তোমার দেয়া একটি উপহার

তোমার দেয়া একটি উপহার

“আমাকে কাদানোর জন্য তোমাকে থ্যাক্স”
.
নুসরাতে’র এই একটা জিনিসই আমার ভালো লাগেনা।

সব সময় স্বাভাবিক কথার মাঝে এমন করে কথা বলে যা শুনতে অন্যরকম কেমন যেন একটু মনে হয়। কিন্তু সে আবারও সেই কথাটা বলল।
.
“থ্যাঙ্কস এগেইন মিস্টার আলভি, থ্যাঙ্কইউ সো মাচ, আমাকে কাদিয়ে তুমি অনেক ভালো একটা কাজ করেছো।
.
হাতটা তালি দিয়ে বলছে, “কনগ্রাচুলেশান, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ”। পাগলামো করতে করতে নিজেই বিড়বিড় করতে করতে চলে গেলো।

হতভম্ব হয়ে দাড়িয়ে রইলাম, এটা কি হলো! প্রথমে ও নিজেই পাগলীর মত কিসব বলল আবার নিজেই…। পাগলী একটা।
.
এখানেই কি শেষ? আমি বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে তে বাসে উঠেছি। ভীড়ের মধ্যে তার ফোন। আবার নিশ্চয়ই একা একাই কিসব বলে ফোনটা কাটবে।
.
“বলো, হ্যা আমি বাসে চড়েছি”
“তুমি অনেক ভালো কাজ করলে, তোমাকে পুরষ্কার দেয়া উচিত..থ্যাঙ্কইউ মিষ্টার, থ্যাঙ্কইউ সো মাচ”
.
নিজেই বিড় বিড় করে ফোনটা কেটে দিলো। পাগলী একটা।

আজ হুট করেই নুসরাত এমন একটা কথা বলে ফেলেছে যেটা শোনার জন্য প্রথমত প্রস্তুত তো ছিলামই না।

দ্বিতীয়ত, এমন টা শুনবো আমি কখনো ভাবতেও পারিনি। মেয়ে স্বাভাবিক কথা বলছে ভালো লাগছিল। হটাৎ করে বলে ফেললো।

কথাগুলো এমন ছিলো।…….
.
“আমি তোমাকে ভালবাসি আলভি, আই লাভ ইউ”। নিজের ভ্রম ভেবে প্রথমে কিছুই বলিনি।

দ্বিতীয়বার ও আবার বলল, “তোমাকে ভালবাসি বলেছি তুমি শুনো নি? নাকি শুনতে চাইছোনা?”।
,
“হ্যা? তুমি আমাকে কিছু বললে?
“তোমায়ই বলছি, তোমাকে ভালবাসি বলেছি শুনতে পাওনি?
“শুনলাম তো, ফ্রেন্ড তো ফ্রেন্ড কে ভালবাসি বলেই।
“আলভি তুমি আমি শুধুই ফ্রেন্ড না। তোমার জন্য আমার মনে একটা সুইট কর্ণার রয়েছে তুমি সেটাও জানো তো।
“জানি না তো, এক্ষুনি জানলাম।
“আলভি সরাসরি বললে বলো, নয়ত না বলে দাও, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কিচ্ছু বলবানা।
,
আমি আইসক্রিম টা নিজের মুখে দিয়ে, ওর দিকে তাকালাম “হ্যা সরাসরিই বলছি, এসব আমার ভাল লাগেনা”।

মুহুর্তেই নুসরাতের চোখ দুটো ভরে উঠতে থাকলো। এরপরের কিছু তো বলাই হয়েছে। ফোনটা পকেটে ভরে রাখলাম।

মানুষের ভীড়ে, আর গাড়ীর হটাৎ হটাৎ ব্রেক কষে ধরায় ঠিকমত দাড়ানো সম্ভব হচ্ছেনা।
,
,
যেই নুসরাত কিনা ফোনের ওপরে ফোন, ফেসবুকে কতনা মেসেজ সে কিছুদিন ধরে কোনো যোগাযোগই করছেনা।

নুসরাত মেয়েটা খুবই আবেগী। আমাদের পরিচয় টা ঠিক এমন ভাবে ছিলো, নুসরাত আমার জাস্ট একটা ফেসবুক ফ্রেন্ড।

ও প্রায়ই ফটো কনটেস্টে নিজের সেলফি আপ করতো, তো একদিন রিকুয়েষ্টই দিয়ে ফেললাম। কিন্তু ফলোয়ার হয়েই ছিলাম।

মেসেজ করলে রিপ্লাই দিত না। মেসেন্জারে কল করলে ব্লক করে দিতো। কিন্তু আমারই এক ফ্রেন্ডের সাথে ওর খুব ভাব ছিলো, মানে খুব ভালো ফ্রেন্ডশীপ।
,
আমার ফ্রেন্ড সজীব ওর নিজে ফটোশুট করে কখনো। আমি ওকে বলেছিলাম নুসরাতের সাথে ফ্রেন্ডশীপ করিয়ে দেয়ার জন্য।

একটাই উদ্দেশ্য ছিলো ওর সাথে কথা বলবো, ফ্রেন্ডশীপ করবো কারন ওর অনেক ফলোয়ার।
.
সজীব নিজে ফটোশুট করতো, আর যেহেতু নুসরাতের সাথে ওর ভালো আন্ডারস্টান্ডিং ছিল তাই মাঝে মাঝে গেলে আমার সাথেও কথা হত কারন সজীব আমার ফ্রেন্ড।

তাছাড়া এরপর ফেসবুকে ফ্রেন্ডও হয়েছি। নুসরাতে সেলফি গুলো ভালো লাগতো বলে, খুব সুন্দর করে কবিতা লিখতাম, কমেন্টস করতাম।

মাঝে মাঝে একটু মেসেজিং হত সেলিব্রেটি টাইপ সেজন্য। এর মাঝে সজীব তার গার্লফ্রেন্ডের বার্ড ডে তে একটা পার্টি রাখলো।

বন্ধুরা এরেন্জমেন্টে লেগে গেলাম। পার্টিতে অনেকেই এলো। নুসরাত যখন এলো, তাকে বসিয়ে বার্ড ডে পার্টির কাজ করতে লাগলাম।

সজীব ব্যস্ত থাকায় নুসরাতের দিকে খেয়াল রাখতে বলে, ঘুরে ফিরে কয়েকবার জানতে চাইলাম কি লাগবে,

অর্থাৎ তার প্রয়োজনের দায়িত্বে ছিলাম আমি এর মাঝে অনেকবার কথাও হলো।

নুসরাত যখন অন্যদের সাথে কথা বলছিল তখন আর সামনে যাইনি, বাকিদের কি প্রয়োজন সেদিকে খেয়াল রাখছিলাম।
,
নুসরাত প্রায় কিছু সময় এসে বলল, “একটা কোল্ড ড্রিংক্স স্যার?”।

হাসি মুখে “অবশ্যই বলে” একটা কোল্ড ড্রিংক্স এনে দিয়ে যেতে গেলেই বলল, “খুব বিজি তাইনা? আমিও কিছু কাজ করতে পারি?”।

খুব ফ্রী মাইন্ডলি কথা বলি সব সময় তাই বললাম। “তোমার সাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে দেখছো না ঘেমে গেছি”।

দাড়িয়ে কিছুসময় গল্প করলাম। ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেসবুকে চ্যাট বাড়তে লাগলো। ভালো ফ্রেন্ডশীপ হয়ে গেলো। এমনকি মাঝে মাঝে দেখা করাটা। .
আমি কখনো নিজের লিমিটের সীমা ক্রস করতে চাইনা। তাই ফ্রেন্ডশীপে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততোটুকুই।

একসাথে আড্ডা দিয়েছি, টাইমপাস করেছি কিন্তু নিজের লিমিটের মধ্যে। কিন .
নুসরাত আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়ার পর মনে হতে লাগলো একবার খবর নেই। পরক্ষনে ভাবলাম নাহ থাক, আগুনে ফু দিয়ে দরকার।

নুসরাত খুব সুন্দরী একটা মেয়ে কিন্তু, আমি কখনো নিজের লিমিট ক্রস করতে চাইনা। তাই ফ্রেন্ডশীপে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততোটুকুই।

একসাথে আড্ডা দিয়েছি, টাইমপাস করেছি কিন্তু নিজের লিমিটের মধ্যে। কিন্তু সেদিন ও যা বলল তা নিয়ে আমি কখনো ভাবিনি।

ভাবতেও পারিনি ও এমনটা বলবে। আজ কিছুদিন ধরে তার সাথে যোগাযোগ নেই নতুন সেলফিও দেখিনা, ফেসবুকেও তেমন একটা আসেনা। ভাবলাম সে ব্যস্ত।
,
সজীব জানালো, নুসরাত নাকি একটা ট্রিট দিতে চায়, কারন টা বলল না। শুধু বলল যেতেই হবে নুসরাত বলেছে।

ফোনটা রাখার পর ভাবলাম আমাকে তো বলেনাই কেনো যাবো? কিন্তু ঠিকই গেলাম।
,
যাদের টাকা থাকে তারা যা করে আরকি, যে কোনো কিছুতেই ট্রিট। নুসরাতের ফলোয়ার্স খুব বেশি হওয়ায় সে ট্রিট দিচ্ছে।

নুসরাত কে কয়েকবার দেখলাম কিন্তু একবার তাকালোও না আমার দিকে। বেড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করলেও পারলাম না।

আমার হাতে নুসরাত ঠিকই খাবার টা দিলো কিন্তু অন্যজনের সাথে কথা বলতে বলতে।

যদিও ওর প্রতি আমার আবেগী কোনো কিছু ছিল না তবুও ওর এবোয়ড করাটা আমার কেমন যেন লাগলো।

সজীবকে বার বার বললাম কখন যাবে, ও মনে হয় বিরক্ত হলো কারন গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডান্স করছিলো। আমি ভাবলাম বেড়িয়ে যাই।

কিন্তু সামনে এসে, নুসরাত আমার দিকে তাকিয়ে, স্বাভাবিক ভাবেই একটা কোল্ড ড্রিংক্স ধরিয়ে দিয়ে গেল।
,
ভাবলাম। যাক এবোয়েড করুক আর যাই হোক একটু কেয়ার তো করলো।

ড্রিংক্স টা নিয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে খাচ্ছিলাম …এরপর আর কিছুই মনে নেই।
.
চোখের ওপরে জলের ঝাপটা পড়তেই ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকিয়ে কিছুক্ষন ঝাপসা মনে হবার পর মনে হলো আমি বিছানায় শুয়ে আছি।
.
“বাব্বাহ ঘুম ভাঙ্গলো তাহলে? উঠে পড়ো”।
.
হাতদুটো সামনেও নিয়ে আসতে পারছি তো না ই। দাড়াতেও বল পাচ্ছিনা। আমাকে বেধে বিছানার ওপরে ফেলে রেখেছে।

নুসরাত নিশ্চয়ই দুষ্টুমি করছে। আমি জানতাম না যে ও স্মোকিং ও করে। ঘরটা ধোয়ায় ভরে গেছে।
,
নুসরাত হাসতে হাসতেই বলতে থাকলো, “উঠে পড়ো, তুমি না ছেলে মানুষ, ঘুম থেকে জেগে ঠিকমত দাড়াতেও পারছোনা”।
,
“কেনো বেধেছো এভাবে, খোলো আমার ভীষন ব্যাথা লাগছে।
,
সিগারেটের আগুন টা নিভিয়ে, মুখের ধোয়াটা আমার দিকে ফু দিয়ে উড়িয়ে গিলো। কিন্তু গন্ধটা কেমন যেন, মানে সুবাস টাইপ একটু।
,
“একটু ব্যাথা পেলে কিছু হয়না, আর তুমি যে আমাকে এতদিন ধরে ব্যাথা দিলে সেটা তো এটার থেকে আরও বেশি”।

