প্রপোজ 420

প্রপোজ 420

আজকে তো ম্যাডামকে প্রপোজ করমুই করমু ম্যাডাম হইছে বলে যা তাই নাকি তাঁরে কী একটু ভালোবাসতে মন চায় না আজব। সব ম্যাডাম গুলো যদি আমার মতো ট্যালেন্ট , লাস্ট ব্রেঞ্চ এর কিউটুস পোলা গুলারে একটু ভালোবাসে তাইলেই কিন্তুু পড়ালেখাই একটু মন বসে। আর যদি বিয়ে করে ওহহহহ তাহলে তো একদম মাখন সাথে বউ প্লাস চাকরির চিন্তা হাবিস ওহহহহহহ সেই কপাল তো আর আমার নাই তবে ট্রাই করতে অসুবিধা ও নাই।

অধরা আপু আর আমি সামান্য চার বছরের ছোট এখন সে আমাদের ভার্সিটির ম্যাডাম আর আমাদের ইংলিশ ক্লাস পায় সেদিন প্রপোজ করতে গেছি সে বলছে সাহরিয়া তুই আমার থেকে মিনিমান দশ হাত দূরে থাকবি তবে একটু জোরাজুরি করে পাঁচ হাত কুমাইছি এখন আমি তাঁর পাঁচ হাত দূরে থেকে কথা বলি। বাট আজকে যে প্রপোজ করমু কিন্তুু পাঁচ হাত দূরে থেকে কেমনে কী? তবে আমার তো আর বুদ্ধির অভাব নাই একটা প্লাস্টিক এর দোকান থেকে পাঁচহাত একটা পাইপ কিনলাম, বাহ্ কাজ কমপ্লিট এখন খালি প্রপোজ করার অপেক্ষা।

পাইপটা নিয়ে আসতেছি এর মধ্যে হাজার জন জিজ্ঞেস করলো যে এইটা দিয়ে কী করমু। এই হলো আমাগো দেশে অবস্থা, আরে ভাই যেই যা পারে তাই করুক না এটা নিয়ে অন্য সবার মাথা ব্যাথা কেনো কেনো কেনো না না এই দেশের উন্নতির আশা করা একদম যায় না। কলেজে গিয়ে দেখি ওমা অধরা কই। স্যার দের রুমে গেলাম। হ্যালো স্যার অধরা ম্যাডাম কই। ভদ্রতা তো আর শিখলি না। স্যার দের যে প্রথমে সালাম দিতে হয় এইটা ও জানিস না আর হাতে ঐটা কী। আচ্ছা স্যার আমার একটা কথা আছে। হুমমমমম কী কথা বল। আমরা সবাই তো মুসলিম তাই না।

হুমমমমমমমম। আমি একদিন শুক্রবারে জুম্মাই শুনছি যে সকল মুসলিম এর কর্তব্য একে অপর কে সালাম দেওয়া হোক সে ছোট অথবা বড় যে আগে দিবে সে পারে ৯০ নেকি আর যে নিবে সে পাবে ১০ নেকি। আমি আপনাদের থেকে অনেক নেকি পাইছি তাই ভাবছি আমার ও দায়িত্ব আপনাদের বেশি বেশি নেকি দান করা তাই আপনারা আমাকে সালাম দিয়ে ৯০ নেকি নিবেন আর আমি সালাম নিয়ে ১০ নেকি নিবো। আমাদের হাদিস শিখাচ্ছিস তাই না।

কেন এখন ফাঁটছে তাই না আর যদি ১০০ টাকা পেয়ে বলা হয় যে স্যার আপনি বড় মানুষ আপনি নেন ৯০ আর আমি ছোট তাই আমাকে দেন ১০ তাইলে তো হাঁসি মুখে বরণ করবেন আসলে স্যার একটা কথা ছাত্র আর শিক্ষক যতদিন বন্ধু হতে না পড়ছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই শিক্ষার কোন উন্নতি হবে না এখন বলেন অধরা ম্যাডাম কই। ঐ তো আসছি আচ্ছা স্যার গেলাম থাকেন আর একটা কথা এখন যেমন আপনাদের লাগছে না ক্লাসে যখন আপনারা আমাদের ফ্রিতে আজাইরা জ্ঞান মারেন তখন আমাদের ও এমনটাই লাগে হি হি হি। এক দৌঁড়ে অধরার সামনে পাঁচ হাত দূরে থেকে হাই অধরা। ঐ অধরা কী হুমমমম। আসলে আপু কমু না ম্যাডাম কমু আমি দুটানাই পড়ে যাই আগে বলতাম আপু আর এখন ম্যাডাম তাই তো অধরা বলছি। কী বলবি বল। একটু সাইটে আসো কথা আছে। না আমি যাবো না। ঠিক আছে তাইলে আমি চিল্লাই চিল্লাই কইতাছি। ওহহহহহহহহহ চল। এখন বল কী বলবি আর হাতে ঐটা কী?

তুমি না বলছো পাঁচ হাত দূরে থাকতে তাই এই ব্যবস্থা। এটা দিয়ে কী হবে। ওহহহহহহহ হ্যা পাইপটার মাথাই একটা ফুল বেঁধে সামনে এগিয়ে দিয়ে বললাম আই লাভ ইউ আর যাই হোক এখানে থাপ্পড় খাওয়ার রিক্স ও কম। বাহ্ অনেক বুদ্ধি তো তোর আচ্ছা কাছে আয়। কেনো। আরে আয় না। হুমমমমম আসছি বলো। ঠাসসসসসসসস এই সব চিন্তা বাদ দিয়ে ভালো করে পড়াতে মন দিবি। হ্যা আর না বললেই হয় চর দেওয়ার দরকার কী?

আর দুনিয়াই কী মাইয়ার অভাব ফালতু মাইয়া ওহহহহহহহ দাঁত গুলো সব নরেচরে উঠছে থাকো তুমি বলেই চলে আসছি। রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়িতে যাচ্ছি পাইপ টা ও হাতে আছে বিশ টাকা দিয়ে কিনছি। কীরে পাইপ নিয়ে কই গেছিলি আর কী করবি এটা দিয়ে (নগেন)। মানুষ বাঁশ দায় না আমি তোর ওই খানে পাইপ ঢুকাই রাস্তার মোরে পুঁইতা রাখমু…হালার পোলা টিটকেরি মারাও। খাঁড়া খালি তুই। ওমনি নগেন দৌঁড়।

এমনি গালের ব্যাথাই শেষ আর শুনতে আসছে আমি পাইপ দিয়া কী করমু। রাত্রে ভাবছি না এই ম্যাডাম এর পিছরে পড়ে থাকলেহবে না মিম আমারে একদিন প্রপোজ করছিলো। ওরেই কালকে হ্যা বলে দিমু। দেখতেও অধরার থেকে কম সুন্দরী না। এই ডিসিশন ফাইনাল। পরেরদিন মিমরে প্রপোজ করতে গিয়ে শুনি সে ও নাকি ফ্রি নাই লাইনে ট্রেন চলতেছে। মাইয়া গুলা ও বাপরে বাপ ১৫ দিন কোন মাইয়া ফ্রি থাকে না। ফ্রি থাকলে মনে হয় পেঁটের ভাত হজম হয় না আরে কয়টা দিন ভাবার সময় তো দিবে নাকি ফালতু ছেঁড়ি। তার পরেরদির কলেজে যাচ্ছি হঠাৎ অধরা আপুর ডাক। জ্বী বলেন ম্যাডাম।

তুই নাকি সব স্যার দের ফ্রিতে খুব উপদেশ দিয়ে আসছিস। হুমমমমমম কেনো বলেন তো। হঠাৎ এমন ভদ্র হলি কেমনে। নতুন মাইয়া খুঁজতেছি। কেনো মিম না করছে। সে না আমিই না করে দিছি ফালতু মেয়ে। তো মেয়ে পাইছিস। না আজকের মধ্যে পেঁয়ে যামু। বাহ্ ভালো তো। হুমমমমমমমমমমমমমমম। এখন থাকেন গেলাম আমি অন্যের বউ এর সাথে টাইম নষ্ট করে লাভ নাই। মনে। তুমি তো আর মোরে বিয়া করবা না, তাইলে তো অন্যেরি বউ হইলা তাই না।

হুমমমমমমম ওকে যা। ঠিক আছে। রাতে শুয়ে শুয়ে তামিল মুভি দেখছি হঠাৎ অধরার ফোন। হ্যালো। সাহরিয়া বাবা হঠাৎ আমার বিয়ে ঠিক করছে। ভালো তো। আমি এ বিয়ে করবো আমি একজন কে ভালো বাসি। আহারে সেটা তো ভালো কথা তো তাঁরে ফোন দাও না আমি কী করমু। আমি এখন তাঁর বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। ওকে ঠিকআছে আমি রাখি। একটা পড়ে দরোজা তে কেউ ঠক ঠক করছে।

খুলতেই তো চমকে গেছি। ঐ তুমি না তোমার প্রেমিকের বাড়ির সামনে এখানে কী। তুই তো আমার প্রেমিক। কেমনে কী। এখন বল বিয়ে করবি নাকি। আগে প্রপোজ করো। না। ওকে বিয়ে ও করমু না। ঠিকআছে আই লাভ হউ। হাঁটে গরু কিনতে আসছো নাকি, এমন ভাবে বলছো যে গরুর দাম কতো। একটু ফিলিংস্ক দিয়ে তো কইবা নাকি।

সাহরিয়া তোমাকে আমি ভালোবাসি। আর বইলো না মইরা যামু তো। বিয়ে ফাইনাল। তার আগে আর একখান কতা আছে। কী?

পাপ্পি না দিলে বিয়া তো করমু না। তাই না আবদারের শেষ নাই তাই না খাঁড়া তুই..

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত