বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটি ডাক দিলো এই খালি,
কাছে আসলে বলে মামা যাইবো কি শহরতলি!
যামু মামা ভাড়া কিন্তু সত্তর ট্যাহা,
আগেতো চলো মামা দিবো আমি চাইছো যাহা!
উঠে বসেন যাচ্ছি আমি রদ্দুর ঠেলে,
ওই মামা ভীষণ রোদ ঝাপটা একবার দাও ফেলে!
তারাতারি চলো মামা দেরী হচ্ছে অনেকটা,
কল দিয়েছে গার্লফ্রেন্ড আমার তার সাথে করতে দেখা!
গালফেন মামা কি জিনিষ একটু বুঝাই বলেন না,
অতো বুঝে কাজ নেই তারাতারি যাওনা!
—
যাচ্ছি মামা হাপিয়ে গেছি আজ অনেক গরমে,
পেটের দায়ে রিক্সা চালাই সহে কি আর এই দমে!
পৌঁছে গেছি আপনার যায়গায় আমার ভাড়া বুঝাই দেন,
দশটা টাকা কম দিলাম অপেক্ষার মূল্য কি বুঝবেন!
–
বাবা আমার এই রদ্দুরে কষ্ট হয়েছে খুব,
ছেলে-মেয়ের অন্ন যোগাতে আমি আজ এমন ভাবুক।
মামা আমি মাটিতে শুয়ে ভুলেও দেখিনা পালঙ্ক,
তুমি বাবা হেথায় থেকে ইহা করলে কেমন অঙ্ক!
–
দশটা ট্যাহায় ভাত যোগাবে আমাদের দুমুঠো,
এমন ভাবে তুমি আমায় করোনাগো শ্রম খাটো!
সময়ের মূল্য কি বুঝ জানি তাহা বুঝবেনা,
তোমার সময় কভূ বাবা আমার শ্রম সম হবেনা!
–
কি বলিস ব্যাটা উল্টা-পাল্টা খাবি কষে এক চড়,
বেশি বকবক না করে সোজা পথ আগে ধর!
গার্লফ্রেন্ড আমার করছে অনেক সময় অপেক্ষা,
আমার অতো সময় নাই শুনতে তোর আজগুবি কেচ্ছা!
–
চারদিন পরে প্রকৃতি বলে দেখো হাসিয়া,
ওহে মাটির মানুষ সেই ছেলেটি আজ নেই বাঁচিয়া!
সময় বাঁচাতে দেখো বালক হারিয়েছে নিজ প্রাণ,
পরান পাখি উড়াল দিলো ট্রাকের তলে দেহ দান!
শুনে সেই রিক্সা ওয়ালা বলে দেখো কাদিয়া,
মায়ের সন্তান পাষাণ তুমি নিলে কেনো কাড়িয়া!
–
এরাই হলো মাটির মানুষ পরের জন্য মানবতা,
যেই একদিন কষ্ট দিলো মন কাদে আজ ভেবে তারই বিরহ কথা!