চলে গেলাম তোমার সাজানো পৃথিবী ছেড়ে,
দূর থেকে বহু দূরে।
খুঁজো আমায় কোনো উদাস বিকেল বেলায়
কিংবা কোনো তারা ভরা জোছ্না রাতে।
আকাশের দূরের যে তারাটি
দীপ্তি চোখে জলকণার মত জ্বলজ্বল করে,
মনে করো সেইটিই আমি।
সেই তারাটির নাম অনুসারে আমার নাম রেখো।
এতেই আমার পরম শান্তি।
বর্ষাস্নাত কোনো সন্ধ্যা লগনে,
আসবো তোমার কাছে।
ধূয়ে মুছে দেবো
সকল গ্লানি দুঃখ।
কেননা আমি যে তোমায় বড্ড ভালবাসি।
আমার বুকের ব্যাথা আমারই থাক।
ভালোবাসনি তাতে কোনো দুঃখ নেই আমার।
শুধু দোয়া করো-
তুমি যাকে ভালোবাসো
পরজন্মে যেন সে হয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারি।
কিছুই নিয়ে যায়নি তোমার,
শুধু নিয়ে গেলাম তোমারি দেয়া অনুরাগের বিরহ বাঁশিটা।
কেননা বিরহ যে বড্ড ভালো লাগে আমার।
জানো প্রিয়,
আমি এটাই চাচ্ছিলাম-
এমনি ভাবে দুঃখ পেতে।
দুঃখ নাকি পরশ পাথরের ন্যায়?!
আত্নাকে পরিশুদ্ধ করে দেয়?
জানিনা কতটুকু শুদ্ধ হয়েছি।
তবে সেদিন বর্ষাস্নাত রাত্রি বেলায়
অনুরাগের বিশ্বাস থেকে
যে যৌবনের আদর তোমায় দিয়েছিলাম,
তা থেকে শুদ্ধ হতে পারিনি।
তবে ভয় করো না,
অভিশাপ দিবো না তোমায়।
যদি এমনি ভাবে কোনো উদাস বিকেল বেলায়-
তোমার যৌবনের উত্তাপ তোনায় ঘিরে ধরে,
ডেকো আমায়~
আসবো আমি তোমার সেই ক্ষুদা মিটাতে,
সাত সমুদ্র-তের নদী পার হয়ে।
কেননা আমি যে আমার বাবুর আব্বুকে বড্ড বেশী ভালোবাসি।
গল্পের বিষয়:
কবিতা