প্রতিদিনের মতো আজও রিকশাতে করে বাসায় ফিরছে কেয়া..আর তার রিকশার পিছন পিছন সাইকেলে করে আসছে চয়ন।ব্যাপারটা বেশ কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করছে কেয়া..সে যখন কোচিং শেষে বাসায় ফিরে তখনই ছেলেটা তার পিছু পিছু আসে..তাই আজ কেয়া ছেলেটাকে শায়েস্তা করার জন্য রিক্সা থামালো..
হঠাৎ করে রিকশা থেমে যাওয়ায়..চয়ন সাইকেলে ব্রেক করার সময় পাইনি।তাই চয়ন সাইকেল নিয়ে রিকসার পেছনে ধাক্কা খায়..ঠিক তখনই রিকশা থেকে নামছিল কেয়া..আর চয়নের সাইকেল রিকশাতে ধাক্কা লাগার
কারনে..রিকশা নড়ে ওঠে..আর কেয়া পড়ে যায়..এতে কেয়ার রাগ মাথায় উঠে যায়..আর তাই তাই সে দ্রুত চয়নের কাছে গিয়ে ওর গালে সজরে থাপ্পর মারে..
ঠাসসসসসসসস..
:-এই ছেলে তুই প্রতিদিন আমাকে ফলো করিস কেনো?বাড়িতে মা বোন নাই?রাস্তা ঘাটে মেয়েদের শান্তিতে চলে দিবিনা নাকি?আর আজ তোর জন্য আমি পড়ে গেলাম(কেয়া)
:-দেখুন আমি ইচ্ছা করে আপনাকে ফেলে দিইনি..হঠাৎ করে আপনার রিকশা থেমে গেলো..তাই সাইকেল কন্টোল করতে পারিনি(চয়ন)
:-ফালতু কথা রাখ..আমাকে প্রতিদিন ফলো করিস কেনো সেটা বল..সুন্দরি মেয়ে দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়..তাইনা?
:-আপনি যা ভাবছেন তা নয়..আমি আপনাকে……..
:-থাক তোকে আর কিছু বলতে হবেনা..শোন আজকের পর থেকে যদি তুই আমার পিছু নিয়েছিস তাহলে তোর খবর খারাপ করে দিবো..
:-আচ্ছা..
চয়নকে ইচ্ছামতো বকা দিয়ে কেয়া আবার বাসার দিকে রওনা দিলো…এদিকে চয়ন দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো..হঠাৎ করে মেয়েটা তাকে এমন কড়া কথা বলে গেলো কেনো?
ওহ আপনাদের তো ওদের দুজনের পরিচয় দেওয়া হয়নি..ছেলেটা চয়ন..গ্রামে তাদের বাড়ি।সেখানে তার মা থাকে।আর চয়ন পড়াশুনা শেষ করে দুই তিনটা কোচিং সেন্টারে পড়ায়..সেই সুবাদে শহরে থাকে।
আর অপরদিকে মেয়েটা হলো কেয়া..শহরের একজন ধনী ব্যাবসায়ীর মেয়ে..এজন্য কেয়া খুব অহংকারী।কেয়া এবার ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে ভার্সিটি এডমিশনের জন্য কোচিং করছে..
কেয়া যখন কোচিং শেষে বাসায় ফিরে..ঠিক তখনি চয়ন কোচিং ক্লাস শেষ করে বাসাতে ফিরে..আর প্রতিদিন চয়ন ফেরার সময় দেখতে পায়..কেয়া রিকশাতে ফিরে।আর এজন্যই কেয়া ভুলবুঝে চয়নের সাথে খারাপ ব্যাবহার করলো..
কেয়া বাসায় ফিরে কলিংবেল চাপতেই তার মা দরজা খুলে দিলো
:-কিরে মামনি আজ এতো দেরি হলো..একি???তোর হাত থেকে রক্ত পড়ছে কেনো?
:-আর বলোনা..প্রতিদিন একটা ছেলে আমাকে ফলো করে..তাই ছেলেটাকে শায়েস্তা করার জন্য রিকশা থেকে নামছিলাম..
তখন সেই ছেলেটা রিকশাকে ধাক্কা মারে..ব্যাস রিকসার সাথে ধাক্কায় হাতটা কেটে গেছে
:-ওহ..মামনি আয় তোর হাতে মেডিসিন লাগিয়ে দেই
:-চলো…
অতঃপর বেশ কয়েকদিন পর..কেয়া কোচিং থেকে ফিরছিলো..সে দেখলো আগের সেই ছেলেটা তার পিছু না নিলেও..একটা নিদ্দিষ্ট স্থানে অপেক্ষা করে..ব্যাপটা কেয়া বেশ কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করছে..তাই আজ আবার চয়নকে শায়েস্তা করার জন্য চয়নের দিকে এগোলো..চয়ন কেয়াকে দেখে পিছন দিকে চলে যাচ্ছিলো..তখন কেয়া বললো…
:-এই ছেলে এইখানে দাড়া..একপা পিছলে খবর আছে..
