– ট্রেনে করে যাচ্ছি আসলে কই যাইতেছি নিজে ও ঠিকঠাক জানি না….
– এই যে আপু একটু চেঁপে যাবেন।
– কেনো আজব তো, এই দুইটা সিট আমার…।
– ওহহহহহ বুচ্ছি আপনার স্বামী আছে তাই না… ওকে ঠিক আছে ওনি আসলেই আমি চলে যাবো।
এখন একটু বসি কেমন।
– ঐ উঠেন উঠেন ….
– কী আজব.. বলছি তো, ওনি আসলেই আমি চলে যাবো।
– এতো কথা বলেন কেনো, আর হ্যা আমার এখন ও বিয়ে হয়নি.. যত সব ফালতু।
– ও বুচ্ছি ‘বফ’ আছে না… ওকে ওনি আসলেই আমি চলে যাবো।
– ওহহহহহহহহ অসহ্য… এই দুইটা সিট আমার আমি একাই দুটো সিট নিয়ে যাই.. আর কোন ‘বফ’ নাই হইছে…
এবার যান তো।
– ওহহহহহ আচ্ছা তাই তো বলি,
আমি টিকেট নিতে গেলেই কেনো সিট থাকে না… এই যে আপনারা বড়লোক মানুষ গুলো যদি এমন দুইটা সিট নিয়ে বসে থাকে একা তাইলে আমরা কই বসমু হুমমমম।
– যেখানে খুঁশি বসেন… আমার কী আপনি যাবেন এখান থেকে।
– আচ্ছা প্লিজ একটু বসি না, কী হইবো… আর আমি কিন্তুু অনেক ভদ্র হুমমম সত্যি।
– তা তো দেখতেই পাচ্ছি ।
– তাহলে একটু বসি কেমন।
– ঠিক আছে.. কিন্তুু একটু পড়েই উঠে যাবেন।
– আচ্ছা ।।।
একটু পড়ে দেখলাম দুই দিক থেকে দুইটা টিটি চেক করতে করতে আসছে….
আহারে আজকে আমার কপালটাই খারাপ এবার কী করি….।
– এই যে একটু শুনছেন।
– জ্বী বলেন।
– না মানে টিটি আসলে বইলেন এটা
আমার সিট আর এই সিটের টিকেটটা ও দেখাই দিয়ে কেমন হি হি।
– দাঁত কেঁলাতে হবে না…. এত বড় দামড়া ছেলে টিকেট করতে কী হয়, আর আমি না থাকলে কী করতেন।
– কী করতাম মানে টিকেট করে বসে থাকতাম।
আপনি নিজেই তো আমার হকের টিকেট টা কেটে নিছেন তাই তো আল্লাহ্ একদম আমারে আপনার সাথে বসার সৌভাগ্য করে দিছে।
– চুপপপপপপপপ… এতে বক বক করতে বলছি।
এর পড়ে সব ঠিকঠাক মতোই পার হয়ে গেলো….।
ওহহহহহহহহ বাবা বাঁচলাম।
– তো কোথাই যাবেন শুনি।
– এদিন ওদির, সিটের নিচে খুঁজতে লাগলাম।
– আরে এমন করে কী খুঁজছেন।
– না মানে আপনি কাকে জিজ্ঞেস করলেন তাঁকেই খুঁজতেছি।
– আজবতো….. আপনি ছাড়া কী অন্য কেউ এখানে বসে আছে।
– না তো।
– তাহলে কাকে জিজ্ঞেস করতে যাবো, আপনাকেই তো নাকি।
– ওহহহহহহহহ… না মানে যখন যেমন রাগান্বিত ভাবে তাঁকাই ছিলেন, আবার হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন তো তাই ভাবছি অন্য কাউরে বলছেন।
– তো এবার বলেন কই যাবেন।
– না মানে ট্রেনে উঠার পড় থেকে সেটাই ভাবছি কই যাবো।
– মানে….।
– আপনি কই যাবেন।
– আমি নাটোর যাবো।
– ওহহহহহহহহ তাহলে আমি ও যাবো।
– কেনো।
– না মানে হঠাৎ মনে পড়লো নাটোর একটা রাজবাড়ি আছে…. ওটাই দেখতে যাবো।
আমার দাদুর দাদু রাজাদের সাথেই থাকতো, তাই সকল রাজবাড়ি প্রতি আমার কেমন টান অনুভব হয়…..
