অন্যরকম ভালবাসা

অন্যরকম ভালবাসা

– খুব ব্যস্ত থাকা হয়, তাই না?
– ইয়ে, কেন বলুন তো?
– আগে বলেন, এত ব্যস্ততা কিসের আপনার?
– মানুষের ব্যস্ততার কি আর শেষ আছে?
– তাই, না? মস্ত বড় অফিস আদালত করেন বুঝি?
– না ঠিক সেরকম কিছু না।
– তাহলে কিসের এত ব্যস্ততা আপনার?
– কেমন আছেন আপনি?
– সেটা তো বলব না! আপনি নিজে থেকে নক দিয়েছেন কখনো? আজ আমি নক দিলাম বলেই আপনি রিপ্লাই দিচ্ছেন!
– না মানে, আসলে…
– থাক, আর বলতে হবে না।
– আচ্ছা।
– একটা কথা বলি?
– হুম।
– আপনি কি কখনোই আমাকে নিজে থেকে নক দিবেন না?
– দিব না কেন? অবশ্যই দিব।
– কঁচু দিবেন আপনি! আমার কথা আপনার মনেই থাকবে না। আপনি যে মন ভুলার ডিম!
– মন ভুলার ডিম আবার কেমন?
– ভীতুর ডিম শোনেননি কখনো? এটাও সেরকম।
– হা হা হা।
.
.
৩ দিন পর।
.
– আমাকে কি আপনার নক দেয়ার কথা ছিল?
– ওহহো, আসলে এই ক’দিন একটু ব্যস্ত আছি তো। একটুও মনে নেই। আসলেই আমি একটা মন ভুলার ডিম!
– তার মানে এই তিনটা দিন আমার আইডিটা চেকও করেননি?
– ইয়ে, না তো। কেন বলুন তো?
– কিছু না। এমনি।
– ও আচ্ছা।
– আপনি এত খারাপ লোক কেন বলুন তো? ধুর ছাই!
.
.
অতসী রাগ করে অফলাইনে চলে গেল।
আমি মুচকি হাসলাম।
আমি তাকে নক করতে তার আইডিতে যাই কি না, সেটা দেখার জন্য সে এই তিনটা দিন আইডি ডিএক্টিভেট করে রেখেছিল।

আমি এই তিনটা দিন কম করে হলেও ত্রিশ বার তার আইডি চেক করেছি। কিন্তু আইডিটা ডিএক্টিভেট পেয়ে আমার খারাপ লেগেছে।

যতবারই তার কালো হয়ে যাওয়া আইডিটা দেখেছি ততবারই বুকের ভিতরটা আমার কেঁপে কেঁপে উঠেছে।

মেয়েটাকে অনলাইনে না পেলে আমার অস্থির লাগে। তার নামের পাশে সবুজ বাতিটা জ্বললে আমি যেন প্রাণ ফিরে পাই।
.
এসবের কোনো কিছুই মেয়েটা জানে না। আমিও জানানোর চেষ্টা করি না। মেয়েটার এই অভিমান মাখা অস্থিরতা আমাকে মুগ্ধ করে।

তাই আমি ডুব দিয়ে থাকি। কোনো একদিন হয়ত আমাদের প্রেম হয়ে যাবে। প্রেমটা হয়ে গেলেই এই অভিমান মাখা অস্থিরতাটা আর থাকবে না।

তখন রুটিনটা পালটে যাবে।  হয়ত পালটে যাবে মুগ্ধ হবার ধরণও। তবে আমি আপাতত প্রেম হওয়ার আগের এই মুগ্ধতাটুকু নিতে চাই।

প্রেম শুরু হয়েই গেলেই কিছু একটা শেষ হয়ে যায়। শেষ হয়ে যায় প্রেম হওয়ার আগের অন্যরকম এই মুহূর্তগুলো।

অন্যরকম এই অভিমান গুলো। অন্যরকম এই লুকোচুরিগুলো…।

গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত