বয়সটা তখন আঠেরো
সৌরভ হালদার
বয়সটা তখন আঠেরো
একুশ অথবা বাইশ হয়নি,
ততটা বোঝার মতো সময়ো নেই
ছেলেবেলায় মন টানে খুব।
কখনো টেলিভিশন এ খেলা দেখতে দেখতে
মনে হয় আমি হয়তো ছক্কা মারছি।
বয়সটা বুঝি এরকম
কখনো চলে যায় কল্পনাতে,
আবার কখনো বাস্তবতাই।
বয়সটা বুঝি এরকম
ডুলে ডুলে হেঁটে চলা
মেয়েটির দিকে যেন এক পলক তাকিয়ে থাকে।
আঠেরো বলে কথা!
বুঝে কিংবা অবুঝের মতো নয়
একটু কিছু বললে
রেগে যায় এক মুহূর্তে।
আঠেরো বছর বয়সে
যেন যৌবনের রুপে
ঝলসে থাকে এক পলকে,
যৌবন কিংবা ভালোবাসার টানে
পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে তার সঙ্গে,
এক সত্তর বছরের বৃদ্ধার মতো ভাবে না সে।
সময়ও নেই বাবার;
এক ঝটকায় মন চায় পালাতে
সে এক অজানা দুনিয়াই,
তাই বুঝি বয়সটা হলো আঠেরো।
পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে হবে
বাবা মা কে,
হতে হবে,বন্ধুর মতো খেলতে ।
চলতে হবে আঠেরো সাথে তাল মিলিয়ে
তাকে বুঝিয়ে পার করে দিতে হবে
কয়েকটি বছর।
তারপর সে বুঝতে শিখবে,
শিখবে অনেক কিছু।
হতে পারে সে দুনিয়া কে করবে
একদিন জয়।
বছর যাবে পার হয়ে
পৃথিবী বলবে তখন
মৃত্যুঞ্জয় তোমাকে চায় বার বার
আমারো প্রান্তে।
সেদিন আঠেরো কথা মনে থাকবে না
কেউ উপহাস করলে
হঠাৎ করে রেগে যাবে না,
হয়তো সে ভুলেই যাবে
আঠেরো বলে একটি জীবন ছিল।
কৈশোর ফিরলো বলে
জীবনে বইল প্রেম,
সে প্রেমের সুধা মিটাতে
পারিল না অমৃতর সুখ সইতে।
গল্পের বিষয়:
কবিতা