=আমাকে মাফ করে দিও।পারলে জীবনটাকে গুছিয়ে নিও।(দীপা)
=জীবন যখন গুছাতেই চাচ্ছিলাম ঠিক তখন মহান আল্লাহ গোছানোর সামগ্রীটা নিয়ে নিল
করে দিল মাঝিহীন নৌকার মত।মাঝিহীন নৌ কার যেমন কোন গন্তব্য নেয় তেমনি এখন থেকে আম্র জীবনেরও কোন উদ্ধেশ্য নেয়।।(আমি)
========(দীপা)
আমি জানি দীপার কোন উত্তর নেই।আজ এই অন্তিম মূহুর্তে থাকার কথাও।আমাদের ৪ বছরের রিলেশন আজ দীপার বিয়ের মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে।রাতের শেষ প্রহরে মানে ভোরে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেই যায়গায় যেখানে ৪ বছর আগে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল।রাতে মানুষ ছিল দীপার বাড়িতে তাই আসাটা সম্ভবপর ছিলনা।তাই এই সময়টাকেই বেচে নিয়েছে।
=মোজাহিদ এই পেকেট টা নাও।প্লিজ।।প্লিজ।প্লিজ(দীপা)
হা করে তাকিয়ে রইলাম তার দিখে।কি বলব বুঝতে পারছিনা।আমার নীরবতা দেখে ও আবার বল্ল,
=মোজাহিদ তোমাকে তো আর কোনদিন অনুরুধ করতে পারবনা।জীবনে হয়তো দেখাও হবেনা।আজ শেষ বারের মত আমার এই পেকেট টা রাখ প্লিজ।প্লিজ।(দীপা)
আবছা আলোতে ওর চোখের পানি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।আমার নয়ন অনেক আগে থেকে খোলা।অঝোর দ্বারায় পড়তেছে পানি,
=প্লিজ নাও।প্লিজ(দীপা)
আমিও কিছু না ভেবে পেকেট টা নিয়ে নিলাম।
এবার দীপা আর আমি জোরে জোরে কাদতে লাগলাম।আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলামনা।
=মোজাহিদ শেষ বারের মত আমাকে একটু বুকে ঝড়িয়ে নেবে প্লিজ?তোমার কুলে মাথা রেখে বসতে দেবে?(দীপা)
আমি কাদতে কাদতে বুকে ঝড়িয়ে নিলাম দীপাকে।আমার হাঠু কাজ করছেনা।।আমাকে যেন কে নিছের দিকে টানতেছে।
অন্যদিন দীপা যখন কান্না করত তখন আমি তাকে বুকে ঝড়িয়ে নিয়ে সান্তনা দিতাম।কিন্তু আজ!আজ সান্তনা দেওয়ার মত ভাষা আমার মুখ দিয়ে বের হবেনা।অন্যদিন যখন দীপা আমার কাছে কিছু চাইত তখন আমি হাসি মুখে তা পূরণ করতাম কিন্তু আজ সম্পূর্ণ বিপরীত।
=মোজাহিদ ভালো থেকো।সকাল হয়ে গেছে। (দীপা)
চোখ মুছতে মুছতে কথা গুলা বল্ল দীপা।
=আমি যাচ্ছি।।হয় তো আর দেখা হবেনা। নীজের প্রতি খেয়াল রেখ।আর আমি চলে যাওয়ার পর তোমাকে দেওয়া প্যাকটি খুলে দেখবে।আর যদি পারো মাফ করে দিও।
এই বলে দীপা চলে যাচ্ছে।আমি তার দিকে চেয়ে রইলাম।কিছুদূর যাওয়ার পর আবার দৌড়ে এসে আমাকে ঝড়িয়ে ধুরল।।অঝোরে কাদতে লাগল।আমি জানিনা যে মেয়ে আমাকে ছাড়া কয়েকদিন থাকতে পারতনা সে মেয়ে আমাকে ছাড়া সারাজীবন অন্যের ঘরে থাকবে।কিছুক্ষন পর রিয়া আমাকে একটা চুমা দিল।তারপর আবার যেতে থাকল।কিছুক্ষন পর পর আমার দিকে থাকাচ্ছে।।আমার চোখ ও ধীরে ধীরে ঝাপসা দেখা যাচ্ছে সাথে দীপাও চোখের পলকে দীরে ধীরে চলে যাচ্ছে।
আজ আমার দুনিয়াটা নিরব।আমি খুব একা এই দুনিয়াতে।।বেচে থাকার কোন খুটি আমার নাই।জীবনটা আজ বড্ড অর্থহীন।জীবনে জলতে থাকা আলোটা নিভে গিয়ে অন্ধকারে পরিণত হল।
কথায় আছে*গরিব হলে ভালোবাসার অধিকার নাই*এটা ১০০% সত্যি কথা।আজ গরীব বলেয় জীবনের সব আশাকে নিজ হাতে হত্যা করতে হল।নষ্ট করতে হলো দুটি জীবন।
হঠাৎ দীপার দেয়া শেষ প্যাকটার কথা মনে পড়ল।তাই প্যাকটা খুললাম।খুলে দেখি একটা চিটি।।চিটিটা পড়তে শুরু করলাম।চিটিটা এরকম,,
প্রিয় মোজাহিদ
আমার ভালোবাসা নাও।হয় তো এই ভালোবাসা শেষ ভালোবাসা।জীবনে আর সেই সুযোগ আসবেনা তোমাকে ভালোবাসার।কোন্দিন ভাবিনি এভাবে শেষ বিদায় নিব তোমার কাছ থেকে।কত স্বপন ছিল আমাদের।কত আশা!তোমাকে যখন প্রথম দেখেছিলাম সেইদিন ই তোমাকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপন দেখেছিলাম।কতই না অগুছালো ছিলে তুমি!আমি বলতাম বিয়ের পর তোমাকে এমন অগোছালো থাকতে দেখলে মেরে ফেলব।কিন্তু আজ!সেটা আর সম্ভব না।যখন তোমার কুলে মাথা রেখে বলতাম আমরা বিয়ের পর একটা সুন্ধর দেশে ঘুরতে যাব ঠিক তখন তুমি বলতে এতো স্পন দেখা ভালো না।এই স্পনই আমাদের কষ্টের কারণ হবে। তোমাকে আমি বকা দিতাম।বলতাম এসব বাঝে কথা।আজ তোমার বলা সেই কথা গুলো সুচের মত আমার কানে&রিদয়ে আঘাত করতেছে।আজ বুঝতে পেরেছি সুখ নামক সফটওয়্যার টা সবার কপালে সাপোর্ট করেনা।এই শেষ সময়ে কিছু কথা বলি,,
অনেকদিন তো তোমার এলার্ম ঘড়ির দায়িত্ব টা আমি নিয়েছি।যখন তুমি বলতে ৭ টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে তখন আমি সারারাত ঘুমাতাম না।শুধু তোমাকে জাগিয়ে তুলব বলে।কিন্তু আজকের পর থেকে তা আর হবেনা।আর রাত জাগার অভ্যাস টা আমি পরিহার করিয়েছি আমি না থাকায় সেটা আবার বানাবেনা।
তুমি আমার কথা ভেবে আফসোস করবেনা।তোমার জীবনে আমার চেয়ে ভালো মেয়ে আসবে।যে আমার এলোমেলো করে দিয়ে যাওয়া জীবনটাকে নিজের মত করে সাজিয়ে দেবে।যে তোমাকে আমার চেয়েও বেশি ভালোবাসবে।আর হ্যা আমরা যেমন রোজ বিকেলে রিকশা নিয়ে ঘুরতাম বিয়ের পর বউকে নিয়ে সেভাবে ঘুরবে।বট তলায় আমার কুলে মাথা রেখে যেভাবে ঘুমাতে বউয়ের কুলে মাথা রেখে ঠিক সেভাবে ঘুমাবে। আমার কথা ভেবে মন খারাপ করবেনা।মনে করবে আমি তোমার জীবনে একটা ভুমিকম্প ছিলাম।যেটা সাময়িক।
টাইমলি খাবার খেয়ে নেবে।আমি প্রতিবার খাওয়ার টাইমে ৪-৫ বার কল করে খাওয়াতাম।আমি নেয় বলে তুমি না খেয়ে তেকো না প্লিজ।
আর মাথাবয়থার অসুধটার কথা মনে আছে তো??খেয়ে নিও।ও হ্যা সারাদিন খেলা খেলবেনা।তোমার তো আবার সারাদিন খেলার অভ্যাস।।
তোমি হয় তো এটা ভাবছ এতো উপদেশ দিয়ে আমি তোমাকে ভূলে যাব।অন্যের ঘরে সংসার করব।ভূল বুঝলে মোজাহিদ।ভূল!তোমাকে বলেছিলানা যেদিন আমি এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব সেদিন তোমার কুলে মাথা রেখে যাব।আজ সকালে তোমার কূলে মাথা রাখছি।আসল কি জানো মোজাহিদ?তোমাকে এতোটা ভালোবাসতাম যে অন্য কাওকে ভালোবাসার মত ভালোবাসা আর আমার কাছে নাই।জানি চিটিটা পড়ার পর তুমি ছুটে আসবে আমার কাছে।কিন্তু কোন লাভ নেই।চিটি তুমি খোলার আগেই আমার দুনিয়ার দরজা অফ হয়ে গেছে।
আর হ্যা,
আমাদের ভালোবাসার কসম তুমি আমার চিটিটা পড়ার পর আত্বহত্যা করার চেস্টা করবেনা বা করিয়োনা।এতে আমি মরেও শান্তি পাবো না।
ভালো থাকতে বলব না।বলব নিজেকে গুছিয়ে নাও,,,
ইতি
তোমারি জান পাখি।।।
আজ ১০ বছর হয়ে গেলো।হ্যা আমি দীপার কথা মত আজ ও বেচে আছি এই অভিশপ্ত জীবন নিয়ে।।।তবে দীপাকে ভালোবেসে। ভালোবাসা♥
=আমাকে মাফ করে দিও।পারলে জীবনটাকে গুছিয়ে নিও।(দীপা)
=জীবন যখন গুছাতেই চাচ্ছিলাম ঠিক তখন মহান আল্লাহ গোছানোর সামগ্রীটা নিয়ে নিল
করে দিল মাঝিহীন নৌকার মত।মাঝিহীন নৌ কার যেমন কোন গন্তব্য নেয় তেমনি এখন থেকে আম্র জীবনেরও কোন উদ্ধেশ্য নেয়।।(আমি)
========(দীপা)
আমি জানি দীপার কোন উত্তর নেই।আজ এই অন্তিম মূহুর্তে থাকার কথাও।আমাদের ৪ বছরের রিলেশন আজ দীপার বিয়ের মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে।রাতের শেষ প্রহরে মানে ভোরে আমরা দাঁড়িয়ে আছি সেই যায়গায় যেখানে ৪ বছর আগে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল।রাতে মানুষ ছিল দীপার বাড়িতে তাই আসাটা সম্ভবপর ছিলনা।তাই এই সময়টাকেই বেচে নিয়েছে।
=মোজাহিদ এই পেকেট টা নাও।প্লিজ।।প্লিজ।প্লিজ(দীপা)
হা করে তাকিয়ে রইলাম তার দিখে।কি বলব বুঝতে পারছিনা।আমার নীরবতা দেখে ও আবার বল্ল,
=মোজাহিদ তোমাকে তো আর কোনদিন অনুরুধ করতে পারবনা।জীবনে হয়তো দেখাও হবেনা।আজ শেষ বারের মত আমার এই পেকেট টা রাখ প্লিজ।প্লিজ।(দীপা)
আবছা আলোতে ওর চোখের পানি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।আমার নয়ন অনেক আগে থেকে খোলা।অঝোর দ্বারায় পড়তেছে পানি,
=প্লিজ নাও।প্লিজ(দীপা)
আমিও কিছু না ভেবে পেকেট টা নিয়ে নিলাম।
এবার দীপা আর আমি জোরে জোরে কাদতে লাগলাম।আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলামনা।
=মোজাহিদ শেষ বারের মত আমাকে একটু বুকে ঝড়িয়ে নেবে প্লিজ?তোমার কুলে মাথা রেখে বসতে দেবে?(দীপা)
আমি কাদতে কাদতে বুকে ঝড়িয়ে নিলাম দীপাকে।আমার হাঠু কাজ করছেনা।।আমাকে যেন কে নিছের দিকে টানতেছে।
অন্যদিন দীপা যখন কান্না করত তখন আমি তাকে বুকে ঝড়িয়ে নিয়ে সান্তনা দিতাম।কিন্তু আজ!আজ সান্তনা দেওয়ার মত ভাষা আমার মুখ দিয়ে বের হবেনা।অন্যদিন যখন দীপা আমার কাছে কিছু চাইত তখন আমি হাসি মুখে তা পূরণ করতাম কিন্তু আজ সম্পূর্ণ বিপরীত।
=মোজাহিদ ভালো থেকো।সকাল হয়ে গেছে। (দীপা)
চোখ মুছতে মুছতে কথা গুলা বল্ল দীপা।
=আমি যাচ্ছি।।হয় তো আর দেখা হবেনা। নীজের প্রতি খেয়াল রেখ।আর আমি চলে যাওয়ার পর তোমাকে দেওয়া প্যাকটি খুলে দেখবে।আর যদি পারো মাফ করে দিও।
এই বলে দীপা চলে যাচ্ছে।আমি তার দিকে চেয়ে রইলাম।কিছুদূর যাওয়ার পর আবার দৌড়ে এসে আমাকে ঝড়িয়ে ধুরল।।অঝোরে কাদতে লাগল।আমি জানিনা যে মেয়ে আমাকে ছাড়া কয়েকদিন থাকতে পারতনা সে মেয়ে আমাকে ছাড়া সারাজীবন অন্যের ঘরে থাকবে।কিছুক্ষন পর রিয়া আমাকে একটা চুমা দিল।তারপর আবার যেতে থাকল।কিছুক্ষন পর পর আমার দিকে থাকাচ্ছে।।আমার চোখ ও ধীরে ধীরে ঝাপসা দেখা যাচ্ছে সাথে দীপাও চোখের পলকে দীরে ধীরে চলে যাচ্ছে।
আজ আমার দুনিয়াটা নিরব।আমি খুব একা এই দুনিয়াতে।।বেচে থাকার কোন খুটি আমার নাই।জীবনটা আজ বড্ড অর্থহীন।জীবনে জলতে থাকা আলোটা নিভে গিয়ে অন্ধকারে পরিণত হল।
কথায় আছে*গরিব হলে ভালোবাসার অধিকার নাই*এটা ১০০% সত্যি কথা।আজ গরীব বলেয় জীবনের সব আশাকে নিজ হাতে হত্যা করতে হল।নষ্ট করতে হলো দুটি জীবন।
হঠাৎ দীপার দেয়া শেষ প্যাকটার কথা মনে পড়ল।তাই প্যাকটা খুললাম।খুলে দেখি একটা চিটি।।চিটিটা পড়তে শুরু করলাম।চিটিটা এরকম,,
প্রিয় মোজাহিদ
আমার ভালোবাসা নাও।হয় তো এই ভালোবাসা শেষ ভালোবাসা।জীবনে আর সেই সুযোগ আসবেনা তোমাকে ভালোবাসার।কোন্দিন ভাবিনি এভাবে শেষ বিদায় নিব তোমার কাছ থেকে।কত স্বপন ছিল আমাদের।কত আশা!তোমাকে যখন প্রথম দেখেছিলাম সেইদিন ই তোমাকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপন দেখেছিলাম।কতই না অগুছালো ছিলে তুমি!আমি বলতাম বিয়ের পর তোমাকে এমন অগোছালো থাকতে দেখলে মেরে ফেলব।কিন্তু আজ!সেটা আর সম্ভব না।যখন তোমার কুলে মাথা রেখে বলতাম আমরা বিয়ের পর একটা সুন্ধর দেশে ঘুরতে যাব ঠিক তখন তুমি বলতে এতো স্পন দেখা ভালো না।এই স্পনই আমাদের কষ্টের কারণ হবে। তোমাকে আমি বকা দিতাম।বলতাম এসব বাঝে কথা।আজ তোমার বলা সেই কথা গুলো সুচের মত আমার কানে&রিদয়ে আঘাত করতেছে।আজ বুঝতে পেরেছি সুখ নামক সফটওয়্যার টা সবার কপালে সাপোর্ট করেনা।এই শেষ সময়ে কিছু কথা বলি,,
অনেকদিন তো তোমার এলার্ম ঘড়ির দায়িত্ব টা আমি নিয়েছি।যখন তুমি বলতে ৭ টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে তখন আমি সারারাত ঘুমাতাম না।শুধু তোমাকে জাগিয়ে তুলব বলে।কিন্তু আজকের পর থেকে তা আর হবেনা।আর রাত জাগার অভ্যাস টা আমি পরিহার করিয়েছি আমি না থাকায় সেটা আবার বানাবেনা।
তুমি আমার কথা ভেবে আফসোস করবেনা।তোমার জীবনে আমার চেয়ে ভালো মেয়ে আসবে।যে আমার এলোমেলো করে দিয়ে যাওয়া জীবনটাকে নিজের মত করে সাজিয়ে দেবে।যে তোমাকে আমার চেয়েও বেশি ভালোবাসবে।আর হ্যা আমরা যেমন রোজ বিকেলে রিকশা নিয়ে ঘুরতাম বিয়ের পর বউকে নিয়ে সেভাবে ঘুরবে।বট তলায় আমার কুলে মাথা রেখে যেভাবে ঘুমাতে বউয়ের কুলে মাথা রেখে ঠিক সেভাবে ঘুমাবে। আমার কথা ভেবে মন খারাপ করবেনা।মনে করবে আমি তোমার জীবনে একটা ভুমিকম্প ছিলাম।যেটা সাময়িক।
টাইমলি খাবার খেয়ে নেবে।আমি প্রতিবার খাওয়ার টাইমে ৪-৫ বার কল করে খাওয়াতাম।আমি নেয় বলে তুমি না খেয়ে তেকো না প্লিজ।
আর মাথাবয়থার অসুধটার কথা মনে আছে তো??খেয়ে নিও।ও হ্যা সারাদিন খেলা খেলবেনা।তোমার তো আবার সারাদিন খেলার অভ্যাস।।
তোমি হয় তো এটা ভাবছ এতো উপদেশ দিয়ে আমি তোমাকে ভূলে যাব।অন্যের ঘরে সংসার করব।ভূল বুঝলে মোজাহিদ।ভূল!তোমাকে বলেছিলানা যেদিন আমি এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাব সেদিন তোমার কুলে মাথা রেখে যাব।আজ সকালে তোমার কূলে মাথা রাখছি।আসল কি জানো মোজাহিদ?তোমাকে এতোটা ভালোবাসতাম যে অন্য কাওকে ভালোবাসার মত ভালোবাসা আর আমার কাছে নাই।জানি চিটিটা পড়ার পর তুমি ছুটে আসবে আমার কাছে।কিন্তু কোন লাভ নেই।চিটি তুমি খোলার আগেই আমার দুনিয়ার দরজা অফ হয়ে গেছে।
আর হ্যা,
আমাদের ভালোবাসার কসম তুমি আমার চিটিটা পড়ার পর আত্বহত্যা করার চেস্টা করবেনা বা করিয়োনা।এতে আমি মরেও শান্তি পাবো না।
ভালো থাকতে বলব না।বলব নিজেকে গুছিয়ে নাও,,,
ইতি
তোমারি জান পাখি।।।
আজ ১০ বছর হয়ে গেলো।হ্যা আমি দীপার কথা মত আজ ও বেচে আছি এই অভিশপ্ত জীবন নিয়ে।।।তবে দীপাকে ভালোবেসে।