অন্যরকম লাভস্টরি

অন্যরকম লাভস্টরি

– বন্দুরে বন্দু তারাতারি ওইঠা পড়, তুই আমার ভাই লাগিস তারাতারি ওইঠা পড় (সজিব)।

– ওই হামারি কীইইই হইছে আবার তোর কোন দাদাই মরছে হুমমমম, সালা কুত্তা কত সুন্দর একটা সপ্ন দেখতেছিলাম সব নষ্ট করে দিলি।

– দূর রাখ তোর সপ্ন আমার কলিজা ছিঁড়ে যাইতেছে আর ওই আছে সপ্ন নিয়া। – তোর কলিজা আর কই ছিঁড়তাছে, দেখি একটু এই দিকে ঘোঁর দেখি, না সব তো ঠিকই আছে।

– আরে ভাই ফাজলামি বাদ দে উজলা গ্রামের বাড়ি চলে যাইতেছে, আমি ওরে ছাড়ি কেমনে থাকমু। – কীইইই উজলা কেডা। – আরে ভাই আমার ভালবাসা, আমার বেঁচে থাকা, আমার মরণ সব উজলা।

– সালা হারামী লুকাই লুকাই প্রেম করিস, আমারে কইছিস কোনদিন।

– ভাই আমার ভূল হয়ে গেছে তুই কিছু একটা কররে ভাই। – হুমমমম আগে তোমার উজলা সব উজার কইরা দিয়া থাকত, তখন আমারে লাগে নাই, আর যেই উজারতা বন্ধ করছে সেই আমার দরকার তাই না। পারমু না আমি।

– তুই না আমার ভাই লাগিস, তুই ছাড়া কেমনে হইব ক ভাই তোর পায়ে পড়ি কিছু একটা কর। – হুমমমমম এখন পায়ে পড়, তারপড় ভাবতেছি। – কীইইই হারামীরে তুই এমনি কথার কথা পায়ে পড়তে চাইছিলাম, ভাই কিছু একটা কররে। – হুমমমম হুমমমম টেনসন নিস না মে হু না। – আমারে বাঁচাইলিরে বন্দু , তুই ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব না। ও হ্যা আমাদের পরিচয়টা দিয়া ফেলি আমি সাহরিয়া বর্তমানে সিঙ্গেল বাসিদের একজন, আর ও হইল আমার বন্ধু সজিব সালা কত্ত বড় হারামী আমারে না কইয়া প্রেম করে। আর যেই ঝামেলাই পড়ছে সেই আমার নাকি দরকার।তো যাই হোক এখন আগে বাড়ি। – হুমমমম এখন ওই মাইয়ার ডিটেল বল। – ওই আমি বিয়া করলে ও তোর ভাবি হইব মাইয়া কস ক্যান।

– হুমমমম এখন বল।

– ওর বাপে একটা গুন্ডারে ভাই, আমাগো গ্রামের পাশের গ্রামে বাড়ি, অনেক বড়লোক, তুই যাতে কোন আকাম না করস তাই বলিনাই। ওরে ছাড়া আমি বাঁচমু নারে।

– হুমমমমম ঠিকআছে, তোর সব সমস্যর সমাধান পাইয়া গেছি। আমরা ও তোর গ্রামের বাড়ি যামু, আর হ্যা আমি যাবতীয় সকল খরচ তোরে বহন করিতে হইব। রাজি থাকলে এক চাপুন না থাকলে আমি কাইটা পড়লাম। – নারে ভাই আমি রাজি। – তো এখন ও বইসা আছস ক্যান, চল রওনা দেই। আহা কারে টাকায় খাওয়া বেড়ানোর মজাই আলাদা। – দোস্ত নাইমা পড় আইসা গেছি।

– ওই কুত্তা এখন কেমনে যামু। – এই টুকু হেঁটে যাওয়া লাগবেরে।

– ওহহহ, চল তাইলে, তোদের গ্রামটা তো ফাটাফাটি। – হুমমমমম, কিন্তুু উজলার বাবা না। – আর দূর বাদদে আমি আছি দরকার হইলে তুইলা নিয়া যামু। – দোস্ত ওইযে ওইটা উজলাদের বাড়ি।

– ওত্তেরি এত্ত বড় বাড়ি, ভাই এমন বড়লোক দেইখা আমার একটা বউ খুঁইজা দিস।

– ওই তোর উজলার বাড়ি দেখাইলি, কিন্তুু যার লাইগা আসছি তারে তো দেখাইলি না। না দেখাইলে চিনমু কেমনে। – হুমমমমম দাঁড়া ছবি দেখাইতেছি। – হারামী দাঁড়াই আছি তো। – এই দেখ। – ওরে মারে মা কীইইই দেখাইলি এতো পরী, কিন্তুু একটা তিল থাকার জন্যে ভাল লাগছে না। – ওই তোর তো ভাল লাগা লাগবে না, আমার লাগলেই চলব। – হুমমমম হইছে চল, সালা তোর বাড়ি আরো কত দূরে আমি খিদা রাগছে। খাওন ছাড়া চলতে পারি না আমি।

– কীইইই রে তুই আসতে আসতে অলরেডি ৭৫০ টাকার জিনিস খাইছিস।

– সালা এত্তদূর হাঁইটা আসলে ৭৫০ ক্যান ১৫০০ টাকার জিনিস খাইলে ও খিদা লাগবে। গল্প করতে করতে সজিব দের বাড়ি পৌঁছে গেলাম। – ভাই আমার বাপ সেই রাগি কোন আকাম করিস না যেও।

– হুমমমম করমু না চল। ওদের বাড়িতে ঢুকতেই সজিব এর মা। – কীরে এতদিন পড় আমাদের কথা মনে পড়ল। – না মানে মা অনেক পড়ালেখার চাপ তো তাই। – হ্যারে এই ছেলেটা কে।

– মা ও আমার বন্ধু সাহরিয়া। – মা বাবা কই।

– তোর বাবা একটু বাজারে গেছে, আরে ঘরে আয় এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবি নাকি। – বাহ্ বেশ ভাল বাড়ি তোদের, এখন তোর প্রবলেম এর সমাপ্ত করতে পারলেই হইব। তারপর ফ্রেস হয়ে টানা একটা ঘুম, রাতে খাবার খেয়ে, সজিবরে কইলাই, এখন চল তোর লাইলির বাড়িতে যাই। – ওই এই টাইমে গেলে ওর বাপে আমাগো আস্ত রাখবে না। – হুমমমম সেটা দেখা যাইব এখন চল, এক্কেবারে উজলাদের বাসার সামনে চলে আসছি, ওই এখন তোর লাইলির কাছে যাবি। – না না আমি যাইতে পারমু না আমার ভয় লাগে।

– সালা কুত্তা ভয়ই করবি প্রেম করছস ক্যান। যা বলি তাই শোন। – সাহরিয়া তুই না আমার ভাই লাগস তুই যাইয়া সব ম্যানেজ কর ভাই। – ওকে কোন রুমে থাকে তাই কইয়া ফ্যালা, ওই যে উপরের ঘরের ডানদিকে যেই ঘর সেইটা।

– হুমমমম তুই নিচে থাক আমি যাইতেছি।

– ভাই তোর জন্য আমার টেনসন হচ্ছে যদি ধরা খাস তাইলে তোরে হেব্বি ক্যালানি দিব। – আমার কথা না ভাইবা তোন চিন্তা কর, ধরা খাইলে তোর চৌদ্দ গুষ্টির কাহিনী বইলা দিমু। – তোরে বলাই ভূল হইছে না যানি কীইইই আকামটাই না করিস।

– দোয়া করতে থাক যাতে ধরা না খাই, এবার পাঁচিল টপকে সোজা উপরের বাম দিকের রুমে চলে আসছি হা হা কেউ দেখে নাই। দরজাটা ও খুলে রাখছে যেন সোনাই সোহাগা।

– একটু উঁকি দিতেই দেখি আহা কীইইই চাঁদের মতো বদন খানি। হায় হায় তিলটা গেল কই এখন কার যে প্রযুক্তি কাইটা ফালাইছে মনে হয়। আস্তে আস্তে রুমে গিয়ে তারে ডাক দিতেই চিল্লানি দিতে লাগছে, ওমনি মুখটা ধরে ফেলছি। থামেন থামেন চিল্লানি দিয়েন না আমি সজিব এর বন্ধু ও আপনার সাথে দেখা করবে ভয়ে আসতে পারে নাই তাই আমারে পাঠাই দিছে। তারপড়ে মুখটা খুলে দিতেই মাইয়া বলল। – আমি সজিবরে চিনি না।

– কীইইই,ওই তো আপনার ছবিই দেখাইল খালি আপনার তিলটা নাই, আর ওই ছবিতে তিল ছিল। – কীইইই, আচ্ছা নাম কী বলছে শুনি। – নাম তো বলছে উজলা। – ওহহহহহ একটু বসেন আমি আসছি। – একটু শুনেন যাই করেন আপনার বাবারে বইলেন না পিলিজ। – ওকে বসেন একটু ।

– আল্লাহ কীইইই বিপতে ফেলাইলা। – একটু পরে মেয়েটা আসল সাথে আরো একটা মেয়ে, হায় হায় আপনারাতো জমজ। – হুমমমমম এটা আমার ছোট বোন বিন্দু। আর আমি উজলা, আচ্ছা সজিব কই নিচে আছে। – আপনার নামতো বললেন না (বিন্দু)। – ওহহহ আমি সাহরিয়া বাপের কুলাংগার ছেলে। হি হি এবার চলেন আপনার জন্য মনে হয় ও শেষ হয়ে গেল। আস্তে করে আমরা তিনজন বাইরে চলে আসলাম। মনে মনে বলছি আল্লাহ মনে হয় আমার কপালটা ও খুঁইলা দিল। ভালো ভাগ্গি বামের রুমে গেছিলাম। নিচে এসে আচ্ছা ভাবি আপনারা একটু সাইট এ যান। সজিব এর লগে আমার একটু কথা আছে।

– ওই সালা কুত্তা আগে বলিস নাই ক্যান যে উজলার আর একটা জমজ বোন আছে। ভালা কপাল ছিল বলে বামের রুমে গেছিলাম। এবার আসেন ভাবি। আপনারা কথা বলেন, আচ্ছা আমি গেলাম। – হারামী কই যাস। – কেন আমি এখানে থাইকা কীইইই করমু। – তুই না কইছিলি ওমন একটা মেয়ে জোগার করে দিতে। – হুমমমমম কিন্তুু কই পামু। – সালা চোখের সামনে দেখস না, বিন্দুরে তোর ছবি আমি আগেই দিছিলাম। ও তোর ছবি দেখেই পছন্দ করছিল। – তুই আমার বাপের কাম করছসরে ভাই সজিব এর কানে কানে কইলাম। বিন্দু চলো আমরা ওই দিকে যাই।

– নারে ভাই কালকে উজলারে দেখতে আসবে যা করা আজকেই করতে হবে। আমার মতো ভালা পোলার লগেই বিয়া দিব না ওর বাপ, তোর মতো হারামীর লগে বিন্দুর বিয়ার তো কোন প্রশ্নই আসে না। আমার জন্য না হোক তোর বিন্দুর জন্য কিছু একটা কর ভাই। – আইডিয়া পাইয়া গেছি, তোর বাপে ও তো একটা ভিলেন, আমার বাপ এমন সুন্দর মেয়ে দেখলে কিছু কইব না। আজকেই আমরা পালামু কালকে তোদের বিয়ে দিমু কিছু দিন প্রেম করার পড় আমি বিয়ে করমু, আইডিয়া কেমন বল।

– হুমমমমম ভালো (বিন্দু)। ওই কারারে ও খানে খাঁড়া স্যাররে কইতাছি। – বন্দুরে পালা বলে, বিন্দুর হাত ধরে দিলাম দৌড়, দৌড়াইতেছি তো দৌড়াইতেছি। এক দম স্টেশনে চলে আসছি। সজিব তোর কাছে কত টাকা আছে। – বেশি নাই ৫০০০ মতো আছে -ওকে ওইটাই হইব। আগে দুই জনেন জন্য দুইটা বোরকার ব্যবস্থা করতে হবে। তার পড়ে বোরকা পড়িয়ে সোজা ঢাকা, – বাসা ওয়ালা আংকেল এর সাথে আমার ভাল সম্পর্ক, পড়ে আংকেল সব ব্যবস্থা করল। – পড়ের দিন সজিব আর উজলার বিয়ে দিয়ে দিলাম, এর মধ্যে বিন্দুর সাথে ভাল মিল হয়ে গেছে। রাতে ওদের বাসর ঘরে ঢুকাই দিয়ে আসলাম। তারপর দেখি বিন্দু নাই, হায় হায় বিন্দু গেল কই, দৌড়ে ছাঁদে গিয়ে দেখি বিন্দু দাঁড়াই আছে।

– হাই আমি সাহরিয়া , – জানি, আপনার খালি বাঁদরামি ছাড়া আর কোন কাজ নাই। সারাদিন বাপের সাথে ঝগড়া করেন। ডাব চুরি করেন, কোন কিছু ঠিকঠাক করতে পারেন না।

– ওমা এতো কিছু জানেন, – হুমমমম সব জানি, এখন থেকে তুমি করে বলবা কেমন।

– হুমমমম। একটা কথা ছিল বলি। – হুমমমমম বলে। – আজকে তো ওদের বাসর রাত, আমাদের তো না, একটু জরাই ধরতে পারি। না না থাক রেগে যেও না কেমন। হঠাৎ বিন্দু আমারে জরাই ধরল। মনে হইতেছে একটা পরী জরাই ধরছে। কীইইই হ্যা ভাবছেন আরো আছে নেহি আর নাই।। হি হি হি >>

সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত