—ফোন রিসিভ করতেই সিফা বল্ল বাসায় কখন আসবেন।
আমি বল্লাম তোমার না জানলেও চলবে।
সিফা বল্ল দেখন আমার সাথে রাগ দেখিয়ে কথা বলবেন না। আর কখনো ভুলে যাবেন না যে আমি আপনার বিয়ে করা বউ।
আমি বল্লাম আরে না সবাইকে ভুলতে পারি কিন্তু আপনার মত ঢংঙ্গি মেয়েকে কি করে ভুলি।
সিফা বল্ল হইছে আর আপনার পাম দিতে হবেনা।
আমি বল্লাম আরে পাম কখন দিলাম যা সত্যি তাইতো বল্লাম।
সিফা বল্ল দেখেন রাত কিন্তু অনেক হয়েছে তারা তারি বাসায় আসেন।
আমি বল্লাম আপনার আমার জন্য অপেক্ষা না করলেও চলবে।
সিফা বল্ল ওহ নতুন কাউকে পেয়েছেন নাকি। যে আপনার জন্য অপেক্ষা করবে।
আমি বল্লাম আচ্ছা আমি বিশ মিনিটের মধ্যে বাসায় আসতেছি।
সিফা বল্ল আচ্ছা আসেন আর আমার জন্য জুস আনতে ভুল হয়না যেন ।
আমি বল্লাম আরেনা সব কিছু বলতে পারি কিন্তু ঢংঙ্গি মেয়ের জুস আনতে কি ভুল করতে পারি।
সিফা বল্ল হুম জানিতো বাসায় এসে বলবা যে ইশ আনতে ভুলে গেছি আমি বল্লাম আচ্ছা ফোন রাখো আমি আসতেছি।
বিশ মিনিট পূর্ণ হওয়ার আগেই আমি বাসায় চলে আসছি।
যেহেতু অনেক রাত তাই ডাকা ডাকি না করে সিফাকে ফোন দিলাম সিফা রিসিভ করেই বল্ল
কই আছেন আমি বল্লাম দরজা খুলে দেখো কই আছি সিফা বল্ল হুম থাকেন আমি আসতে আছি।
আমি জুতা খুলে রাখতে যাবো এর মধ্যে দরজা খোলার শব্দ
পেলাম আমি সিফার হাতে জুস দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই দেখি আম্মু চেয়ারে বসা আম্মু বল্ল এখন রাত কয়টা বাজে আমি সিফাকে বল্লম এই ঢংঙ্গি। আম্মু তোমাকে জিজ্ঞেস করছে কয়টা বাজে বলোনা কেন।
সিফা বল্ল আম্মু আপনাকে জিজ্ঞেস করেছে আমি আম্মুর দিকে তাকিয়ে বল্ল আম্মু তোমার ছেলের এমন একটা ডংঙ্গি বউ থাকতে তুমি আমার কাছে কেন।জিজ্ঞেস করো ।
আম্মু বল্ল কেন রে গাদা তুই কি সময় চিনস না আমি বল্লাম কেন চিনবো না আম্মু বল্ল তাহলে বলেই ফেল কয়টা বাজে আমি বল্লাম আম্মু সময় তো বেসি বাজেনাই
আম্মু বল্ল তাহলে কমটাই বল
আমি বল্লাম ২৩ টা ৫২ আম্মু বল্ল
তার মানে ১১ টা ৫২ বাজে।
আমি নিচু স্বরে বল্লাম হুম আম্মু বল্ল এত রাত অব্ধি তুই বাহিরে কি করছিস আমি বল্লাম কি আর করবো সবার সাথে অনেক দিন।পরে দেখা তাই একটু আড্ডা দিতে ছিলাম আম্মু বল্ল আজকের
মত ছেড়ে দিলাম এর পর থেকে
যত দিন বাসায় আছিস রাত ৮ টা ৩০ এর মধ্যে তোকে জেনো বাসায় পাই সিফা এই শীতের রাতে তোর জন্য অপেক্ষা করতে পারবেনা এই আমি বলে রাখলাম।
আমি বল্লাম আচ্ছা আম্মু ঠিক আছে কালকে থেকে তারা তারি বাসায় ফিরবো।
আম্মু চলে গেলো আর সিফা হাসতে শুরু করলো বুঝতে পারলাম সবটাই সিফার কার সাজি।
সিফাকে একটা ধমক দিয়ে বল্লাম এই ভাবে হাসার কি হলো সিফা বল্ল কেন আমি হাসলে কি আপনার সমস্যা হয়।
আমি সিফাকে জড়িয়ে ধরে বল্লাম আরে না একটা মাত্র বউ আমার হাসবেনা তো কি করবে।
সিফাকে পাজা কোলে করে নিয়ে রুমে চলে আসলাম।
সিফা বল্ল হইছে আপনার আর এই শীতের রাতে আমার সাথ রঙ্গ করা লাগবে না।
আমি সিফাকে নামিয়ে দিয়ে বল্লাম তাই তাহলে ছেড়েই দিলাম।
সিফা বল্ল চলেন খাবেন আমি বল্লাম খেতে পারি যদি তুমি নিজে খায়িয়ে দেও তাহলে।
সিফা আচ্ছা চলেন তাহলে সিফার হতে রাতের খাবার খেয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পরলাম শীতের রাত তাই শীত লাগোতে ছিলো আমি সিফাকে জড়িয়ে ধরলাম সিফা বল্ল এই ছাড়েন তো এত রাতে আর ঢং দেখাতে হবেনা।
আমি বল্লাম তুমি ঢং দেখলে কোথায় শীত লাগছে তাই তোমাকে জড়িয়ে ধরলাম।
সিফা বল্ল আগে বলবেন তো তাহলে তো আমি নিজেই আপনাকে জড়িয়ে ধরতাম। এ কথা বলে সিফা নিজেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
হারিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে ঘুম ভংঙ্গলো সিফার ডাকে আমি ঘুম ঘুম চোখে সিফার দিকে তাকিয়ে বল্লাম কি হয়েছে সিফা একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বল্ল কি হবে আযান হয়েছে ওযু করে মাসজিদ থেকে নামাজ পড়ে আসেন।
আমি শোয়া থেকে উঠে ওযু করে মসজিদে চলে গেলাম সাথে আব্বু ও আসছে।
মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে এসে দেখি সিফা নামাজ পড়ে আবার শুয়ে পরেছে।
আমি কাছে গিয়ে বল্লাম সিফা তুমি কি ঘুমিয়ে পরেছো সিফা বল্লনা তবে এখন একটু ঘুমাবো আপনার জন্য তো আর
রাতে ঘুমাতে পারিনাই আমি বল্লাম কি এমন করেছি আমি যে তোমার ঘুমে সমস্যা হলো ।
সিফা বল্ল আপনি আমাকে যে ভাবে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিলেন এই ভাবে
জড়িয়ে ধরে রাখলে আমার ঘুম হয়না।
আমি বল্লাম তাহলে রাতে কেন বল্লেনা সিফা বল্ল কেন বলবো আমার কি ইচ্ছে করেনা আমার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে।
আমি বল্লাম তুমিতো আর ঘুমাতে পারলেনা এখন যদি তোমার শরীর খারাপ করে সিফা বল্ল করলে কি হবে আব্বু আম্মু ননদ আর আমার স্বামী আছেনা তারা কি আমার অযত্ন করবে।
আমি বল্লাম না কখনোই না সিফা বল্ল আপনাকে আমি বলে বুঝাতে পারবোনা যে আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরলে
ঘুম না হলে যতটা কষ্ট হয় এর চেয়ে হাজার হাজার গুন বেশি ভালো লাগে এই ভেবে যে আমি এমন একটা স্থান পেয়েছি যে খানে থাকলে আমি নিরাপদ থাকবো আর আমার জন্য তার ভালোবাসা কখনো কম হবেনা।
আমি বল্লাম এত যখন ভাবো তাহলে রাতে আমাকে বলতেই পারতে যে আমার সমস্যা হচ্ছে আমাকে ছেড়ে দিন সিফা বল্ল ইশ আমার বুঝি আমার স্বামীর বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে ইচ্ছা হয়না।
আমি সিফার কপালে একটা চুমু দিয়ে বল্লাম সত্যি আমি ভাগ্যবান তোমার মত একটা বউ পেয়ে।
কিছু কিছু বিবাহিত জীবন এমন থাকে তাদের ভালোবাসার কখনো অভাব হয়না কারন তারা একে অন্যকে বুজতে চেষ্টা করে।
হয়তো আমার আর সিফার জীবনটাও তেমনি।
বিঃ দ্রঃ আমি সেই সকল স্বামীদের বলছি যারা বউ থাকতে অন্য মেয়েদের পিছনে ঘুরে বেড়ায় আর নিজের বউ এর দিকে একবার ফিরেও তাকায় না
এমন একটা সময় আসবে যখন আপনি।ফিরে আসবেন আপনার বউ এর কাছে।কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যাবো।
হয়তো সে তখন আর আপনার সাথে একটা সিগনেচার এর ভিত্তিতে গড়ে উঠা সেই সম্পর্ক ছিন্ন করে চলে যাতে চাইবে।
একটা মেয়ে কত আশা ভরসা আর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সব ছেড়ে চলে আসে আপনার কাছে আর আপনার
নিকৃষ্ট আচরন এর জন্য সে আবার।ফিরে যেতে বাধ্য হয় তার আব্বু আম্মুর কাছে।
জানিনা কথটা বাংলাদেশের সব যায়গায় প্রচলিত আছে কিনা তবে বরিশাল বিভাগের একটা প্রচলিত কথা যে মাঝি ভাই নৌকাতো ছেড়ে দিয়েছো নৌকাতো অন্য দিকে চলে যাবো তখন মাঝি বলে সমস্যা নেই টাক লেগে ঠিক ফিরবে।
একথার মনে হলো এইযে তুমি যতই যা করো এক সময় তুমি ঠিক ফিরে আসবে তবে সাবলিল ভাবে নয় দুমরে মুচরে যাও নৌকার মত যখন আপনার অবস্থা হবে।