মেরি পেয়ারী পাগলি

মেরি পেয়ারী পাগলি

– থাকবো না আর এই বাড়িতে, দেখি
আজকে আমারে কে আটকাই হুমমমমমম।
– এই নে ধর ব্যাগ… যেখানে ইচ্ছা
চলে যা, প্রতিদিন এই একি ডাইলগ
শুনতে শুনতে আমি শেষ।
এই নে ব্যাগ এখানে তোর সকল
জামাকাপড় আছে… (ফাহিমা) ।

– হায় হায় ফাইসা গেলাম
তো.. আমি ভাবছি সে আমারে
প্রতিদিনের মতো আটকাবে,
কিন্তুু আজকে তো সব উল্টো হইতেছে… এখন কী যে করি।
তানজিন যাই হয়ে যাক না
কেন এই নারী জাতির কাছে
তোর হারলে চলবে না… তুই পুরুষ
জাতির অহংকার (মনে মনে বলতেছি)।
কিন্তুু যামুটা কই…..।

– ঐ ব্যাগ নিয়ে এখান থেকে ভাগবি
নাকি এমন হা করে দাঁড়াই থাকবি
শুনি।
– হুমমম হুমমমম চলেই যামু… থাকমু
না আর এই বাড়িতে।
– তো তোরে থাকতে বলছে কে শুনি।
এখনি ভাগ।
– বলেই মুখের উপরে দরোজা
বন্ধ করে দিলো…
কী মেয়েরে ভাই দিলে কোন দয়া
মায়া বলে কিছু নাই নাকি।
যাই হোক ব্যাগটা ঘাড়ে নিলাম
আর রিবিক্স কিউবটা ঘুরাইতে ঘুরাইতে যাচ্ছি ।

ও হ্যা বলাই তো হয় নাই…..
আমি আর ফাহিমা বর, বউ কিন্তুু
কোনদিন কেউ ভাবে নাই।
সারাদিন মারামারি দুষ্টুমি আর
ভালোবাসাই আমাদের দিন ভালই
কাটে, আর মাঝে মাঝে এমন রাগ
অভিমান।
আর সেটার সম্পূর্ণ দোষ আমার,

তিনদিন আগের থেকে ঘটনা বলি..

– সকালে ঘুমাই আছি..।
– ঐ ওঠো তাড়াতাড়ি।
– ভাই এমন সকাল সকাল
তোর আমারে না ডাক দিলে
কী মইরা যাবি হুমমম হারামি
কুত্তা।
– ঐ কী বললা আমারে।
– হায় হায় সাহরিয়া হারামিরে
মনে করে বউরে বলে ফেলছি…
হে আল্লাহ্ আমার মাথাই কী একটু বুদ্ধি
সুদ্ধি দিবা না তুমি।

– আমি হারামি তাই না, ওকে থাকো
তুমি।
– আরে বাবা সত্যি বউ আমি তোমারে
বলিনাই হুমমমম…. আসল ব্যাপারটা
খুলে বলি কেমন।
– হুমমমমমম।
– যখন মেসে থাকতাম না , তখন আমার সাথে একটা ফ্রেন্ড থাকতো।
ওকে দেখেই বুঝছি হারামি কাকে
বলে….. নামটা ও কেমন হারামি হারামি সাহরিয়া… সব সময় সবাইকে জ্বালিয়ে মারতো।
হঠাৎ ঐটারে মনে করে তোমারে বলে ফেলছি বউ….।
– আচ্ছা ওকে এবার ওঠো।
– ওহহহহহহ বাঁচলাম বাবা ….।
– ঐ কী ভাবছো শুনি।
– না না কিছু না হি হি।
– আর দাঁত কেলাতে হবে না,
এবার চলো ফ্রেস হয়ে নিবা।
– হুমমমমমমম।

আমি ও না আস্ত একটা বড় রামছাগল.. কখন যে কী বলে ফেলি।

সেদিন রাতে….।

– বউ একটা পাপ্পি দিবা…।
– থাপ্পড় চিনো।
– হুমমমমমমমম।
– আসো একটা থাপ্পড় দিই।
– না থাক লাগবে না।
– এইতো লক্ষী ছেলে যাও এবার
শুয়ে পড়ো।
– কী কপাল আমার, বিয়ে করে ও
পাপ্পি কপালে জুটে নাই… সব
কপালে থাকতে হয় ভাই।।
– ঐ কী বলছো ফিসফিস করে।
– না কিছু না সব আমার কপাল,
কপালরে গালি দিতেছি।
– কেনো।
– কেন আবার, বিয়ে করে ও যদি
একটা পাপ্পিই না জুটে এই হাঁড়ি
ফাঁটা কপালে বিয়ে করে কী হইল।
– হা হা হা পাগল একটা।
আচ্ছা কাছে এসো।
– মারবা না তো।
– দূর বোকা কাছে এসো।
– আসলাম এবার…. আমার কোলে
ঘুমাবা, কোন দুষ্টুমি করবা না,
তাহলে মাইর দিমু।
– হি হি ওকে .. এই না হলে আমার বউ… কী শান্তি আহা।
– হুমমমমম হয়েছে ঘুমাও।
– ওকে….।

পরেরদিন ভালই ছিলো সব।

আজকে সকালে বসে বসে
টম এ্যান্ড জেরি দেখছিলাম….।
– হঠাৎ কারো চিল্লানিতে হাত
থেকে রিমোটা নিচে পড়ে গেলে।
– তানজিমমমমমমমমমমমমমমম।
– হায় হায় কী হলো আবার।
ভয়ে ভয়ে রান্না ঘরের দিকে গেলাম।
– আমাকে ডাকছো বউ..।
– ঐ তোরে না কালকে লবণ আনতে
বলছিলাম লবণ কই।
– আরে লবণের জন্য এমন ভাবে
চিৎকার দিবা আমি তো হার্ডএ্যাটাক
করতে লাগছিলাম মাত্র।

– তোরে লবণ আনতে বলছিলাম লবণ আনিস নাই ক্যান।
– দেখো বউ মা বলছে আমি তোর ২৪ মিনিটের বড় হুমমমম।
– তুই চব্বিশ মিনিটের বড় তাই না
,তো তোরে কী করতে হবে শুনি।
– না মানে একটু নরম ভাবে সম্মান
দিয়ে বলো।
– তাই না…. তোরে এখন এইটা দিয়ে
পিটামু দাঁড়া।
– একবার ভাবেন লবণের জন্য
স্বামীকে পিটাবে বজ্জত মেয়ে।
– কী আমি বজ্জাত।
– হুমমমমম।
– দাঁড়া আজকে তোরে তো আমি।
– কী করবা হুমমমমমম… আমিই
থাকমু না এই বাড়িতে।
– যা না যা।
– হুমম যামুই তো… যেখানে একটু সম্মান নাই
সেখানে আমি ক্যান থাকমু।

এরপরে থেকে তো সব জানেন…
এখন প্রায় সন্ধা হয়ে এসেছে
আর আমি রাস্তাই রাস্তাই হাঁটছি,
ক্যান যে বড় গলাই বাসা থেকে
চলে আসলাম দূর…..
এখন আমি কই থাকমু আল্লাহ্ বাঁচাও আমারে।

হঠাৎ ফোনটা বেঁজে উঠলো।
স্কিনে তাঁকাই দেখি ফাহিমা।
– হ্যালো…..।
– কই তুমি….।
– কেনো হুমমমমমমম।
– ঐ বলো না কই তুমি।
– এই তো চায়না তে আসছি, এখান
থেকে আমেরিকা যাবো।
– ফ্যাজলেমি না করে বলো কই আছো।
– কেমন কাঁদো কাঁদো কন্ঠে।
– হি হি হি আরে বোকা আমি তো
বাসার থেকে একটু দূরেই আছি।
– তাড়াতাড়ি বাসাই আসো।
– কেনো, তুমি না আসতে না করলা।
– আমি বললেই আসবা না হুমমমম
বেয়াদব…..।
– হঠাৎ আকাশটা ডেকে উঠলো।
– ঐ তাড়াতাড়ি বাসাই আসো আকাশ
খারাপ।
– ওকে… বলেই বাসার দিকে দৌড়।
তবু আসতে আসতে ভিঁজে গেছি।
দরোজাই নক করতেই সাথে সাথে
খুলে গেলো।
মানে পাগলিটা দরজার কাছেই ছিলো।
আর আমাকে জরিয়ে ধরলে।
– ঐ পাগলি আমি তো একদম ভিঁজে
গেছি, তুমি ও তো ভিঁজে যাবে।
– ভিঁজে যাবো তোমার কী… আমারই তো সব জ্বর হইলে কে দেখবে হুমমমম।
– সেটা ভাবলে আর চলে যেতে না।
– হি হি কাছেই তো ছিলাম, আর তুমি এমন বকা দাও কেনো।
– তাই বলে চলে যাবে শয়তান।
– আচ্ছা আর যাবো না।
– ওকে… চলো বৃষ্টি তে ভিঁজবো।
– কী এখন।
– হুমমমমমমমম।
– না…..
– মাইর দিবো কিন্তুু।
– তাহলে একটা পাপ্পি দাও হি হি হি।
– উমমমমমমমমা হয়েছে শয়তান একটা।
– হুমমমমম… চলো বৃষ্টিতে ভিঁজবো।
– ওকে…..।

শেষ হয়ে গেছে তো ব্রো….. এবার
যান হি হি হি ।।।

>>সমাপ্ত

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত