সিনেম্যাটিক প্রেম

সিনেম্যাটিক প্রেম

:এই ছেলে!আমি তোমার সিনিয়র না?সম্মান দিয়ে কথা বলো।

:হুহ সিনিয়রের থোড়াই কেয়ার করি।

এভাবেই চলছিল আমাদের দুজনের কথা বলা।পরিচয়টা অবশ্য ভার্চুয়ালের নীল জগতে।ভার্চুয়ালকে নীল জগত বলি কারণ তা এক স্বপ্নের জগত,,আর ফেসবুকের F টাও নীলের মাঝে থাকে।

আমি হাসান।একটা ছদ্মবেশী আইডি ব্যবহার করি যেখানে কেউই আমার সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য জানেনা।বাসা রাজশাহী। সবাইকে বলে থাকি আমি অনেক জুনিয়র।বেশ কজনকে তো এটা বিশ্বাস করাতে রীতিমত বেগ পেতে হয়েছে।

ফেসবুকে তার আইডির নামটা ছিল “আশায় বসতি”।কি মনে করে রিকুয়েস্ট দিয়েছিলাম তা আমি ভুলে গেছি।মনে নেই এতটা।কথা বলে বেশ লাগতো।সে জানতো ঠিক সেটাই যেটা উপরে বলে এলাম।তার কণ্ঠস্বর ছিল অসাধারণ,,কথা বলার ভঙ্গি ছিল অপরূপ।বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণটা আমায় বিমোহিত করতো।এমন একজনের সাথে কথা বলতে পারাটা সত্যি সৌভাগ্যের।

একটা সময় আমার সারাদিন যেতো তার সাথে গল্প করতে।কেমন যেন অন্যমনা থাকতো সে সবসময়।জিনিসটা অনেকদিন খেয়াল করার পর জিজ্ঞেস করেই ফেললাম,, “তুমি কি কারণে এমন?”
উত্তরে যা শুনলাম তা অবশ্য কষ্টেরই বটে।সাত বছরের দীর্ঘ রিলেশন করা কাপলের মাঝে ছেলেটি হঠাৎ মেয়েটিকে না জানিয়ে অন্য আরেকজনকে জীবনসঙ্গিনী বানিয়ে নিয়েছে।ঘটনাটা যে কারো জন্যই কষ্টের।

আনমনা মেয়েটিকে হাসিখুশী রাখতে আরো তৎপর হয়ে উঠছি দিন দিন।যখন তার হাসির শব্দ শুনতে পেতাম ফোনে, মনে হত বিশ্বজয় করে ফেলেছি।আমার সাথেও কথা বলতে সে ইজি ফীল করতো।ফোন দিলেই অনেক সময় ধরে দুজনের কথা হতে লাগলো।

সে আমার থেকে বয়সে বেশ বড়।আমার আসল পরিচয়ের বয়স থেকে অবশ্য সে জুনিয়র।তবে সে জানে আমি তার জুনিয়র।ওহ হো মেয়েটার নাম বলা হয়নি আপনাদের।ফাতেমা তার নাম।অনার্স কমপ্লিট করে এখন বিভিন্ন জায়গাই জব এপ্লাই করছে।প্রথম ভালবাসার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আর কাউকে ঠাঁই দিতে পারেনি মনে।

হাসিখুশী বেশ কেটে যাচ্ছিলো আমাদের দিন।ফাতেমা সবসময় চিন্তিত থাকতো তার জব নিয়ে।বাংলাদেশে যে টাকার খেলা চলে তার কাছে ফাতেমা ছিল অসহায়।একবার শুনলাম এক সরকারী চাকরীতে ইন্টার্ভিউ দিতে গিয়েছে সেখানে এক মহিলা ২০ লাখ টাকা উপহার(!) দিয়েছে।

দিন যত গড়াচ্ছিলো ওর চাপ ও তত বাড়ছিলো।টের পেতাম কিন্তু কিছু করতে পারতাম না।ওর আনমনা থাকার বিষয়টা দিন দিন বাড়তেই থাকে।হাসানোর সব চেষ্টাই বৃথা হতে লাগলো।

ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গেছে ছয়টি মাস।এখন দুজনই দুজনের প্রতি আলাদা একটা টান অনুভব করি।না বলা কোন টান।দুষ্টুমির ছলে একদিন বলে ফেলি,,আমি তোমাকে প্রপোজ করলে এক্সেপ্ট করবে?ভালবাসো আমাকে?
ফাতেমার উত্তর ছিল,,হুম।আমি তো অবাক আর ফাতেমা অন্যদিকে হাসছে।শুরু হলো আমাদের দুজনের নতুন গল্প।

রাত জেগে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা,,হাসাহাসি করা,,ভালবাসি বলা এসবেই কেটে যাচ্ছিল দিন।তার কোমর ছোঁয়া চুল,,বর্ণনাতীত সুন্দর হাসি বরাবরই আমার মুগ্ধ হবার বিষয় বস্তু ছিল।ফাতেমা আমাকে দেখতে চাইলে আমি সবসময় একটা ছোট ছেলের ছবি দিই।তাই কখনো ভাবেওনা অন্তরালে কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে।

বিয়ের জন্য ফাতেমার বাসা থেকে তাগাদা দিচ্ছে।আমাকে ভালবেসে অন্য কারো ঘরেও যেতে চাচ্ছেনা ও।ওর জানামতে এই রিলেশনের ভবিষ্যৎ নেই।আর এদিকে আমি ওর জব নিয়ে চিন্তা করছি যেন ওর জব হয়ে যায় কিছু একটা।

:দোস্ত তোর অফিসে একটা জব হবে?মেয়ে ইংলিশে অনার্স।এছাড়াও কম্পিউটার নিয়ে বেশ জানে।বিভিন্ন কোর্স করেছে।(জানে জিগার দোস্ত আরমানের অফিসে গিয়ে আমি)
:হুম দোস্ত পোস্ট খালি আছে একটা।তুই একদিন নিয়ে আয় আমার অফিসে।আমি সবকিছু দেখে হেল্প করতে পারবো আশা করি।
:থ্যাংক ইউ দোস্ত
:মেয়েটা কে রে?আমাদের ভাবী নাকি?
:আরে নাহ।এমনিতেই একজনের হেল্প দরকার তাই।
:আচ্ছা নিয়ে আসিস তুই।
:আচ্ছা দোস্ত বাই।
:বাই

ওর চাকরীর ব্যাপারে আশা পেয়ে নিজের বেশ ভাল লাগছে।ফাতেমাকে টেক্সটে সংবাদটা জানালাম।বলে দিলাম আমার চেনা এক বড় ভাই ব্যবস্থা করছে।ও বেশ খুশী হলো।জানালো দুই তিনদিন
পর ও আসছে।এদিকে আমার নতুন চিন্তা নিজের পরিচয় লুকাবো কিভাবে এখন?!সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে সিদ্ধান্ত নিলাম পরিচয়টা দিয়েই দিব।

দিনটা ছিল বৃহস্পতিবার।সকাল বেলা বাস স্টেশনে অপেক্ষা করছি তার আসার।নীল শার্ট আর নেভি ব্লু প্যান্টে নিজেকে হিরো হিরো লাগছিল।নায়ক অপেক্ষারত নায়িকার।

হানিফ পরিবহনের পঞ্চগড় থেকে আসা বাসটা সামনে দাঁড়ালো।আমি তাকিয়ে আছি বাসের দরজার দিকে।নীল শাড়ি পরা একজনকে দেখলাম।চুলের কারণে মুখটা দেখা যাচ্ছিল না।চুলটা সরিয়ে যখন এদিক সেদিক তাকালো তখনই বুঝতে পেলাম ইনিই সেই রমণী যার অপেক্ষায় আমি।এদিক ওদিকে তাকিয়ে তার দেখা পিকচারের মত কাউকে না পেয়ে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়লো তার মুখোচ্ছবি।

কিছু সময় ধরে দাঁড়িয়ে উনি বারবার কল দিয়ে যাচ্ছেন।আমার সাইলেন্ট থাকা ফোনে সেটা দেখে হাসছি আমি।একটু প্যারা দিচ্ছি আর কি ওকে।আমি সামনে গেলে চিল্লাফাল্লা না শুরু করে।

মেয়ে জাতি বড়ই বিপদজনক।
আপনাকে মুহুর্তে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে আবার মুহুর্তেই গণধোলাই ও খাইয়ে দিতে পারে।তাই ফোন ধরে বললাম আশে পাশে নীল শার্ট ওয়ালাদের দেখো।আগেই খেয়াল করেছিলাম নীল শার্ট পরে আমি একাই আছি ওর আশেপাশে।ও আমার দিকে কিছুটা সময় হা করে তাকিয়ে থাকলো।আমি মনে মনে হেসেই যাচ্ছি।

আবার ও ফোন দিলো আমাকে।আমার ফোন কানে ধরা দেখে নিশ্চিত হলো আমিই হাসান।ওর মুখের ভাবটা দেখার মত ছিল তাই চুপচাপ জুম করে কটা ক্লিক করলাম।এবার এগিয়ে যাচ্ছি ওর দিকে।ও হাইটে আমার থেকে বেশ ছোট।অবশ্য ৫’৮” ইঞ্চির কাছাকাছি খুব কম মেয়েই যেতে পারে।

:আপনি কে?হাসান আসেনি কেন?(ও)
:কেন হাসান ছাড়া সিফাত এলে হবেনা?
:ফাজলামি করবেন না।ও কোথায়?
:আপনার সামনেই তো দাঁড়িয়ে আছে।
:এতদিন মিথ্যা বলেছেন কেন?
:তোমার সিনিয়রগিরি দেখতে আর জুনিয়র হয়ে প্রেম করতে।

আমি আলতো করে ওর হাতে হাত ছোয়ালাম।দেখলাম ও হাত সরিয়ে নিলো না।তারপর শক্ত করে চেপে ধরলাম হাতটা।অন্য হাতে ওর ব্যাগটা নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম।হোটেলে বসে ওকে নিয়ে সকালের নাস্তাটা সেরে ওকে আবাসিক হোটেলে রেখে এলাম।কিছুটা রেস্ট দরকার ওর তাই।এগারোটাই ওকে নিয়ে বন্ধুর অফিসে যেতেই ওর কাগজপত্র দেখে ভাল পোস্টেই ওকে জয়েন লেটার দিয়ে দিলো।একটু অবাকই হলাম।প্রথমেই ৪০হাজার টাকা স্যালারির চাকরী এত সহজেই দিয়ে দিলো?!

:দোস্ত ফাতেমাকে আমার খুব ভাল লেগেছে।আমি ওকে চাই।ব্যবস্থা করে দে না দোস্ত!

আমি অবাক হলাম।অনেক অবাক হলাম।প্রিয়তমাকে যখন নিজের প্রাণপ্রিয় বন্ধু অজান্তে চেয়ে বসে এমন হওয়াটাই অবশ্য স্বাভাবিক।নিজের এমন ভাবটা কাটতে বেশ সময় লেগে গেল।

:দোস্ত হঠাৎ কি হয়েছে রে?যে ছেলের পিছনে এত এত মেয়ে পাত্তা পেতোনা তার সামনে ফাতেমা এসেই কামাল করে দিয়েছে!(মুখে হাসি কিন্তু মনে জমাট বাঁধা মেঘ)

