শান্তিময় নিস্তব্ধতা,
ঘি আর মাংসের পোড়া গন্ধের মাঝে
নদীর জোয়ারের গর্জন।
এক নিঃশেষিত চিতার উপর সজ্জিত নতুন চিতা।
শব ঘিরে ঘুরে ঘুরে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণ।
চেনা সেই মাংসের গন্ধটা আজ একটা দেহ মাত্র।
রোদে পোড়া শরীরের ঘামের গন্ধের
সুতীব্র আকর্ষণীয় গন্ধের জায়গায় আজ
অগুরু আতরের সুবাস।
সাদা শালুর তলার দেহটাকে বিবস্ত্র করা চলছে।
যে দেহটাকে একবার বিবস্ত্র পাওয়ার জন্য
উতলা হতো দুটো চোখ,
আজ দেখতে চাইছে না কেন?
চোখ দুটো আটকে আছে রক্তের ছিটা দেওয়া মুখে।
আচমকা একটা শব্দ-
“শালা, তুই এখনো এখানে! মেয়েটাকে খেয়েও তোর সাধ মেটেনি!
ওর শেষ দেখতে চাস?
এখনো ঠিক আছি, প্রাণে বাঁচতে চাস তো পালা,
এ মুখ দেখতে চায়না কেউ,
কেন যে তোদের সম্পর্কটা মেনেছিলাম!”
প্রাণ ভয়ে পালাচ্ছি আমি,
না হলে ওরা মেরে দেবে আমায় – পালাচ্ছি।
বাঁচতে হবে আমায়- না! না! বাঁচাতে হবে এই মনটাকে –
না হলে তোর স্বপ্ন, আদরকে
চিরজীবনের মত বাঁচিয়ে রাখবে কে?