যেমনে কইতেছি মনে হয় কোন রাজার পোলা…।
– ও আচ্ছা তো ওনারা কী করতো শোনেন নাই।
– তাদের হাতেই রাজার সব থাকতো।
– তো কী করতো শুনি।
– না মানে রাজার খাতা পত্র নিয়ে রাজার সাথে থাকতো একদম পাশাপাশি।
– হা হা হা ভালো….।
– আপনি হাঁসছেন হুমমমমমম, রাজা ওই সালাগোরে ৫০০ বিঘা জমি দিতে চাইছে …. হালার পুতরা নেই নাই… নিজেরে ও রাজা ভাবতো মনে হয়।
আজ সেই জমি গুলো থাকলে আমারে কী এমন ভবঘুরে হয়ে এমন বেড়াইতে হয়।
– আচ্ছা থাক ওসব কথা… তো আপনি কী করেন।
– কিছুই না.. আজ এখানে তো আবার কাল ওখানে।
– মানে…।
– ও যে বল্লাম না যে ভবঘুরে।
– আচ্ছা এমন করে কী জীবন চলে হুমমমমম।
– কেনো আমার তো সব ঠিকঠাক ভাবেই চলছে।
– ভালো… দেখে তো মনে হয় লেখাপড়া করছেন।
– হুমমম করছি তো অনার্স শেষ।
– তাহলে চাকরি করেন না কেনো।
– আমার দ্বারা ওই সব চাকরি হবে না।
– কেনো শুনি।
– আরে বাবা আমারে চাকরিটাই বা দিবে কে।
– আপনি একটা সত্যি….।
– হুমমম.. সেটা আমি জানি, পাগল, সাইকো… তো আপনার নাম কী শুনি।
– আমার নাম রিয়া।
– আর আমার নাম সাহরিয়া হি হি।
– ফাজলেমি করছেন তাই না..।
– আরে না সত্যি আমার নাম সাহরিয়া হুমমমমমমম।
– ওকে…..।
– আচ্ছা না মানে… একটা কথা বলি।
– হুমমমমমমমম।
– আমি এখানে বসলে কী বিরক্ত বোধ করছেন।
– দূর না না..।
– যাক তা হলে বসে থাকতে পারবো।
– হুমমমমমমম।
– আর একটা কথা বলি।
– তখন থেকে তো হাজার হাজার কথা বলছেন.. একটা আবার আটকে থাকবে কেনো বলেন।
– আচ্ছা আমি কি অপনাকে তুমি করে বলতে পারি.. আর হ্যা আমাকে ও তুমি বলতে হবে।
আচ্ছা থাক তুই করে বলেন,,, না না আপনিই থাক।
– আচ্ছা এমন একা একাই কী বকবক করবেন নাকি।
– না মানে আমি ভাবছি… তুমি করে বললে হয়তো রাগ করবেন তাই।
– আরে দূর তুমিটাই ভালো…।
– হি হি থ্যাংকু..।
ঐ রিয়া নাটোরের কাঁচাগোল্লা খাবা।
– না না থাক…।
– ওকে আমি খাবো তুমি দেখো কেমন,,,
এই ভাই আমাকে ১০০ টাকার দেন।
আর এই ম্যাডাম টাকা দিয়ে দিবে।
দেখলাম রিয়া আমার দিকে অদ্ভুদ ভাবে তাঁকালো…
– আরে না মানে আমার কাছে টাকা
নাই… আর এই কাঁচাগোল্লা যদি
তুমি একবার খাও তাহলে সিওর
সারাজীবন মনে রাখবা।
– না আমি এই সব ট্রেনের জিনিস খাই না।
– আচ্ছা না খাও… আজকে একটু খাও একটু।
– দূর খাবো না বলছি তো।
– ঠিকআছে……।
তবে মনে রেখো জীবনে অনেক বড়
একটা জিনিস মিস করলা।
– ওকে…..।
– আহহহহহহহাাা কী স্বাদ… মনটা ভরে গেলো।
– আমি ও খাবো।
– হি হি জানতাম খাবা… বাঙ্গালি হয়ে
এই খাবার মিস করলে জীবনটা অপূর্ণ রয়ে যাবে।
– ওয়াও অনেক ভালো তো।
সাহরিয়া আমাকে আরো এনে দাও..
– আরে এই গুলো কী তাই…
নাটোরের মৌ চাক থেকে নিয়ে দিবো
কেমন আরো মজা লাগবে।
– ওকে….।
– ঐ তোমার বাসা তো এখানে না
কেমন করে জানলে।
– বলছিলাম না আমি ভবঘুরে…
সব পথঘাট আমার চেনা।
– সাহরিয়া তোমার লাইফটা না অনেক ভালো…।
– মাত্র একটু অগে ও এই কথাটাই
আমি বুঝাইতে চাইছিলাম… আর
তুমি বড়দের মতো চাকরি এর জ্ঞান
দিলা….
আসলে সেটা বলাই ঠিক আমার মতো লাইফ সবার জীবনে সাপোর্ট
করবে না… কারণ আমার মতো
সবাই সব কিছু মানিয়ে নিতে
পারবে না হি হি।
– হুমমমমমমম সেটা দেখেই বুচ্ছি।
– ঐ চলো নাটোর এসে পড়ছি…
এখন নেমে পড়ো।
– কেনো আমি তো ঢাকা যাবো।
– তখন না বললা নাটোর যাবা।
– আরে এমনি বলছি।
– ওকে চলো কাঁচাগোল্লা নিবা না।
– হুমমমমমম চলো।
এই দিকে কাঁচাগোল্লা নিতে নিতে ট্রেনটা পগারপার….।
– ঐ সাহরিয়া এখন কী হবে।
– কী আবার পরের ট্রেনের অপেক্ষা।
দাঁড়াও আমি শুনে আসছি পড়ের ট্রেন কখন।
– এই যে রিয়া পাগলী তোমার কপালটাই খারাপ।
– কেনো।
– ট্রেন আছে আবার কালকে সকাল আট টাই।
– এখন কী হবে….।
– আমাকে যদি বিশ্বাস করো,,,
তাহলে অনেক কিছুই হবে… আর না
করলে তোমাকে একটা হোটেল ভাড়া করে দিচ্ছি ওখানে থাকো… আর আমি আমার মনে চলে যাই…।
– ঐ কই যাবা তুমি।
– তেমন কোথাও না নাটোরের রাজবাড়ী দেখতে।
– আমি ও যাবো তোমার সাথে।
– ওকে চলো।
ঐ যে সামনের বাস এ উঠবো চলো… ওটাই রাজবাড়ি নিয়ে যাবে।
– না ওটাতে না এটাতে উঠবো।
– আরে এটা ওই দিকে যাবে না তো।
– ঐ আমার থেকে বেশি জানো হুমমমমম।
– এই মেয়ে কে দেখেই মনে হচ্ছে
বাপের অনেক টাকা আর গাড়ি করে
ছাড়া কোথাও বেড় হয় নাই।
আল্লাহ্ জানে কোন বিপদ আছে সামনে।
– ঐ সাহরিয়া কী হলো।
– না চলো….।
এক ঘন্টা যাবার পড়ে কন্টাক্টর কে
বললাম…
মামা রাজবাড়ি তো এতো দূরে না।
– মামা এই বাস তো রাজবাড়ি যাবে না।
– হুমমমম আগেই যানতাম।
– মামা সামনে কী আর বাস
পাওয়া যাবে না।
– না মামা এখন আর বাস নাই…
তবে এখানে নেমে হেঁটে যাবার সময়
হয়তো বাস পেতে পারেন।
– আচ্ছা ঠিকআছে ।।
এই যে পাগলি বলছিলাম এটা রাজবাড়ি এর বাস না… এবার
হলো, চলো হাঁটা দাও।
– আমি তো ভাবছি…
– থাক আর ভাবতে হবে না।
চলো এবার…..।
– সাহরিয়া আমার খিদে লাগছে…
– ওহহহহ…যেই কাঁচাগোল্লা নিছিলে ওই গুলো খাও।
– খাওয়া শেষ পানি খাবো।
– আহারে এখন পানি কই পাই….
