ভুত পেত্নীর ভালোবাসা

ভুত পেত্নীর ভালোবাসা

কাল সকালে মিলির সাথে দেখা করতে যাবো সেই খুশিতে ঘুমই আসছে না। শুধু মন বলছিলো ঘুমালে যদি সময় মতো জাগনা না পাই তো? ঘড়িতে আর মোবাইলে দু’টোতেই এলার্ম দিয়ে রেখেছি তবুও মন ঘুমানোর সায় দিচ্ছে না৷ তাই মনে মনে ভাবলাম কালকের দিন টা আমার আর মিলির কেমন যাবে এই নিয়ে একটু কল্পনা করি। যেই ভাবা সেই কাজ। চলে গেলাম আমার কল্পনার রাজ্যে।
বাস থেকে উত্তরা নামতেই মিলির ফোন।

–হ্যাঁ বল।
–কোথায় রে তুই?
–এই তো প্রায় পেয়ে গেছি। তুই কি করিস?
–আমি মাত্র এসে পৌঁছালাম।
–একটু ওয়েট কর প্রায় পেয়ে গেছি।
–সমস্যা নেই। সাবধানে আয় কেমন।
–আচ্ছা, রাখলাম তাহলে।
–হুম রাখ।

প্রায় মিনিট দশেক পর পৌঁছে গেলাম আমার গন্তব্যে যেখানে মিলির সাথে দেখা করার কথা ছিলো।
পার্কে ঢুকে মিলিকে ফোন দিলাম।

–কই রে তুই?
— এইতো পুকুর পাড়ে, তুই কই?
–আমিও তো৷ কোন দিকে তুই?
— আমি কালো শাড়ি পড়ে এসেছি৷ খোলা চুল, হাতে কালো চুড়ি দেখ এমন কাউকে চোখে পড়ে কি না।

মিলির কথা মত কালো শাড়ি পড়া মেয়েকে খুঁজতে চারদিকে চোখ বুলালাম। না পেয়ে সামনে তাকাতেই দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে। সেই এক বছর আগে ওর ছবি দেখেছিলাম আর আজ সরাসরি। মেয়েরা ছবির থেকে আসলেই বাস্তবে বেশি সুন্দরী হয়।

–কি রে, কি দেখিস?
–তোকে দেখি।
–আগে বুঝি দেখিস নি।
–দেখেছি তবে সেটা প্রতিবিম্ব ছিলো।
— হি হি,তুই কথাও বলতে পারিস।
–হুম পারি তো।
–এই দেখ আমিও না পাগল একটা। জার্নি করে এসেছিস আর আমি বকবক করেই যাচ্ছি।
–কোন সমস্যা নেই আমি ঠিক আছি তো।

–একদম চুপ থাক, আয় আমার সাথে।

বলেই মিলি হাত ধরে টেনে একটা বেঞ্চে বসালো। তারপর ব্যাগ থেকে কয়েকটা বাটি বের করলো।

–তোকে এক বছর আগে বলেছিলাম না, যেদিন আমরা দেখা করবো তোকে আমি নিজের হাতের করা রান্না খাওয়াবো। এই যে দেখ নিয়ে এসেছি।

মিলির কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। মেয়েটা এমন কেন? সব কিছুই মনে রাখে।

–তোর প্রিয় চিংড়ি মাছ আর আলু ভাজি। নে হা কর৷
–আরে কি বলিস! এতো লোকের ভিতর খাইয়ে দিবি?
–বেশি কথা বললেই মাইর খাবি কইলাম। হা করতে বলেছি হা কর।

কি আর করা বাধ্য ছেলের মত হা করলাম। আমি লজ্জা মিশিয়ে খাচ্ছি আর আশেপাশে দেখছি। সবাই আড় চোখে তাকিয়ে আছে।

–ঐ হারামি বললি নাতো রান্না কেমন হয়েছে।
–উহ, ও হ্যাঁ ভালো হয়েছে অনেক। দেখতে হবে না কার হাতের রান্না।
–পাম মারা বাদ দে। নে হা কর।
–তুই খাবি না?
–খাবো তো, তুই আমাকে আইসক্রিম, ফুচকা, চকলেট খাওয়াবি ওগুলা খাবো।
–পাগলি একটা, এই কথাও মনে রেখেছিস?
–কিছুই ভুলি নি রে পাগল।
–তাই তো দেখছি।
–ঐ পাগল।
–বল শুনছি।
–জিহ্বা দিয়ে নাক ছু তো।

ও সেই এক বছর ধরে এই কথাটা প্রতিদিন বলে। আমি জানি না কথা টা কেন বলে। তবে এতটুকু উপলব্ধি করতে পারি যে প্রচণ্ড ভালেবাসাটা ও ভিন্ন ভাবে প্রকাশ করে।

খাওয়া শেষ করে ওকে নিয়ে পার্কের এদিক সেদিক ঘুরলাম। তারপর ওকে আইসক্রিম, ফুচকা, চকলেট খাওয়ালাম। কিছু কিছু মেয়েরা বুঝি এমনই হয়! অল্পতেই খুশি। বাচ্চাদের মতো কথাবার্তা।

–আসিফ, তোকে একটা কথা বলি?

মিলি আর আমি লেকের পাড়ে বসেছিলাম তখন ও বললো।

–কি কথা বল।

–এই একটা বছর ধরে দু’জন প্রতিটা দিন এক এক করে গুনে আসছি শুধু মাত্র এই একটা দিনের জন্য। এই একটা দিনের জন্য আমার কত যে স্বপ্ন তা তোকে বলে বোঝাতে পারবো না, তবে এতটুকুই বলবো আমি যেভাবে একটা বছরের প্রতিটা দিন তোর কাছে আসার জন্য গুনেছি সেভাবে সারাজীবন প্রতিটা দিন তোর পাশে থেকে গুনতে চাই৷ আমাকে দিবি একটা সুযোগ?

মিলির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ দিয়ে টুপ করে দু’ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো। কি করে ওকে বোঝাবো আমিও যে এই একটা দিনের অপেক্ষায় চাতক৷ পাখির মতই চেয়ে ছিলাম। আমিও যে সারাজীবন ওর পাশে কাটাতেই টুকরো টুকরো ভালোবাসা জমিয়েছি।

— কি রে দিবি না একটা সুযোগ?

ক্রিং ক্রিং ক্রিং……….

এলার্মের শব্দে আমার এত সুন্দর কল্পনার ব্যাঘাত ঘটলো। ধ্যাত, ওকে বলাই হলো না যে আমিও ওকে ভালোবাসি, অনেক অনেক ভালোবাসি। আর এ’কথা বলতেই তো এত দিন ধরে অপেক্ষা করা।

খাট থেকে নেমে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ভোর সাড়ে ছয়টার গাড়ি। ছয় ঘন্টার জার্নি তাই সকালের টিকেট কাটা।

ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিলাম। তারপর বাসা থেকে বের হয়ে বাসট্যান্ডে এলাম। কিছুক্ষণ পরপরই শরীরটা অদ্ভুত এক কারণে শিহরিত হচ্ছে। জানি না কেন। ছয়টা চল্লিশ বাজতেই গাড়ি চলতে শুরু করলো আর আমিও এগুচ্ছি ভালোবাসার এক মিটার করে কাছে।

কাল রাতে যখন দেখা করা নিয়ে মিলির সাথে কথা বলতেছিলাম তখন ও বললো আমাকে নাকি কি একটা সারপ্রাইজ দেবে। আমি জানি কি সারপ্রাইজ সেটা। ও আমাকে ভালোবাসে এটা বলবে আর ওর হাতের রান্না খাওয়াবে।

ঢাকার অসহ্য জ্যাম ঠেলে দুপুর একটার একটু পর ঢাকায় পৌঁছালাম। অসহ্য গরম। মিলির বলা জায়গার উদ্দেশ্যে যেতে যেতে ওকে ফোন দিলাম। তিনবার কল দেয়ার পর চতুর্থ বার ধরলো।

–হ্যাঁ বল।
–আমি তো ঢাকাতে চলে এসেছি, তুই কই?
–আমি তো বাসায় রে।
–আসতে কত সময় লাগবে?
–বেশি না ঘন্টা খানেকের মধ্যেই চলে আসবো তুই ওখানে গিয়ে বস কেমন?
–আচ্ছা ঠিক আছে, সাবধানে আসিস কেমন?
–আচ্ছা।

মিলির কথা শুনে একটু খারাপই লাগলো। ভেবেছিলাম আমি আসার আগেই ও চলে আসবে। একদিনের জন্য ঢাকায় আসা। শুধু ওর সাথে দেখা করেই চলে যাবো। ভেবেছিলাম আপাতত যাওয়ার পর থেকে সব সময় ওর সাথেই কাটাবো তবে তা আর হলো না। আমি রিক্সা নিয়ে ওর কথা মতো রমনা পার্কে চলে এলাম। মনটা একটু খারাপ হলও ভিতরে ভিতরে খুব খুশি আমি। কারণ, এক- মিলির সাথে আজ দেখা হবে, দুই- মিলিকে আমার ভালোবাসার কথা বলে দেবো। যদিও মনে হচ্ছে মিলিই আগে বলবে কথা টা। কারণ, ও যে কি না কি একটা সারপ্রাইজ দেবে।

বিকেল সাড়ে তিনটার পর মিলির আগমন। ওকে দেখেই বুকের ধকধকানি খুব বেড়ে গেছে। ভেবেছিলাম ও হয়তো কালো শাড়ি পড়ে আসবে অথবা নীল। তবে ও মিষ্টি কালারের একটা
থ্রি-পিচ পড়ে এসেছে। তবুও ওকে যথেষ্ঠ সুন্দর লাগছে।

— কেমন আছিস রে পাগলি?
–ভালো,তুই?
–আমিও ভালো। এতো লেট করে আসলি যে?
–কি করবো বল একটা কাজ ছিলো তাই এমন হলো।
–ওহ, আচ্ছা ঠিক আছে।
–চল আমরা গিয়ে একটা রেস্টুরেন্টে বসি।
–আচ্ছা চল।

খাবারের অর্ডার মিলিই করলো৷ সব থাই খাবারের অর্ডার। অথচ আমি ওকে বলেছিলাম বাইরের খাবার আমার ভালো লাগে না। হয়তো ভুলে গেছে। আবার এটাও ভেবেছিলাম ও রান্না করে নিয়ে আসবে। তবে ও এমনিতেই যে তাড়াহুড়ো করে এসেছে এতে রান্নার কথা কি মনে থাকে?

খাবার চলে এসেছে। আমার খিদে লাগলেও খেতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে এখনই মিলিকে মনের ভিতরকার সব কথা হর হর করে বলে দেই। তবে ওর কোন রেসপন্স না পাওয়ায় কিছু বললাম না। কোন রকমে খাওয়া শেষ করে মিলিকে নিয়ে আবার রমনা পার্কে আসলাম। তারপর ওকে আইসক্রিম,ফুচকা, চকলেট খাওয়ালাম।
এখন ও আর আমি বসে আছি লেকের পাড়ে। ভাবছি,

আমি কি বলবো ওকে আমার কথা গুলা? না কি আগে ওর সারপ্রাইজ টা নিবো?
আমি তো জানি ও আমাকে ভালোবাসে এটাই বলবে। আচ্ছা ওর মুখেই শুনি। এই ভেবে ওকে বললাম,

— তুই না বলেছিলি আমাকে একটা অনন্নেক বড় সারপ্রাইজ দিবি, দে সেটা।
–পাগল একটা। একটু ধৈর্য ধর। না হলে এত বড় সারপ্রাইজ সামলাতে পারবি না।
–হি হি৷ সামলে নেবো ঠিক তুই বলতো।
–আচ্ছা আর দশ মিনিট ওয়েট কর তাহলে।
–আচ্ছা।

আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে এক একটা সেকেন্ড গুনছি যেন একটা সেকেন্ড ও বেশি না হয়। তখনই মিলির ফোন এলো আর ও কথা বলতে একটু দূরে গেলো। আমি গুনছি তো গুনছি।

আর মাত্র এক মিনিট তেইশ সেকেন্ড বাকি। মনটা খুশিতে নাচছে আমার তখনই মিলি বললো,

–আসিফ।

আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়েই জবাব দিলোম,

–বল, শুনছি তো।
–সারপ্রাইজ নিবি না?
–নেবো বলেই তো এতো দিন ধরে অপেক্ষা করা। বল তাড়াতাড়ি।
–এদিকে তাকা।
–দেখছিস না আমি সময় কাউন্ট করতেছি তুই বল।
–আরে বাবা তাকা না একবার।
–আচ্ছা বাবা তাকাচ্ছি।

আমি ধকধক করা বুকটা নিয়ে ঘড়ির দিক থেকে মুখটা তুলে তাকালাম।

মিলি আমার থেকে কিছু টা দূরে দাড়িয়ে আছে। আর ওর পাশেই সুদর্শন একটা ছেলে। কিছু মাথায় আসছে না। এখনও বলে না কেন কথাটা।

–কি রে কেমন সারপ্রাইজ দিলাম? বলেই মিলি ছেলেটার ডান হাত জড়িয়ে ধরলো।
আমি তবুও বুঝি নি। ও সারপ্রাইজ দিচ্ছে না কেন?

— কই তোর সারপ্রাইজ জলদি বল।
–গাধা একটা। এখনও বুঝিস নাই?
–বুঝি নি তুই মুখে বল তাড়াতাড়ি।
–আরে বাবা এত গাধা তুই তা তো জানতাম না। এটা হলো আমার ভুত।
–হুম, তো?
–চিনিস নি ওকে?
— না, কে?

–আরে বাবা ঐ যে তোকে বলেছিলাম আমাদের কথা। ঐযে আমার একটা ছেলের সাথে রিলেশন ছিলো আর সে আমাকে ভুল বুঝে চলে গেছিলো। তোকে বলতাম না সব সময় আমার ভুতটার কথা। এই সেই ভুত, অনিক।
আমার ভুত! কথাটা ভালোভাবে বুঝতেই বুকটা মোচড় দিয়ে উঠলো।

— কি রে কেমম সারপ্রাইজ দিলাম হু?

মনে হচ্ছে বুকের এপাশ দিয়ে চিঁড়ে ওপাশ দিয়ে কিছু বিঁধে বের হয়ে গেলো। তবুও নিজেকে কোন রকমে স্বাভাবিক করে বললাম,

–হারামি কোথাকার, তলে তলে এতদূর? আর আমি কিছুই জানি না? কবে থেকে এসব চলছে হ্যাঁ?

–আরে বাবা রাগ করিস না শোন শোন। তোর সাথে কথা বলার মাস কয়েক পরই আবার ওর সাথে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যায়। খুব ভালোবাসি তো, তাই হারাতে চাই নি।

–তাই বলে আমাকে বললিও না, ভালো ভালো।
–আরে বাবা রাগ করিস না। বলে দিলে কি আর আজকে তোকে সারপ্রাইজ দিতে পারতাম।
–হা হা। তাও ঠিক৷ তবে যাই বলিস আমি কিন্তু কল্পনাতেও ভাবি নি এত সুন্দর একটা সারপ্রাইজ দিবি।
–হি হি৷ তোর কল্পনার চেয়েও সুন্দর হয়েছে কি না তাই বল।
— হাজার গুনে সুন্দর হয়েছে।
–আচ্ছা সে যাই হোক তুই এখন আমাদের একটা খুব সুন্দর করে ছবি তুলে দে তো।
–আচ্ছা দিচ্ছি দাড়া।

মিলি আর অনিক দু’জনে পাশাপাশি দাড়ালো। আর আমি ফোনের স্ক্রীনের দিকে অপলক চেয়ে আছি। কত খুশি পাগলি টা। বাচ্চাদের মত করে হাসছে।

–কাছে গিয়ে হাতটা জড়িয়ে ধরে দাড়া।

মিলি অনিকের হাতটা ধরে দাড়ালো। বাহ খুব মানিয়েছে দু’জন কে।

–বাহ তুই তো ভালো ছবি তুলতে পারিস রে। বিয়ের সময় কিন্তু তোকেই ছবি তুলে দিতে হবে।
–হা হা। তোদের জুটিটা সুন্দর তাই ছবি ভালো হয়েছে, আমার কোন হাত নাই৷
–হা হা।
–আচ্ছা মিলি সন্ধ্যা হয়ে এলো রে আমাকে আবার ফিরে যেতে হবে।
–এখনই চলে যাবেন ভাইয়া? অনিক বললো।
–হ্যাঁ ভাই অনেক দূর থেকে এসেছি যে।
–আচ্ছা ঠিক আছে যা। তবে গিয়ে কিন্তু জানাবি কেমন?
–আচ্ছা ঠিক আছে জানাবো। তোরা দু’জন ভালো থাকিস কেমন। আর হা বিয়ের দাওয়াত না দিলে খবর আছে।
–পাগল একটা। দাওয়াত পাবি।
–আচ্ছা তাহলে গেলাম কেমন, আল্লাহ হাফেজ।
–আল্লাহ হাফেজ।

পিছু ফিরে হাঁটা শুরু করলাম। সাথে সাথেই টুপ করে চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো। বড্ড দেখতে ইচ্ছা করছিলো পাগলিটাকে৷ তবে ভয় হচ্ছিলো খুব তাই আর তাকালাম না। ভুতের বুকে পেত্নীটাকে দেখলে হয়তো মাথা ঠিক থাকবে না।

ল্যামপোস্টের সোডিয়াম আলোর নীচ দিয়ে এক পা একপা করে হেঁটে চলেছি। হাতে মিলির জন্য কেনা একজোড়া কাঁচের নীল চুড়ি,একটা পায়েল আর একটা কালো ওড়না৷ এগুলা গত বছরে ওর জন্মদিনে উপহার দেবো বলে কিনেছিলাম। তবে ও বলেছিলো যেদিন দেখা হয় সেদিন নিজ হাতে পায়েল আর চুড়ি পড়িয়ে দিস।

কল্পনা হয়তো বাস্তব থেকে আকাশ পাতাল ভিন্ন হয়। তাই তো আর হলোনা ওর হাতে চুড়িগুলো আর পায়ে পায়েল পড়িয়ে দেয়া। চোখ টা শার্টের হাতা দিয়ে মুছে নিলাম।

গাড়িতে করে ফিরছি বাড়ির পথে। হাতে মিলির জন্য কেনা নীল চুড়ি আর সেই পায়েল টা।

ভালোবাসা গুলো এভাবেই বেঁচে থাকুক না বলা কথা আর সেই নীল চুড়ির মাঝে। মিশে থাকুক পায়েলের প্রতিটা খাঁজে। ভালোবাসা জড়িয়ে থাকুক কালো সেই ওড়নায়।

বেঁচে থাকুক ভুত পেত্নীর ভালোবাসা।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত