Loading...
ক্রিং ক্রিং ক্রিং ফোন বাজছে ধরলাম ওই ফইন্নি!! কোথায় তুই?? (মিতু) ঘুমের দেশে!! (আমি) মানে ঘুমাই আছি।। কি হইছে। ঘুমাই আসিস মানে তুই কলেজে আসবি না?? নারে আজ আসতে পারুম না। কেনো?? এমনি!! ভালো লাগছে না!! তুই এখনি কলেজে আসবি নাইলে তোর খবর আছে। কি কস!! আমারে আজকে খবরে দেখাবে আমি তো মহা খুশি!! দেখাবে মিতু নামের একটি মেয়ে তার বেস্ট ফ্রেন্ডকে মার্ডার করছে। দরকার নাই আমি আইতাছি!!কোথায় তুই??
আমি কলেজ মাঠে বসে আছি। তুই দশ মিনিট এর মধ্যে আসবি!! ওকে!! বাই কল কেটে দিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেস হতে গেলাম। এই ফাকে আপনাদের পরিচয়টা দি। আমি মারুফ শেখ, সরকারি বি এল কলেজে ইন্টার ১ বর্ষ ছাএ। আর যার সাথে কথা হলো তার নামতো আপনারা অলরেডি জানেন। মেয়েটাকে দেখতে কেমন লাগে এটার বর্ণনা দিতে পারবো না। শুধু বলতে পারবো ও অনেক মায়াবী। মিতুর সাথে আমার পরিচয় ক্লাস নাইন থেকে।যখন আমরা একি কোচিং এ পরতাম। সেটার গল্প অন্যদিন বলা যাবে এখন তাড়াতাড়ি যাই নাহলে রাগ কন্যা আমারে সত্যি সত্যি মার্ডার করবে। ফ্রেস হয়ে ব্রেকফাস্ট করলাম। তারপর কলেজে গেলাম দেখি মিতু কলেজ মাঠে বসে আছে। ওর কাছে যেতেই এইযে তোর দশ মিনিট (মিতু) আসলে কি আর কমু!! এক বৃদ্ধ লোককে রাস্তা পার করাতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে।তুই তো জানিস আমার মন কেমন??
হু!! আমি ভালো করে জানি আপনি কেমন!!! আর মিথ্যা কথা বলা লাগবে না।চল ক্লাসে এমনিও ৫ মিনিট দেরি হয়ে গেছে ICT সার কেমন তুই তো জানিস। কি ওই মালটার ক্লাস তাড়াতাড়ি চল ক্লাসে গেলাম। পুরা ৪৫ মিনিট বকবক করতে করতে কান ছালা পালা করে দিছে।ক্লাস থেকে আমি আর মিতু বের হলাম। সারের কথা শুনলে আমার শুধু ঘুম আসে। বোরিং একটা ক্লাশ। হু!! ঠিক বলছিস। আমারও অনেক ঘুম পাই। তুই আবার মিথ্যা কথা বলছিস। আমিতো দেখলাম সারা ক্লাস টাইম তুই আমার দিকেই তাকাইছিলিস। এইরে ধরা পরে গেলাম মনে হয়(মনে মনে)। কই আমি তোর দিকে তাকাইছিলাম না তোর পাশে সানজিদা আছে ওর দিকে তাকাইছিলাম। কি তোর এত বড় সাহস তুই আমায় ছেড়ে অন্য মেয়ের দিকে তাকাইছিলি (সার্টের কলার ধরে) অবাক হয়ে শুধু মিতুকেই দেখছি। রাগ হলে মেয়েটাকে অনেক সুন্দর লাগে।
এভাবে তাকাই থাকতে দেখে মিতু মনে হয় একটু লজ্জা পেল। আমাকে ছেড়ে নিচের দিকে তাকিয়ে বললো আর যেনো না দেখি। আমি ছাড়া তুই অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকাবি না। কেনো?? আমি বলছি তাই। ওকে। তোর কথাতো মানতেই হবে। যতই হোক তুই আমার দশটা না পাঁচটা না একটা মাএ বেস্টু। হু। তারপর যার যার বাসাই চলে গেলাম। এভাবেই আমাদের দিন যাচ্ছিলো হাসি, কান্না,রাগ,অভিমান দিয়ে। একবছর চলে গেলো। আজ একটু দেরি হয়ে গেল। গিয়ে দেখি মিতু দাড়িয়ে। মুখ দিয়ে আগুন বেড়োচ্ছে। আর আমার হাটু কাপাও শুরু হয়ে গেছে। দেরি হল কেন??(মিতু) না মানে আসলে (আমি) হয়েছে চল ঘুরতে যাব। ক্লাস?? করব না। ওমা!!! পৃথিবী কি আজ ঘুইরা গেল নাকি। না তবে ঘুরে যাচ্ছে। আচ্ছা চল।