আচ্ছা শোনো সামনে ডিপ আছে ওখান থেকে হাত দিয়ে পানি তুলে খেতে পারবা।।
– হুমমমমমমম।
– চলো…..
কেমন বাচ্চাদের মতো হাতে পানি
তুলছে কিন্তুু মুখে দেবার আগেই
শেষ হি হি।
– ঐ এদিকে বসো।
– কেনো যেমন করে খাচ্ছো সারাদিনে ও পেঁটের মধ্যে পানি পৌঁছাবে না।
– আমি তুলে খাওয়াচ্ছি….
রিয়া যখন আমার হাতে মুখ লাগিয়ে পানি খাচ্ছিলো….
তখন যে কেমন লাগছিলো আহা…।
– খাওয়া শেষ…।
– হুমমমমমমম।
সাহরিয়া সন্ধা হয়ে গেছে তো।
এখন কী হবে।
– আমি কেমনে কমু… একা থাকলে তো কোনো কথাই আছিলো না,
তোমারে নিয়েই তো সমস্যা।
– কেনো।
– তৃুমি একটা মেয়ে বুঝলা… আর এ
দিকের পোলা পান একটু ও ভালো না।
– এখন কী হবে তাহলে।
আমি কোনদিন এমন অন্ধকার রাতে একা রাস্তাই থাকি নাই।
– আমার সাথে আছো কোনো টেনশন নাই বুঝলা।
– এখন কী করবা।
– স্টেশনে যাওয়ার শর্টখাট রাস্তা খুঁজতে হবে, আর এই রাতে
তোমাকে নিয়ে এমন শুনশান রাস্তা
দিয়ে যাওয়া টা ঠিক হবে না।
– তা হলে কেমনে যাবো।
– এই যে খেত দেখছো এর মাঝে
দিয়ে যেতে হবে।
– ঐ এখানে সাপ আছে তো।
– এই রাতে সাপের থেকে বেশি ভংঙ্কর
হলো মানুষ বুঝলা …. শুধু আমার কথা মতো চলবা কেমন।
– দেখলাম রিয়া ভয়ে একদম
শেষ…
ঐ পাগলি আমি তো আছি… আমি
বেঁচে থাকতে তোমার কিছু হবে না।
হাজার হলে ও কাঁচাগোল্লা খাওয়ার টাকা দিছো হি হি।
– এবার আমার হাত ধরো….
যাই হোক না কেনো ছাঁড়বে না।
– ঠিক আছে।
– অনেক দূরে যাবা পরে.. সামনে লক্ষ করে দেখলাম দূর থেকে কয়টা
মানুষ আসছে।
রিয়া চলো লুকিয়ে পড়তে হবে।
– কেনো।
– সামনে থেকে কিছু মানুষ আসছে।
– আরে ওদের কাছে থেকে তো
হেল্প নিতে পারি।
– আগে লুকিয়ে পড়ো তার পড়ে বলছি।
একটু পড়ে ওরা আমাদের কাছাকাছি দিয়ে যাচ্ছিলো।
– রিয়া দেখো ওদের হাতে চাকু।
একটা কথা মনে রাখবে রাতে এমন
রাস্তা দিয়ে কোন সময় ভালো মানুষ
আসবে না, ওদের কাছে যদি আজকে হেল্প চাইতে তা হলে শেষ।
দেখি রিয়া ভয়ে কাঁপছিলো আর শক্ত
করে আমার হাত ধরে রাখছে।
চলো যতো তারাতারি সম্ভব কেটে
পড়তে হবে।
স্টেশনের কাছে চলে আসলাম,
এখন আর কোন ভয় নাই।
– এই যে ম্যাডাম আর কোন ভয় নাই,
দেখো কত সু্ন্দর জোনাকি পোকা।
স্টেশনে গেলাম রাত প্রায় বারোটা…
চলো একটা থাকার জায়গা আছে।
– কই…।
– কষ্ট হবে হয়তো একটু বাট কোন
রিক্স নেই।
– চলো।
– রফিক মামা দুইটা বিছানা আর
একটা কয়েল দেন।
– আরে সাহরিয়া মামা নাকি।
– হুমমমম মামা।
– তো ঐটা কে…।
– ফ্রেন্ড মামা…।
আর কিছু বইলেন না ও আজকে
অনেক ভয় পাইছে একটা না দুইটা কাঁথা দিয়েন।
– ঠিকআছে মামা তোমরা এখানে থাকো… আর কোন ভয় নাই তোমাদের রফিক মামা থাকতে।
– ঐ সাহরিয়া একটাতেই
দুইটা কাঁথা বিছালে কেনো।
– আরে তুমি তা ছাড়া ঘুমাতে পাড়বা না… আর আমার অভ্যাস আছে,
এখন ঘুমাও।
– সাহরিয়া তোমার সাথে একদিন
থেকেই মনে হচ্ছে কতদিনের চেনা
জানো।
তোমাকে আমি কোনদিন ভুলতে
পারবো না…
অনেক অজানা কিছু শিখলাম আজকে।
– হুমমমমম… ঘুমাও এবার।
– রিয়া ঘুমিয়ে আছে আর আমি
রিয়াকে দেখছিলাম কেমন মায়াবী চেহারা… কখন যে সকাল হয়ে
গেছে বুঝতেই পাড়ি নাই…
ট্রেন ও এসে গেছে….
– ঐ রিয়া উঠো ট্রেন এসে গেছে…
এই প্রথম কোন মেয়েকে টাচ করলাম।
– হুমমমমমমম…।
– টাকা দাও টিকেট নিয়ে আসি…
ঐ রফিক মামা রিয়াকে পানি দাও,,,,
আর বিছানা তুলে নাও..।
রিয়া তুমি ফ্রেস হয়ে নাও।
– টিকেট নিয়ে আসলাম দুইটা সিটের,
খাবার ও আনলাম।
– রিয়া এই নাও টিকেট.. আর এই তোমার কাঁচাগোল্লা,,, আর এখানে কিছু খাবার আছে খেয়ে নিয়ো।
আর ভালো থেকো।
– আর তুমি কই যাবা।
– হি হি আমার কথা বাদ দাও,
নিজের খেয়াল রেখো।
– আর কিছু বলবা।
– না…. ভালো থেকো।
– রিয়া একটু যাচ্ছে আর আমার দিকে তাঁকাচ্ছে।
এবার ট্রেনে উঠে গেলো,, জানালা দিয়ে ও আমার দিকে তাঁকাই আছে।
কেমন যেনো নিজেকে ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো।
তাই আর থাকতে পারছিলাম না
দৌড়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম।
– দেখি রিয়ার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আর অন্য দিকে তাঁকাই আছে।
– এই যে আমি কী একটু এই সিটে
বসতে পারি।
– কোন কথা নাই।
– কাঁচাগোল্লা খাবেন না।
এবা তাঁকিয়ে অবাক হয়ে গেলো।
– তুমি…
– হুমমমমমম,,,, ভাবলাম বিনা
টিকেটে না গিয়ে তোমার সাথেই
যাই।
– তাই না পাগল।
– হুমমমমম পাগলি….।
– এখানে কী বসতে পারি।
– না।
– কেনো….।
– কারণ সারাজীবন এমন পাশেই বসতে হবে… আর আমি ও ভবঘুরে
হবো নিবা তোমার সাথে।
– কেনো নিবো না হুমমমমম পাগলি কেউ নাই একটা পাপ্পি দিবা হি হি হি……।