–হ্যালো,কই তুমি(লামিয়া)
–ক্যানো,বাসায়।(আমি)
–ও বিকেলে দেখা করতে পারবা।
–হুম,কিন্তু কোথায়।
–কেন,যেখানে আমরা সব সময় দেখা –কেন,যেখানে আমরা সব সময় দেখা করি।
-ওকে।
(হাই,আমি হাসিব।আপাতত ছোটো খাটো একটা জব করি।আর লামিয়া,হুম,ও একসময় আমার গার্লফ্রেন্ড ছিলো।কিন্তু সম্পর্কটা বেশি দিন টিকলো না।ব্রেক আপ হয়ে গেছিলো রিলেশনশিপটা।কিন
্তু ভাগ্যের লিখনে আজ সে আমার হবু বউ।)আজ থেকে দুইমাস আগে একটা বাসে ওর সাথে আমার প্রথম পরিচয়। আমার আবার মেয়েদের সাথে কথা বলার অভ্যাস ছিলো না।খুব এড়িয়ে চলতাম মেয়েদেরকে।কিন্তু,ওই দিন বাসে উঠে একটা সিট ই শুধু ফাকা ছিলো।আর পাশে ছিলো একটা মেয়ে। অনেক দূরে যেতে হবে তাই বাধ্য হয়ে বসতে হলো তারপাশে।কিছুক্ষণ পর।
–হাই,(ওই মেয়েটি)
–হুম।
–আপনি কি কেবলা কান্ত?
–কেন?
–বাসে আপনার পাশের সিট এ কেউ আছে, তা কি আপনি দেখেননি?
–দেখেছি।
–তো কেবলা কান্তের মতো চুপ করে ছিলেন, কেন?
–এমনি।আমি মেয়েদের সাথে কথা কম বলি।
–ও তাই।কিন্তু এখন তো কথা বলতে হবে আপনাকে।আমার সাথে।
–যদি না বলি।
–তাহলে আমি চিৎকার করে বলবো যে আপনি আমাকে ডিস্টার্ব করতেছেন আমার পাশে বসে।
–প্লিজ,এই কাজটি কখনো করবেন না।বলুন কি করতে হবে। –আসো পরিচিত হই।আমি লামিয়া।
–আমি হাসিব।
–ও।বাড়ি যাচ্ছ নাকি।
–হুম,আপনি?
–আমিও।আর এখন থেকে তুমি করে বলবা।ওকে?
–ঠিক আছে।
–তোমার ফোন নাম্বার টা দাও তো।
–কেন?
–লাগবে তাই।আর তাছাড়া তোমার তো গার্লফ্রেন্ড থাকার কথা না।কারন যে মেয়েদের সাথে কথাই বলে না।তার আবার,,,,,
–ওকে।দিচ্ছি017959406**।
–হুম।
তারপর অনেক কথা হলো লামিয়ার সাথে।কথা বলার এক পর্যায় জানতে পারলাম।ওর বাড়ি আর আমাদের বাড়ি খুব কাছেই।আর তারপর বাসস্টপ এ এসে। দুজনে চলে যাই দুজনের বাড়ি।রাতে খাওয়া দাওয়া করার পর।শুতে গেলাম।হঠাত অচেনা এক নাম্বার থেকে কল আসলো।
–হ্যালো।কে?
–লামিয়া বলছি
–ও তুমি।
–হুম,কিন্তু এখনো তুমি করে বলতেছো কেন।এখন তো আর বাসে নেই যে চিৎকার করব।
–ও সরি,এখন থেকে আপনি করে বলবো।
–আরে বোকা মজা করছিলাম।তুমি সত্যিই একটা কেবলা কান্ত।
–মনে হয়।
এভাবেই বেশ ভালোই চলছিলো আমাদের খুনসুটি মজা গুলো।কিন্তু আমাদের সম্পর্ক টা আর বেশি দিন ফ্রেন্ডশিপ এ থাকলো না।একসময় ও আমাকে প্রপোজ করে বসে।আর আমিও না এক্সেপ্ট করে পারলাম না।আর খুব ভালই চলছিলো আমাদের নতুন জীবন।কিন্তু এই জীবন আর বেশি দিন থাকলো না।একসময় দুজনের পরিবার থেকে বিয়েঠিক করলো। আর আমাদের কারোই সাহস ছিলো না।পরিবারের বিরুদ্ধে যাওয়ার।আর তেই দুজনেই ব্রেক আপ করি। সেদিন রাতে কতটা কেঁদেছি জানি না।আর আম্মু ও সেই রাতে পাত্রীর একটা ছবি দিয়ে গেছিলো। কিন্তু,মেজাজটা খারাপ থাকায় আর দেখলাম না পাত্রীকে।পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ছবিটা না দেখেই ছিঁড়ে ফেললাম।কিন্তু ছেড়ারর সময় লক্ষ্য করলাম,চোখ টা কেমন জানি চেনা চেনা লাগতেছে।আর তাই সব ছবির টুকরো গুলো এক করলাম।কিন্তু নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।আর তখনিই কল করলাম লামিয়া কে।কিন্তু ওর ফোন টাও বন্ধ।তারপর সারাদিন অনেক কল করলাম। কিন্তু বন্ধ।রাতে আবার দিলাম। হুম এবার খোলা আছে।
–হ্যালো(আমি)
–হুম,কল করছো কেন আমাকে,কেন মিথ্যে মায়ায় জড়াচ্ছ আমায়।আমি তো তোমাকে ভুলেই গেছি।প্লিজ তুমিও আমাকে ভুলে যাও।
–হুম।যাবো। আগে বলো তুমি কি তোমার হবু বরকে দেখছো?
–না,মা ছবি দিয়ে গেছিলো। কিন্তু দেখিনি।
–তুমি একটু দেখোতো চিনতে পারো কিনা।তোমার হবু বরকে।
–হুম,দারাও দেখে নেই আগে।
–কি দেখলা?
–আমি স্বপ্ন দেখছি না তো।
–না,আমিতো ছবি দেখেই।তোমাকে সারা দিন অনেক কল করলাম।কিন্তু তোমার ফোন বন্ধ ছিলো।ওকে,রাত অনেক হইছে এখন ঘুমাও
–হুম। আর তারপরে আজ যাচ্ছি ওর সাথে দেখা করতে।ওই যে ও অপেক্ষা করতেছে আমার জন্য।
–কি কেমন আছো?(আমি)
–ভালো ছিলাম না।তবে এখন আছি।তুমি
–আমিও।
–সব কিছুই কেমন জানি স্বপ্ন মনে হচ্ছে।তাই না
–হুম,আর এই স্বপ্ন এ কি তুমি আমাকে একবার জড়িয়ে ধরবা।
–কেন না।
ইসসসসসস প
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক