????
– কিছু না হি হি… দিলাম নীলার হাত ধরে দৌড়…
এক দৌড়ে রাস্তাই…।
– তার মানে তুমিই সেই শয়তান যে কী আমাদের গাছের সব জিনিস খাইতে…
– হুমমমমম এখন তোমাকে ও খাবো।
– মানে কী?
– কিছু না পাপ্পি… হি হি হি….।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত