খেয়ালী নৌকায় পাল তুলে ঐ বৈঠা খানি হাল ধরে,
ভেসে চলে যায় কোন অজানায় স্নিগ্ধ নীলের রোদ্দুরে।
কুঞ্চিত কেশ সিঁদুরে আবেশ পরণে তন্তু লালপেড়ে…
বালুকা কণায় ছাপ রেখে তায় দৌড়ে পালায় গ্রাম ছেড়ে।
রায়বাঘিনী ননদিনী তিনি নালিশ জানান “মা” র কাছে-
খুব তো ঘরে আনলে ধরে মেয়ের কি “বউ” এর হুঁশ আছে?
আম জাম বট মগডাল থেকে শান্ত দিঘীর অশান্ত ঢেউ,
সেই ভোর থেকে টো টো চারদিকে অন্দরে তারে দেখেছে কেউ?
রন্ধন হেতু রন্ধনশালে লঙ্কাকান্ড তারই রেওয়াজ;
না চুল আঁটি না পরিপাটি এলোমেলো সদা অদ্ভুত সাজ।
হাসির তোড়ে দেওয়াল ফুঁড়ে শব্দদৈত্য পাখা মেলে,
এ কেমন ধারা মেয়ে এনে তুমি আমার দাদার বিয়ে দিলে?
এতক্ষণে মুখে পানখানি পুরে দত্ত গিন্নী হেঁসে বলেন-
এমন প্রতিমা কেমন করে শেকল দিয়ে বন্দী করেন?
কোন কালে সেই নয় বছরে আটকে থাকা চার দেওয়ালে,
ভোর হতে রাত রাত হতে ভোর কাটত কি ই বা কোন খেয়ালে?
পুতুল খেলার বয়স খানির মাথায় হাজার মণ বোঝা;
কিকরে সে আবার দেখি নিঠুর তম সং সাজা।
সংসারের এই জটিল খেলার ঝক্কি যত ঝামেলা কাজ;
তার চেয়ে এই পুতুলটাকে উড়তে দিলাম আকাশে আজ।।