কেয়ার কথায় চয়ন দাড়িয়ে গেলো..কেয়া চয়নের কাছে এসেই তাকে ধমকাতে শুরু করলো..
:-এই বেয়াদ্দপ..তোকে না কয়েকদিন আগেই বললাম আমাকে ফলো করবিনা?তাহলে প্রতিদিন এখানে দাড়িয়ে থাকিস কেনো?
:-দেখুন আপু..আমি কোনদিন আপনাকে ফলো করিনি।
:-ওই তাহলে প্রতিদিন আপার পিছু পিছু আসতিস কেনো?আর এখন এখানে দাড়িয়ে থাকিস কেনো?
:-আমি এখানে একটা কোচিং এ পড়াই..আর কোচিং থেকে যখন আমি বাড়ি ফিরতাম..ঠিক তখনি আপনি বাড়ি ফিরতেন..তাই আপনি ভেবেছেন আমি আপনাকে ফলো করি..তাই আপনি আমাকে সেদিন চড় মেরে কিছু কথাও শুনিয়েছিলেন..তাই এখন আর আপনার পিছে যাইনা..এখানে দাড়িয়ে থাকি আপনি যাওয়ার পর আমি যাই..
:-এখনতো অজুহাত দিবিই..ধরা পড়ে গেছিস না?তোদের মতো ছেলেদের আমার ভালো করেই চেনা আছে..আর শুন এর পর থেকে যদি আমার আশেপাশে দেখি।তাহলে তোর একটা হাড় আস্ত থাকবেনা..
:-জ্বি..
এরপর থেকে কেয়া কোচিং থেকে ফেরার পথে আর চয়নকে দেখতে পাইনি..কারন চয়ন এখন অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসা করে..চয়নকে দেখতে না পেয়ে কেয়া এখন অনেক খুশি..
এভাবেই বেশ কয়েকমাস কেটে গেলো..একদিন সন্ধায় চয়ন আর তার বন্ধু ইমন বসে গল্প করছিলো..হঠাৎ করে ইমন বললো
:-দোস্ত একটা কাজ করলে কেমন হয়?
:-কি কাজ?
:-আগামিকাল এক বড়লোকের মেয়ের বিয়ে..চল কাল বিয়ে বাড়ি থেকে ভুড়িভোজ করে আসবো।
:-না দোস্ত বিনা নিমন্ত্রনে খেতে গেলে যদি ধরতে পারে তাহলে রাম ক্যালানি দিবে..তার চেয়ে বরং তুই আমার আমার বাসায় আসিস তোকে মাংস পোলাও খাওয়াবো
:-না দোস্ত..বিনা নিমন্ত্রনে খাওয়ার মজাই আলাদা..চলনা প্লিজ
:-না দোস্ত আমি পারবোনা
:-প্লিজ দোস্ত..প্লিজ প্লিজ
শেষমেষ ইমনের জোরাজোরিতে চয়ন রাজি হয়ে গেলো..সেদিনের মতো আড্ডা দিয়ে চয়ন আর ইমন তাদের বাড়িতে ফিরে গেলো…
পরেরদিন সন্ধায় ইমন ফোন দিল চয়নকে..
:-হ্যালো দোস্ত কই তুই?(ইমন)
:-দোস্ত আমি রেডি হচ্ছি..
:-তাড়াতাড়ি..বাজারের বটতলায় চলে আয়..আমি ওখানেই
:-তাড়াতাড়ি..বাজারের বটতলায় চলে আয়..আমি ওখানেই অপেক্ষা করছি
:-ঠিক আছে..আসছি
তারপর চয়ন দ্রুত রেডি হলো..কিন্তু ওর মন যেতে সায় দিচ্ছেনা..যদি কোন বিপদ হয়?কিন্তু না যেয়েও পারছেনা..না গেলে ইমন তাকে ভুল বুঝবে..ইতঃমধ্যে চয়ন বটতলায় চলে এসেছে..ইমনের হাতে বড় একটা রঙ্গিন কাগজে মোড়ানো প্যাকেট..
:-দোস্ত তোর হাতে এইটা কি?(চয়ন)
:-দোস্ত এইটা গিফ্ট..বিয়েতে দিতে হবেনা?
:-শালা এই গিফ্টের টাকা দিয়ে রেষ্টুরেন্স এ খেতে পারতিস..তাহলে চুরি করে বিয়ের দাওয়াত খেতে হতোনা
:-চুরি করে বিয়ের দাওয়াত খাওয়ার মজাই আলাদা..চলতো
:-যেতেই হবে?
:-হুম চল
অতঃপর ওরা দুজন বিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলো
ইমন আর চয়ন বিয়ে বাড়িতে যেয়ে..খাওয়া দাওয়া সেরে নিলো..এবার বিয়ের উপহার দেওয়ার জন্য তারা দুজন বৌ যে রুমে আছে সেই রুমে গেলো..বৌ দেখে চয়ন অবাক কারন এই সেই মেয়ে যে তাকে দুইদিন বিনা কারনে যা নয় তা বলেছে..তাই চয়ন রুমে না ঢুকে বাইরে চলে আসলো..কেয়া তার বান্ধবীদের সাথে গল্প করছিলো তাই চয়নকে দেখতে পাইনি..ইমন উপহার দিয়ে বাইরে চলে আসলো..
:-দোস্ত চল..(চয়ন)
:-কোথায়?(ইমন)
:-কোথায় আবার বাসায়..এখানে বেশিক্ষন থাকা রিক্স..
:-ধুর ব্যাটা ভিতু..কোনো সমস্যা নাই..বিয়েটা দেখে চলে যাবো
:-দোস্ত..চল প্লিজ।।তোর কথা রাখার জন্য এসেছি..এবার আমার কথাটা রাখ
:-পারবোনা..আমি বিয়ে দেখে তারপর যাবো..তোর ইচ্ছে হলে তুই একা চলে যা
:-বেঈমান..
রাগে গজগজ করতে করতে চয়ন চলে আসছিল..অল্প একটু আসার পর বিয়ে বাড়ির বাজনা থেমে গেলো এবং পরিবেশটা কেমন থমথমে হয়ে গেলো..তাই আবার ইমনের কাছে ফিরে আসলো..
:-দোস্ত কি ব্যাপার বলতো?হটাৎ করে পরিবেশটা থমথমে হয়ে গেলো কেনো?(চয়ন)
:-কি জানি?চলতো ভিতরে গিয়ে দেখি..
:-না দোস্ত দরকার নাই..বিনা নিমন্ত্রনে খেতে এসেছি..তার উপর পরিবেশটা সুবিধার মনে হচ্ছেনা..যদি ধরা পড়ে যাই তাহলে মেরেই ফেলবে..
:-ধুর ভিতুর ডিম চলতো..
অতঃপর দুইবন্ধু একটু ভিতরে গেলো..ভিতরে সবাই একসাথে মনমরা হয়ে বসে আছে..তাই ইমন একটা ছেলেকে জিজ্ঞাস করলো…
:-ভাইয়া কি হলো হঠাৎ করে?
:-ভাইয়া বর স্টোক করে মারা গেছে..তাই বিয়েটা হচ্ছেনা..
:-ওহ আচ্ছা..
কথাটা শোনার পর তারা দুজন ফিরে আসছিলেন..তখনই কেয়ার বাবা সবার উদ্দেশ্যে বললেন
:-এমন কেউ আছেন?যে এইমূহুর্তে আমার মেয়েকে বিয়ে করবেন?
বেশ কিছুক্ষন সবাই চুপ থকলেন..কেউ বিয়ে করতে রাজি হলেননা..কারন হিন্দুসমাজে এমন মেয়েদের অলক্ষী বলা হয়ে থাকে..
হঠাৎ করে ইমন তার বন্ধু চয়নের হাত উচু করে বললো..
:-আংকেল আমার বন্ধু আপনার মেয়েকে বিয়ে করবে..
:-ঠিক আছে তোমরা দুজন আসো আমার সাথে..
:-ইমন তুই পাগল হয়েছিস?আমি কেনো বিয়ে করবো?আমি পারবোনা(চয়ন)
:-দোস্ত বিপদে মানুষকে সাহায্যে করা পরম ধর্ম
:-তাহলে বিয়েটা তুই করলে পারতিস..আমাকে টানলি কেনো?
:-কারন তুই অর্থ উপার্জন করিস..আর আমি বেকার..
:-দোস্ত তাই বলে আমি মায়ের অনুমতি ছাড়া এভাবে বিয়ে করতে পারবোনা..
:-দোস্ত আন্টিকে আমি ম্যানেজ করবো
:-কিন্তু..
:-আবে!চলতো
অতঃপর ইমন চয়নকে নিয়ে কেয়ার বাবাকে অনুসরন করে একটা ফাকা জায়গায় আসলো..তারপর কেয়ার বাবা ইমনে একটু আলাদা করে ডাকলো..
:-তোমাদের নাম কি?(কেয়ার বাবা)
:-আংকেল আমি ইমন..আর ও আমার বন্ধু চয়ন
:-আচ্ছা বিয়েটা কে করবে?
