জানো প্রিয়তম__
মনে পড়ে না,
শেষ কবে বালিশে মাথা রেখে
তলিয়ে গেছি গভীর ভারী
মৌগন্ধী কোনো ঘুমের অতলে !!
যখনই চোখ বন্ধ করি,
বন্ধ চোখের পাতায় অন্ধকার নামে না,
কেমন যেন আলোয় আলোময় হয়ে ওঠে চারিদিক। জানো,
বুক থেকে উঠে আসা একটা
তিরতিরে ব্যথা গলা বেয়ে
উঠে এসে একটা মস্তো বড়ো
পুকুর হয়ে টলটল করতে
থাকে চোখের কোলে !!!
সেই আলোর মধ্যে আঁতিপাতি
করে করে খুঁজি,
একটা চেনা মুখ,
একটা চেনা হাসি,
দুটো চেনা চোখ….
ব্লটিং কাগজর মতো মনটা
তৃষ্ণার্ত হয়ে খালি শুনতে চায়
একটি চেনা স্বর…
লক্ষ্মী কী করছো ?
ভালো আছো ?
খেয়েছো ? কী খেলে???
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে যাই ঐ
স্বর,
প্রাণপণে সব আলোকে
তাড়িয়ে আঁকড়ে ধরতে চাই
অন্ধকার,
যে অন্ধকারে স্বপ্নরা
নেমে আসবে হাত ধরাধরি করে;
যে স্বপ্নের মধ্যে থাকবে তুমি,
যে স্বপ্নের মধ্যে খেলে বেড়াবে
তোমার শব্দেরা….
কিন্তু অন্ধকার আসে না!! স্বপ্নেরা আসে না !!!
স্বপ্নের বাইরে দাঁড়িয়ে চুপি চুপি
হাসো তুমি,
তোমার ছায়া,
টলটল করে কাঁপে
চোখের পুকুরে ………