আজকে কলেজ লাইফের প্রথম দিন।কতো কিছুর চিন্তাই না আসছে মাথায়।ভাবতে খারাপ লাগছে না।এই তো এসে পরেছি।মামা,ভাড়া কতো।রিক্সা ওয়ালা মামাকে ভাড়াটা বুঝে দিয়ে আসবো। ঠিক তখনোইই কাউকে দেখলাম মনে হয়।না, মানুষ বললে ভুল হবে।এতো পরী। তো এই পরী দিনে এখানে কি করতেছে।চিন্তিত মনে হচ্ছে মনে হয় পরীটাকে।যাই দেখি কোনো উপকারে আসি কিনা।
–এই যে ম্যাডাম,আপনাকে দেখে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে?কোনো সমস্যা??
–জ্বী,না।আপনি আসতে পারেন।(পরী)
–ওকে।
চলে আসবো ঠিক তখনি কে জেনো ডাকলো মনে হয়।আর কেউ না পরীটাই ডাকতেছে।
–সরি,আসলে কি মাথাটা গরম ছিল তাই খারাপ ব্যবহার করেছি।
–ওকে।আচ্ছা মাথা গরম কেন আপনার??
–আসলে কি আমি মনের ভুলে টাকা বাসায় রেখে এসেছি।তো এখন রিক্সা ওয়ালা মামার ভাড়া….
–ওকে সমস্যা নাই। আমি দিয়ে দিচ্ছি।
আমি যদি রিক্সা ওয়ালা হতাম তাহলে তো এমন পরীরর কাছ থেকে ভাড়াই নিতাম না।
ভাড়া দিয়ে চলে আসবো ঠিক তখনি পরীটা আবার ডাকল।
–এই যে মিস্টার, করুনা করলেন নাকি যে। করুনা শেষ এবার বাই।
–আরে না।
–তাহলে,আমাদের তো পরিচয়ই হলো না।আমি রুসু।আজ এই কলেজ লাইফের প্রথম দিন।তুমিও কি নতুন এই কলেজে। –হুম,আমি ইমন।আমিও আপনার মতো নতুন লাইফে পা রাখছি।
–ও।ওকে,ফ্রেন্ডস???
–হুম,ফ্রেন্ডস। (একটু ভেবে)
–এবার তাহলে ভিতরে যাওয়া যাক।
–হুম।
–আচ্ছা তোমার ফোন নাম্বারটা দাওতো।
–কেন???
–কেন মানে,গার্লফ্রেন্ড আছে নাকি??
–না।তুমিই প্রথম মেয়ে যার সাথে আমি কথা বলতেছি।
–তাই নাকি।তাহলে দাও।
–017***************।
–হুম।আর যেহেতু আমরা ফ্রেন্ড তো।নো আপনি,জাস্ট তুমি/তুই।আমার কাছে তুই করে বলতে ভালো লাগে না।শুধু তুমি।ওকে??
–ওকে।
হাহহহহহহ,ভালাই কাটল প্রথম দিন।রাতে শুয়ে আছি,একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসলো।রিসিভ করবো না ভেবেও করলাম।
–হ্যালো,(ওপাশ থেকে)
–হ্যালো।কে???
–আরে আমি রুসু।ভুলে গেছো??
–না।নাম্বার সেভ করা ছিলোনা তো তাই।
–ও।
–হুম।
এভাবে কতোটা রাত কথা বলে কাটিয়েছি জানি না।ইদানীং রুসু অনেক কেয়ার করে আমাকে।আর আমিও ওর মায়ায় পরে গেছি।অনেকটা ভালবেসে ফেলেছি ওকে।ও হয়তো ভালবাসে আমাকে।কারন সেদিন আমার ক্লাসমেট ফারিয়ার সাথে একটু হেসে কথা বলতেছিলাম তাতে তো সে রেগে গরম সিংগারা হয়ে গেছিলো, তার মধ্যে আবার ঝালও ছিল খুব।
–ফারিয়ার সাথে এতো কি ছাগলের মতো হেসে কথা বললে?
–কই কিছু নাতো। –কেন,মেয়ে একটায় হচ্ছে না।আরো লাগবে।শোন,আমি ছাড়া যদি অন্য কোনো মেয়ের দিকে তাকাতে দেখেছি তাহলে সালা এমন জায়গায় মারবো না।তোর আম্মুকেও দেখাতে পারবি না।
–এই না।দুষ্টু,এসব কাজ করতে নেই।বোকা মেয়ে।আমি এর পর কোনো মেয়ের সাথেই কথা বলবো না।
–মানে।আমিওতো মেয়ে তার মানে। তুই,,,
–আরে না তুমি বাদে।
–হুম,
এভাবেই আরো কাছা কাছি চলে আসি দুজন।এখন ইচ্ছা করলেও কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারি না।একবার তো প্রচন্ড জরে ভুগছিলাম।দুইদিন তো কোথায় ছিলাম জানিই না।যখন একটু সুস্থ হলাম, তখন তো আমি পুরো অবাক।এ কে আমার সামনে।
–আরে তুমি।
–কেন অন্য কারো থাকার কথা ছিলো নাকি।
–আরে না।
–তুই যখন খুব অসুস্থ ছিলি।তখন সারা দিন। পরী নামে একটা নাম্বার থেকে কল আসতো।আর তখন জানতে পারলাম,তোর বেস্ট ফ্রেন্ড এর কল ছিল ওটা।আর বাসার ঠিকানা দেই ওকে।আর কাল থেকে তোর সেবা করে আসসছে ও।(আম্মু)
ও তাহলে এতো দূর।যাক জর টা হয়েও ভালোই হলো।
খুব যত্ন নিয়েছিল আমার ও।তারপরে থেকে প্রায়ই ও আসতো আমাদের বাসায়।আর দুদিন যেতে না যেতেই ওকে নিয়ে আসতে বলতো বাসায়।একদিন সকালে আম্মু জানালো যে আমাকে নাকি তার কোনো এক ফ্রেন্ড এর মেয়ের বিয়েতে যেতে হবে। তাও আবার একা আম্মুকে ছেরে দুদিন আগে।আর আম্মু যাবে পরে।একদিকে রুসুকে ছাড়াত আমি থাকতেই পারব না।আম্মু কে বলে দিলাম যে আমি একা যেতে পারবোনা।একা ভালো লাগে না।
–একা কোথায় রুসু যাচ্ছে তোর সাথে।আমি কল করে আসতে বলেছি।ওই তো চলে এসেছে।(আম্মু)
ইসসসস মিস করলাম।এখন একটা আমানত শাহ লুঙ্গী পরা থাকলে কি ড্যান্সটাই না মারতাম।
বিকেলে আমি আর রুসু।দুজনিই রওনা দিলাম আম্মুর ফ্রেন্ডএর বাড়ির উদ্দেশ্যে।পথে কেউই কথা বললাম না,কারো সাথে।হয়তো আনন্দে।,,,,,,,
গল্পের বিষয়:
রোমান্টিক