– রাস্তায় হাটার সময় কোন মেয়ের দিকে তাকাবানা। ওকে??
— হুম।
– ফেসবুকে কোন মেয়ের ছবিতে লাইক দিবা না। ওকে??
— হুম। – দেখবাও না। ওকে??
— হুম। – খালি জিরো ডট ফেসবুক চালাবা। ওকে??
— হুম। – টিভি কম দেখবা। মুভিও দেখবানা। আর দেখলে নায়িকাদের দিকে তাকাবানা। ওকে??
— হুম।
– পেপার পড়বা। বিনোদন পাতার দিকে যাবা না। আর মহিলা টেনিস প্লেয়ারদের খেলা যেদিন থাকবে তার পরের দিন পত্রিকা রাখবানা।
— ওকে।
– সব ক্লাস করবা। খালি নতুন ডাক্তার মেয়ে টিচারগুলার ক্লাস করবানা। খালি আইটেম দিবা। আর একা আইটেম দিবানা। আইটেম দেয়ার সময় টিচারের দিকে বেশীক্ষন তাকায় থাকবানা।
— আচ্ছা।
– মোবাইলে উল্টা পাল্টা ভিডিও দেখলে চোখ গাইল্লা ফেলবো।
— হুম।
– ডাক্তার হলে খালি ছেলে রোগী দেখবা।
— আমার তো রোগী দেখার ইচ্ছা নাই। আমি টিচার হবো।
– তাইলে বয়েজ মেডিকেলে পড়াবা। ঠিক আছে?
— বয়েজ মেডিকেল নাই তো! খালি গার্লস অবশ্য আছে্
– তাইলে টিচার হবার স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দাও।
— আচ্ছা।
– তোমার বাসা মহিলা কলেজের সামনে না??
— হুম।
– বাসা চেঞ্জ করো।
— আমার বাবার বাড়ি!!
– বাড়ি বেচে দাও।
— আমার বাবা শুনলে …
-তাইলে বাসা ছেড়ে মেসে থাকবা। এমন বাড়িতে যে বাড়ির মালিকের কোন মেয়ে নাই। থাকলেও ওই মেয়ের দিকে তাকাবানা।
— আচ্ছা। – মনে থাকবে??
— এত্ত বড় লিস্ট!! সব তো মনে নাই।
– আবার বলবো??!
— আবার!
– মনে না থাকলে আবার বলতে হবে।
— থাক থাক!! এত বড় লিস্ট দিয়ে কাজ নাই। তুমি বরং এমন কোন লিস্ট দাও যেই লিস্টে খালি আমি কোন কোন দিকে তাকাতে পারবো সেই লিস্ট থাকবে।
– ভালো বুদ্ধি। তুমি তোমার পায়ের বুড়া আঙ্গুলের দিকে তাকাবা খালি। এভাবে নিচের দিকে তাকায় চলাচল করবা। ওকে??
— হুম। ওকে!! – দ্যাটস মাই বয়! এই নাও ফ্লায়িং পাপ্পি!!
— এত কিছুর পর যে পাপ্পি দিলা ওইটাও ফ্লায়িং!! – কিছু বললা??
— নাহ!! এখন আসি তাইলে??
– যাও। (৪ ঘন্টা পর)
– বেবী তুমি কই??
— হাসপাতালে।
– কেনো??
— তোমার কথা শুনে পায়ের বুড়া আঙ্গুলের দিকে তাকায়া বাইক চালাইসিলাম। তারপর কিছু মনে নাই। উঠে দেখি হাসপাতালে আছি!
– তাই!!! সাবধান!! নার্সের দিকে তাকাবানা!!!