লাশ কাটা ঘর
তারপর দুটি চোখ নিভে গেলে পরে
কিশোরীর ঠাঁই মেলে লাশকাটা ঘরে ।
কেউ তারে ভালোবেসে একদিন
কাছে এসে
বলেছিল , দেখে নিও চিরকাল
রবো পাশে ।
তারপর একদিন অসহ্য আলিঙ্গন
নয়নে নয়নে মেশে জলের বাঁধন
বাইরে ঝড়ের তান্ডব আর
সেই কারো চোখে ঝড় ওঠে কিছু কামনার ।
অবশেষে কিশোরীর আত্মসমর্পন
আত্মসমর্পন কারো অভিমানী হাতে
ফিরিয়ে না দেওয়ার অভিশাপে
অভিশাপ জমে সেই ঝড়ের রাতে।
অধরে অধর মুছে জলছাপ আঁকা শেষে
কারো প্রেম মিশে যায় নিঃশ্বাসে
নিঃশ্বাসে ।
কিশোরী চেয়েছিল ,চেয়েছিল দূরে রয়
একটু কাছে তবে খুব বেশি কাছে নয় ।
তারপর রাত্রির শেষ ,
চেনা ছায়া অচেনা হয়
হিংস্র ঝড়ের তান্ডব থামে ,
আর একা শালিক পড়ে রয় ।
একদিন শেষপ্রহরের বিকেলে
দুনয়নের জলের বাঁধন ছিড়ে
সেই কেউ চলে যায়
চলে যায় ধীরে ।
মায়াশালিকের আর্তনাদে চেনা আকাশে জমে
অচেনা মেঘের জলকেলী ।
আর তারওপরে পৃথিবীটা ভেসে যায় জলের হাহাকারে,
ভেসে যায় কিশোরীর খোপার বেলী ।
তারপর পটাশিয়াম সায়ানাইডে
শেষ আশ্রয় খোঁজা,
অশ্রু ধুয়ে মায়াশালিকের
চিরতরে চিরতরে চোখ দুটি মোছা।
তারপর দুটি চোখ নিভে গেলে পরে
কিশোরীর ঠাঁই মেলে লাশ কাটা ঘরে।
লাশকাটাঘরে ক্ষতবিক্ষত শালিকের ঠোঁটে
যন্ত্রণামাখা হাসি ,সে কারে যেন ডেকে ওঠে ….
কারে যেন ডেকে ওঠে ফের ভালোবেসে।
অভিমান মুছে যায় নীল বিষে।
তারপর লাশ কাটা ঘরে চেনা কারো অপেক্ষায়
জন্ম জন্মান্তর ধরে মৃত শালিকের দিন কেটে যায়।
…….. ……… বিকেল চড়ুই