বিছানাটার ওপরে বসলো, দু হাত পেছনের দিকে রেখে হেলান দিয়ে ঘাড়টা ডান দিকে বাকা করে আমার দিকে তাকিয়ে,

“জানো কতগুলো বছর পর সেদিন কাদলাম? প্রায় ৫ বছর মিষ্টার আলভি।

আমার মনে আছে, যেদিন ও আমার সাথে সব সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছিল, আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি,

বৃষ্টির রাত ছিলো, পরিবেশটা খুব শীতল ছিল কিন্তু আমি রাতভর জেগে শুধু কেদেছি। কিন্তু সেটা বেশিদিন ছিল না।

কিন্তু তুমি এক নাগাড়ে অামাকে অনেকবার কাদালে, সেদিনের থেকেও তোমার জন্য বেশি কষ্ট পেয়েছি আমি। পরে কি ভাবলাম জানো?

একটা শাস্তি দেই তোমাকে। আসলে ওর শাস্তিটাই তোমাকে দিতে ইচ্ছে করছে।
,
নুসরাতের কথা বলার ধরন দেখে সত্যি ভীষন ভয় লাগছে। ও কি করবে আমাকে। মেরে ফেলবে না তো!
.
“কি ভাবছো? ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই, এতদিনে একবার তো আমার কথা ভেবে খবর নাও নি।

তোমরা সব সময় আমাকেই কষ্ট দিয়ে কি লাভ পাও বলো তো? আমি কি কোনো মানুষ নই? আমার ইমোশোন্স নিয়ে খেলতে ভালো লাগে তাইনা?
,
বিছানার বালিশে’র পাশ থেকে একটা ধারালো ছুড়ি বের করে আমার সামনে রেখে বলল। “প্রথমে তোমার শেষ ইচ্ছটা বলো, আমি পুরোন করবো।

আর আমিও একটা ইচ্ছে বলবো আগে সেটা তুমি পুরোন করবে”। “কি ইচ্ছে?”।

“প্রথমে আমাকে একটা চুমু দিতে হবে, তারপর আমাকে আই লাভ ইউ বলতে হবে”।

“এটা কিছু হলো? আমি তো তোমাকে ভালবাসিই না, বলবো কেনো”।
,
চোখ রাঙ্গিয়ে বলল, “এই এই চুপপপ। যত বলবে ততো কষ্ট পাবে, আমার কথা শুনবে যন্ত্রনা কম পাবে”। পালাবার চিন্তা করেই নাটক করলাম।

চুমুটা শেষ করতেই, সে কম করে বিশটা চুমু দিল।

হাপিয়ে উঠলাম, কিন্তু কিছু না বলে, নাটক করে বললাম, “আমার শেষ ইচ্ছে হলো, আমি আমার দু হাত দিয়ে তোমাকে উচু করে ধরবো,

আর তোমার মিষ্টি ঠোটঁ টায় একটা চুমু খাবো জাস্ট এতটুকুই”।

কি যেন ভেবে হাতের বাধন টা খুলে বলল, “যেটা বলছো সেটাই, কিন্তু কোনো প্লান থাকলে সেটা ভুলে যাও নয়ত তোমার বিপদ হবে”।
,
কথা মতই, নুসরাত কে উচু করে তুললাম খানিক, ওর নিশ্বাস টা আমার থুতুনীতে লাগছে।

খুব ধীরে ধীরে একটু নিচে নামতেই ও চোখ দুটো বন্ধ করে ফেলল।

একহাত ওর কাধের ওপরে রেখে ধীরে ধীরে গলার ওড়নাটা নিয়ে দ্রুত ওর হাতটা বেধে ফেললাম।

ও চিৎকার করতে থাকায় বুকের মাঝে চেপে ধরে, ছুড়িটার দিকে এগোলাম। ও খুব জোরে কামড় দিচ্ছে কিন্তু ছুড়ি টা আমার লাগবেই।
.
একহাত দিয়ে ওকে বুকে চেপে রেখে, অন্যহাতে ছুড়িটা নিয়ে,

