সৃষ্টির শুরু

সৃষ্টির শুরু

সৃষ্টির আগে আল্লাহ্ ছিলেন, আর সব কিছু ছিল অন্ধকারে ঢাকা। কিন্তু আল্লাহ্ তাঁর মুখের কথা দিয়ে সব কিছু সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ্ বললেন, “আলো হোক”, সাথে সাথে আলো হলো। এরপর আল্লাহ্ আরও অনেক কিছু সৃষ্টি করল। তা হলো, আকাল, মাটি, পানি। আল্লাহ্ এবার ভাবলেন, এদের জন্য কিছু সৃষ্টি করা উচিৎ। তাই তিনি মাটির জন্য সৃষ্টি করলেন সব ধরনের গাছ -পালা, শাক-সবজি ও শস্য আল্লাহ্ আকাশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য সৃষ্টি করলেন সব ধরনের পাখি। মাটিতে বসবাস করবার জন্য সব ধরনের জীব-জন্তু ও প্রাণী, আর পানির জন্য সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী। তাদেরকে আল্লাহ রহমত করে বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতা দিলেন। আল্লাহ এই সব কিছুর মধ্যে সূর্য্য, চাঁদ ও তারা সৃষ্টি করলেন।

আল্লাহ্ তার এই সব সৃষ্টি দেখে ভীষন খুশি হলেন। কিন্তু এরপর আল্লাহ্ এক বিশেষ কিছু সৃষ্টি করলেন, যা ছিল তার সব সৃষ্টি থেকে আলাদা। কারণ এর আগে আল্লাহ্ যা কিছু সৃষ্টি করেছিলেন, সব কিছু তাঁর মুখের কথা দিয়ে। কিন্তু এবার আল্লাহ্ মাটি দিয়ে নিজের মত করে একজন পুরুষ মানুষ সৃষ্টি করলেন। এরপর তিনি সেই মানুষটিকে নাঁকে ফু দিয়ে জীবন দিলেন। এমন কি সেই মানুষটিকে নিজের মত করে সভাব-চরিত্র দিলেন। বিচার-বুদ্ধি করার ক্ষমতা দিলেন।

কিন্তু আল্লাহ্ দেখলেন, যে পশু-পাখি তৈরি করেছিলেন সবার সঙ্গী আছে। কিন্তু তাদের ভিতরে এই মানুষটির জন্য কোন সঙ্গী ছিল না। তাই আল্লাহ্ ভাবলেন, মানুষের একা থাকা ভালো না। সেই কারণে আল্লাহ্ এই মানুষটিকে এক গভির ঘুম দিলেন। ঘুম দিয়ে তার পাঁজর থেকে এক খানা হাড় নিয়ে একজন স্ত্রী লোক সৃষ্টি করলেন। তারপর ঐ পুরুষ মানুষটির পাশে আনলেন। তাকে দেখে পুরুষ মানুষটি খুবই খুশি হলো। আর বলল, “এইবার হয়েছে,  এই আমার মাংস ও হাড়”।

আল্লাহ্ তাদেরকেও রহমত করে বংশবৃদ্ধি করার ক্ষমতা দিলেন। আর তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছিলেন সব কিছু দেখাশোনা করবার দায়িত্ব এই মানুষ দুইজনকে দিলেন। আল্লাহ্ যা কিছু সৃষ্টি করেছিলেন, সব কিছু ছয়দিনের মধ্যে শেষ করলেন। তিনি তার পরের দিন কোন কাজ করলেন না। ঐ দিনকে তিনি পাক-পবিত্র করে নিজের জন্য আলাদা করে রাখলেন।

গল্পের বিষয়:
ধর্মীয়
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত