অনেক খুশি লাগতেসে মনের ভিতর। মোটামোটি খুশির ঝর।
কারন আজ ই আমার শখ টা পূরণ হতে যাচ্ছে।
গিটার শপ এ একা একাই গেলাম। সাঈদ কে আর নিলাম না।
অহ হে,,সাঈদ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। সে ও গিটার কিনার জন্যে আমাকে টাকা দিয়ে হেল্প করেছে।
তার একটা সমস্যা আছে।যেখানেই যাবে সেখানেই সুন্দরী মেয়ে খুঁজে।
~~~
–ভাইজান একটু এদিকে আসেন তো,,দোকান এর এক কর্মচারী কে জিজ্ঞেস করলাম।
–জ্বি বলুন।
–আমি সিগনেচার গিটার কিনতে চাই।
–জ্বি,, এই যে,,এদিকে আসুন।
~~
কালো রং আমার খুব পছন্দের। এ গিটার টা খুব পছন্দ হয়েছে।
কথাটা মনে মনে ভাবছি আর গিটারটার সামনে যাচ্ছি।
গিটারটা নিজ হাতে নেয়ার জন্যে ডান হাত দিয়ে ধরে আমার কাছে আনতে যাব……..,
আর তখনই বিপরীত দিক থেকে বাধা অনুভব করলাম। লক্ষ করলাম এক মেয়েও গিটারটা ধরে টানছে।
~~
–মেয়েটি বলে উঠল,,আজিব তো,,গিটারটা ছাড়ুন, এটা আমি কিনব।
–অহ,,খুবি ভাল। আপনি কিনবেন এটা আর আমি মুড়ি চিবাবো নাকি! আপনি ছাড়ুন। এটা আমি কিনব।
–এইইই,,,ভাল হবে না কিন্তু।
–তা তো হচ্ছেই না,,পুরুষের উপর নারী এর জুলুম চলছে।
–কিহ!
–এই যে আমি পুরুষ, গিটার পছন্দ করলাম আর আপনি নারী সেটা নিজের জন্যে নিতে চাইছেন, তা ও ঝগড়া করে।
~~
দোকান এর কমর্চারী টা এতক্ষন সব ই দেখছিলো আর মিটি মিটি হাসছিলো।
এক সময় ওনি বলে উঠল…
–এই যে পুরুষ,,আপনি এদিকে আসেন তো। এই নিন আপনার কালো সিগনেচার গিটার।
আর এই যে নারী,, এই নিন আপনার ও কালো সিগনেচার গিটার। গিটার তো একটা না।
অনেক গুলা আছে। ঝগড়া এর কি দরকার!
~~~
মেয়েটা আমাকে মুখ ভেংচিয়ে চলে গেল।
আমি সেদিকে লক্ষ না করে কাধে করে গিটার নিয়ে বাসায় পৌঁছালাম। সাঈদ গিটার দেখে বলে উঠল…
~
–এই যে কালা মানিক টা কিনলি,এটাকে তো বাজানো শিখতে হবে,তাই না? আর কই শিখবি আর শিখার টাকা?
–সমস্যা নাই টাকা এর দিক থেকে।মামা দিবে।আর গিটার শপ এর পাশেই একটা গিটার শিখার কোচিং দেখেছি।
–অহ,,তাহলে ঠিকাছে। চালিয়ে যা মাম্মা।
~~~
পরদিন গিটার নিয়ে সে কোচিং এর সামনে উপস্থিত হলাম।
”সুরের মেলা ” নামটা ভাল করে দেখেই ভিতরে প্রবেশ করলাম। অনেক ছেলে, মেয়ে কে দেখলাম।
ও হে,,সাথে আরেকজন কে দেখলাম। জ্বি,,আপনারা যাকে ভাবছেন তাকেই দেখতে পেলাম।
ঐ নারী টাকে দেখতে পেলাম। আমি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু সে..
~
–তো,, শেষ পর্যন্ত পুরুষ, নারী কে ফলো করা শুরু করলেন!
–হুহ,,আপনাকে ফলো করবে এ সিহাব। ইম্পসিবল।
–বাহ। সুযোগে আপনার নামটা ও বলে দিলেন!
–ও হ্যালো,, এতো কিছু মাথায় রেখে আমি কথা বলি না।ঝগড়াটে মেয়ে।
–কিহ! আমি ঝগড়াটে?
–কানে কম শুনেন নাকি?
~
মেয়েটা কি যেন বলতে যাবে কিন্তু আমি আর বলার সুযোগ দিলাম না।
ওস্তাদ এর কাছে গেলাম,,মানে হলো যে আমাকে গিটার শিখাবে। মেয়েটা ও মনে হয় গিটার শিখার জন্যে এসেছে।
আসলে কেন যে গিটার শিখতে এলাম,,গিটার শিখা চারটে খানি কথা না। ধৈর্য লাগে অনেক।
সপ্তাহে ১দিন গিটার ক্লাস থাকতো। ঐ একদিন ই মেয়েটাকে দেখতে পেতাম।
মেয়েটি আমাকে দেখলেই মুখ ভেংচিয়ে চলে যেত। আমি মেয়েটিকে দেখতে পেলাম আমার পাশেই।
মেয়েটি অনেক তাড়াতাড়িই গিটার এর লেসন গুলা নিজের আয়েত্বে এনে ফেলতেসে,,কিন্তু আমার হচ্ছে না।
ক্লাস শেষে আমি মেয়েটির কাছে গিয়ে…
~
–এই যে শুনছেন।
–না।
–আসলে সরি।আমার ব্যবহার এর জন্যে আমি অনেক দুঃখিত।
–তো,,পুরুষ, নারী কে সরি বলতেসে!হি হি।
–আপনার সাথে ঝগড়া এর ইচ্ছে নেই এখন। আসলে একটা সাহাজ্য দরকার।
–ওহ।তাই নাকি? আচ্ছা তাহলে পরে ঝগড়া করিয়েন।কি সাহাজ্য তাড়াতাড়ি বলুন।আমার কাজ আছে।
–আসলে গিটার এর লেসন গুলা আমি ভাল করে ধরতে পারছি না। আপনি যদি একটু হেল্প করতেন।
–ভেবে দেখবো,,এখন আসি।
~~
‘এএএএ,,,মেয়ের ভাবখানা কি!’,কথাটা আর মেয়েকে শুনাতে পারলাম না। শুনলে ভালই হত।
মেয়েটা চলে গেল।
~
আবার এক সপ্তাহ অপেক্ষা মেয়েটাকে দেখার জন্যে।আর ভাল লাগছে না। অবশেষে সে দিনটা আসলো।
কোচিং এ ঢুকতেই মেয়েটি বলে উঠল…হুম, পুরুষ কে নারী সাহাজ্য করতে পারে। নো প্রব্লেম।
কথাটা শুনে মনের মাঝে তবলা বাজতে শুরু করলো।এরপর থেকে ক্লাস শেষে আমি আর মেয়েটি পার্ক এ চলে যেতাম, আর সেখানেই মেয়েটি আমাকে গিটার বাজাতে সাহাজ্য করত।
~
–আসলে, আমি আপনার নামটা এখন ও জানতে পারলাম না।
–কেন? নারী বলে ডাকতে কি কষ্ট হয়?
–আসলে,, এটা বলতে কেমন জানি শুনায়।
আপনার ডাক নামটা বলুন।
–উমমম,,ফারিয়া।
–সুন্দর সুন্দর।
–‘ফ্রেন্ড?’ বলে ফারিয়া আমার দিকে তার হাত টা বারিয়ে দিল।
–আচ্ছা আমি কি সপ্ন দেখছি নাকি?
–মানে?
–সরি, সরি,,কিছু না। অবশ্যই আমরা ফ্রেন্ড হবো।
–তবে শর্ত আছে। আমাকে তুই করে বলতে হবে।
–আরে নাহ। এটা কেমন যেন দেখায়। বরং তুমি করে বলি।
–ফারিয়া যেহেতু তুই করে বলতে বলসে তাহলে সেটাই।
~
মনের ভিতর খুশি এর বন্যা বয়ে যাচ্ছে প্রতিটা খনে খনে। ফারিয়া কে তুই করে বলতে ভাল লাগতো না।
তবু ও বলতে হত। দিনে দিনে ফারিয়া কে আর ও ভাল লাগতে লাগলো। মনে হয় ভালবেসে ফেলেছি।
এদিকে আমি গিটারটা ও ভাল ভাবেই বাজাতে পারছি।
একদিন ফারিয়া আর আমি ফুচকা খেতে বসলাম।
~
–ঐ মগা,,আমি ফুচকা খাওয়ার সময় হা করলে তুই এভাবে চেয়ে থাকিস কেন। আর তুই তো ফুচকা খাস না।
আমার সাথে সাথে ঠিক ই হা করস।আর আমি মুখ বন্ধ করলে তুই ও করস।
–আরেহ,,তুই কত সুন্দর করে ফুচকা খাস সেটাই আমি পর্যবেক্ষন করতেসি।
–হুম্ম,,হইসে। আমার খাওয়া শেষ।
–আচ্ছা এখন আমি খাই তুই দেখ।
–তাড়াতাড়ি কর।এখন বিল দিয়ে দাও লক্ষি সোনার মত। ভাইয়া ফোন করসে যেতে হবে।
–আসলে দোস্ত আমার কাছে টাকা….
~
কথাটা মুখ থেকে কেরে নিয়ে ফারিয়া বলে উঠল,,দোস্ত আমি যাই রে, ভাইয়া কল করসে আর সেটা জরুরি।
কিন্তু আমার কাছে যে টাকা নাই সেটা বলার সুযোগ ফারিয়া আমাকে দিলো না।চলে গেল।
আমার কাছে টাকা আছে তবে সেটা আমার গাড়ি ভাড়ার টাকা।কিছু করার নেই।
শত হলে ও ফারিয়া কে আমি ভালবাসি।ফুচকা এর বিল দিয়ে বাসা এর উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলাম।
পথিমধ্যে একজন এর কাছ থেকে পানি চেয়ে খেয়ে নিলাম।
এর পরদিন ফারিয়া ফোন করল তাই আমাকে যেতে হল এদিকে আমার গায়ে জ্বর।
কারন অনেকটা রাস্তা হাটতে হয়েছিলো,, কমপক্ষে হলে ও ৩ঘন্টা। কিন্তু আমার ফারিয়া যে কল করেছে।
~~
–কোন সময় তোকে কল করেছি,আর তুই এত দেরী করে আসলি!
–আসলে দোস্ত,,একটু লেট হয়ে গেছে,কথাটা এভাবে ওকে বললাম যে, যাতে সে বুঝতে না পারে আমি অসুস্থ।
–সে কি।তোর চোখ লাল কেন?
–ইয়ে মানে দোস্ত,,আমার একটু জ্বর।
–কই দেখি,, বলে ফারিয়া আমার মাথায় স্পর্শ করল।
–এই প্রথম ফারিয়া আমাকে স্পর্শ করল। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে উঠলাম,,দোস্ত কিছু হয় নি তো।
–একটা চড় দিতে ইচ্ছে করতেসে।জ্বর নিয়ে আসলি কেন?
আর কিভাবে হল?
–তুই যে কল করেছিস,তাই আমাকে যে আসতেই হবে।আর জ্বর বলতে আগামীকাল হেটে বাসায় গিয়েছিলাম।
–কিহ!এত দূর রাস্তা তুই হেটে গেছিস।কিন্তু কেন?টাকা ছিলো না?আর না থাকলে আমাকে তুই কল করতি।
আমাকে তোর কেউ মনে হয় না?
–এমনে বলতেছিস কেন? আসলে ফুচকা এর বিল ছিলো না।
আমি ভাবসি শেয়ার করে দিব বিলটা দুজনে।কিন্তু তুই তো….
–চুপ।একদম চুপ।
~
আমি স্পষ্ট দেখছিলাম আমার ফারিয়া এর চোখের কোনে জল জমেছে।চোখ ছল ছল করছে।
কিন্তু কেন জানি চোখের জল আমার থেকে লুকানোর চেষ্টা করছে।
এর থেকে প্রপোজ করার জন্যে ভাল সময় পাব না,,কথা গুলা ঘুরপাক খাচ্ছিলো মনের মাঝে।
হঠাৎ এক লোক কোথা থেকে যেন উদয় হল। বলে উঠল…
~
–এই ছেলে এখানে কি?(লোকটি আমার কলার ধরে বলেউঠল)
–এখানে মানে? এখানে থাকলে আপনারই বা কি?কলার ছাড়ুন।ভাল হবে না কিন্তু..
~
লোকটি ফারিয়া কে চোখ রাঙ্গিয়ে ইশারা করে এখান থেকে যেতে বলল।
ফারিয়া অসহায় চোখে আমার দিকে চেয়ে থাকলো কিছুক্ষন,,
তারপর লোকটি একটা ধমক দেয়ার ফলে ফারিয়া চলে গেল।
একে তো আমার কলার ধরে মেজাজ খারাপ করে রেখেছে আর এদিকে চোখ রাঙ্গিয়ে ফারিয়া কে ভয় দেখায়।
দিলাম এক ঘুসি। বলে উঠলাম,,
এ বেটা একে তো আমার কলার ধরে আছে আর এদিকে আমার ভালবাসা এর মানুষ কে চোখ রাঙ্গিয়ে ভয় দেখাস।
আমি আর ওকে মারলাম না। কেঁদে দিয়ে বলে ফেললাম,,ভাইজান আপনি কেন এখানে এসে ঝামেলা করলেন?
আমি ৩মাস ধরে আমার মনের কথা বলতে পারতেসি না। আজকে প্রপোজ করতাম।
গায়ে ১০২ডিগ্রি জ্বর নিয়ে ছুটে আসছি। ভাইজান সরি। আপনাকে প্রথমে কি বলতে কি বলে ফেলসি।
চোখ মুছে আবার বলে উঠলাম,, এখন আমাকে ইচ্ছে হলে মারেন।
অবাক হলাম তখন যখন লোকটি আমার কলার ছেড়ে দিলো।
কিন্তু লোকটি এর পিছন থেকে চার-থেকে পাঁচজন লোক আমাকে এসে মারতে লাগলো।
প্রথম এর লোকটি তাদের থামতে বলতেসে কিন্তু তারা আমাকে মারতেসেই।
অবশেষে লোকটির অনেক চেষ্টা করে তাদের থামায়।
আমার শরীরে জ্বর।সাথে আনা গিটারটা ও দিয়ে পিটায় আমাকে।আমার প্রিয় গিটারটা ভেংগে ফেলে ওরা।
আমি উঠতেই পারতেসিলাম না। প্রথম এর লোকটি আমাকে সিএনজি করে দেয়। ভাড়া ও মিটিয়ে দেয়।
আমি কোন রকমে বাসায় যাই। ফোনটাকে অফ করে রাখি কারন শরীর এতটাই অসুস্থ হয়ে পরে বলার বাহিরে।
২-৩ দিন পরে মনে হল,,আরেহ আমার ফারিয়া। তাড়াতাড়ি মোবাইল অন করি। মিসকল এলার্ট দেয়া ছিল,,
এতো মিসকল আর মেসেজ দেখে অবাক হয়ে যাই। কিছুক্ষন পর ই ফারিয়া কল করে।
~~
–ঐ কুত্তা আর একটা কথা ও বলবি না…..,,
তাড়াতাড়ি আমাদের পছন্দ এর জায়গাটায় আয় যেখানে আমরা সবসময় দেখা করি।
~
তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেই। মাথায় অনেক চিন্তা আসতেসে।
ফারিয়ার এত জরুরি ডাক কেন,,ধুর আমাকে তাড়াতাড়ি যেতে হবে। আর বাসে উঠলাম না আজ।
সিএনজি করে জায়গাটায় গেলাম। উফফফ,, দেরী করে ফেলেছি। সন্ধ্যা নেমে পরেছে..
ফারিয়া কি আমার জন্যে অপেক্ষা করবে? মনে অনেক চিন্তা আর প্রশ্ন নিয়ে সে জায়গাটায় গেলাম।
এই তো ফারিয়া। বসে আছে হাতে কি যেন নিয়ে।
~
–ফারিয়া।বসবো?
–ও তুই। এত দেরি করলি কেন?(চোখে আবার এ জল ছলছল করছে)
–সরি।আসলে এখন ও শরীরটা ভাল হয় নি।
–আসলে সিহাব, আমি অনেক সরি। বল তুই আমাকে ক্ষমা করবি?
–আরেহ,,এত সরি কেন? কি হইসে বল তো।
–আসলে ঐ দিন এর লোকটা আমার ভাই ছিল,,আর আমি আমার ভাইয়া কে অনেক ভয় পাই।
আর তোকে যারা মেরেছে ওরা আমার ভাইয়ার বন্ধু।ভাইয়া আমাকে সব বলেছে।ভাইয়া সরি বলছে তোকে।
–অহ,,এই ব্যাপার।আরেহ,,তুই কাঁদিস কেন! আহা কাদে না।
আরে তোর ভাই একটু আমাকে মারলো আর কি।তাতে কি হয়েছে।সমস্যা নাই তো।
আচ্ছা তোর ভাইয়া কি তোকে সব বলেছে?
–হুম্ম।
–আমি ওকে ভালবাসি তাহলে সেটা ও বলেছে হয়তো। আমি চুপ হয়ে বসে আছি।
–সত্যি ভালবাসিস আমাকে?
–কেন? তোর বিশ্বাস হয় না?
–এই নে ধর এ ব্যাগটা আমি গেলাম। তোকে আমি…তোকে আমি…
~
কথাটা বলেই ফারিয়া চলে যাচ্ছে।সে কি,,ফারিয়া তাহলে আমাকে ভালবাসে না!
মন খারাপ করে ব্যাগটা খুলতে লাগলাম।গিটার এর ব্যাগ মনে হচ্ছে। গিটার এর ব্যাগ এর মধ্যে আবার কি দিল,, ধুর। তুই দিবি ভালবাসা আর তুই দেস গিটার এর ব্যাগ,, হায় আল্লাহ!
ব্যাগ এর চেইন খুল্লাম।সে কি…এ তো গিটার।তা ও আমার পছন্দের কালো সিগনেচার গিটার।আর এ তো অনেক দামি।আমার আগের গিটার থেকে ও দামি।গিটার এর স্ট্রিং গুলার ফাকে একটা কাগজ দেখতে পেলাম।
তাড়াতাড়ি কাগজটা খুলে পড়তে লাগলাম…
~~~
আরে সিহাব,তোকে আমি অনেক আগে থেকেই ভালবাসি।
তুই একটা বোকা,,,,,,
তুই আমার আচরণ গুলা খেয়াল করলে অনেক আগে থেকেই বুঝতি।আর এই যে পুরুষ। গিটারটা আমার পক্ষ থেকে।
আসলে আমি টাকা জমাতাম প্রতিদিন দামি একটা গিটার এর জন্যে।আজ তোকে সে টাকা দিয়ে কিনে দিলাম।
আরেহ আমার পাগলু টা,,তোকে কিনে দিলে কি আর আমি কিনলে ই বা কি।একই তো।
আর তোর গিটারটা ভেংগে ফেলেছে এটা আমি জানি।এটা আমার ভালবাসার উপহার।
যত্ন করে বাজাবি কিন্তু না হলে আমি তোকে…নাহ কিছু করব না। কারন আমি যে তোকে ভালবাসি।
~~
আয় হায়,, তুই এটা কি শুনাইলি রে ফারিয়া।ফারিয়া কে এখন ও দেখা যাচ্ছে।আমি দৌড়িয়ে ওর কাছে গেলাম।
ফারিয়া আমার পাশেই কিন্তু কিছু বলছে না।
এক সময় আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আমার ডান হাত টাকে জড়িয়ে ধরলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
(বিঃদ্রঃ আয় হায়! কত্ত ভালবাসা!)