চৌধুরী বাড়িতে প্রথম নাতি।
মিষ্টান্ন বিতরণ সারাদিন।
রাতে সুধি জনের ভুঁড়ি ভোজন।
ভোজন শেষে উচ্ছিষ্টের তরে
কাঙ্গাল ধরে থালা।
কিছু পরে আবার ফিরে,
উঁচায়ে পাতে কলাপাতা।
চৌধুরী শক্ত কণ্ঠে,
” তোকে এখনি দিলাম, আবার এলি?”
“হুজুর, যাওয়ার কালে দেখি,
সে আপনার প্রতিবেশী,
নয় দুঃস্থ, নয় সর্বহারা, কর্মহীন,
মানে পারে না নিজ অন্ন টুকু চাহিতে।
কিন্তু অভুক্ত, ওটা তারেই দেই।
ধর্মের বাণী পরে মনে,
প্রতিবেশীর সংবাদ সর্ব প্রথম লবে যেই,
বিধাতার দয়া চিরকাল তার সনে।”
চৌধুরী উৎকণ্ঠায় কয়,
” ওরে কাঙ্গাল, তুই মোরে
করলি বোদ্ধায় কাঙ্গাল।
তুই বিশাল প্রাণ,
মহান জান।
এ সামান্য ভোগ দিয়ে
না করি আর অপমান।
তুই হবি জীবন ভর আমার চির সাথী,
মোড়া দ্বয়,
লব খোঁজ প্রতিবেশীর
কখন জ্বালি হ্যারিকেন বাতি।
অহংকারের সকল আয়োজন আর নয়,
সবে মিলে করি মানবতার জয়।”
গল্পের বিষয়:
কবিতা