হরিণ কি নিজে জানে, তার চোখ দুটি কত সুন্দর?
তার সারা জীবন-কাহিনীই শুধু ভয়
সে ভয়ার্ত চোখে এদিক-ওদিক তাকালে
আমরা বলে উঠি, আহা, এ যে চকিত হরিণী প্রেক্ষণা
তার চামড়ায় স্নিগ্ধ রঙের ঝিলিক, একদিন
আমাদের পায়ে চটি-জুতো হয়ে শোভা পায়
তাড়া খেয়ে সে যখন পালায়, আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখি
কী অপূর্ব তার ছন্দোময় গতি…
আমরা কত ফুলের গলা টিপে ছিঁড়ে এনে
ফুলের বন্দনাগান গাই
মৌচাক ভেঙে মধু চুরি করে আনি, মৌমাছিকে
নিয়ে লিখি কত কাব্য
নদীগুলিতে হত্যা করতে আমাদের একটুও হাত কাঁপে না
পাখিগুলিকে আকাশ থেকে ধরে এনে পুরে দিই খাঁচায়
ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দু পায়ে পায়ে নোংরা হয়ে যায়…
মাঝে মাঝে জঙ্গল থেকে দুটো-একটা হরিণ
ছিটকে চলে আসে শহরে
তারা কী যেন বলতে চায়, আমরা বুঝি না
রাত্তিরবেলা একা একা পাখি ডাকে, নদী দীর্ঘশ্বাস ফেলে
আমরা শুনতে পাই না!
গল্পের বিষয়:
কবিতা