প্রাইআনেক দিন হলো সাকিলাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি,ফলো করি।
সাকিলাও ব্যাপারটা বুঝে। কিন্তু চুপচাপ
থাকে। কিছু বলেও না আাবার কিছু করেও না।তাই হঠাৎ করে মনে পরলো যে কেউ একজন বলেছিল নীরবতা
সম্মতির লক্ষণ।আর এই যুক্তির উপর ভরসা করে
একদিন ওকে ডাক দিলাম।
আমি:এই যে একটু শুনবেন কি?
সাকিলাঃদেখুন আমি জানি আপনি কি বলবেন বা বলতে চাচ্ছেন এই মুহুর্তে। অঝতা নিজের সময় নষ্ট
করবেন না দয়া করে। এসব প্রেম ভালোবাসাই আমার কোনো আগ্রহ বা ইচ্ছা কোনটাই নাই।
কথা গুলো শেষ করেই সে হনহন করে চলে গেল,আমাকে কিছুই বলতে দিলো না।আমি শুধুবোকার মত করে তার গমন পথেতাকিয়ে থাকলাম। মনে মনে চৌদ্দগুষ্টি ধরে *****
লাগল যে কোন গাধায় বলেছে নীরবতা
সম্মতির লক্ষণ? যাইহোক আমি এখনো সাকিরার
পিছু ছাড়িনি। ভালবেসেছি যেহেতু সুতরাংহাল ছেড়ে দিলে হবে না। বেশকিছু
দিন যাওয়ার পর একদিন সাকিরা আমাকে
ডাকলো। খুশি খুশি মন নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম তার সামনে।
আমি:জ্বি কিছু বলবেন।
সাকিরাঃআপনাকে আমি ননিশ্চয় বলেছি অঝতা সময় নষ্ট করবেন
না। আমি এসবে আগ্রহী নই।
আমি: তোমাকে আমার খুব ভাল লাগে। আার আপন মানুষকে তুমি করেই বলতে হয়।
সাকিরা:দেখুন আমি গ্রামের মেয়ে খুবই সাধাসিধা,তবে অতটা বোকা আমি নয়। দয়াকরে আমাকে আর বিরক্ত বা ফলো করবেন না।
(২)
মন খারাপ করে নিয়ে বাসায় আসলাম। তবুও
হাল ছাড়লাম না। সাকিরার এক
বান্ধবী আমাকে খুব ভালো করে চিনে। এবার তাকে
দিয়ে চেষ্টা করলাম। অনেক
চেষ্টা আর সাধনার পর সাকিরা আমার সাথে
কথা বলার জন্য আমাকেএকটা লেকের (নদীর পারে)
ডাকলো। আমি তো খুশিতে
আকাশে উরা শুরু করলাম। সঠিক সময়
নির্দিষ্ট স্থানে যেয়ে হাজির হলাম।
সাকিরাও হাজির। যেয়ে হাই দিলাম।
সাকিলা তার পাশের খালি স্থানটার
দিকে ইশারা করে বলল
ঔইঃ বসেন।
কে ঠেকায় আমারে! ধুপ করে বসে
পড়লাম।
হামি: ভাল আছ?
ঔইঃ হ্যা। কতটুকু ভালনাসেন?
আমি: অনেক অনেক অনেক।
ঔইঃ কয়দিন থাকবে এই ভালবাসা?
দিলো প্রথমেই একটা ঠেলা।
আমি: কখনোই ফুরাবে না।
ঔইঃ ফুরাবে যেদিন লিটনের ফ্ল্যাটে
নিতে পারবে সেদিনই ফুরাবে।
আমি: দেখ সবাই কিন্তু সমান না।
ওইঃ এই ডায়ালগ ছোট ছোট বাচ্চা রাও দেয়।। এসব
ভালবাসা ফ্ল্যাট পর্যন্ত টিকে।
তারপর ঢুস।
আমি: আমার ভালবাসা ফুরাবে না। কারণ আমি অনলি ওয়ান পিছ আছি। কোন ডুবলিকেট তৈরি হয়নি।
ওইঃ তাহলে চলুন যাই লিটনের ফ্ল্যাটে।
তারপর দেখা যাবে এটা ভালবাসা
নাকি অন্যকিছু।
(৩)
মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।
– থাক লাগবে না ভালবাসা। আগে
ভালবাসার সম্মান দিতে শিখ। তারপর
না হয় ভেবে দেখব। আর কখনো
ডিস্টার্ব করব না।বলে ওখান থেকে চলে আসলাম।তার ঠিক পরের দিন সাকিলা আমাকে একটা পার্কে দেখা করার জন্য খুবই অনুনই -বিনতি করলো যার ফলে সেখানে যাওয়া।গিয়ে দেখি সে আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত।
আমি:বসতে বসতে কখন এসেছো?( ভদ্রতার খাতিরে)
ঔইঃ আচ্ছা তুমাকে একটা গল্প বলবো খুবই মোনজোগ দিয়ে শুনবে।
একটা মেয়েকে একটা ছেলে প্রতিদিন ফলো করে,তাকে সব সময় সাহায্য সহযোগীতা করে। মেয়েটা সেটা খুব ভালো করে যানে এবং আস্তে আস্তে তার প্রতি খুব দুর্বল হয়ে পরে আর তার ওপর সারক্ষণ নির্ভর করতে থাকতো।কেনজানিনা মেয়েটার মনে হতো এর ওপর বিশ্বাস করা যায়।এ আর পাঁচ- দশটা ছেলের মতো না। এসব চলতে চলতে কখন যে মেয়েটাও ঔই ছেলেটাকে ভালোবাসতে শুরু করে সে নিজেও যানে না।হঠাৎ করে তার মনে পরলো সে তো কোনদিন মা হতে পারবে না। তার কারণ সে গ্রামে একবার রাস্তা পার হতে ট্রাক এসে তাকে ধাক্কা দেয়। দীর্ঘ ৭২ ঘন্টা পর তার ঙ্গান ফিরে আসে।কিন্তু তার পরে ডাক্তার সব রিপোর্ট দেখে ওপরের কথা গুলো বলে। এসব জানার পর আর সে চাইনি যে সে তার প্রিয় মানুষকে কষ্ট দিতে।তাই সে সব সময় তাকে অবহেলাও ওপমান করে।
এইটুকু বলে থামলো আর কাঁদতে শুরু করলো। আমার আর বুঝতে বাঁকি রইলো না যে আসলে গল্পটা কার।আমি আর কিছু ভেবতে পারছি না। তাই ওখান থেকে চলে এসে বাবা – মা কে সব বললাম খুলে।মা শুনে একটু আপওি করলেও অবশেষে রাজি হয়।আর আম্মু রাজি মানে সবাই রাজি।তাই ্তার পরের দিন আমরা সবাই সাকিরার বাসাই যাই এবং ঔই দিনই বিয়ে করে নিয়ে আসি তাকে।
এখন যাই বাসরে।