গলাকাটা বটগাছের তলায় তিনটি অশ্ব নিশি পোহাচ্ছে
অন্ধকার না তেমন অন্ধ, কিছুটা কিছুটা দুধ মিশে আছে
লক্ষ্মী প্যাঁচাটি আরও সাদা হয়ে উড়ে এল নিচু গাছের তলায়
দলবল বেঁধে আসে নীরবতা, আঁজলা পুকুরে মৃদু দোল খায়।
একটি ঘোড়ার চোখ নেই, তার নাভি সম্বল, ছুটবে এবার
এক জাদুকর ছপটি মেরেছে দিক-দিশা সব ঘুচিয়ে দেবার
দুরন্ত তেজে ছুটছে সে ঘোড়া দৃশ্যবিহীন দিগন্ত ছিঁড়ে
প্রান্তর জুড়ে ধুলোর ঝড়ের চিহ্ন থাকে না ঘাসের শিশিরে।
দ্বিতীয়টি পীত, পলাতক এক রাজকুমারের প্রিয় বয়স্য
নভোনীল যেই চিরবে তখনই সে হবে অশ্বমেধের অশ্ব
সারাটা অতীত কাল জুড়ে ছিল চোখের পলকে বিদ্যুৎগতি
আজ রাত্রিই শেষের রাত্রি, প্রতি নিশ্বাসে ঝরছে নিয়তি।
অতি সুপুরুষ কালো ঘোড়াটিকে যত্নে দিয়েছি কত দানাপানি
অতল গহনে বারবার গেছি মৌলিকতার পেয়ে হাতছানি
রতি অভিসারে দশদিক খোলা, ছন্দ ভুলের এমন রঙ্গ
অলীকবাহনও, তবুও আমার জীবন পেল না জীবন সঙ্গ!