নদীর পাড়ে গিয়ে দুজনে বসলাম। হঠাৎ মিতু জিজ্ঞেস করল আচ্ছা মারুফ তুই তো মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করতি না। আমার সাথে করলি কেন?? (মিতু) সবার সাথে না। সুন্দরী মেয়েদের সাথে করতাম না। (আমি) তার মানে আমি সুন্দর না?? সেটা কখন বললাম?? তার মানে আমি সুন্দর?? এটাই বা কখন বললাম?? ঐ আমি সুন্দর ও না অসুন্দর ও না তবে আমি কি?? ময়দা সুন্দরী। দাড়া তোর হচ্ছে না। আজ বুঝামু মজা। মারুফ বাচতে চাইলে পালা। এভাবেই চলে আমাদের বন্ধুত্ব। হঠাৎ কলেজে একটা নতুন মেয়ে আসল। আমি আবার ভাল হলেও সেই রকম ক্রাশখোর। আর এই মেয়েকে দেখে এখন পর্যন্ত বিশবার ক্রাশ খেয়েছি।
আজ মিতু আসে নি। চান্স পাইছি মেয়েটার সাথে কথা বলার। কলেজ শেষে এই যে মিস ইনা, মিনা, টিনা, শিলা সরি নাম কি তোমার?? (আমি) মিম। (মেয়েটি) মিম?? (চোখ বড়বড় করে) হুম। কেন?? ওহহহ জোশ নাম ( চোখ বন্ধ করে) চোখ খুলে দেখলাম মেয়েটি চলে যাচ্ছে আজ যে করেই হোক মিমের সাথে কথা বলতে হবে। যেই কলেজে ঢুকছি অমনি মিতু কলার ধরে এক কোণে নিয়ে গেল। আমার তো হাটু ৫০০ কি.মি. বেগে কাপছে। ঐ তুই নাকি মিমের সাথে কথা বলছিস?? (মিতু) না তো। কে বলছে??(আমি) রবিন বলছে। (রবিন্না যদি আমি বাচি তবে মনে কর তুই মইরা যাবি) আরে না। ঐ তুই মিথ্যা বলছ কেন?? আমি ভিডিও দেখি নাই?? তুই যে হেসে হেসে কথা বলছস। সরি। আর বলব না। তুই বললি কেন?? আর বলব না তো। কান ধরে উঠবস কর। আচ্ছা।
বিশবার উঠবস করতেই হঠাৎ মনে হলো মিতুর এত্ত জ্বলে কেন?? তবে কি সামথিং সামথিং?? আচ্ছা মিতু একটা কথা জিজ্ঞেস করি??(আমি) আগে একশবার হোক। (মিতু) আরে ইমপর্টেন্ট। আচ্ছা জিজ্ঞেস কর। আমি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলায় তোর জ্বলে কেন?? কারন তোর মত অপদার্থরে আমি ভালবে না কিছু না।
(থামলি কেন জান?? বলনা) তারপরে কি?? বুঝস না?? ভাব লস?? বুঝার দরকার নাই। তুই বললে বল নইলে আমি মিমের কাছে যাই। একপা সামনে এগুলো পা ভেঙ্গে ফেলব। তুই কিছু না বললে দাড়িয়ে থেকে কি করব?? ভালবাসি তোকে। ও এই কথা?? আচ্ছা ঠিক আছে। আচ্ছা ঠিক আছে মানে?? তুই ভালবাসছ না?? আমার মিম আছে তো। তোর মিম বের করতাছি। মারুফ ভাগ।
অতঃপর আর কি। এই পাগলিকে তো অনেক আগেই ভালবেসে ফেলেছি। ভবিষ্যতেও ভালবাসতে হবে। কিন্তু মিম!!! তোমার কি হবে?? চিন্তা করতাছি রবিন বা সফিকরে দিয়া দিমু। বি:দ্রঃ ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলের মতামত জানবেন…ধন্যবাদ।
সমাপ্ত