ওর দিকে গলা’র থেেক সামান্য দুরত্বে ছুড়িটার ধারালো দিকটা রেখে বললাম, “চিৎকার করলে আমি তোমাকে মেরে ফলবো প্রমিজ”।
,
ও পাগলী সেটা জানতাম তবে এতোটা সেটা জানতাম না। ছুড়িটার দিকে এগিয়ে দিতে চাইছে নিজেকে।

“আমি ভয় পাইনা আলভি, তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছো, কিল মি, প্লিজ কিল মি”।

ওকে বিছানার ওপরে ফেলে রেখে নিজের পায়ের বাধনটা খুলে। ছুড়িটা নিজের কাছে রেখেই।

ওর হাতের বাধন টা খুলে বললাম, “তোমাকে চাইলে বেধেই ফেলে রেখে যেতাম, কিন্তু তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনা, একটা ভালো বন্ধু মনে করি তোমাকে”।

“চলে যাচ্ছো যাও, ছুরিটা রেখে যাও”। “কেনো কি করবে?”। “ওটা রেখে যাও আলভি ওটা আমার”।
,
ছুরিটা বিছানার ওপরে রেখে তাকিয়ে রইলাম ওর দিকে। “ওভাবে তাকাচ্ছো কেনো?

তুমি চলে যাবে যাও, আমাকে আমার মত থাকতে দাও, আমার জীবনটা এরকমই। প্লিজ চলে যাও”।
,
নুসরাতের জন্য মনের মাঝে একটু একটু কেমন যেন অনুভব হতে লাগলো। আশ্চর্য রকমের মায়া’র টান। যেটার জন্যই ওকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছেনা”।

বিছানাটার ওপরে ধপাস করে শুয়ে পড়লাম। মোটেও ভয় করছেনা এখন। ও বিছানার ওপরে বসে নিচের দিকে তাকিয়ে কাদছে।
,
উঠে, পাশে বসে, কপালে’র চুলগুলো সরিয়ে, সত্যি সত্যি কপালে একটা চুমু একেঁ দিলাম।

আরো জোরে কাদতে লাগলো, “এভাবে লোভ দিচ্ছো কেনো আলভি? জানি তো আবার কষ্ট দিবে”। কোলে মাথা রেখে শুয়ে, ওর দু হাত ধরলাম।

“লোভ দিচ্ছিনা, আসলে নিজের লিমিট টা কখনো ক্রস করতে চাইনি। কিন্তু তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছো দেখছি, সত্যি ভাল লাগছেনা।

একটা মেয়ে আমার জন্য এভাবে কাদলে, আমি কিভাবে তাকে ফেলে রেখে যাবো বলো?

তুমি আমাকে যা খুশি শাস্তি দাও, আমার জন্য তোমাকে কাদতে হয়েছে।
.
পরিশিষ্ট-:
“তোমাকে একটা রিকুয়েষ্ট করি নুসরাত?
“এভাবে কেন বলছো, আমি তোমার কথা সব কথা শুনবো।
“তুমি আর কখনো স্মোকিং করোনা।
“সব সময় করিনা যখন খুব কষ্ট লাগে তখনই। তুমি বলেছো তাই, আর কখনো করবো না।
“থ্যাঙ্কইউ, মনে থাকে যেন, মেয়েদের ঠোটেঁ লিপস্টিক শোভা পায় সিগারেট নয়।
“মনে থাকবে, আমি কখনোই তোমার কথার অমান্য হবোনা।
“আমি জানি। তবে তুমি হটাৎ হটাৎ যে পাগলামো গুলো করো এসব আর কখনো করবানা প্রমিজ করো।
“প্রমিজ করছি। তুমি যা পছন্দ করোনা আমি তা কখনোই করবোনা।
“এখন আসি, তোমার বাসায় কেউ দেখলে সমস্যা হতে পারে।
“আলভি শোনো?
“বলো?
“ভেবো না পালাতে পারবে, কামড়ের দাগ এত সহজে কিন্তু মিটে যায়না।
“ঠিক আছে আমার মনে থাকবে, এটা না হয় তোমার দেয়া ভালবাসার একটি শ্রেষ্ঠ উপহার হয়েই রইলো।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত