আবার সওয়ার হই মিসিসিপি জল থেকে
উড়–ক্কু মায়াবী ডোবায়
মনে হচ্ছে উলঙ্গ ফিকিরবাজ আকাশ
আমার ছায়া হয়ে যাচ্ছে
ঠিক তোমার মত…
আশ্চর্য অন্ধকারে পুড়ে যাচ্ছি
পোড়া মোমের মত গলছি
তবুও জানকী’র পুঁজো হয়ে আছি
কেনো যে সে ত্বক নিঃশ্বাস আর
টোটেমের ওপর বসে আছি
খালি কৈছালি করি আর
মেঘের রঙ হয়ে
বাতাসের শরীর হচ্ছি
তোমার ভাজে মিশে যাবো বলে।
বীজ থেকে কৈলাস হয়ে নক্ষত্র হয়ে গেলো একটি বৃক্ষ
কৈশোরে ভাগীরথী ওম থেকে কবিতা যাপন করতে শিখলে
একদিন নিরাক রোদের ভেতর পেয়ে যাই নিরানব্বই মন্ত্র
ঠিক তখন আমি নক্ষত্র গুনে ফেলি
সেদিন থেকে নিদ্রামগ্ন বাতাসেরা গান হয়ে ওঠে আর
আমার মগজের উল্কারা নির্লক্ষ্য যাত্রায়
একে একে হয়ে ওঠে প্রজ্ঞা ও লবনপাহাড়
ওইখানে এখন বাজে বহুগামী তান
আর আমি ইথারের শরীর বেয়ে দাঁড়িয়ে থাকি
ওই বীজ ও বৃক্ষের কাছে।
গল্পের বিষয়:
কবিতা