– ওই এখানে কী করছিস (নীলা) ।
– কিছু না এইতো সাঁতার কাটতেছি ।
– হারামি সোজাসুজি বল কী করছিস ।
– দেখছিস না কলেজ এর সুন্দর সুন্দর মাইয়া গুলা দেখি ।
– হুমমমমমম দেখ আমি গেলাম … বলেই চলে গেলো ।
– এহহহহ দেমাগ দেখে বাঁচি না … মনে হয় আমি হেতের জামাই ।
ভাই বিশ্বাস করবেন না আমি তারে মিনিমাম হাজার বার প্রপোজ করছি তাঁর মুখে একটাই কথা সাহরিয়া আমি শুধু তোরে ভালো একটা ফ্রেন্ড ভাবি এর বেশি কিছু না ।
এরপরে যদি অন্য মেয়ের দিকে তাকানোর জন্য এমন করে তাইলে কেমনডা লাগে বলেন ।
প্রপোজটা গ্রহণ করে না হোক …
মিনিমাম ঝুলাই রাইখা এমন করলে তুবু ও সহ্য হয় ।
যায় হোক আমি নীলা কে অনেক ভালোবাসি ওর মতি গতি দেখে মনে হয় না সে আমারে এই জন্মে ভালবাসবে ।
আবার এইটা ও ঠিক যে অন্য মেয়ের সাথে লাইন ও মারতে দিবে না ,ও আমার মাথা টিপে দেই কোলে মাথা রেখে
কিন্তু আমারে ভালবাসে না এইটা কেমনে কী আমি কিচ্ছু বুঝি না ।
নেহাত ও পাগলী ভাল মানুষ এমন্তা করবে না আমি শিউর ।
আবার বলে কী না ওর বিয়ে হলে ও নাকি আমার সাথে এমন ভাবেই মিশবে ।
আমার বউ এমন হলে তো আমি সরাসরি তারে ত্যাগ করব ।
আল্লাহ্ জানে নীলা পাগলীরে কে বিয়ে করবে,
আর আমি ও অনেক ঝামেলার মধ্যে আছি ।
ভালবাসে না তবে অন্য মেয়ের সাথে কথাবললে রাগ করে, ভালো ফ্রেন্ড ভাবে আবার আবার ওর কোলে আমার মাথা নিয়ে টিপেপে দেই ।
হে আল্লাহ্ কী মেয়ের খপ্পরে মোরে ফেলাইলা ।
না যাই পাগলীটার রাগ ভাঙ্গাইতে হবে ।
– হাই বুলবুলি পাখি রেগে আছিস ।
– না ।
– তা হলে মুখটা এই দিকে কর না ।
– ক্যান হুমমমমম ক্যান কলেজ এর
অনেক মেয়ে আছে তাঁদের দেখ আমার না দেখলে ও চলবে ।
– আচ্ছা বাবা সরি … আর কারো দিকে তাকামু না প্রমিস ।
– সত্যি তো ।
– হুমমমম পাক্কা ।
– এবার চল ওই দিকে যাই ।
– ঠিক আছে চল ।
হঠাৎ ……..
– হ্যালো সাহরিয়া ভাইয়া কেমন আছো (আদ্রিতা) ।
– এইতো ভালো আছি তুমি কেমন আছো ।
– ভালো … ওই খানে চলেন না গল্প করি ।
– ওকে চলো … ভুলেই গেছিলাম আমার সাথে নীলা আছে , না মানে আদ্রিতা মেয়েটা ও ভালই ।
অন্য পোলারা মাইয়া পায়না আর আমার কপালে মাইয়ার জাইগা হয়না খালি ওই একটা পাগলী এর জন্য কিউট মেয়ে গুলা হাত ছাড়া ।
– কী হল ভাইয়া কী ভাবছেন ।
– না মানে আমার একটু কাজ আছে আজকে ।
কালকে যাবো কেমন ।
– আচ্ছা কালকে যাবেন কিন্তুু ।
– ওকে ।
এর মধ্যে নীলা রেগে আগুন হয়ে চলে গেলো ।
নীলার পিছন পিছন যেতে আর ৩ টা মেয়ের সাথে কথা হল ।
এবার তো ও আর আগুন ।
– ওই নীলা দাঁড়া না একটু ।
– আমি না হলে ও চলবে , অনেক মেয়ে আছে তাঁদের কাছে যা না ।
– আচ্ছা বাবা ওরা কথা বললে আমার দোষ বল ।
– কারো দোষ না আমার দোষ … তোকে ভালো ফ্রেন্ড ভাবাই আমার ভুল ।
আসলে তুই একটা লুইচ্চা পোলা ।
– ওই এক মিনিট আমি মতে ও অমন না ওকে … আমি কী করছি হুমমমম আমি কী জীবনে কোন মেয়েরে বিরক্ত
করছি নাকি ,খালি কিউট কিউট মেয়েদের সাথে একটু কথা বলি ।
আর তুই ও কোন ধোয়া তুলসী পাতা না ।।
তোর তো আবার হাজার হাজার মামাতো ,খালাতো, চাচাতো, ফুফাতো ,ভাই এর ঠিক নাই ।
আর এই সব ভাই গুলার কোন বিশ্বাস নাই, আমার কাছে তো ভালই লাগে না, দেখলেই মনে হয় কোন মতলব আছে ।
তার বেলা তো কিচ্ছু না তাই না ।
– ঠিক আছে আমি খারাপ আমার সাথে কথা বলিস না ।
– কিছু হইলেই এই একটা ডাইলগ , ঠিক আছে কমু না ।
বাসাই চলে আসলাম ।
শুয়ে শুয়ে রিয়া এর সাথে কথা বলছিলাম ।
এমন সময় নীলা ও ফোন দিছে ।
– কার সাথে কথা বলছিলি ।
– এইতো রিয়া এর সাথে ।
– যেই আমি একটু রাগ করে আছি ওমনি অন্য মেয়ের সাথে লাইন মারা শুরু তাই না ।
– ওই আমি কারো সাথে লাইন মারি না শুধু একটু আকটু কথা বলি ।
– তোরে আমি হারে হারে চিনি হারামি ।
– আচ্ছা তুই আমাকে ভালবাসিস ।
– না …।
– তাহলে আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে তোর সমস্যা কী ।
– কারণ আমি চাই যে আমার ফ্রেন্ড শুধু আমার সাথেই কথা বলুক ।
– মেজাজটা কেমন লাগে হে আল্লাহ্ আমারে তুমি রক্ষা করো ।
– আচ্ছা তোর কেন অন্য মেয়েদের সাথে কথা
বলা লাগবে বলতো , আর কোনদিন বাদ দিবি ।
– যতদিন না কেউ আমারে তাঁর মনের খাঁচাই বুন্দি না করছে ততদিন ।
– আচ্ছা অন্য মেয়েদের সাথেই কথা বল, আমার সাথে কথা বলবি না আমি গেলাম ।
– ওই কেন ।
– এমনি ।
– দূর ভাল্লাগে না … কালকে কলেজে আসবি তাড়াতাড়ি কথা আছে । বলে ফোন টা রেখে দিলাম ।
পরের দিন কলেজে গেলাম । নীলা ও আসলো কেমন রাগী ভাব ।
– আচ্ছা কী বলবি তাড়াতাড়ি বল ।
– হুমমমমম তো যা বলছিলাম …
দেখ নীলা তুই যা ভাবিস সব তোর কল্পনা এমন বাস্তবে হয় না ।
তোর বিয়ে হয়ে গেলে তোর স্বামী কোনদিন সেটা মেনে নিবে না ।
আর তোর একটা পুচকু বাচ্চা হলে এমনি তুই আমাকে ভুলে যাবে … এখন কার এটা হচ্ছে তোর আবেগ আর কল্পনা ছাড়া কিচ্ছু না ।
তুই আমাকে ভালোবাসিস না ভালো কথা, তা হলে অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে ক্ষতি কী ।
– আচ্ছা সরিরে আসলেই আমি খারাপ, এতদিন তোকে অনেক ছাপের মধ্যে রাখছিলাম, আমি আসলেই খারাপ , খারাপ মেয়েটাকে মাফ করে দিস ।
– ওই আমি তো তা বলি নাই ।
– আচ্ছা আমি গেলাম ।
বলেই চলে গেলো ।
– আচ্ছা ভাই সব মেয়েই কী এমন বলেন এক বুঝে এক ।
কী আর করার বাসাই চলে আসলাম ।।
পাঁচ দিন থেকে মহারাণীর ফোন বন্ধ
এর পরে একদিন রাতে ফোন দিয়ে বলে ।
– আমার কালকে বিয়ে , ছেলে আর্মি অফিসার আপনি আসলে খুশি হবো ।
বলেই কেটে দেই ।
– আমার প্রেমিকা নয় যে কান্নাকাঁটি করে ভাসাই দিমু , ও তো এটাই চাইতো ।
যাইহোক পরের দিন ওদের বাসাই গেলাম ।
দেখি পাগলীটা অনেক কিউট ভাবে সেজে বসে আছে , দেখে মনে হচ্ছিলো অনেক কাঁদছে ।
আগে বলতো বিয়ের দিন নাকি আমাকে ওর সাথে নিয়ে যাবে ।
কী পাগলী টাই না ছিল , হঠাৎ আমার চোখে পানি চলে আসছে ।
ও না বাসুক আমি তো ভালবাসতাম ।
আচ্ছা আগের কথা গুলো কী ওর মনে আছে না এতো মানুষ দেখে সব ভুলে গেছে ।
যাই হোক কাজী ওর কাছে গিয়ে বলছে বলো তো মা কবুল ।
পাগলীটা দেখি কিচ্ছু বলে না ।
আমার চোখ টা পানিতে ঝাপসা হয়ে আসছিল ।
এমন সময় সামনে দেখি লাল শাড়ী পড়া একটা
কনে আমার দিকে দৌড়ে আসছে , এসেই আমাকে জড়াই ধরল ।
– সাহরিয়া তোরে খুব ভালোবাসিরে খুব ,
তোরে ছাড়া আমি বাঁচব না ।
– আচ্ছা আগে বলিস নি কেন ।
– তখন তো আমি পাগলী ছিলাম ।
– তখন না এখন ও ।
– আমি পাগলী তাই না ওকে যা বিয়ে করব না তোকে ।
– আচ্ছা আমি রিয়া এর কাছে যাই তা হলে ।
– কীইইইইই বললি … আর যদি কোনদিন
কোন মেয়ের নাম নিছিস তা হলে মেরেই
ফেলব ।
নীলার বাবা মেয়েকে অনেক ভালোবাসত তাই আমার সাথেই ওর বিয়ে দিয়ে দিলো ।
– ওই অন্য মেয়ের সাথে কথা বলবা না তো ।
– দূর এখন বউ পাই নাই … অন্য মেয়ের সাথে
ক্যান কথা বলমু হি হি হি ।
আচ্ছা পাপ্পি দেই ।
– হুমমমমম দাও ।
– আহা বউ পাইছি এখন যত খুশি পাপ্পি দিমু
কেউ আটকানোর নাই হি হি হি ।