প্রতিবার যখন চৈত্রের দাহ নামে, তাকে ভেজাতে পারে না কালবোশেখী। আমি তার নাম দেই দোসর কাল নাগ।
রাতের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আমি পৌঁছে যাই শীতের কাছাকাছি। যেখানে মেঘ, রোদ ও কুয়াশা পাশাপাশি ঘুমোয়। যেন জন্মের ঘুমের টান বাধা পড়েছে ত্রি সূত্রে!
ঠান্ডা লাগে খুব। বুকের উষ্ণতা দিয়ে আমি আগলে রাখি সবকিছু যেভাবে আগলে রাখে মা ডাহুক।
প্রতিবার খুব কাছে টানি আমার করবো বলে। ভ্রম কিংবা কুয়াশার মতো দূরে সরে যাও তুমি। প্রতি শীতে ভিঁজে ভিঁজে জ্যোস্না হয়ে যাও তুমি।
আমি সামান্য দূর্বাঘাসে জমা শিশিরের মতো জ্যোস্না মাখি অদৃশ্য শরীরে। গুমোট কুয়াশায় লুকাই অন্ধকার।
প্রতিটি ভোর আমার ভীষণ প্রিয়। যেমন কারো কারো জীবনে আলো নয়, অন্ধকার করে বসতি। তাদের জীবনে কী ভোর হয়?
আচ্ছা, অন্ধকার নামলে ভোর হয় না কেন?
গল্পের বিষয়:
কবিতা