কে যেন ডাকলো আমায় বহু বহুদিন পর
আয় আয় উড়বি চল-
ঐ খোলা আকাশটা দেখবি চল
কি যে ভয়ছিল এই ডানা দুটো নিয়ে
স্থবির হয়ে যায়নি তো !
ঝোড়ো হাওয়ার তোড়ে মুখ থুবড়ে
পড়বে না তো এঁদো কোন জলাশয়ে!
নানা এই তো বেশ উড়ছি
ভালোই তো উড়ছি
মানুষ গাছ পাহাড় নদী কাশবন
বন-বনান্তর সবুজে শ্যামল প্রান্তর
মাথার ওপর নীল আকাশ সাদা মেঘ
প্রাণ জুড়ানো শিশির ভেজা হাওয়া
পাঁজরের খাঁজে খাঁজে শুষে নেয়া যায়।
উড়ছি তো ঘুড়ির মতো ঘুরে ঘুরে
কে যেন আবার বলল-
না না তুমি কেন ঘুড়ি হতে যাবে
ওর বুকের আঁচল বাঁধা আছে অন্য ডোরে
নাচিয়ে নাচিয়ে ঘুরাতে জানে ভালো
ইচ্ছে মতো লাগাম ছেড়ে ধরতেও জানে ভালো…
তুমি উড়ে যাও স্বাধীনতার সুবাতাসে
ছিলে তো বহুকাল আবদ্ধ গ্রন্থিতে
যাও উড়ে মিহিদানা বৃষ্টির ফোঁটায়
সূর্যের মিঠেল আলোয়
মেঘবৃষ্টি খেলায় উড়িয়ে তোমার আঁচল
যাও উড়ে যাও রঙধনু আকাশ ছুঁয়ে
ইচ্ছেরা বুঝি সাত রঙে রাঙা হতে জানে।