হঠাৎ বিকেলবেলা আমার সহজ-সরল বন্ধু কল্লোল এসে হাজির।
‘দোস্ত, মিলিরে ছাড়া আমি বাঁচুম না।’
‘তা মিলিটা কে?’ প্রশ্ন করি আমি।
‘আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। অরে আমি ভালোবাসি।’
‘তাইলে তারে কইয়া ফালা’
‘কেমনে কই? বুদ্ধি দে।’
‘তার ঠিকানা কী?’
‘তা তো ওর প্রোফাইলে নাই। শুধু নামটা আছে। আর তার সুন্দর একটা ছবি।’
‘তাতেই তুই ফিদা?’
‘হ দোস্ত। হেয় আমার টাইম লাইনে যেই সব কমেন্ট লেখে, আমার মাথা গরম হইয়া যায়।’
‘উদাহরণ দে।’
তোমার প্রতি অঙ্গ লাগি, প্রতি অঙ্গ কান্দে মোর—
‘খাইছে, কস কী ?’
‘এক কাজ করি, আমি তারে পোস্ট কইরা দেই, আই লাভ ইউ, কী কস?০০’
‘এক কাজ কর, অর ঠিকানা জানতে চা, অরে দেখা করতে ক।’
‘কিন্তু সমস্যা তো এইখানেই, সে তো দেখা করতে চায় না। কিন্তু দোস্ত, অরে ছাড়া আমি বাঁচমু না—প্লিজ,
দোস্ত।’
‘তোর মিলির ছবিটা আমারে দেখাইতে পারবি?’
‘এইডা কোনো ব্যাপার! ওর সঙ্গে যখন চ্যাটে বসমু, তখনই দেখাইয়া দিমু।’
‘কোন সময় বসবি?’
‘রাইত নয়টায়।’
‘আমি তোর বাসায় আসমু ওই সময়।’
‘ঠিক আছে দোস্ত।’
ঠিক নয়টায় ওর বাসায় হাজির হয়ে যাই। ও তখন চ্যাটে ব্যস্ত মিলির সঙ্গে। বললাম ছবিটা দেখা। কল্লোল—আমার সরল, বোকা দোস্ত মিলির প্রোফাইল থেকে যে ছবিটা বের করে দেখাল, তা দেখে আমার চক্ষু চড়কগাছ। ওই সুন্দর
মুখের চেহারাটা আর কারও নয়, ইন্ডিয়ার এক গায়িকা মোনালী ঠাকুরের। হায়রে বোকা কল্লোল!
তোকে কী করে বুঝাই, মিলি নামের একটা ভুয়া অ্যাকাউন্টের প্রেমে মজেছিস তুই!
গল্পের বিষয়:
কবিতা