জননীর মহাযাত্রা

জননীর মহাযাত্রা

ঘনিয়ে আসিতেছে তমসা
ঘরে শয়ন করিতেছে অসুস্থ মাতা
হঠাৎ চলিয়া গেল ক্ষণপ্রভা!
বলিলেন মাতা,কিছুইত লোচন করিতে পারিতেছিনা খোকা
বলিলাম আমি মাকে দিয়ে সান্তনা
এখনি চলে আসবে অশনি,
প্রসূতি চাপিয়া ধরিলেন আমার দুটি পাণি।
বলিলেন,পাইতেছ নন্দন সেই ঘ্রাণ
প্রসূনের এই ঘ্রাণ বহন করিতেছে সমীরন,
এই প্রসূন জন্মিছে সেই শাখীতে,
যে শাখী তোমার জনক করিয়াছিলেন রুপন।
মনে রাখিও, করিবে যতন এই বিটপির সারাজীবন
এটা ছিল তুমার জন্ম দাতা পিতার একমাত্র সূজন।
ওহে নন্দন, কখন হবে দিনমান,
কত আর বাকি রজনী?
বলিলাম আমি, ওহে গর্ভধারিনী,এই ঘনিয়ে এসেছে দিবা।
বলিলেন মাতা,করিসনে বাবা আমার সাথে কপটতা
আর বুঝি নেই দেরি হতে আমার মহাযাত্রা।
দেনা বাবা কিছু তন্দুল,
খেয়ে দেখি হয় কিনা অনুদ্ধত
আমার এ গাত্র।
নিয়ে এসে তন্দুল পাইলাম না কোন ধ্বনি
বুঝিলাম,দিল বুঝি মাতা চিরবিদায়
এ রুপসি মেদেনী।

গল্পের বিষয়:
কবিতা
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত