আমি,রিহান আর শুভ তিন বন্ধু এখন বাসে বসে আছি… আর আমাদের সামনের সিটে বসে আছে হলুদ সাড়ি পরিহিতা একটা মেয়ে..
.
আমরা যেখানে যাচ্ছি , মেয়েটাও সেখানে যাচ্ছে…
না, মেয়েটাকে আমরা কেউ’ই চিনি না, এই প্রথম দেখা…
পরিচয় নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, মেয়েটা নাকি তার ছোট খালার বাসায় যাচ্ছে, তার ছোট খালার মেয়ের নাকি বিয়ে…
আর তার ছোট খালার বাসা আমার মামার বাসার পাশেই…
জানতাম না, মেয়েটা মামার বাসার প্রতিবেশির আত্মীয় হয়, আগে কোনদিন দেখিনি তো তাই…!
বাসে যাওয়ার সময় মেয়েটার সাথে অনেক কথা বললাম…
মেয়েটার নাম “তাহমিদা”, ইন্টার ১ম বর্ষের ছাত্রী,খুলনায় থাকে…মেয়েটা একা আসেনি, মেয়েটার সাথে তার বৃদ্ধ দাদীও আছে।
তার দাদীকে দেখলাম, ঝিমোচ্ছে…বৃদ্ধ মানুষ ঝিমোনোটাই স্বাভাবিক…
.
এই মুহূর্তে রিহান কানে হেড ফোন লাগিয়ে ডিজে গান শুনছে, বোঝা’ই যাচ্ছে ডিজে গান চলছে…
কারণ, ও যেমন মাথা নাচিয়ে নাচিয়ে পাগলের মতো করছে, তাতে যে কেউ চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে,ও ডিজে গান শুনছে…
.
শুভকে দেখলাম চুপচাপ গল্পের বই পড়ছে… শালা আবার একটু সাহিত্যিক টাইপ এর ছেলে…
ছেলেটা অনেক ভদ্র ছেলে…কিন্তু প্রচুর মিথ্যা কথা বলে…
আর এমন ভাবে বলবে, ওর কথা শুনে যে কেউ বিশ্বাস করে ফেলবে…
.
আমি জানালার পাশে বসে আছি… জানালা দিয়ে শীতল বাতাস আমার মুখে এসে লাগছে… মন্দ লাগছে না, আর আমি সবসময়’ই জানালার কাছে বসি, এর একমাত্র কারণ,
প্রকৃতিকে উপভোগ করা…
আনন্দ মনে প্রকৃতি দেখছি আর মাঝে মাঝে রিহানকে কাধ দিয়ে ধাক্কা মেরে বলছি, “ওই দেখ দোস্ত, মহিষ এর পাল…”
আবার বলে উঠছি,”ওই দেখ আখ ক্ষেত” কিন্তু শালা রিহান দেখছেই না… পাগলের মতো গান’ই শুনে যাচ্ছে…
তাই কিছুটা হলেও মন খারাপ করে বসে আছি আর জানালা দিয়ে একাই প্রকৃতি দেখে যাচ্ছি.
মেয়েটা আমার মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করলো,” প্রকৃতিকে অনেক ভালোবাসেন তাই না…!”
–হুম,অনেক… কিন্তু এই প্রকৃতি একা দেখার মাঝে কোন মজা নেই… দেখুন না, হারামি গুলো সব নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত…
–মেয়েটি হেসে দিলো…
আহা সে কি অপরূপ হাসি…! আমি আগে কখনো এমন হাসি দেখেছি কিনা মনে হয় না…
কথা বলতে বলতে কোন এক পর্যায়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলাম,”আচ্ছা, তুমি তো সবেমাত্র ইন্টার ১ম বর্ষে… তা কলেজ কেমন চলছে….?”
–হুম,ভালো…
–কলেজে যেতে ভালো লাগে…?
–হুম…কেন আপনার যেতে ভালো লাগে না…!
–সত্যি বলতে না…
–কেন…?
–একেবারে জেলখানা… এর থেকে জেলখানাও অনেক ভালো…
–কেন জেলখানা কেন…?
–আসলে আমি যেই কলেজে পড়ি, ওই কলেজে অনেক কড়াকড়ি…
সেই সকাল ৯:৪৫ থেকে শুরু হবে আর শেষ হবে ২:২০ এ…এর আগে কলেজ থেকে বেরুতেই দেবে না…
আর মোবাইল তো নিতেই দেয় না…
–মেয়েটা হেসে দিলো…আচ্ছা আপনি কোন ক্লাস এ পড়েন…?
–আমি ইন্টার ২য় বর্ষে…
–ওওও…কোন কলেজ…?
–হাজি লাল মিয়া সিটি কলেজ…
–ওওও…
–হুম…আচ্ছা, একটা কথা বলবো…?
–হ্যা, বলুন…
–কিছু মনে করবে না তো…!
–না করবো না…
–তুমি যেহেতু আমার থেকে ছোট, আমি কি তোমাকে তুমি করে বলতে পারি…?
–বলেই তো বসেছেন…
–কিছু মনে করলে না তো…!
–না…
–আচ্ছা একটা পারসোনাল প্রশ্ন করতে পারি…!যদি কিছু মনে না করো…?
–হ্যা,করুন…
–তুমি তো সবেমাত্র ইন্টার ১ম বর্ষে…
–হুম, তো…?
— না মানে, কাউকে ভালোবাসো…! না মানে বলতে চাইছি, এই বয়সে’ই তো সবাই প্রেমে পড়ে, তাই আরকি বলছিলাম…
–মেয়েটি মুচকি হেসে উত্তর দিলো,”না”
আমি মনে মনে,”যাক বাবা, বাচা গেলো, আমার চান্স আছে…
–আপনি কাউকে ভালোবাসেন…?
–সত্যি বলতে একজনকে ভালো লাগে… তবে ভালোবাসি কিনা জানি না…
–ওওও…দেখতে কেমন…?
–ভালোই…
–ওওও…
–হুম…
.
এরপর মেয়েটার সাথে অনেক কথা বললাম…
প্রায় ২ঘন্টা পর আমরা এক’ই সাথে বাস থেকে নামলাম…
এখন টলার ধরতে হবে,
রিহান তো প্রায় শুনতেই পায়নি, যে আমরা পৌছে গেছি… শালার পিঠে একটা কিল দিলাম, তারপর শুনতে পেলো,
.
আমরা এখন টলারে বসে আছি…আর মেয়েটা আমাদের সামনে… টলার ছাড়তে এখনো প্রায় আধ ঘণ্টা লাগবে,
এখনো অনেক যাত্রী নেওয়া বাকি আছে…
মেয়েটাকে দেখলাম, হাত দিয়ে নদীর পানি ধরছে একেবারে বাচ্চাদের মতো…আমার চোখের দিকে চোখ পড়তেই মেয়েটি মুচকি হেসে দিলো…
আমি বার বার এই হাসিটির প্রেমে পড়ে যাচ্ছি…
তো ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম, এখনো টলার ছাড়তে প্রায় ২০ মিনিট বাকি আছে… তাই ভাবলাম, একটা সিগারেট খেয়ে আসি…
একটু পরে সিগারেট খেয়ে এসে একটা চুইংগাম চিবুতে
চিবুতে আসলাম… মেয়েটি মনে হয় সন্দেহ করেছিলো, আমি সিগারেট খেয়ে আসছি…
মেয়েটি জিজ্ঞেস করলো,
–আপনি সিগারেট খান তাই না…?
–ছিঃ, সিগারেট খেলে ক্যান্সার হয় জানো না বুঝি…!
–হ্যা,কিন্তু আপনি খান…
–না, খাই না…
–তাহলে চুইংগাম চিবোচ্ছেন যে…!
–কেন…! চুইংগাম খেতে পারি না বুঝি…!
–না মানে, এখন তো সবাই সিগারেট খেয়ে চুইংগাম
খায়,তাই ভাবলাম আপনিও…
–না,আমি খাই না…
–ওও, আচ্ছা, সরি…
–হুম…
.
যাক বাবা মিথ্যা বলে বেচে গেলাম… এরপর নিজেদের গন্তব্যে পৌছুতে প্রায় আরোও আধ ঘন্টা লাগলো…
এর মধ্যে মেয়েটার সাথে আর একবারের জন্যও কথা হয়নি…হবেই বা কি করে মেয়েটার দাদী তখন জেগে ছিলেন…
যেতে যেতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো…
এরপর আমি গেলাম মামার বাসায় আর মেয়েটা তার খালার বাসার দিকে, যাওয়ার আগে মেয়েটা বলে গেলো,”আচ্ছা, তাহলে পরে কথা হবে…”
মামার বাসায় যেতে’ই ক্লান্ত হয়ে কিছু খেয়ে শুতে গেলাম… কিন্তু এতো ক্লান্তির মাঝেও ঘুম আসছে না…
বার বার মেয়েটার কথা মনে পড়ছে, অনেক সুন্দর করে কথা বলে আর হাসির তুলনা তো করবোই না…
আমি, রিহান আর শুভ যেহেতু এক’ই খাটে শুয়েছিলাম…
সেহেতু রিহানকে দেখলাম নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে, কিন্তু শুভ ঘুমোইনি,বই পড়ছে…
শুভ আমাকে জিজ্ঞেস করলো,”কিরে এখনো ঘুমোসনি…!”
আমি বললাম,”তুই ও তো ঘুমোসনি…”
–আমি তো দেড়ি করে’ই ঘুমোই… কিন্তু তুই…? সত্যি করে বলতো, আজ যে মেয়েটার সাথে আসছি,তার প্রেমে পড়লি না তো…!
–কি যে বলিস না…
–তাহলে যে মেয়েটার সাথে এতো কথা বললি,মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকলি… ব্যাপার কি…! সত্যি করে বল তো…
–জানি না দোস্ত… মেয়েটার হাসি কিন্তু সেই…
–বললাম না, আমার অনুমান’ই ঠিক… তুই মেয়েটার প্রেমে পড়ছিস…
–জানি না…
এরপর আমি আর শুভ রাতভর গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লাম…
.
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করতে করতে আশেপাশে ঘুরতে লাগলাম… হয়তো মেয়েটার খোঁজ
করছিলাম…
শুভ হঠাৎ আমার হাবভাব বুঝতে পেড়ে বললো,”মেয়েটার খালার বাসা তোর মামার বাসার পিছে…”
একটা মুচকি হাসি দিয়ে আমি মামার বাসার পিছে গেলাম… গিয়েই দেখলাম, বাড়ি ভরতি মেহমান…
মেয়েটাকে অনেক খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না… অতঃপর মন খারাপ করেই আবার ফিরে এলাম…
সকালের নাস্তা করে’ই আমি, রিহান, শুভ আর মামা গেলাম বাজারে…
বাজারে গিয়েই মনটা ভালো হয়ে গেলো, হ্যা, মেয়েটিকে বাজারে’ই পেলাম… হাতে অনেক গুলো ব্যাগ আর সাথে তার খালু…
তাই কিছু বললাম না, শুধু একটা মুচকি হাসি দিয়ে বাজার সেরে আবার চলে আসলাম…
.
বাসায় এসেই আমি চলে গেলাম, মেয়েটাকে দেখতে…
গিয়ে দেখি মেয়েটা মেহেদী হাতে বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে বসে আছে… সবাই ব্যস্ত…
আমি মেয়েটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,”কেমন আছো…?”
–ভালো, আপনি…?
–হুম,ভালো…
–সবাই ব্যস্ত তাই না…?
–ব্যস্ত হবে না! বিয়ে বাড়ি, বুঝতেই পারছেন…
–তুমিও ব্যস্ত তাই না…!
–কেন…!
–না মানে সকালে তোমাকে একবার খুঁজতে এসেছিলাম, কিন্তু পেলাম না… পরে বাজারে পেলাম…তাও কথা হলো না,
–কি…! আমাকে খোঁজার কারণ কি…! (মুচকি হেসে)
–না মানে, এমনি’ই… আচ্ছা, আমি এখন আসি, পরে কথা বলবো…
সেখান থেকে আমি লজ্জামাখা মুখ নিয়ে চলে আসলাম…
.
কাল মেয়েটার খালাতো বোনের বিয়ে… মামাদের দাওয়াত দেওয়ার সুবাদে আমরাও যাব…
না, আমি খাওয়ার জন্য যাব না, আমি যাব মেয়েটাকে দেখার জন্য আরে খাওয়ার জন্য যাবে তো, রিহান আর শুভ… দুইটাই পেটুক…
সেদিন সারারাত মেয়েটার কথা ভেবেছি… তাহলে কি আমি মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছি…!
কিন্তু আমার তো অন্য কাউকে ভালো লাগে… আচ্ছা, তাহলে কি ভালো লাগা আর ভালো বাসা আলাদা জিনিষ…!
নানা রকম প্রশ্নের চিন্তায় বিভোর থেকে সেদিন আর ভালো মতো ঘুমোতে পারলাম না…
.
পরদিন সকাল থেকে’ই মেয়েটাকে দেখার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিলাম… কিন্তু পাইনি… এদিকে দাওয়াত এর টাইম আসতেই আমরা রেডি হতে লাগলাম…
একটা হলুদ সার্ট পড়েছিলাম… মনে হচ্ছে সকলের থেকে আমার তাড়া’ই বেশি…
.
বিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই আমি অবাক…
মেয়েটাকে দেখলাম, একটা নীল সাড়ি পরিধান করে দাড়িয়ে আছে… হাতে কাচের চুড়ি, মুখে হালকা মেকআপ ঠিক জেনো একটা পরীর মতো লাগছে…
আমি রিহান, শুভ আর মামাকে বললাম, তোমরা ওদিকে যাও আমি একটু আসছি, মেয়েটার কাছে গিয়ে আমি,,
–আজ তোমাকে না অনেক সুন্দর লাগছে… একেবারে পরীর মতো…
–ধন্যবাদ…
ভাবলাম, মেয়েটা এখন বলবে,”আপনাকেও দারুণ লাগছে…”
কিন্তু বললো না… তাই আমিই জিজ্ঞেস করলাম,
–আমাকে কেমন লাগছে…?
–সত্যি বলতে একটুও ভালো লাগছে না…
–কেন…?
–এই যে হলুদ সার্টে আপনাকে মানাচ্ছে না…আমার মনে হয় নীল সার্ট এ মানাতো,
–আচ্ছা পাঁচ মিনিট দাড়াও, আমি আসছি…
এই বলেই আমি আমার মামার বাসায় গেলাম নীল সার্ট পরিধান করতে… ভাগ্যিস, সাথে করে একটা নীল সার্ট এনেছিলাম…
একটু পরে’ই আমি মেয়েটার সামনে এসে,
–এখন কেমন লাগছে…?
–হুম, অনেক সুন্দর… বলেছিলাম না, নীল সার্ট এ আপনাকে ভালো মানাবে…
–ধন্যবাদ…
–আচ্ছা, আমার কথাতেই সার্ট চেঞ্জ করছেন তাই না…!
–না মানে, এই এমনি’ই…
–হইছে হইছে, আর বলা লাগবে না…
এরপর মেয়েটার সাথে অনেক গল্প করলাম… তারপর, আমি,রিহান আর শুভ এক’ই টেবিলে বসে খেয়ে বাসায় ফিরে আসলাম…
বাসায় এসে অনেক ক্লান্ত ছিলাম,
তাই সেদিনকার মতো আর কথা হয়নি…
.
তারপরের দিন,,
সকাল থেকে’ই মেয়েটাকে খুঁজে চলেছি… কিন্তু পেলাম না… তাই মন খারাপ করে নদীর ধারে বসে বসে গান শুনছিলাম…
এমন সময় দূর থেকে মেয়েটাকে দেখতে পেলাম… হ্যা,
মেয়েটি এদিকে’ই আসছে… মেয়েটার সাথে দেখতে পেলাম ৪-৫ বছরের একটা ছেলে… হয়তো তাকে নিয়েই ঘুরতে বেড়িয়েছিলো…
মেয়েটি আমার কাছে এসে,,
–কি মিস্টার, এখানে একা বসে আছেন যে…!
–না, এমনি’ই…
–এমনি, নাকি মন ভালো নেই…?
–না, এমনি’ই…আর আমার মন কখনো খারাপ থাকে না…
–হুম, ভালো হলেই ভালো…
এরপর মেয়েটাকে বললাম,”চলো না, আশেপাশে ঘুরে আসি…!”
মেয়েটা বললো,”মাত্রই ঘুরে আসলাম, এখন আবার…!
ভালো লাগছে না…”
–চলো না, আর আমি তো মামার বাসায় আসার পরে একটুও ঘুরিনি…
–আচ্ছা, চলেন…
.
এরপর আমরা অনেক যায়গা ঘুরে আবার সেই নদীর তীরে এসে বসলাম…
প্রায় ৫মিনিট নীরবে বসে থাকার পর,,
–আচ্ছা, রঙধনু তোমার কাছে কেমন লাগে…?(আমি)
–অনেক ভালো লাগে…
–তাহলে ওই দেখো…(আকাশের দিকে দেখিয়ে)
মেয়েটা রঙধনু দেখে’ই বাচ্চাদের মতো লাফিয়ে উঠলো…তারপর রঙ গুলো গুনতে লাগলো…
রঙ গোনার পর,,
–আচ্ছা,৭টা রঙ থাকার কথা, কিন্তু আমি তো ৬টা
দেখছি…(মেয়ে)
–ভালো ভাবে দেখো, ৭টা’ই দেখতে পাবে…
এরপর মেয়েটা আবার আকাশের দিকে তাকিয়ে ভালো
ভাবে দেখতে লাগলো…
–হ্যা, এইবার ৭টা রঙই খুঁজে পেয়েছি…
.
এরপর অনেক্ষন গল্প করার পর মেয়েটার সাথে থাকা বাচ্চাটাকে একটা আইসক্রিম ধরিয়ে দিয়ে তারপর বাসায় গেলাম…
.
এর পরেরদিন,,
মেয়েটাকে অনেক খুঁজাখুঁজির পর না পেয়ে, রিহানকে জিজ্ঞেস করলাম,”তাহমিদাকে দেখছিস….?”
রিহান বললো,”না, সকাল থেকেই তো মেয়েটাকে দেখতে পাচ্ছি না…”
.
.
এরপর মেয়েটাকে আর খুঁজে পাইনি… হয়তো সকালেই নিজের বাড়িতে চলে গেছে…
এই কয়দিনের পরিচয়ে মেয়েটার মায়ায় পড়ে গেছি… যে মায়ার জাল থেকে বেরুতে পারবো কিনা জানি না…!
তবে মেয়েটাকে হয়তো ভালোও বেসে ফেলেছি, আজ বুঝতে পারছি, ভালো লাগা আর ভালো বাসার মধ্যে অনেক পার্থক্য…