:-আমার বন্ধু
:-তোমার বন্ধু কি করে?
:-পড়াশোনা শেষ করে কয়েকটা কোচিং প্রতিষ্ঠানে পড়ায়..খুব ভালো ছেলে।
:-তোমার বন্ধুর এড্রেসটা দাও
:-নিন..
:-তোমার বন্ধুকে বিয়ের জন্য তৈরি করো..এখনি বিয়ে হবে..
:-জ্বি
অতঃপর কেয়া আর চয়নের বিয়েটা হয়ে গেলো..তারপর ইমন,চয়ন আর কেয়া একটা সি এন জি করে চয়নের বাড়িতে আসলো..চয়ন আর কেয়াকে রেখে ইমন তার বাড়িতে ফিরে গেলো..
চয়ন কেয়াকে তার রুমে নিয়ে গেলো..তখনই কেয়া বললো..
:-এই ছোটলোক তুই আমাকে কেনো বিয়ে করলি?
:-কথা ভালো করে বলুন..বিয়েটা আমি নিজের ইচ্ছায় করিনি..আমার বন্ধু আপনার বাবাকে কথা দিয়ে ফেলেছিলো।তাই বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছি..
:-আমাকে উদ্ধার করেছিস..ভাবলাম বিয়েটা হবেনা..বেচে গেলাম।।আর তুই গিয়ে একদম শেষ করেদিলি..
:-শেষ করে দিলাম মানে?
:-তুই যদি আমাকে বিয়ে না করতিস..তাহলে আমার আজ বিয়ে হতনা..আমি পড়াশোনা করতে পারতাম
:-তো আপনি কেনো বিয়ের জন্য রাজি হলেন?
:-রাজি না হয়ে উপায় আছে..আমার কাকাতো বোন তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে..সেজন্য তোর সাথেই আমাকে বিয়ে দিলো..
:-ওহ..আচ্ছা আপনি খাটে ঘুমান আমি ফ্লোরে শুয়ে পড়ছি
:-না..তোর সাথে একঘরে আমি থাকতে পারবোনা..তুই অন্য রুমে যা
:-ঠিক আছে..
অতঃপর চয়ন অন্য রুমে চলে আসলো..তখন ইমন ফোন দিলো
:-হ্যালো দোস্ত(ইমন)
:-হুম বল
:-আমি আন্টিকে তোর বিয়ের খবরটা দিয়েছি..আন্টি কাল তার বৌমাকে দেখতে আসছে..
:-ওহ..মা মেনে নিয়েছে?
:-হুম..
পরেইদিন সকালে কেয়া ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করতে লাগলো..
:-এই ছোটলোকের বাচ্চা এদিকে আয়..কেয়ার ডাক শুনে চয়ন দ্রুত রুমে আসলো
:-কি হয়েছে?
:-আমার ক্ষুদা লেখেছে..ব্রেকফাস্ট কই?
:-একটু অপেক্ষা করুন আনছি..
:-তাড়াতাড়ি..
চয়ন দ্রুত রুটি,আলুভাজি,ডিমভাজি করে প্লেটে করে কেয়াকে দিলো..
:-এইটা খেতে হবে আমাকে?
:-সকালে এর থেকে বেশি কিছু করতে পারবোনা
:-হুম..
কেয়ার অনেক ক্ষুধা লেগেছিলো..তাই আর কিছু বললোনা..তাই রুটি,আলুভাজিই খেতে লাগলো…
:-আজ আমার মা আসবে এখানে..তাকে বুঝতে দিবেননা আমাদের ভেতরে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নেই
:-হুম..
যথাসময়ে চয়নের মা আসে..কেয়ার তার খুব পছন্দ হয়..চয়নের মা যতদিন ছিলো ততদিন কেয়া খুব ভালো একটা মেয়ে সেজে ছিলো..কিন্তু চয়নের মা চলে যাওয়ার পর কেয়া আবার আগের মতো হয়ে গেলো..চয়নের সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করতো..কারন কেয়া চয়নকে মেনে নিতে পারেনি..এক পর্যায়ে চয়ন আর কেয়ার ডিভোর্স হয়ে যায়..
প্রায় ২মাস পর চয়নের মা খুব ভালো একটা মেয়ে দেখে চয়নের বিয়ে দেই..মেয়েটার নাম অন্তি..খুব সহজ সরল একটা মেয়ে..অন্তি আর চয়ন দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখি আছে..
আর অপরদিকে মিসঃঅহংকারী কেয়াকে তার বাবা বাড়ি থেকে বের করে দেয়..চয়নের সাথে ডিভোর্স হওয়াতে..