দুই হাতে মৃত্যু নিয়ে ছেলেখেলা করার বিলাস
প্রথম যৌবনে ছিল।
ভাবতাম,
নদীর আকাশে লঘু মাছরাঙা পাখির মতন
মৃত্যুর দুধারে ঘেঁষে ছুটোছুটি
জীবনকে রূপরস দেয়
বারবার
আমি কি যাইনি সেই মৃত্যুমুখী দক্ষিণের ঘরে?
বাঁধের কিনার থেকে গড়ানো বন্ধুর হাত ধরে থাকা
আন্তরিক মুঠি
যমদণ্ড দেখেছিল।
যৌবনে এসবই খেলা!
যখন মানুষ মরে, একবারই জীবনে মরে,
তারপর আর কোনও খেলা নেই।
আর কোনও অস্পষ্টতা, নদীর কিনারে বসে থাকা নেই।
হঠাৎ বিমান থেকে বাচাল মেশিনগান ফুঁড়ে যায় দেহ
এখন যা শকুন ও কুকুরের ভোগ
আর কোনও খেলা নেই।
বন্ধুরা হারিয়ে যায়, আমার একটুকরো
আত্মা নিয়ে যায়
তখনই সিঁড়ির কাছে নীরার নিস্তব্ধ মূর্তি
চোখ দিয়ে ডাকে
ভুরু থেকে ঠিকরে আসে বিকেলের আলো
আমার দু’হাত
যেন ডানা হয়ে যায়
গোড়ালিতে ধাক্কা দেয় ঝড়
আমি শূন্যে ঝাঁপ দিই।
গল্পের বিষয়:
কবিতা