পুরনো তোরঙ্গ থেকে উঠে আসে বাল্যকাল
দোমড়ানো মোচড়ানো জামা প্যারাসুট সিল্ক, কুঁচ ফল
ন্যাপথলিন গন্ধ মাখা একটি ধূসর ছেলে
এইমাত্র ছুটে গেল বারান্দায়—
উঁকি দিয়ে দেখি, যতক্ষণ দেখা যায় তাকে
উঠোনের একপাশে ছাইগাদা, তাড়া খাওয়া ভামের মতন
এক লাফে পার হয়ে নিমেষে অদৃশ্য হল জারুল বাগানে
কতটা নিবিড়? কত দূর? অন্য প্রান্তে নদী আছে নাকি?
থাকুক বা না থাকুক, নিরালা জলের রেখা এঁকে দিই আমি
একটি তালের ডোঙা স্বচ্ছতায় দুটি হয়ে আছে।
কেন বুকে চাপ এল, উড়ে গেল রাঙা দীর্ঘশ্বাস?
বিকেলে ঝড়ের গন্ধ, ধুলো বৃষ্টি মাখামাখি
সেই সব দিন
সবুজ আঁধারে মিশে যাওয়া, একা ঘুরে ঘুরে
বই পড়া দুঃখ উচ্চারণ
গাছের ছায়ার পাশে অন্য ছায়া, পিঁপড়ের সারির মতো
স্বপ্ন চলে যায়
হাঁটুর নুনছাল ওঠা জ্বালা,
দগ্ধ দুপুরের মতো সর্বগ্রাসী খিদে
কে আর সেখানে ফিরে যেতে চায়? কোন অসমাপ্ত অভিযান?
জারুল জঙ্গল ছেড়ে নদীতীরে বরং একটি নারী
দুবাহু বাড়ায়।