ভার্সিটির এক কোনায় ফাকা জায়গায় বসে আছে সিয়াম। আর সামনে আছে একটা বই। আশে পাশে কেউ নেই কেউ তার পাশে বসছেও না। কারণ সিয়াম একজন খুবই সাধারণ ছেলে । আর সব সময় ঢোলা ঢালা জামা কাপড় পড়ে থাকে। মাথায় প্রায় এক গাধা তেল দিয়ে চিরনি দিয়ে সিথি কাটা যেটা খুবই সাধারন ছেলেরা করে থাকে। আর আমাদের বর্তমান যুগে এটাকে ক্ষ্যাত বলা হয় যার জন্য সিয়ামের সাথে কেউ মিশে না। সব সময় একা একা বসে থাকে আর বই পড়ে। ওর কোনো বন্ধু নেই যার জন্য মাঝে মাঝে কষ্ট হয় তবে সেটা কাউকে প্রকাশ করে না।
সিয়াম সেখান থেকে উঠে ক্লাসে চলে গেলো । তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো সিয়াম ক্লাসের সব থেকে মেধাবী ছাত্র। ক্লাস শেষ হলে সিয়াম বাসায় চলে আসছিলো। কিন্তু মাঝ পথে যেনো কিছু একটার সাথে ধাকা খেয়ে পড়ে যায় তার হাতে থাকা বই গুলোও। তাই সে তাড়াতাড়ি চোখ তুলে দেখলো যে কিসের সাথে ধাক্কা লাগলো। সিয়াম তাকাতেই অবাক হয়ে গেলো। কারণ সে একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা খেয়েছে। (ও হে বলে রাখি এটাই হচ্ছে গল্পের নায়িকা যার নাম সোনিয়া)
সিয়াম তড়িঘড়ি করে বইগুলা তুলে মেয়েটার সামনে মাথা নিচু করে দাড়ালো। দুঃখিত আমি আসলে দেখতে পায়নি। হুম এটা কমন ডায়লগ অন্য কোনো ডায়লগ বলেন শুনি। (কিছুটা রাগান্বিত কন্ঠে) সিয়াম কথা শুনে মেয়েটার দিকে এক অবাক দৃষ্টিতে তাকালো আবার পরক্ষনেই চোখ নিচে নামিয়ে নিলো। কি হলো বলছেন না কেন সত্যি আমি দেখতে পাইনি হুমম এখন তো বলবেন ই শুনুন আমার না ভালো করে যানা আছে ছেলেরা কেমন প্রথমে ধাক্কা দিবে পড়ে আবার বলবে সরি। সিয়াম কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকলো। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে কেনো যে খেয়াল করলাম না। এদিকে মেয়েটা সিয়াম কে কথা শুনিয়েই যাচ্ছে। অবশেষে সোনিয়া আর কোনো সারা না পেয়ে চোখে মুখে এক বিরক্তির ছাপ নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। সিয়ামও বাসার দিকে পা বাড়ালো কিছুদূর যাবার পর আবার পিছনে তাকালো কিন্তুু কেনো সেটাই বুঝতে পারছে না।
সিয়াম সোজা সেখান থেকে বাসায় চলে এলো। রাতে পড়ার টেবিলে বসে আছে কিন্তু আজকে তার কেনো জানি পড়ার উপর মন নেই। বার বার আজকে মেয়েটার সাথে ঘটে যাওয়ার ঘটনাটা মনে পড়ছে। ধুর আমি কেনো মেয়েটাকে নিয়ে এতো ভাবছি প্রেমে পড়ে গেলাম নাকি। (এই বলে সিয়াম নিজের মনকে শান্ত না দিলো। কি মায়াবী চেহারা। কন্ঠটাও অনেক সুন্দর। সিয়াম এর বেশি কিছু বর্ণনা করতে পারেনা কারণ সে যে তখন অপরাধীর মতো দাড়িয়ে ছিলো । কিন্তু মেয়েটা এমন কেনো । একটু ধাক্কাই তো লেগেছে তাই এমন করতে হবে। (ধুর আমি আবার কেনো তাকে নিয়ে ভাবছি । সিয়াম আর পড়তে পারলো না বিছানা গিয়ে তার কথা কল্পনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে সিয়ামের একটু দেড়ি হয়ে যায়। তাই সে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্য দৌড় দেয়। তবে সিয়াম প্রতিদিন কাক ডাকার আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসে আজকে কেনো এমন হলো বুঝতে পারছে না।
কলেজে এসে দেখে স্যার ক্লাসে চলে এসেছে। সিয়াম স্যারকে বলে ঢুকে পড়ে। চারপাশে চোখটা বুলিয়ে দেখে আজকে পিছনের ব্রেন্সটায় একটা মেয়ে বসে আছে যেখানে সিয়াম ছাড়া কেউ বসে না। আর কোনো জায়গা খালি না থাকায় সিয়াম সোজা গিয়ে তার পাশে বসে পড়লো। তবে সিয়াম মনে মনে অনেক খুশি কারণ এটা কালকেরই সেই মেয়েটা। সিয়াম মাঝে মাঝে মেয়েটার দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে। এদিকে সোনিয়াও চালাক কম নয় সিয়াম যে তার দিকে তাকাচ্ছে এটা সে বুঝতে পারছে কিন্তু স্যার থাকায় কিছু বলতে পারছে না । স্যার ক্লাস থেকে যাওয়া মাত্রই সিয়াম দৌড়ে বেরিয়ে আসে। সিয়ামের এমন ভাবে বেরিয়ে হাসা দেখে সোনিয়া কিছুটা অবাক হয়।
সিয়াম সেখান থেকে সোজা এসে তার সব থেকে প্রিয় জায়গাটা মানে সেই গাছটার নিছে বসে প্রতিদিনের মতো বই বের করে পড়ছে। তবে তার পড়ার প্রতি কোনো মন নেই। শুধুই মেয়েটার কথা মনে পড়ছে। এদিকে সোনিয়া সিয়ামকে খুজছে তাকে শাস্তি দেবার জন্য। তাহলে এখানে এসে বসে বসে বই পড়া হচ্ছে দাড়াও দেখেচ্ছি এই বলে সিয়ামের সামনে গিয়ে দাড়ালো। এই ক্লাসে আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছিলি কেনো। সিয়াম তো কথাটা শুনে হতভম্ভ হয়ে গেলো সে কিভাবে জানলো যে আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কি মনে করেছিস আমার দিকে তাকাবি আর আমি কিছু বুঝতে পারবো না তাইনা। সিয়াম কিছু না বলে মাথা নিচু করে বসে থাকে। কালকে ধাক্কা দিলি আর আজকে ক্লাসে আমার দিকে তাকায় ছিলি মতলব টা কি হুম। সিয়াম তাও কিছু বলে না।
শোন আজকের পর থেকে যদি আমার দিকে তাকাস তাহলে খবর আছে বলে দিলাম। কথাটা বলে সোনিয়া উল্টোদিকে হাটা শুরু করলো। সিয়াম শুধু মাথাটা তুলে ওর চলে যাওয়া দেখলো। কিন্তু সিয়াম বুঝতে পারলো না যে ও কিভাবে বুঝলো আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম তার মানে কি ও আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সেদিনের মতো দিনটা চলে গেলো। পরের দিন সিয়াম একটু আগেই কলেজে এসে বসে থাকে যাতে ওই মেয়েটার পাশে বসতে না হয়। একে একে সবাই চলে এসেছে তবে সোনিয়া এখনও আসে নি। সিয়ামের মাঝে এক অস্হিরতা কাজ করছে। অবশেষে সোনিয়া আসলো সিয়াম আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো এক মাত্র তার পাশের ছীট ছারা আর কোথাও যাগা নেই। সোনিয়া এক বিরক্তি কর ছাপ নিয়ে বসে পড়লো। সিয়াম আজকে বইয়ের ভিতরে মুখ দিয়ে আছে যাতে ওকে দেখা না যায়। কিন্তু মনতো আর মানে না তাই বইয়ের মাঝে মুখ দিয়েও মাঝে মাঝে দেখছে সোনিয়াকে। ক্লাস শেষ হবার সাথে সবাই বেরিয়ে যায় কিন্তু সিয়াম যেতে পারছে না কারণ পাশে যে সোনিয়া বসে আছে যেতে দিচ্ছে না।
