ছাদ থেকে ছাদ বটের চারায় ভরে গেছে কার্নিশ
বকুলদিদির চুলের ফিতের মতন ছড়ানো।
লকলকে কালো গলি
খিদে জ্বলন্ত ছোট্ট শরীর, আমার শরীর, দুপুরে দুপুরে একা
ক্লাস সেভেনের বয়েস ছুটছে, এ ছাদ ও ছাদ ডিঙিয়ে
ছুটছে, কখনও শূন্যে ঝাঁপ
বকুলদিদির আঁচলের মতো হাওয়ায় হাওয়ায় লুটিপুটি খায়
সুতোকাটা এক কালো চাঁদিয়াল ঘুড়ি!
আহিরিটোলার দিক থেকে আসে গঙ্গা-বাতাস, উষ্ণ বাতাস
গলিতে গলিতে বাঁশির মতন ডাকে
ডাক পিওনেরা দ্রুত চলে যায়, জানালায় দুটি ব্যাকুল চক্ষু আঁকা
ও দুটি চোখের তপস্যাঘন রশ্মি ঠিকরে বিকেলের আগে
কোন দেশ থেকে ঝঞ্ঝাকে টেনে আনে
এক দমকায় উড়ে যায় ফুল, অঙ্কের খাতা, পোষা পায়রারা
দিক ভুলে যায়, সূর্যও পায় ছুটি
আকাশের রং শ্লেটের মতন, বিদ্যুৎ লেখে সংকেতময় চিঠি!
বকুলদিদির মুখ মনে নেই, দিন চলে গেছে, পুরোনো ফুলের
পাপড়ির মতো খসে খসে পড়া দিন
শুধু মনে পড়ে ঘামের গন্ধ, বকুলদিদির থুতনি-বিন্দু
ভেজা-ভেজা বুক, গন্ধে আকুল
গলিতে গলিতে ক্লাস সেভেনের
হঠাৎ থমকে থাকা!