পাপ পুণ্য নির্ণয়ের মানদণ্ড
আজকাল খুব টনটনে তোমার ;
শব্দের মারপ্যাঁচে কি সহজে হিসেব কষে
পুণ্যটা নিজের ঘরে রেখে –
আমাকে বানাও পাপের ভাগীদার ;
অযুত নিযুত বিস্তর গাণিতিক দৌড় শিখেছ –
দর্পণে দেখনি কি কখনো তারে ?
যে থাকে অতি সঙ্গোপনে, চুপি চুপি আজো –
ডেকে নিয়ে যায় নিশিথে নিশীথিনী হয়ে ।
যার শরীরের ভাজে ভাজে খেলা করে এমনও মায়ামোহ
বারংবার ডেকে যায়
নানা ছলে ঢলে পরে, গলে পরে
ফিসফিসয়ে বুকের কোণে লোভ জাগায়;
দেখনি কি তুমি তারে –
বর্ষার রাত্রিরে সে ক্যামন করে আমায় বাজায় !
দোষ কি নেই কিছু তার তবে ?
কটু ঘামে জবুথবু হয়ে শারীরিক সুখের নেশায়
যে হন্যে হয়ে চোষে ফেলে একূল ওকূল দুকূল আমার
তারে তুমি ঠাই দেবে কোন মহাকাব্যে তোমার ?
খুব যে ঘোরাচ্ছে পাপ পুণ্যের মানদণ্ড তোমার –
বলি এবার থামো ; শান্ত হও ! বুঝতে চেষ্টা করো –
ভালবাসি বলেই লুকিয়ে রেখেছি সকল মারণাস্ত্র আমার ।
ঢালবে যতো ঘি বাড়বে ততো পাপ –
হ্যালো নিশি শুনতে পাচ্ছো কি ?
গল্পের বিষয়:
কবিতা