কড়ির মতন টেপা টেপা চোখ, নাক ছ্যাঁচা, ছিছি
লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা
একটা জীবন শরম-ভরম, শুধুই ভস্ম শয্যা!
পারুল ডাঙার প্রান্তে তিনটি বালিকা বলল, নদীর
ওপারে যাবি?
গেলে না, একলা রয়ে গেলে, হাতে পুরোনো হলুদ চাবি!
লকলক করে বাড়ে ফুলগাছ, শরীর না যেন খাঁটি
বিদ্যুল্লতা
তুমি তার পাশে দাঁড়াও না ভয়ে! বুক ভরা নীরবতা।
পুতুল খেলায় যারা মেতেছিল, তারা ক্রমে ক্রমে ঢুকে
গেল সংসারে
তুমি চৌকাঠ পেরুলে না, বসে রইলে দিঘির ধারে।
বর্ষা এল কি এল না কে জানে, শীতের বাতাসে খসে
খসে পড়ে পাতা
কোথা অদৃশ্য ঘর্ঘর নাদে ঘুরছে একটা জাঁতা।
ওলো ও কন্যা, আগুন জ্বলেনি, রক্তে কখনও ছলকে
আসেনি ঢেউ?
চোখের তারায় বিমূর্ত ছবি, দেখাল না বুঝি কেউ।
রূপের ফুলকি উড়ছে বাতাসে, স্বপ্ন যেমন জীবনকে দেয়
রংমশালের ঝড়
রূপও স্বপ্ন, স্বপ্ন না দেখে সারাটা জীবন রয়ে গেলে উলুখড়!
গল্পের বিষয়:
কবিতা