সে এক অস্থির বাউণ্ডুলে উড়ুক্কু জীবন…
পদে পদে মাকড়শার জালের মত বিছিয়ে রাখা নিষিদ্ধ আনন্দের লেপ্টানো সুখে,
দু’কূলবিনাশী নষ্টামির উগ্র আহ্বান।
কণ্ঠনালিতে ধেয়ে চলা একঢোক শ্যেন ককটেলে
ছিঁড়ে খুবড়ে নাশ হয় কষ্টার্জিত সভ্যতার অস্থি-চর্মসার আবরণটুকু।
লেলিহান সর্বনাশের লক্লকে শিখায় জ্বলতে থাকে তার উপরের খোলস।
লুকিয়ে থাকা সম্মোহনি জাদুতে মিশে থাকে
সর্বস্ব বিকিয়ে দেওয়ার জীবনবাজি।
সম্ভ্রম আর শ্লীলতার উজাড়প্রায় পেয়ালায় শেষ চুমুকটি দিয়ে
শিরায় শিরায় ডাক আসে বুনো কামুক এক অজানা গন্তব্যের দিশায়।
বেড়ে ওঠার সীমাহীন অযত্ন আর অবহেলার যুগপৎ সম্মিলনে,
ভ্রান্তির বীজ রূপ্ত হতে থাকে প্রতিনিয়ত।
ঘুমহীন চোখের পাতায় জেগে থাকে অতীতের দীর্ঘশ্বাসেরা;
জানিয়ে যায় নষ্ট আগামীর আগাম পূর্বাভাষ।
আকণ্ঠ ডুবে থাকা হতাশা আর গ্লানির সর্বগ্রাসী বিষবাষ্পে
মিটমিটিয়ে জ্বলতে থাকে আশা আর সুন্দরের দূর্বল আলোকশিখা।
আশাহীন অজানা গন্তব্যে ধেয়ে চলা এই নিমজ্জমান তরীখানির
শেষ কাণ্ডারি তুমি।
তোমাকেই বলছি…শুনছো তো?