:জানিনা দোস্ত।শুধু জানি ফাতেমাকে আমার চাই।তুই যেভাবে পারিস ওকে ম্যানেজ কর।

:আচ্ছা দোস্ত দেখছি।এখন যাই রে।একটু কাজ আছে।

উঠে চলে এলাম।ভাবছি প্রিয়তমাকে সমস্ত পেরেশান থেকে যে মুক্ত করলো তার মন রক্ষা করবো নাকি যাকে ভালবাসি তার মন রক্ষা করবো।চিন্তা করে দেখলাম বন্ধুত্বকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত আমার।আচ্ছা এমন ভাল ছেলের সাথে ফাতেমা অসুখী হবেনা।

খুব বাজে ব্যবহার করে ফাতেমার সাথে ব্রেকাপটা করে ফেললাম।যত টাকা ওয়ালাই হোক না কেন সে যে আমি ব্যতীত কাউকে মানবেনা তা আমি খুব ভাল করেই জানি।আমার পালানোর এক মাত্র উপায় ছিল ওকে আঘাত করা।নষ্টামিহীন ভালবাসাটার ইতি টানলাম রুম ডেটের বাহানা দিয়ে।আমি জানতাম ফাতেমা কখনই রাজী হবেনা।
ব্রেকাপের কথা বলাতে খুব কাঁদছিল ফাতেমা।আমিও কাঁদছিলাম তবে তা কেউ দেখতে পায়নি।

:আরে দোস্ত!ফাতেমাকে তো বিয়ে করছি।(আরমান)

:কনগ্র্যাচুলেশন দোস্ত।ডেট কবে ফিক্সড হলো?(আমি)

:এইতো দোস্ত সামনের মাসের ১৯তারিখ।ঈদের পর পরই সেরে নিচ্ছি।

:আচ্ছা দোস্ত খুব ভাল করেছিস।মেয়েটা খুব ভাল রে।দেখে শুনে রাখিস সবসময়।সেটা তোকে বলতে হবেনা।আর দোস্ত আমার ঢাকাতে একটা ভাল জব হয়েছে।ওখানে চলে যাচ্ছি।নতুন চাকরী।তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো তোর বিয়েতে আসার।

:তোকে আসতেই হবে।দরকারে চাকরী ছেড়ে আসবি।আমি কিছু জানিনা।

:হাহা আচ্ছা দোস্ত থাক। আমি যাই।

রমজানটা পেরিয়ে ঈদ হয়ে গেলো।এবারই জীবনের প্রথম ঈদটা বাসার বাইরে করলাম।গেলেই আরমানের বিয়েতে যেতে হবে।নিজের প্রিয় মানুষের বিয়ে দেখা সম্ভব হবে না।

১৮ তারিখ সব ফ্রেন্ডরা শুধু আরমানের বিয়ের পিকচার

দিচ্ছে।আমি দেখছি আর মিথ্যা হাসি দিচ্ছি সবার কাছে।মনের কান্নাটা কেউ দেখতে পায়না।ওদের বিয়েটা হয়েই গেলো তাহলে।যাক আলহামদুলিল্লাহ। সুখী থাকুক ফাতেমা।

গল্পটা এমন হতে পারতো।কিন্তু হয়নি।আমার চাকরী ছাড়ার কথাটা বলার কিছু মুহুর্ত পর দেখতে পেলাম ফাতেমা এগিয়ে আসছে।তার উড বি হাজবেন্ডের কাছে আসছে বোধহয়।সামনে এসেই ঠাশ করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দিলো আমার গালে।আমি হা করে তাকিয়ে আছি ওর দিকে।আরমানের দিকে তাকিয়ে দেখছি আরমান হাসছে।

:খুব ভালবাসো তাইনা আমাকে?তো আমাকে ছেড়ে যেতে চাইলে কেন?বদমাইশ, ফাজিল শয়তান।
আই হেইট ইউ।

আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়লো ফাতেমা।শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।আরমানকে দেখলাম কিছুটা সরে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকলো।কাহিনী আন্দাজ করতে পারছি।ফাতেমাকে জড়িয়ে ধরলাম আমিও।

আরমানের থেকে শুনলাম গল্পটা।ফেসবুকে আরমান কিভাবে যেন টের পেয়েছিল ফাতেমা আমার প্রেয়সী।তাই দুজন আগেই কথা বলতো।আরমান ফাতেমাকে ভাবী বলেই ডাকতো।ফাতেমার চাকরীর প্রয়োজন এটা আরমান জানতো না বিধায় আগে কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।আমি ফাতেমাকে নিয়ে ওর রুমে যখন প্রথম ঢুকেছি তখনই আরমান চিনতে পেরেছিল ফাতেমাকে।পরবর্তীতে দুজনের গল্প হয় চাকরী নিয়ে,,আমাকে নিয়ে।আরমান ফাতেমাকে বলেছিল আমি ওর জন্য সব ছাড়তে পারি।ফাতেমা তখন চ্যালেঞ্জ দেয় আর বলে এই নাটকটা করতে।চ্যালেঞ্জে আরমান জয়ী হলেও ফাতেমা পরাজিত ও হয়নি।

পরের মাসের ১৮ তারিখের অপেক্ষা না করে এ মাসের ১৭ তারিখেই বিয়ের ডেট ফিক্সড করলাম।
ফাতেমার কথা বাসাতে ভাবী জানতো বিধায় বাসায় মানাতে তেমন কষ্ট হয়নি।ফাতেমার পরিবার ও আপত্তি করেনি।

 

এই শুনোনা!(ফাতেমা)

:বাসর রাতে নববধূ কোথায় লজ্জায় মরে যায় আর উনি কত্ত নরমাল!(আমি হাসতে হাসতে)

:এহহ প্রিয়তমের সামনে অত ঢং আমি করতে পারবোনা।হুহ

:হাহাহা আচ্ছা বলো কি বলবা।

:তুমি তো রুম ডেটের বাহানা দিয়ে পালাতে চাচ্ছিলে না?তোমার শাস্তি হলো আজ রাতে আমাকে ছুতে পারবেনা।শুধু এটুকু না।আমাদের এই সিনেম্যাটিক প্রেম আর বিয়ের গল্পটা এখন আজ রাতে লিখে তারপর ঘুমাতে পারবা।

:এত শাস্তি দিবা তুমি আমাকে?(কান্না কান্না ভাব করে আমি)

:হিহিহি আচ্ছা আগে গল্পটা লিখো তারপর দেখি কি করা যায়।(মুখে দুষ্টু হাসি টেনে)

:লিখতে পারি তবে শর্ত হচ্ছে তোমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে শুয়ে লিখবো আর তুমি আমার মাথা নেড়ে দিবে।গল্প করবে।

:আচ্ছা রে বাবা আচ্ছা।

 

ফাতেমার কোলে শুয়ে পড়লাম আর ফাতেমার শাড়ির আচলটা বাম হাতে নিয়ে খেলছি আর একটু একটু করে গল্প লিখছিলাম।শেষ লাইনে চলে এসেছি।ফাতেমার দিকে তাকিয়ে দেখি ও আমার দিকে তাকিয়ে বসে আছে।উঠে ফোনটার লাইট অফ করে ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিলাম।ও নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আর বলছে গল্পটা আগে পড়তে দাও তারপর আর কিছু বলবোনা।আবার শর্ত জুড়লাম ওকে জড়িয়ে ধরে থাকব আর ও গল্প পড়বে।রাজী হয়ে যাওয়াতে ওকে জড়িয়ে ধরে বসে থাকবো এখন।গল্পটা শেষ হলে…….. আর শুনতে হবেনা আপনাদের।যান সবাই ভাগেন।

 

যে গল্পটা সবার অজানা : আরমান কখনো সিগারেট খেতোনা।আজ রাতের নিস্তব্ধতায় সে সিগারেট ধরিয়ে টানছে।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত