নিশি কথাটা আবার জিজ্ঞেস করলো । যদিও ও জানে যে রান্না ভাল হয়েছে । অপু যেভাবে তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে সেটা দেখলেই বোঝা যায় ! কিন্তু নিশি অপুর মুখ থেকে কথাটা শুনতে চায় ।
-কি বললি না কেমন হয়েছে ?
অপু মুখ তুলে তাকাল । বিরিয়ানী চিবাতে চিবাতে বলল -কি কেমন হয়েছে ?
-বিরিয়ানী কেমন হয়েছে ?
-একদম ফাউল হয়েছে । এরকম ফাউল বিরানী আমি জীবনে খাই নি। তারপর মুখের খাবার টুকু গিলে ফেলল । বলল -দেখি আর এক চামচ দে তো । ঐ মাংশের পিচ টা দিস ।
নিশি তাকিয়ে দেখে অপুর প্লেট প্রায় খালি হয়ে গেছে । আরও কয়েক চামচ বিরিয়ানী তুলে দিতে দিতে বলল -ভাল হয় নি তাহলে খাচ্ছিস কেন ?
-কি করবো বল ? একে তুই বন্ধু মানুষ তার উপর এতো যত্ন করে রান্না করে নিয়ে এসেছিস । না খেলে কেমন হয় ! আর তার থেকেও বড় কথা আমার খুব ক্ষুদা লেগেছিল ।
নিশির কান্না আছে ! ছেলেটা এমন কেন ? বিরিয়ানী ভাল হয়েছে এই কথা টুকু বললে কি হয় ? মিথ্যা করেও কি বলা যায় না ? বললে নিশির নিজের কাছে কত ভাল লাগত ! এই কথা টুকু ও কি গাধাটা বোঝে না ? নিশি চোখের পানি সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।
অপুর মনযোগ খাওয়ার দিকে তা হলে নিশির চোখের জল দেখে ফেলত । নিশির মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগে । কেমন করে অপুর সাথে ওর বন্ধুত্ব হল কেমন করে এই ছেলেটা ওর জীবনের একটা জরুরী বিষয় হয়ে দাড়াল । মনে হয় এই তো সেদিনকার কথা কিন্তু প্রায় তিন বছর হতে চলল । কিভাবে যেন অপু ওর জীবনের সব থেকে জরুরী হয়ে উঠল ! কিন্তু ফাজিলটা কিছু যেন বোঝে না ! নিশির সত্যি মাঝে মাঝে খুব কষ্ট লাগে । বারবার মনে হয় অপু কেন বোঝে না ? ওর চোখের দিকে কেন তাকায় না ভাল করে ? এই এখন অপু কি নিশ্চিন্তেই না খেয়ে চলেছে ! বাইরের অন্য কিছুর দিকে ওর কোন খ্যালই নেই।
নিশি বলল -অপু আব্বা আমার বিয়ে ঠিক করেছে । নিশি ভেবেছিল অপু খুব অবাক হয়ে তাকাবে ওর দিকে ! কিন্তু কোথায় কি ? মুখ তুলে তাকালো না পর্যন্ত ! এমন একটা ভাব যেন নিশির বিয়ের খবর অপু প্রতিদিন ২/৩টা শুনতে পায় । এটা তেমন কোন ব্যাপার না । অপু মুখ না তুমেই বলল -কবে রে বিয়ে ? বহু দিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় না ! এবার নিশির সত্যি সত্যিই কান্না পেয়ে গেল । এই ছেলেটা এমন নিষ্ঠুর হতে পারে কিভাবে ? নিশি কোন কথা বলে না । নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতে থাকে । ছেলেটা এমন কিভাবে করে ! ওর মন কি একটু ও বুঝতে পারে না । এই যে কি আপন মনেই খেয়ে চলেছে । নিশি যে এতো বড় একটা কথা বলল এতে ওর কোন ভ্রুক্ষেপই নেই ।
অপু খেতেই বলল -তোর বিয়ে হয়ে গেলে তো একটা সমস্যা হয়ে যাবে রে ! নিশি একটু যেন সপ্রতিভ হল অপুর কথা শুনে ! -কি সমস্যা ? -আরে আমি কি ভেবেছিলাম তোর সাথে পার্টনার শীপে একটা বিরানীর দোকান খুলবো । অপু এন্ড নিশি বিরিয়ানী হাউজ । নিশির আশা টুকু আবার মলিন হয়ে গেল অপুর কথা শুনে । ওর কন্ঠ স্বর শুনেই মনে হচ্ছে যে ও ফান করছে । নিশির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এটা কি ফান করার মত বিষয় ?
অপু বলল -আরে মন খারাপ করিস কেন ? আচ্ছা ঠিক আছে যা তোর নাম টা আগে দিলাম । নিশি এন্ড অপু বিরিয়ানী হাউজ । ঠিক আছে ? তুই রান্না করবি আর ইনভেস্টমেন্ট আমার । ফিফটি ফিফটি পার্টনারশীপ । তোর বিয়ে হয়ে গেলে তো তোর জামাই ও একটা ভাগ চাইবে । তখন ? বলবে আমার বউ রান্না করবে আমার একটা ভাগ চাই ।
নিশি অপুর দিকে কিছুক্ষন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো । আশ্চার্য ছেলেটা কোন কিছু ফিল করছে না । ওর সব থেকে কাছের মানুষটা ওর কাছ থেকে চিরো দিনের জন্য দুরে চলে যাচ্ছে অথচ অপু এটা নিয়ে ফান করতেছে । নিশির চোখ থেকে পানি বেরিয়ে এসেছিল সেটা হাত দিয়ে মুছে বলল
-শোন তোর সাথে আমার আর দেখা হবে না । কালকে বিকেল বেলা আব্বা আমাকে নিতে আসবে । সামনের মাসে বিয়ে হয়ে যাবে হয়তো । তুই ভাল থাকিস । আর অন্য কাউকে নিয়ে বিরিয়ানী হাউজ দিস । নিশি আর দাড়াল না ।
অপু পেছন থেকে বেশ কয়েকবার ডাক দিল । কিন্তু নিশি একটা বারও পেছন ফিরে তাকাল না । কি হবে পেছন ফিরে তাকিয়ে ? নিশির অনুভুতি গুলোর দাম যার কাছে বিন্দু মাত্র নেই কি হবে তার দিয়ে ফিরে তাকিয়ে । অপুর খাওয়া এখন এখনও শেষ হয় নি । না হোক ! খাক ও একা একা । কিন্তু কিছু দুর যেতেই নিশির মন বলল কাজটা কি ঠিক হল ! ছেলেটা একা একা খাচ্ছে ! নিশির কেন জানি অপুকে খাওয়াতে সব সময় ভাল লাগত । অপু যখন তৃপ্তি সহকারে খেত ও কেবল একভাবেই অপুর দিকে তাকিয়ে থাকত । অপুর খাওয়ার সময় ও সবসময় কেবল একটা স্বপ্নই দেখতো । এমন করে সারাটা জীবনই ওকে নিজের হাতে খাওয়াবে । অপু যখন খাবে ঠিক এমনি করে ওর পাশে বসে থাকবে । যখন যেটা লাগবে এগিয়ে দিবে । গরম লাগলে বাতাস করবে । নিশি এটাও ঠিক করে রেখেছিল যে ওদের ডাইনিং রুমে ও কোন ফ্যান লাগাতে দেবে না । টেবিলের পাশে একটা হাত পাখা রাখবে । হাত পাখা দিয়ে অপুকে বাতাস করবে ! আর এখন ও অপুকে একা রেখেই চলে যাচ্ছে ।
রুমে পৌছানোর পর নিশি অনেকক্ষন কাঁদলো । বারবার মনে হতে লাগল অপুকে ওভাবে একা রেখে চলে না আসলেই হত । আর হয়তো ওর পাশে এভাবে বসা হবে না । আর হয়তো ওকে এভাবে খাওয়া পারবে না যত্ন করে ! কিন্তু ছেলেটা এমন কেন করবো ? ওর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে এটা শোনার পর অপুর কি একটু রিয়েক্ট করা উচিত্ ছিল না ।? কিন্তু না । ওর চিন্তু ওর বিরায়ানী হাউজ নিয়ে !
অপু বেশ কয়েকবার ফোন দিল কিন্তু নিশি রিসিভ করলো না । করে কি লাভ ! কাল বিকেলের দিকে নিশির আব্বা আসবে । ওকে নিয়ে যাবে । রাতের বেলাতেও অপু বেশ কয়েকবার ফোন দিলো কিন্তু নিশি রিসিভ করলো না ।
-এই নিশি ! এই ! ওঠ ! নিশি চোখ মেলে দেখলো ওর রুম মেট । খানিকটা বিরক্ত হল । আর একটু পরে ডাক দিলে কি হত ! কি চমত্কার একটা স্বপ্ন দেখছিল ।আর সকাল বেলার স্বপ্ন নাকি সত্যি হয় !
-কি হল
-তোর ফোন বন্ধ কেন ?
-বন্ধ না ।
-তাহলে ফোন ধরিস না কেন ? অপু তোকে ফোন দিচ্ছে । ও বাইরে দাড়িয়ে আছে । তোকে নামতে বলছে ।
-ওকে বল আমি যাব না ।
ওর রুমমেট মীম ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে বলল
-ঝগড়া হয়েছে ?
-না ।
-তাহলে ? আজ বিকালে না বাসায় যাবি ? দেখা করবি না ওর সাথে ?
-দেখ ওর বয়ফ্রেন্ড না যে আমার দেখা করতেই হবে । ওকে বল চলে যেতে যেতে ।।
মীম কি বুঝল কে জানে একটু কেমন করে জানি হাসল । নিশি আবার চোখ বন্ধ করলো । আজ সারা দিন ওর ঘুমানোর প্লান । কোথাও যাবে না । কারো সাথে দেখা করবে না । কারো সাথে কোন কথা বলবে না । কিন্তু একটু পরে মীম আবার এসে হাজির ।
-কি হল আবার ?
মীম ওর মোবাইলটা এগিয়ে দিয়ে বলল
-তুই বল কথাটা । আমায় কথা শুনছে না । অনিচ্ছা সত্তেও ফোন ধরলো ।
-তুই আমার ফোন ধরছিস না কেন ?
নিশি প্রথমে ভেবেছিল খুব কঠিন করে জবাব দেবে কিন্তু অপুর সাথে কঠিন কথা কিভাবে বলে ?
-সাইলেন্ট ছিল । টের পায় নি ।
-টের পাস নি ? তোমাকে টের পাওয়াসছি । তুই এখন নিচে আসবি ।
-এখন আমি কিভাবে আসবো ? আব্বা আসবে একটু পর ।
-তোর আব্বা আসবে বিকেল বেলা । অনেক দেরি আছে । তুই এখনই আসবি ।
-কেন আসবো ?
-আমি বলছি তাই আসবি ।
নিশি কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল । অপু কত জোর খাটাচ্ছে ওর উপর । নিশি চুপ করে রইলো । ওপাশ থেকে অপু একটু নরম স্বরে বলল
-আমি অনেকক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি । প্লিজ আয় ।
অপুর এই নরম ডাকই ওর জন্য যথেষ্ট ছিল ।
-আয় । কেমন ! নিশি যখন নিচে নামল দেখল অপু ওর হলের সামনে এদিক ওদিক পায়চারি করছে । নিশিকে দেখতেই এগিয়ে এল ।
-তোকে না কষে একটা থাপ্পর দেওয়া দরকার ।
নিশি কি ভেবে এসিছিল আর অপু কি বলছে । -কাল থেকে তোকে কতবার ফোন দিছি ? ফোন বের কর । বের র ফোন । নিশি মুখ গোমড়া করে বলল
-ফোন আনি নি ।
-তা আনবা কেন ? আর দেখা করবি না মানে কি ? বিয়ে না হতেই এই অবস্থা । বিয়ের পর তো আমাকে চিনবিই না । চল আমার সাথে ।
-কোথায় ?
অপু আবারও কিছুক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে রইলো !
-কই আগে তো কোনদিন জনাতে চাসনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছি । যখন যেখানে যেতে বলেছি চুপচাপ কোন কথা না বলেই আমার সাথে গেছিস আজ কেন তাহলে জানতে চাচ্ছিস ?
আসলেই কথাটা সত্য । এর আগে অপু ওকে যেখানে নিয়ে যেতে চেয়েছে নিশি কোন দিন জানতেও চায়নি যে কোথায় যাচ্ছে । চুপচাপ কেবল সঙ্গী হয়েছে ওর ! নিশি কোন কথা বা না বলে চুপ করে রইলো ।
অপু বলল -শুনতে চাস কোথায় যাচ্ছি ? যাচ্ছি কাজী অফিসে ! তোকে বিয়ে করবো ঠিক আছে ! চল এবার ।
নিশি জানে অপু ফান করছে । এর আগের অনেক বার বলেছে যে আজ তোকে কাজী অফিসে নিয়ে যাবো ! অনেক দিন ধরে ভাবছি বিয়ে করা দরকার ! একবার বিয়ে করে দেখেই নি কেমন লাগে ! নিশি জানে অপু প্রতিবারই ফান করেছে ! আজও করছে ! কেন এমন ফান করে ছেলেটা !
নিশির মনে র ভিতর কেমন তোলপাড় করে !! রিক্সা চলতে শুরু করলে অপু নিশির হাত ধরলো ! এটা খানিকটা নতুন লাগলো নিশির কাছে । অপু সাধারনত নিশির হাত এমনিতে ধরে না ।
-তুই কি আমার উপর রাগ করেছিস ?
অপুর গলা আশ্চার্য রকমের নরম । একটু আগের কাঠিন্য একদম নেই ! আর অপু কন্ঠে এমন কিছু ছিল যে নিশি খানিকটা অবাক হয়ে গেল । বলল
-রাগ করবো কেন?
-তাহলে ফোন কেন ধরছিলি না ?
নিশি কি বলবে ! ওর কাছে কোন উত্তর নাই । চুপ করে রইলো ! অন্য সময় হলে অপু হয়তো বলতি বেকুবের মত চুপ করে থাকবি না । কথা জিগাইছি উত্তর দে ! কিন্তু আজ কিছু বলল না । কেবল নিশি হাতের আঙ্গুলের সাথে খেলা করলে লাগলো !
এবার নিশি সত্যি খুব অবাক হল ! অপুর আজকে হল কি ? মাঝে মাঝে অপু ওর হাত ধরতো । কিন্তু এই রক কোনদিন করে নি ! যেভাবে একজন প্রেমিক তার মনের মানুষের হাত নিয়ে খেলা করে ঠিক তেমন করছে ! নিশি একটু লজ্জা লজ্জা লাগলো ! মানুষ জন দেখলে কি ভাবে ? কিন্তু অসম্ভব ভালও লাগছিল !! বুকের ভিতর কেমন একটা আশ্চার্য ভাল লাগার অনুভুতি হচ্ছে !! ইস !! নিশির কেবল মনে হল কেন অপু আরো আগে ওর হাত এই ভাবে ধরে নি ! কেন ?
হঠাৎ অপু বলল -জানিস নিশি, যে জিনিস টা আমাদের চারিপাশে সবসময় থাকে সেটার প্রয়োজন আমরা খুব অনুভব করি না । তারমনে কিন্তু এই না যে আমাদের সেটার দরকার নাই !
-এই কথা কেন বল ছিস ?
-এমনি ! আচ্ছা শোন ! আমি ঠি করেছি তোর স্বামীকে আমি কোন আমাদের বিরানী হাউজের কোন শেয়ার দিবো না ।
নিশি ঠিক বুঝতে পারলো না । বলল -কিসের ভিতর কি ? কি বলছিস তুই !
অপু সে প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে বলল -আচ্ছা তোর বাবা কি খুব রাগি মানুষ ?
নিশি আসলেই অপু কথার কোন আগা মাথা বুঝতে পারছে না । একটা কথা থেক লাফ দিয়ে অন্য কথায় চলে যাচ্ছে ! মানে কি এসবের !
-অপু তুই কি বলছিস ঠিক বুঝতে পারছি না !
-না মনে কর বা ধর যদি তুই একা একা বিয়ে করে ফেলিস তাহলে কি তোর বাবা কি খুব রাগ করবে !
-আমাকে আস্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে !
-আর যাকে বিয়ে করবি তাকে কি করবে ?
-তাকে তো গুলি করে মেরে ফেলবে ! জানিস না আমার বাবার একটা ব্রিটিস আমলের বন্দুক আছে !
অপু একটু চিন্তায় মাথা ঘোড়ালো !
নিশি বলল -তুই কি বলছিস তার আগা মাথা তো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না ।
-না ভাবছি, তোর বাবা যদি আমাকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে তাহলে আমার বাঁচার আশা কত টুকু ভাবছি !
নিশির বুকের ভিতর কেমন যেন একটা শক প্রবায়িত হল । অপু কি বলছে ! নিশি বলল
-আমার বাবা তোকে গুলি কেন করবে ?
-আরে তুই দেখি সারা জীবন গাধাই রে গেলি ! তুই তো বললি তোকে যে বিয়ে করবে তাকে তোর বাবা গুলো করে মারবে !
-তুই কি সত্যি সত্যি আমাকে বিয়ে করতে যাচ্ছিস নাকি ?
নিশি তখনই লক্ষ্য করলো ওদে রিক্সাটা মগবাজার কাজী অফিসের সামনে এসে দাড়িয়েছে ! নিশি আজ কেবল অবাকের পর অবাক হচ্ছে । কই রিক্সায় যখন উঠেছে তখনতো রিক্সাযালা কে কিছু বলে নি ! তাহলে ? সব কিছু আগে থেকে ঠিক করা ছিল ? ঐ তো ওদের ক্লাসের ৪/৫ জনকে দেখা যাচ্ছে ! অপু তাহলে সত্যি সত্যি ….। নিশির বুকের ভিতর আরো জোরে ধরফরানী শুরু হয়ে গেছে !!
-অপু ……..
-তোকে বলেছিলাম না আমার বিরিয়ানী হউজের ভাগ আমি তোর জামাই কে দিবো না !
নিশি যখন রেজিষ্ট্রিতে সই করতে গেল দেখলো ওর হাত কেমন কাঁপছে । সেই তুলনায় অপু একদম শান্ত ! এমন একটা ভাব যেন প্রতিদিনই এরকম দুতিনটা বিয়ে করে থাকে !! ছেলেটা এরকম শান্ত থাকছে কেমন করে !!