ওই এতো লাফাচ্ছিস কেন চুপচাপ বসে থাক। সিয়াম বসে পরে কোনো কথা না বলে। তুই আমার দিকে তাকায়ছিলি ক্যান। আমি আবার কখন তাকালাম আপনার দিকে। চুপ মিথ্যা বলবি না বল ক্যান তাকাইছিলি। আচ্ছা আমি আপনার দিকে তাকায়ছি এটা আপনি কিভাবে জানলেন তার মানে কি আপনিই আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। সোনিয়া কিছুটা বিব্রত হয়ে যায়। চুপ বেশি কথা বলবি না। (ঝাড়ি দিয়ে) সিয়াম চুপসে যায় কোনো কথায় বলে না। নামকি তোর। জ্বী সিয়াম আপনার। ওই তোরে প্রশ্ন করতে বলছি যেটা জিজ্ঞাসা করবো শুধু সেটাই বলবি এর বেশি কিছু বললে একদম নাক ফাটিয়ে দেবো। সিয়াম মাথা নাচিয়ে হ্যা সুচক জানায়। বাসা কোথায় তোর। এইতো ভার্সিটির ওই পাশে। আচ্ছা তোর নাম্বারটা দে। কেনো। ওই তোরে না বলছি যা বলবো তাই করবি এর বেশি। 016 হুমম এখন যা আর শোন কালকে থেকে তাড়াতাড়ি আসবি ঠিক আছে। সিয়াম কিছু জিজ্ঞাসা করতে গিয়েও থেমে গেলো যদি আমার রাগ করে সেই জন্য। সিয়াম বাসায় এসে রাতে সোনিয়াকে নিয়ে কল্পনা করছে। কিন্তু ও এমন কেনো সব সময় শুধু আমার উপর রাগ দেখায় এটা ভাবতেই সিয়ামের মন খারাপ হয়ে যায়।
এদিকে সোনিয়া ভাবছে ছেলেটা কত বোকা কিন্তু দেখতে একদম পিচ্চি পিচ্চি লাগে। সিয়ামের নাম্বারটায় ফোন দিতে গিয়ে আবার দেয়না অবশেষে কোনো কিছু না ভেবে ফোনটা দেয়। সিয়াম বই পড়ছে ফোন আসায় সে কিছুটা বিরক্তি হলেও হাতে নিয়ে দেখে এক অচেনা নাম্বার। এমনি তে অচেনা কোনো নাম্বার থেকে ফোন আসলে সিয়াম ধরে না। কিন্তু দু বারের মাথায় গিয়ে ধরলো। কিরে ফোন ধরতে এতক্ষন লাগে। (অপর পাশ থেকে সোনিয়া)কে বলছেন চিনতে পারলাম না। আমি সোনিয়া। সোনিয়া এই নামে তো আমি কাউকে চিনি না। ওই আজকে নাম্বার নিলাম মনে নেই তোর। ওও আপনি সরি আমি চিনতে পারিনি। (সিয়াম তো মনে মনে মহা খুশি) হুমম কেমন আছিস। ভালো। আমি কেমন আছি জিজ্ঞাসা করবি না। আপনিই তো বলছেন আমি যেনো আপনাকে কোনো প্রশ্ন না করি। চুপ বেশি কথা বলবি না। কি করিস। পড়তেছি। আচ্ছা পড় খাবার খেয়েছিস। না। যা গিয়ে খেয়ে নে আর বেশি রাত জাগবিনা ঠিক। আছে। হুমম। এখন রাখি আর কালকে তাড়াতাড়ি আসবি মনে আছে। হ্যা। আচ্ছা রাখ। বলেই সোনিয়া ফোনটা কেটে দিয়ে বিছানার উপর শুয়ে পড়ে।
সিয়াম পরের দিন একটু তাড়াতাড়িই ভার্সিটিতে এসে দেখে সোনিয়া তার পছন্দের জায়গায় বসে আছে। সিয়াম কোনো কথা না বলে সেখানে গিয়ে তার পাশে বসে পড়ে। কেমন আছেন। ভালো তুই ভালো। আচ্ছা চল আমার সাথে। কোথায় ওই আবার। সিয়াম কোনো কথা না বলে সোনিয়াকে ফলো করতে থাকে। কিছুক্ষন ঘোরাঘুরির পর তারা ক্লাসে চলে আসে। দেখতে দেখতে এভাবেই কেটে যায় একটি বছর। এখন সিয়াম আর সোনিয়া খুবই ভালো বন্ধু। বন্ধু বললে ভুল হবে ধরতে গেলে তারা একে অপরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউ বলার সাহস পায় না। সিয়াম শোন। হুমম বল। চলনা আজকে কোথাও ঘুরতে যায়। কিন্তু ক্লাস আছে তো। বাদদে তো চল। বলেই সোনিয়া সিয়ামের হাত ধরে নিয়ে যায়। তারপর তারা সারাদিন ঘোরাঘুরি করে বাসায় চলে যায়। সিয়াম এখন মাঝে মাঝে ভাবে সোনিয়া কিভাবে তার এতো ভালো বন্ধু হলো যেখানে কেউ আমার সাথে কথাই বলে না। সোনিয়া বাসায় এসে দেখে বাড়ি ভর্তি মানুষ কিন্তু কেন সেটা বুঝতে পারে না। বাবা এরা কারা। উনারা তোকে দেখতে এসেছেন। দেখতে এসেছে মানে। মানে তোর বিয়ের জন্য।
কিইই বাবা আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না। (জোড় গলাই বললো) সোনিয়া এমন কথা শুনে সকলেই কিছু অবাক দৃষ্টিতে তাকালো। সোনিয়া সেখান থেকে সোজা নিজের রুমে চলে গেলো। নিচে কি হচ্ছে সেটা ও জানে না। তাই কোনো কিছু না ভেবে সিয়াম কে ফোন দেয়। কিরে বাসায় গেছোস। সিয়াম জানিস আজকে আমাকে ছেলেরা দেখতে এসেছে। কথাটা শুনেই যেনো সিয়ামের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। তাও নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো ও তাই তাহলে তো মনে হয় তোর বিয়েটা হয়েই যাবে। Congratulations আর হ্যা তোর বিয়ের দাওয়াতটা দিতে ভুলিস না যেনো। সিয়াম কথাটা বলার সাথেই সোনিয়া ফোন কেটে দেয়। সোনিয়ার বুক ফেটে কান্না আসে। সিয়াম আজও বুঝলো না যে আমি ওকে কতটা ভালোবাসি। এমন সময় সোনিয়ার বাবার আগমণ। শোন সামনের শণিবার তোর বিয়ে তোর কোনো বন্ধু বান্ধবীদের কে চাইলে দাওয়াত দিতে পারিস। বাবা আমি বিয়ে করবো না। আমি আর তোর কোনো কথাই শুনতে চাইনা।
এই বলেই সোনিয়ার বাবা চলে গেলেন। এদিকে সিয়ামও কান্না করেই যাচ্ছে। আচ্ছা সোনিয়াকি জানে না যে আমি তাকে কতটা ভালোবাসি। সে কিভাবে আমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে। হয়তো আমারই ভুল ছিলো যে ওকে আমার ভালোবাসার কথা বলতে পারিনি। দু দিকেই দুজনেই নিরবে কান্না করে যাচ্ছে যেটা হয়তো কেউ দেখতে পারছে না। আজ সোনিয়ার বিয়ে এই কয়দিনে সোনিয়া সিয়ামের সাথে এক বারও দেখে করেনি এমনকি ফোনও দেয়নি আর সিয়াম ফোন দিয়েছে যে কতবার তার হয়তো হিসাব নেই। কিন্তু যতবারই ফোন দেয় শুধু ফোন বন্ধ পায়। সোনিয়া নিজের রুমে বসে রেডি হচ্ছে এমন সময় একটা বাচ্চা মেয়ে এসে তার হাতে একটা চিঠি দিয়ে চলে যায়। সোনিয়া চিঠিটা খুলেই দেখে যে এটা সিয়ামের লেখা তাই পড়তে থাকে।
কিরে কেমন আছিস ?হয়তো ভালো কারণ আজ তোর বিয়ে আর জীবনের সব থেকে খুশির দিন। কিন্তু আমি ভালো নেই। হয়তো জানতে চাইবি কেন ? কারণ আমি তোকে ভালোবাসি। হ্যা আমার জীবনের থেকেও বেশি কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি যদি আমাদের বন্ধুত্ত নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আজকে বলছি কারণ আজকে না বললেও তুই অন্যর হাত ধরে চলে যাবি। তোকে অনেক বার ফোন দিয়েছি কিন্তু তোর ফোন বন্ধ ছিলো যার কারণে বলতে চেয়েও পারিনি। তোকে আমি অন্যর হাত ধরে চলে যেতে দেখতে পারবো না তাই তোর বিয়েতে আসতে পারছি না। আমাকে ক্ষমা করে দিস। আর ভালো থাকিস । আমার কথা চিন্তা করিস না। হয়তো তোকে ছারা আমার থাকতে অনেক কষ্ট হবে তাও চেষ্টা করবো। তবুও তুই ভালো থাকিস। আর লিখতে পারছি না চোখ দিয়ে পানি পড়েছে যার কারণে ঝাপসা দেখছি। ভালো থাকিস।
ইতি সিয়াম””চিঠিটা পড়তে পড়তে সোনিয়া দু চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে থাকে। চিঠি পড়ার সময় তার বাবা যে রুমে এসেছে এটা সোনিয়া খেয়াল করেনি। সোনিয়ার বাবা মেয়ের হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে পরলেন। এসব কি। সোনিয়া মাথা নিচু করে বসে আছে। তুই কি ছেলেটাকে ভালো বাসিস। কি হলো বল। হ্যা। তুই এক বার যদি বলতি যে কাউকে ভালোবাসিস তাহলে আমি এই বিয়ে তোকে তার সাথেই দিতাম। সোনিয়া বাবার মুখে এমন কথা শুনে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। হ্যা রে মা আমি জানি ভালোবাসা কোনো অপরাধ নয়। কারণ আমি আর তোর মা ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলাম। যা আর কথা না বলে ওর কাছে যা। সোনিয়া নিজের বাবাকে জড়িয়ে ধরে আর এক মিনিটও সেখানে না দাড়িয়ে সোজা সিয়ামের বাসায় চলে যায়। গিয়ে দেখে সিয়াম নিজের মোবাইলে তার ছবি দেখছে আর কান্না করছে। এতোই যখন ভালোবাসিস তাহলে বলিস নি কেনো। সিয়াম কথাটা শুনেই লাফ দিয়ে ওঠে। কি কিরে তু তুই এখানে। (কাপা কন্ঠে) হ্যা কেনো খুশি হসনি। খুশি হবো না কেনো কিন্তু তোর না আজকে বিয়ে। হুমম।
তাহলে এখানে কেনো যা সবাই হয়তো তোর জন্য অপেক্ষা করছে। তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস আগে কেন বলিসনি। ভয় হতো যদি বন্ধুত্ত নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে এখন বল। সিয়াম কিছুটা অবাক হয়ে যায়। আচ্ছা আমি স্বপ্ন দেখছি না তো তাই সে নিজের হাতেই একটা চিমটি কাটে।সিয়াম কিছু বলার আগেই সোনিয়া তাকে জড়িয়ে ধরে। ভালোবাসি তোকে আমি আমার জীবনের থেকেও ভালোবাসিরে পাগল। আমিও যে ভালোবাসি আমার এই পাগলীটাকে। বলেই দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরলো। আসলেই সত্যি কারের ভালোবাসা কখন আলাদা হয় না।