১.
বুকের রক্ত দিয়ে কবিতা লেখার দরকার নেই
তাতে কবিতা হয় না
রক্ত জিনিসটা লেখার পক্ষে সুবিধের নয় মোটেই
না হলে কালি-ব্যবসায়ীরা প্রচুর খাঁটি রক্তই
বোতল বোতল ভরে চালান দিত না?
মানুষের রক্ত তো বেশ শস্তা এদেশে
যারা সত্যি সত্যি মুখে রক্ত তুলে হাঁটু থেবড়ে
পড়ে যায় মাটিতে
তারা কেউ কবিতা লেখে না
হায়, তারা কবিতা থেকে কত দূরে!
২.
জয় বাবা বক্রেশ্বর বলে যারা একদিন বিলিয়ে দিয়েছিল রক্ত
তারা নিজেরাই অনেকে এখন কুঁজো অষ্টাবক্র
যার নামেই জিগির তোলো, তারকেশ্বর বা বক্রেশ্বর
রক্ত কোথাও জ্বেলে দেয় না আলো
নীল নদ একদিন মানুষের রুধিরে লাল হয়ে গিয়েছিল
ভোলগা থেকে গঙ্গায় বয়ে গেছে কত রক্ত স্রোত
মাটিতে রক্ত মিশে থিকথিকে কাদা হয় শুধু
পোষা কুকুর চাটে তার ভালোবাসার মানুষের রক্ত
সেনাপতিরা রক্তের ওপর দিয়ে রথ চালাতে চালাতে
পান করে আঙুরের রস
মায়ের রক্ত চোখ দিয়ে কান্না হয়ে ঝরে, কেউ দেখে না
তোমার রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা আনবে? তা নিয়ে
ছিনিমিনি খেলবে উল্লুকেরা
প্রাণপণে চাঙ্গা রাখো, ধমনী, ওগো, নিজের জীবন ছাড়া
তোমার যে আর কিছুই নেই!